Ajker Patrika

টানা বৃষ্টি ও উজানের পানিতে চৌদ্দগ্রাম প্লাবিত, দুর্ভোগে ৫০ হাজার মানুষ

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৪, ১৬: ৫৫
টানা বৃষ্টি ও উজানের পানিতে চৌদ্দগ্রাম প্লাবিত, দুর্ভোগে ৫০ হাজার মানুষ

টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে পৌরসভাসহ উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ। বন্যার পানি প্রবেশ করেছে উপজেলা পরিষদ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বন্ধ রয়েছে চিকিৎসাসেবা।

এদিকে ভেসে গেছে বিভিন্ন মাছের প্রজেক্ট, দিঘি ও পুকুর। এতে কয়েক কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। মরে গেছে বেশ কয়েকটি পোলট্রি ফার্মের বিপুল পরিমাণ মোরগ।

স্থানীয়রা জানান, গত দুই দিনের টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের পানির চাপে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাসহ উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সংকট দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির। রাতভর বৃষ্টিতে উপজেলার অধিকাংশ মাছের প্রজেক্ট, দিঘি ও পুকুর ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে উপজেলা পরিষদে প্রবেশ করায় নাগরিকসেবা বন্ধ রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বুক সমান পানি প্রবেশ করেছে। এতে জরুরি সেবাসহ সব চিকিৎসাসেবা ও হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের খাবার সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বন্যার পানিতে সড়কগুলো ভেসে যাওয়ায় আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে দেখা যায়, বন্যার পানি হাসপাতালে প্রবেশ করায় জরুরি ও বহির্বিভাগে কোনো চিকিৎসক নেই। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের ছাড়পত্র দেওয়া হলেও বুক সমান পানি থাকায় রোগীরা বাড়িঘরে ফিরতে পারছেন না। এ সময় বড় ট্রলিতে করে হাসপাতাল থেকে রোগীদের বের হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে দেখা গেছে।

কেএম ফিশারিজের মালিক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘আকস্মিক বন্যায় দুটি দিঘি ও তিনটি পুকুর ভেসে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে।’

গুণবতী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বন্যায় গুণবতী ইউনিয়নের সব গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।’

চৌদ্দগ্রামে বসত-বাড়ি প্লাবিত বৃষ্টি ও উজানের পানিতে। ছবি: আজকের পত্রিকাউপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আকস্মিক বন্যায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বুক সমান পানি প্রবেশ করেছে। জরুরি ও বহির্বিভাগে পানি বাড়ায় স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ রয়েছে। এক্স-রে ও ইপিআই টিকা রুমেও পানি প্রবেশ করেছে। হাসপাতালের আবাসিক কোয়ার্টারগুলোতে পানি প্রবেশ করায় চিকিৎসক ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন। এ কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা সব রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ‘টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানির কারণে সব উপজেলায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা পরিষদ এলাকায় পানি প্রবেশ করায় নাগরিক সেবা বন্ধ রয়েছে। পৌর এলাকায় পানি নিষ্কাশন করতে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঠে কাজ করছে। তবে ঠিক কত হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

কোটি টাকা ‘ভর্তুকি’র জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাংলাদেশ যা পেল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত