শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা বাজার অংশ যেন মরণ ফাঁদ হয়ে উঠেছে। চার লেনের এ সড়ক নির্মাণে মোকামতলা বাজারের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে রাখা হয়নি পদচারী-সেতু। ফলে বাজারের পাকুড়তলা থেকে চকপাড়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারে প্রায়ই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি।
এসব জায়গার মধ্য রয়েছে মোকামতলা বাজারের চৌরাস্তা, মালাহার, আন্ডারপাস, কাগুইল ও দেউলির রাস্তা। দুর্ঘটনায় প্রাণহানি এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পদচারী-সেতুর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, এশিয়ান হাইওয়ে সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২-এর অধীনে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের মার্চ মাসে।
টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে শুরু হয়ে বগুড়া দিয়ে রংপুরের মডার্ন মোড় পর্যন্ত এ সড়কের দৈর্ঘ্য ১৯০ দশমিক ৪ কিলোমিটার। এই প্রকল্পের বগুড়ার বনানী থেকে শিবগঞ্জের মোকামতলা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার অংশের কাজ পেয়েছে কেএমসি-মনিকো জয়েন্ট ভেঞ্চার নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়রা জানান, মোকামতলা বাজারের পশ্চিমে ইউনিয়ন পরিষদ, মোকামতলা মহিলা ডিগ্রি কলেজ, মোকামতলা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, মোকামতলা উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাস্টার মাইন্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, জামে মসজিদ, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়, খেলার মাঠ ও বেসরকারি সংস্থার কার্যালয়সহ আবাসিক এলাকা রয়েছে।
অপর দিকে রাস্তার পূর্ব পাশে মোকামতলা ইউনিয়নের বৃহৎ হাট, সরকারি ভূমি অফিস, বেশ কয়েকটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক, গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে।
রাস্তার উভয় পাশে জনগুরুত্বপূর্ণ এসব প্রতিষ্ঠান থাকায় প্রতিদিন প্রায় কয়েক লাখ মানুষকে মহাসড়কের উভয় পাশে পারাপার হতে হয়।
আজ শনিবার মোকামতলা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বন্দরের পাঁচ কিলোমিটারের মাঝে লোক পারাপারের কোনো জায়গা রাখা হয়নি। মোকামতলা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক এবং সোনাতলা-শিবগঞ্জ বন্দরগামী চৌরাস্তায় সড়ক বিভাজক আলগা করে ১০ ফুট জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছে। এদিক দিয়ে মানুষ ও যানবাহন পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। তবে রাস্তা পারাপারের এ স্থানও কিছুদিনের মধ্যেই বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিভিন্ন রুটের যানবাহন রাস্তা পরিবর্তনের জন্য আন্ডারপাস নির্মাণ করা হয়েছে বন্দরের চৌরাস্তা থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে। জায়গাটি দূরে হওয়ায় লোকজন ওই দিক দিয়ে পার হতে চায় না। ফলে শিবগঞ্জ ও সোনাতলা রোড থেকে আসা লোকজন চৌরাস্তা দিয়ে যানবাহন রাস্তা পরিবর্তন করতে গিয়ে উল্টো পথে চলাচল করছে। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
এদিকে গত ১৯ মার্চ আন্ডারপাস দিয়ে রাস্তা পরিবর্তন করার সময় মোকামতলার ভাগকোলা এলাকার অটোভ্যানচালক আবদুল বারী ট্রাকের চাপায় নিহত হন।
১১ এপ্রিল মালাহারে মোকামতলা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী মানসুরা আক্তার পিকআপের চাপায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারায়।
এ ছাড়া ১৪ এপ্রিল মোকামতলা চৌরাস্তা পারাপারের সময় বাসের চাপায় সুলতান মিয়া নামের এক পথচারী নিহত হন।
মোকামতলা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাখাওত শামীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি দ্রুত গতিতে চলাচল করে। বাজারে পদচারী-সেতু না থাকায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ রাস্তা পার হচ্ছে। কিছুদিন আগেই আমাদের বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী চৌরাস্তায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে পদচারী-সেতুর জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।’
ব্যবসায়ী জাকিরুল ইসলাম জানান, মোকামতলা বন্দরে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে সোনাতলাগামী চৌরাস্তার মোড় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান; যা বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। ব্যস্ততম এই স্থান দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে। অথচ এখানে পদচারী-সেতু তো দূরের কথা জেব্রা ক্রসিংও দেওয়া হয়নি।
কথা হয় শংকরপুর গ্রামের বাসিন্দা রহিমা বেগমের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়েকে নিয়ে আমি প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করি। চার লেন হওয়ার কারণে রাস্তা অনেক প্রশস্ত হয়েছে। হেঁটে এত বড় রাস্তা পার হতে হতে দ্রুত গতির যানবাহন প্রায়ই খুব কাছে চলে আসে। আমাদের প্রতিদিন এই ঝুঁকি নিতে হচ্ছে। এখানে একটা পদচারী-সেতু থাকলে আমরা নিরাপদে পার হতে পারতাম।’
‘নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’-এর শিবগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি রশিদুর রহমান রানা মোকামতলায় পদচারী-সেতু নির্মাণের জরুরি উল্লেখ করে বলেন, ‘মোকামতলায় পথচারী-সেতু না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থী ও মানুষ রাস্তা পারাপার হচ্ছে।’
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘মোকামতলা অত্যন্ত জনবহুল একটি ব্যবসাকেন্দ্র। স্বাভাবিকভাবেই এখানে অগণিত মানুষকে রাস্তা পারাপার হতে হয়। আন্ডারপাস চৌরাস্তা থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে হওয়ায় লোকজন সেদিক দিয়ে পার হতে চায় না। এটি বন্ধ করা হলে আন্ডারপাস দিয়ে মানুষ পারাপারে অভ্যস্ত হবে, তাতে একটু কষ্ট হলেও দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটবে না। মোকামতলা চৌরাস্তার মোড়ে সড়ক বিভাজকে কিছু অংশ ফাঁকা রাখায় সেখান দিয়ে রাস্তা পারাপারে দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে চৌরাস্তার মোড়ে একটা পদচারী-সেতু নির্মাণ হলে মানুষ পারাপারে উপকৃত হবে।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেএমসি-মনিকো জয়েন্ট ভেঞ্চারের অ্যাডমিন অফিসার শাহ্ জামান জানান, মোকামতলা বন্দর থেকে আন্ডারপাস কিছুটা দূরে হলেও সেদিক দিয়েই পারাপার হতে হবে। লোক পারাপারের জন্য চৌমাথায় কিছুটা ফাঁকা রাখা হয়েছিল। মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটায় সেগুলোও বন্ধ করা হবে শিগগির। তবে চৌমাথাসহ ছয়টি পয়েন্টে পদচারী-সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে পরবর্তীকালে নির্মাণ করা হবে।

বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা বাজার অংশ যেন মরণ ফাঁদ হয়ে উঠেছে। চার লেনের এ সড়ক নির্মাণে মোকামতলা বাজারের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে রাখা হয়নি পদচারী-সেতু। ফলে বাজারের পাকুড়তলা থেকে চকপাড়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারে প্রায়ই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি।
এসব জায়গার মধ্য রয়েছে মোকামতলা বাজারের চৌরাস্তা, মালাহার, আন্ডারপাস, কাগুইল ও দেউলির রাস্তা। দুর্ঘটনায় প্রাণহানি এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পদচারী-সেতুর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, এশিয়ান হাইওয়ে সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২-এর অধীনে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের মার্চ মাসে।
টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে শুরু হয়ে বগুড়া দিয়ে রংপুরের মডার্ন মোড় পর্যন্ত এ সড়কের দৈর্ঘ্য ১৯০ দশমিক ৪ কিলোমিটার। এই প্রকল্পের বগুড়ার বনানী থেকে শিবগঞ্জের মোকামতলা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার অংশের কাজ পেয়েছে কেএমসি-মনিকো জয়েন্ট ভেঞ্চার নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়রা জানান, মোকামতলা বাজারের পশ্চিমে ইউনিয়ন পরিষদ, মোকামতলা মহিলা ডিগ্রি কলেজ, মোকামতলা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, মোকামতলা উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাস্টার মাইন্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, জামে মসজিদ, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়, খেলার মাঠ ও বেসরকারি সংস্থার কার্যালয়সহ আবাসিক এলাকা রয়েছে।
অপর দিকে রাস্তার পূর্ব পাশে মোকামতলা ইউনিয়নের বৃহৎ হাট, সরকারি ভূমি অফিস, বেশ কয়েকটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক, গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে।
রাস্তার উভয় পাশে জনগুরুত্বপূর্ণ এসব প্রতিষ্ঠান থাকায় প্রতিদিন প্রায় কয়েক লাখ মানুষকে মহাসড়কের উভয় পাশে পারাপার হতে হয়।
আজ শনিবার মোকামতলা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বন্দরের পাঁচ কিলোমিটারের মাঝে লোক পারাপারের কোনো জায়গা রাখা হয়নি। মোকামতলা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক এবং সোনাতলা-শিবগঞ্জ বন্দরগামী চৌরাস্তায় সড়ক বিভাজক আলগা করে ১০ ফুট জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছে। এদিক দিয়ে মানুষ ও যানবাহন পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। তবে রাস্তা পারাপারের এ স্থানও কিছুদিনের মধ্যেই বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিভিন্ন রুটের যানবাহন রাস্তা পরিবর্তনের জন্য আন্ডারপাস নির্মাণ করা হয়েছে বন্দরের চৌরাস্তা থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে। জায়গাটি দূরে হওয়ায় লোকজন ওই দিক দিয়ে পার হতে চায় না। ফলে শিবগঞ্জ ও সোনাতলা রোড থেকে আসা লোকজন চৌরাস্তা দিয়ে যানবাহন রাস্তা পরিবর্তন করতে গিয়ে উল্টো পথে চলাচল করছে। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
এদিকে গত ১৯ মার্চ আন্ডারপাস দিয়ে রাস্তা পরিবর্তন করার সময় মোকামতলার ভাগকোলা এলাকার অটোভ্যানচালক আবদুল বারী ট্রাকের চাপায় নিহত হন।
১১ এপ্রিল মালাহারে মোকামতলা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী মানসুরা আক্তার পিকআপের চাপায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারায়।
এ ছাড়া ১৪ এপ্রিল মোকামতলা চৌরাস্তা পারাপারের সময় বাসের চাপায় সুলতান মিয়া নামের এক পথচারী নিহত হন।
মোকামতলা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাখাওত শামীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি দ্রুত গতিতে চলাচল করে। বাজারে পদচারী-সেতু না থাকায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ রাস্তা পার হচ্ছে। কিছুদিন আগেই আমাদের বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী চৌরাস্তায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে পদচারী-সেতুর জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।’
ব্যবসায়ী জাকিরুল ইসলাম জানান, মোকামতলা বন্দরে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে সোনাতলাগামী চৌরাস্তার মোড় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান; যা বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। ব্যস্ততম এই স্থান দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে। অথচ এখানে পদচারী-সেতু তো দূরের কথা জেব্রা ক্রসিংও দেওয়া হয়নি।
কথা হয় শংকরপুর গ্রামের বাসিন্দা রহিমা বেগমের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়েকে নিয়ে আমি প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করি। চার লেন হওয়ার কারণে রাস্তা অনেক প্রশস্ত হয়েছে। হেঁটে এত বড় রাস্তা পার হতে হতে দ্রুত গতির যানবাহন প্রায়ই খুব কাছে চলে আসে। আমাদের প্রতিদিন এই ঝুঁকি নিতে হচ্ছে। এখানে একটা পদচারী-সেতু থাকলে আমরা নিরাপদে পার হতে পারতাম।’
‘নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’-এর শিবগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি রশিদুর রহমান রানা মোকামতলায় পদচারী-সেতু নির্মাণের জরুরি উল্লেখ করে বলেন, ‘মোকামতলায় পথচারী-সেতু না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থী ও মানুষ রাস্তা পারাপার হচ্ছে।’
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘মোকামতলা অত্যন্ত জনবহুল একটি ব্যবসাকেন্দ্র। স্বাভাবিকভাবেই এখানে অগণিত মানুষকে রাস্তা পারাপার হতে হয়। আন্ডারপাস চৌরাস্তা থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে হওয়ায় লোকজন সেদিক দিয়ে পার হতে চায় না। এটি বন্ধ করা হলে আন্ডারপাস দিয়ে মানুষ পারাপারে অভ্যস্ত হবে, তাতে একটু কষ্ট হলেও দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটবে না। মোকামতলা চৌরাস্তার মোড়ে সড়ক বিভাজকে কিছু অংশ ফাঁকা রাখায় সেখান দিয়ে রাস্তা পারাপারে দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে চৌরাস্তার মোড়ে একটা পদচারী-সেতু নির্মাণ হলে মানুষ পারাপারে উপকৃত হবে।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেএমসি-মনিকো জয়েন্ট ভেঞ্চারের অ্যাডমিন অফিসার শাহ্ জামান জানান, মোকামতলা বন্দর থেকে আন্ডারপাস কিছুটা দূরে হলেও সেদিক দিয়েই পারাপার হতে হবে। লোক পারাপারের জন্য চৌমাথায় কিছুটা ফাঁকা রাখা হয়েছিল। মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটায় সেগুলোও বন্ধ করা হবে শিগগির। তবে চৌমাথাসহ ছয়টি পয়েন্টে পদচারী-সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে পরবর্তীকালে নির্মাণ করা হবে।

তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
১ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার সরকারি খাদ্যগুদামগুলোয় বদলি-বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কয়েকজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ‘পারিবারিক সমস্যা’ দেখিয়ে প্রত্যাহারের আবেদন করিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে অন্যদের পদায়ন করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’—মর্মস্পর্শী বাক্যটি দেশজুড়ে বেশ আলোচিত হয়েছিল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার (২৪) মাথায় চাপ না দেওয়ার সতর্কবাণী ছিল এটি। সমাজতত্ত্ব বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থীর মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মাথার খুলি খুলে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়েছিল দুই মাস আগে।
১ ঘণ্টা আগে
শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।
৩ ঘণ্টা আগেশিপুল ইসলাম, রংপুর প্রতিনিধি

তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
রংপুরের তারাগঞ্জের কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর গ্রামে রূপলালের বাড়িতে গতকাল সকাল থেকে চলছে ব্যস্ততা। সড়কে রঙিন গেট, উঠানে বাঁশের মাচা, মণ্ডপ, রঙিন কাপড়ের প্যান্ডেল, ধোঁয়া উঠছে রান্নার হাঁড়ি থেকে। বাইরে থেকে দেখলে মনে হয়, আনন্দঘন উৎসব, কিন্তু একটু কাছে গেলে বোঝা যায়—উৎসবের ভেতর পরিবারের সদস্যদের মনে লুকিয়ে রয়েছে রূপলালকে হারানোর গভীর ব্যথা।
রূপলালের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গত ১০ আগস্ট রূপলালের বড় মেয়ে নুপুর রানীর বিয়ের দিন ঠিক করার কথা ছিল মিঠাপুকুর উপজেলার শ্যামপুর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে। এ জন্য ৯ আগস্ট মিঠাপুকুর থেকে নিজের ভ্যান চালিয়ে আত্মীয় রূপলাল দাসের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন ভাগনি জামাই প্রদীপ দাস। তারাগঞ্জ-কাজীরহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে ভ্যান চোর সন্দেহে তাঁদের দুজনকে থামান স্থানীয় কয়েকজন। এরপর সেখানে লোক জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে মব তৈরি করে রূপলাল দাস ও প্রদীপ দাসকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রূপলালের স্ত্রী হত্যা মামলা করলে পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
বাবার মৃত্যুর পর নুপুর রানীর বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। রূপলালকে হারিয়ে পুরো পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়ে। তবে রূপলালের পরিবার জানিয়েছে, মেয়ের বিয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক লাখ, তারাগঞ্জ হাটের ব্যবসায়ীরা ৭১ হাজার, উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ৭৫ হাজার, একটি সংগঠন থেকে এক লাখ টাকা টাকা পেয়েছে তারা। এ ছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন ব্যক্তি রূপলালের ছেলে জয় রবিদাস ও ছোট মেয়ে রুপার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন।
