মিরপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় কালবৈশাখীতে অনেক গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। উড়ে গেছে শত শত ঘরের টিনের চালা। উপড়ে গেছে অনেক গাছ। গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। এতে অনেক স্থানে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঝড়ে আম, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঝড় শুরু হয়। এ ঝড় প্রায় ১৫ মিনিট স্থায়ী ছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঝড়ের তাণ্ডবে শত শত গাছপালা ভেঙে রাস্তায় পড়ে আছে। শত শত হেক্টর জমির আম, কাঁঠাল, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
মিরপুর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের কৃষক জুলমত আলী বলেন, ভোরের দিকে হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। এতে অনেক গাছ ভেঙে গেছে। উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
কৃষক শাহজাহান বলেন, ‘পেঁপে বাগানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বেশির ভাগ পেঁপেগাছ উপড়ে গেছে। আমার অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
উপজেলার আম ও লিচুর বাগানের মালিক মশিউর রহমান বলেন, ঝড়ে বাগানের আম-লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক গাছের আম-লিচু পড়ে গেছে। এতে অনেক টাকা লোকসান হয়ে গেল।
উপজেলার কুরিপোল গ্রামের তুহিন আলী বলেন, ‘আজ সকালের ঝড়ে আমার তিনটি ঘরের চালা উড়ে গেছে। এখন মেরামতের কাজ করছি। ঝড়ে আমার খুব ক্ষতি হয়ে গেল।’
আম ব্যবসায়ী হানিফ হোসেন বলেন, ‘আমি প্রতিবছর বাগান ধরে আম কিনি। এ বছরও কিনেছি। ঝড়ে সব আম পড়ে গেছে। এখন লাভ তো দূরের কথা, আসল টাকাও উঠবে না।’
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জানে আলম বলেন, কালবৈশাখীর কারণে সড়কের দুই পাশে শত শত গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে। কিছু কিছু জায়গায় এলাকাবাসীর সহায়তায় আবার কোথাও কোথাও ফায়ার সার্ভিসের টিম গাছগুলো সড়ক থেকে সরিয়ে নিচ্ছে।
কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (টেকনিক্যাল) মো. মোকসেমুল হাকিম বলেন, ‘কালবৈশাখীর তাণ্ডবে পুরো জেলা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে এবং গাছের ডাল পড়ে তার ছিঁড়ে অনেক স্থানের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে আছে। আমরা মেরামতের কাজ করছি।’
কুমারখালী আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ মামুন আর রশিদ বলেন, আজ সকাল সাড়ে ৫টার দিকে ৭ ঝড়ের সঙ্গে ২৫ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। তবে কুমারখালী উপজেলায় ঝড়ের মাত্রা অন্যান্য উপজেলার চেয়ে তুলনামূলক কম হয়েছে।
কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক বলেন, ঝড়ে আম, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাৎক্ষণিক ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি। তবে কৃষি বিভাগের লোকজন মাঠে গিয়ে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ করছেন।
কুষ্টিয়ায় কালবৈশাখীতে অনেক গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। উড়ে গেছে শত শত ঘরের টিনের চালা। উপড়ে গেছে অনেক গাছ। গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। এতে অনেক স্থানে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঝড়ে আম, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঝড় শুরু হয়। এ ঝড় প্রায় ১৫ মিনিট স্থায়ী ছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঝড়ের তাণ্ডবে শত শত গাছপালা ভেঙে রাস্তায় পড়ে আছে। শত শত হেক্টর জমির আম, কাঁঠাল, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
মিরপুর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের কৃষক জুলমত আলী বলেন, ভোরের দিকে হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। এতে অনেক গাছ ভেঙে গেছে। উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
কৃষক শাহজাহান বলেন, ‘পেঁপে বাগানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বেশির ভাগ পেঁপেগাছ উপড়ে গেছে। আমার অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
উপজেলার আম ও লিচুর বাগানের মালিক মশিউর রহমান বলেন, ঝড়ে বাগানের আম-লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক গাছের আম-লিচু পড়ে গেছে। এতে অনেক টাকা লোকসান হয়ে গেল।
উপজেলার কুরিপোল গ্রামের তুহিন আলী বলেন, ‘আজ সকালের ঝড়ে আমার তিনটি ঘরের চালা উড়ে গেছে। এখন মেরামতের কাজ করছি। ঝড়ে আমার খুব ক্ষতি হয়ে গেল।’
আম ব্যবসায়ী হানিফ হোসেন বলেন, ‘আমি প্রতিবছর বাগান ধরে আম কিনি। এ বছরও কিনেছি। ঝড়ে সব আম পড়ে গেছে। এখন লাভ তো দূরের কথা, আসল টাকাও উঠবে না।’
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জানে আলম বলেন, কালবৈশাখীর কারণে সড়কের দুই পাশে শত শত গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে। কিছু কিছু জায়গায় এলাকাবাসীর সহায়তায় আবার কোথাও কোথাও ফায়ার সার্ভিসের টিম গাছগুলো সড়ক থেকে সরিয়ে নিচ্ছে।
কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (টেকনিক্যাল) মো. মোকসেমুল হাকিম বলেন, ‘কালবৈশাখীর তাণ্ডবে পুরো জেলা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে এবং গাছের ডাল পড়ে তার ছিঁড়ে অনেক স্থানের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে আছে। আমরা মেরামতের কাজ করছি।’
কুমারখালী আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ মামুন আর রশিদ বলেন, আজ সকাল সাড়ে ৫টার দিকে ৭ ঝড়ের সঙ্গে ২৫ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। তবে কুমারখালী উপজেলায় ঝড়ের মাত্রা অন্যান্য উপজেলার চেয়ে তুলনামূলক কম হয়েছে।
কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক বলেন, ঝড়ে আম, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাৎক্ষণিক ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি। তবে কৃষি বিভাগের লোকজন মাঠে গিয়ে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ করছেন।
রাজশাহীতে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে পদ্মার পানি। ফুলে-ফেঁপে ওঠা পদ্মার পানি বিভাগীয় এই শহরের বিপৎসীমা থেকে মাত্র ৭৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই অবস্থায় শহরের টি-বাঁধে সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে দোকানপাট।
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে খুলনায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় মামলাটি করেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই বিধান চন্দ্র রায়।
২ ঘণ্টা আগের্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করছি। র্যাব বিলুপ্ত হবে কি না এ নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি না। এটি সরকার দেখবে।’
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রদলের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন খান মোহাম্মদ সামি এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জুনেদুর রহমান জুনেদ। সোমবার কলেজ অডিটরিয়ামে দীর্ঘ ২১ বছর পর কাউন্সিলের মাধ্যমে ভোটারদের সরাসরি ভোটে তাঁরা নির্বাচিত হন। পরে সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে