অয়ন রায়, ঢাকা
জিম্বাবুয়েকে ডাকুন, সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে—বাংলাদেশ ক্রিকেটের বাজে সময়ে অনেকেই মজা করে এমনটা বলেন। এবারও সেটার ব্যতিক্রম হয়নি। ফেব্রুয়ারি-মার্চে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভরাডুবির এক মাস পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। সিরিজটি গতকাল শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়।
জিম্বাবুয়েকে শুধু ‘দুঃসময়ের বন্ধু’ই এখন বলা হয় না, বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সামাজিক মাধ্যমে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে অনেকে বলেন ‘গরীবের অ্যাশেজ’। আর গত এক দশকে বেশিরভাগ জিম্বাবুয়ে সিরিজে লাভের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রায় প্রতি সিরিজেই কোটি কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে বোর্ডের। ২০২৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভর্তুকি ছাড়িয়েছে ৬ কোটির বেশি। এবার ভর্তুকি কমবে না, বরং বাড়বে। কারণ, টিভিসত্ত্ব বিক্রি হয়নি। খেলা সম্প্রচার করা হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিসিবি)। ১০ দিনের খেলা শেষ হয়েছে সাত দিনে। আর যদি বলের হিসেব করা হয়, সেক্ষেত্রে পূর্ণ ৬ দিনের সমানও খেলা হয়নি। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে খেলা হয়েছে ৫৩৬ ওভার ৪ বল।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট হারের পরই নেটিজেনরা আরও কটাক্ষ করতে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দলকে নিয়ে। সেই ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজ-তাইজুল ইসলামরা প্রাণপণে চেষ্টা করলেও স্কোরবোর্ডে লড়াই করার মতো পুঁজি পায়নি বাংলাদেশ। শান্ত-মুশফিকুর রহিমের মতো ব্যাটাররা নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। অবশেষে ঘরের মাঠে টানা ৬ টেস্ট হারের পর গতকাল চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে জয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ১০৬ রানে জয়ে সিরিজের শেষটা শান্তদের হলো দারুণ।
দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে বড় ব্যবধানে হারানোর ম্যাচে বাংলাদেশের অনেক প্রাপ্তি রয়েছে। যেখানে অধিনায়ক শান্ত, কোচ ফিল সিমন্স ও টিম ম্যানেজমেন্ট একাদশ নির্বাচনে সাহসিকতার পরিচয় দেখিয়েছে। ধুঁকতে থাকা মাহমুদুল হাসান জয়কে বাদ দিয়ে একাদশে নিয়েছে এনামুল হক বিজয়কে। সৈয়দ খালেদ আহমেদের পরিবর্তে স্পিনার নাঈম হাসানকে নিয়েছে। আর পিএসএল খেলতে পাকিস্তানে নাহিদ রানা চলে যাওয়ায় তাঁর পরিবর্তে টেস্টে অভিষেক হয়েছে তানজিম হাসান সাকিবের। বোলিংয়ে ১ উইকেট নিলেও দশ নম্বরে নেমে তানজিম সাকিবের ৪১ রানের ইনিংসটা দারুণ কাজে দিয়েছে। আর তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, মিরাজ—তিন স্পিনার খেলানোর ফল হাতেনাতে পেয়েছে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম টেস্টের আগে শুধু জয়কে নিয়েই যে সমালোচনা হচ্ছিল তা নয়। বাংলাদেশর উদ্বোধনী জুটি ছিল কোচ, অধিনায়ক ও নির্বাচকদের মাথাব্যথার কারণ। যাকেই আনা হোক না কেন, টেস্টে বাংলাদেশের শুরুটা মোটেই আশানুরূপ হচ্ছিল না। অবশেষে দীর্ঘ ২৮ মাস পর বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে সেঞ্চুরির দেখা মিলেছে চট্টগ্রামে। এই জুটি গড়তে অবদান রাখেন সাদমান ও এনামুল হক বিজয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই ম্যাচ দিয়েই চার বছর পর সাদমান পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। আর মিরাজ তো রেকর্ড বই তছনছ করে দিয়েছেন। একই দিনে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট নিয়ে স্যার ইয়ান বোথামের ৪১ বছরের পুরোনো রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন মিরাজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ম্যান অব দ্য ম্যাচ, ম্যান অব দ্য সিরিজ দুটি পুরস্কারই পেলেন মিরাজ। সিরিজে ১৫ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার।
সাদমান-মিরাজদের সঙ্গে তাইজুলও আলো ছড়িয়েছেন চট্টগ্রাম টেস্টে। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের কাছে ২৫০-৩০০ রানের স্কোরও যখন মামুলি মনে হচ্ছিল, তখন তাইজুল ৬ উইকেট নিয়ে সফরকারীদের দ্রুত ধসিয়ে দেন। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করলেও বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিং এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। সাদমান স্লিপে বারবার ক্যাচ ছেড়েছেন। রান আউটের অনেক সুযোগও হাতছাড়া করেছে শান্তর দল। এমনকি মুশফিক তাড়াহুড়ো করে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রানআউট হয়েছেন। চট্টগ্রাম টেস্ট জিতেও তাই খুব একটা খুশি নন শান্ত। সতীর্থদের আউট হওয়ার ধরন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘না, আমি আসলে খুব বেশি খুশি না। দুই ম্যাচের পর এর চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলা উচিত ছিল। সিরিজটা আমাদের জেতা উচিত ছিল। প্রথম ম্যাচে আমরা ভালো খেলিনি, দ্বিতীয় ম্যাচে ফিরে এসেছি।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজ নিয়ে অবশ্য খুব একটা মানুষের আগ্রহ ছিল না। এমনকি বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ কবে শুরু, সেটাও নাকি অনেকে জানতেন না। ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে আইসিসি ইভেন্টে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতা। এদিকে হামজা চৌধুরীর দেখাদেখি কিউবা মিচেল, সমিত সোমসহ অনেক প্রবাসী ফুটবলার বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাতে করে বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে আগ্রহ অনেকেরই বেড়েছে।
ক্রিকেট নিয়ে আগ্রহের কমতিটাই বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে একমাত্র ব্যাপার নয়। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট চলার সময় দেখা গেছে দর্শকখরা। যারা মাঠে বসে খেলা দেখার সুযোগ পাননি, তাঁদের ম্যাচ দেখতে হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি)। সেই অস্পষ্ট, ঝিরঝির টিভির পর্দা, যারা আধুনিক সম্প্রচার থেকে পড়ে আছে অনেক অনেক পেছনে। সেদিনই আবার বিটিভি অ্যাপ ক্রাশ করেছে।
টেস্ট শেষে বাংলাদেশ আগামী এক মাস ব্যস্ত থাকবে সীমিত ওভারের ক্রিকেট নিয়ে। এই সময়ে শান্ত-মিরাজদের খেলতে হবে সাত টি-টোয়েন্টি। আরব আমিরাতের বিপক্ষে ১৭ ও ২০ মে শারজায় দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা বাংলাদেশের। এই সিরিজ শেষে পাকিস্তানে উড়াল দেবেন শান্তরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ২৫ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ।
আরও পড়ুন:
জিম্বাবুয়েকে ডাকুন, সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে—বাংলাদেশ ক্রিকেটের বাজে সময়ে অনেকেই মজা করে এমনটা বলেন। এবারও সেটার ব্যতিক্রম হয়নি। ফেব্রুয়ারি-মার্চে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভরাডুবির এক মাস পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। সিরিজটি গতকাল শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়।
জিম্বাবুয়েকে শুধু ‘দুঃসময়ের বন্ধু’ই এখন বলা হয় না, বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সামাজিক মাধ্যমে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে অনেকে বলেন ‘গরীবের অ্যাশেজ’। আর গত এক দশকে বেশিরভাগ জিম্বাবুয়ে সিরিজে লাভের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রায় প্রতি সিরিজেই কোটি কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে বোর্ডের। ২০২৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভর্তুকি ছাড়িয়েছে ৬ কোটির বেশি। এবার ভর্তুকি কমবে না, বরং বাড়বে। কারণ, টিভিসত্ত্ব বিক্রি হয়নি। খেলা সম্প্রচার করা হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিসিবি)। ১০ দিনের খেলা শেষ হয়েছে সাত দিনে। আর যদি বলের হিসেব করা হয়, সেক্ষেত্রে পূর্ণ ৬ দিনের সমানও খেলা হয়নি। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে খেলা হয়েছে ৫৩৬ ওভার ৪ বল।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট হারের পরই নেটিজেনরা আরও কটাক্ষ করতে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দলকে নিয়ে। সেই ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজ-তাইজুল ইসলামরা প্রাণপণে চেষ্টা করলেও স্কোরবোর্ডে লড়াই করার মতো পুঁজি পায়নি বাংলাদেশ। শান্ত-মুশফিকুর রহিমের মতো ব্যাটাররা নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। অবশেষে ঘরের মাঠে টানা ৬ টেস্ট হারের পর গতকাল চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে জয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ১০৬ রানে জয়ে সিরিজের শেষটা শান্তদের হলো দারুণ।
দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে বড় ব্যবধানে হারানোর ম্যাচে বাংলাদেশের অনেক প্রাপ্তি রয়েছে। যেখানে অধিনায়ক শান্ত, কোচ ফিল সিমন্স ও টিম ম্যানেজমেন্ট একাদশ নির্বাচনে সাহসিকতার পরিচয় দেখিয়েছে। ধুঁকতে থাকা মাহমুদুল হাসান জয়কে বাদ দিয়ে একাদশে নিয়েছে এনামুল হক বিজয়কে। সৈয়দ খালেদ আহমেদের পরিবর্তে স্পিনার নাঈম হাসানকে নিয়েছে। আর পিএসএল খেলতে পাকিস্তানে নাহিদ রানা চলে যাওয়ায় তাঁর পরিবর্তে টেস্টে অভিষেক হয়েছে তানজিম হাসান সাকিবের। বোলিংয়ে ১ উইকেট নিলেও দশ নম্বরে নেমে তানজিম সাকিবের ৪১ রানের ইনিংসটা দারুণ কাজে দিয়েছে। আর তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, মিরাজ—তিন স্পিনার খেলানোর ফল হাতেনাতে পেয়েছে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম টেস্টের আগে শুধু জয়কে নিয়েই যে সমালোচনা হচ্ছিল তা নয়। বাংলাদেশর উদ্বোধনী জুটি ছিল কোচ, অধিনায়ক ও নির্বাচকদের মাথাব্যথার কারণ। যাকেই আনা হোক না কেন, টেস্টে বাংলাদেশের শুরুটা মোটেই আশানুরূপ হচ্ছিল না। অবশেষে দীর্ঘ ২৮ মাস পর বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে সেঞ্চুরির দেখা মিলেছে চট্টগ্রামে। এই জুটি গড়তে অবদান রাখেন সাদমান ও এনামুল হক বিজয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই ম্যাচ দিয়েই চার বছর পর সাদমান পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। আর মিরাজ তো রেকর্ড বই তছনছ করে দিয়েছেন। একই দিনে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট নিয়ে স্যার ইয়ান বোথামের ৪১ বছরের পুরোনো রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন মিরাজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ম্যান অব দ্য ম্যাচ, ম্যান অব দ্য সিরিজ দুটি পুরস্কারই পেলেন মিরাজ। সিরিজে ১৫ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার।
সাদমান-মিরাজদের সঙ্গে তাইজুলও আলো ছড়িয়েছেন চট্টগ্রাম টেস্টে। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের কাছে ২৫০-৩০০ রানের স্কোরও যখন মামুলি মনে হচ্ছিল, তখন তাইজুল ৬ উইকেট নিয়ে সফরকারীদের দ্রুত ধসিয়ে দেন। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করলেও বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিং এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। সাদমান স্লিপে বারবার ক্যাচ ছেড়েছেন। রান আউটের অনেক সুযোগও হাতছাড়া করেছে শান্তর দল। এমনকি মুশফিক তাড়াহুড়ো করে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রানআউট হয়েছেন। চট্টগ্রাম টেস্ট জিতেও তাই খুব একটা খুশি নন শান্ত। সতীর্থদের আউট হওয়ার ধরন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘না, আমি আসলে খুব বেশি খুশি না। দুই ম্যাচের পর এর চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলা উচিত ছিল। সিরিজটা আমাদের জেতা উচিত ছিল। প্রথম ম্যাচে আমরা ভালো খেলিনি, দ্বিতীয় ম্যাচে ফিরে এসেছি।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজ নিয়ে অবশ্য খুব একটা মানুষের আগ্রহ ছিল না। এমনকি বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ কবে শুরু, সেটাও নাকি অনেকে জানতেন না। ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে আইসিসি ইভেন্টে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতা। এদিকে হামজা চৌধুরীর দেখাদেখি কিউবা মিচেল, সমিত সোমসহ অনেক প্রবাসী ফুটবলার বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাতে করে বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে আগ্রহ অনেকেরই বেড়েছে।
ক্রিকেট নিয়ে আগ্রহের কমতিটাই বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে একমাত্র ব্যাপার নয়। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট চলার সময় দেখা গেছে দর্শকখরা। যারা মাঠে বসে খেলা দেখার সুযোগ পাননি, তাঁদের ম্যাচ দেখতে হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি)। সেই অস্পষ্ট, ঝিরঝির টিভির পর্দা, যারা আধুনিক সম্প্রচার থেকে পড়ে আছে অনেক অনেক পেছনে। সেদিনই আবার বিটিভি অ্যাপ ক্রাশ করেছে।
টেস্ট শেষে বাংলাদেশ আগামী এক মাস ব্যস্ত থাকবে সীমিত ওভারের ক্রিকেট নিয়ে। এই সময়ে শান্ত-মিরাজদের খেলতে হবে সাত টি-টোয়েন্টি। আরব আমিরাতের বিপক্ষে ১৭ ও ২০ মে শারজায় দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা বাংলাদেশের। এই সিরিজ শেষে পাকিস্তানে উড়াল দেবেন শান্তরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ২৫ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ।
আরও পড়ুন:
এক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
১ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
২ ঘণ্টা আগেতাহলে কি এবার বিশ্বকাপ জিতবে লাতিন আমেরিকার কোনো ক্লাব? এই প্রশ্নে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোর কোচ ফিলিপে লুইসের উত্তর অন্তত ‘হ্যাঁ’। তাঁর ভাষায়, ‘যে কোনো দলই জিততে পারে (ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ)। এটাই ফুটবল। যদি কোনো দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাব জেতে আমি অবাক হব না।’
৩ ঘণ্টা আগে