রূপলালের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ঘরের ভেতরে কনে নুপুর রবিদাস বসে আছেন বিয়ের শাড়িতে। মুখে বিয়ের সাজ, কিন্তু চোখ দুটো লাল। পাশে মা ভারতী রানী নীরবে অতিথি আপ্যায়নের প্রস্তুতি সামলাচ্ছেন।

তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
রংপুরের তারাগঞ্জের কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর গ্রামে রূপলালের বাড়িতে গতকাল সকাল থেকে চলছে ব্যস্ততা। সড়কে রঙিন গেট, উঠানে বাঁশের মাচা, মণ্ডপ, রঙিন কাপড়ের প্যান্ডেল, ধোঁয়া উঠছে রান্নার হাঁড়ি থেকে। বাইরে থেকে দেখলে মনে হয়, আনন্দঘন উৎসব, কিন্তু একটু কাছে গেলে বোঝা যায়—উৎসবের ভেতর পরিবারের সদস্যদের মনে লুকিয়ে রয়েছে রূপলালকে হারানোর গভীর ব্যথা।
রূপলালের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গত ১০ আগস্ট রূপলালের বড় মেয়ে নুপুর রানীর বিয়ের দিন ঠিক করার কথা ছিল মিঠাপুকুর উপজেলার শ্যামপুর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে। এ জন্য ৯ আগস্ট মিঠাপুকুর থেকে নিজের ভ্যান চালিয়ে আত্মীয় রূপলাল দাসের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন ভাগনি জামাই প্রদীপ দাস। তারাগঞ্জ-কাজীরহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে ভ্যান চোর সন্দেহে তাঁদের দুজনকে থামান স্থানীয় কয়েকজন। এরপর সেখানে লোক জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে মব তৈরি করে রূপলাল দাস ও প্রদীপ দাসকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রূপলালের স্ত্রী হত্যা মামলা করলে পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
বাবার মৃত্যুর পর নুপুর রানীর বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। রূপলালকে হারিয়ে পুরো পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়ে। তবে রূপলালের পরিবার জানিয়েছে, মেয়ের বিয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক লাখ, তারাগঞ্জ হাটের ব্যবসায়ীরা ৭১ হাজার, উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ৭৫ হাজার, একটি সংগঠন থেকে এক লাখ টাকা টাকা পেয়েছে তারা। এ ছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন ব্যক্তি রূপলালের ছেলে জয় রবিদাস ও ছোট মেয়ে রুপার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন।
রূপলালের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ঘরের ভেতরে কনে নুপুর রবিদাস বসে আছেন বিয়ের শাড়িতে। মুখে বিয়ের সাজ, কিন্তু চোখ দুটো লাল। পাশে মা ভারতী রানী নীরবে অতিথি আপ্যায়নের প্রস্তুতি সামলাচ্ছেন।

বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা বাজার অংশ যেন মরণ ফাঁদ হয়ে উঠেছে। চার লেনের এ সড়ক নির্মাণে মোকামতলা বাজারের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে রাখা হয়নি পদচারী-সেতু। ফলে বাজারের পাকুড়তলা থেকে চকপাড়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারে প্রায়ই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি।
২৯ এপ্রিল ২০২৩
ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার সরকারি খাদ্যগুদামগুলোয় বদলি-বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কয়েকজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ‘পারিবারিক সমস্যা’ দেখিয়ে প্রত্যাহারের আবেদন করিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে অন্যদের পদায়ন করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’—মর্মস্পর্শী বাক্যটি দেশজুড়ে বেশ আলোচিত হয়েছিল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার (২৪) মাথায় চাপ না দেওয়ার সতর্কবাণী ছিল এটি। সমাজতত্ত্ব বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থীর মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মাথার খুলি খুলে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়েছিল দুই মাস আগে।
১ ঘণ্টা আগে
শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।
৩ ঘণ্টা আগেসাইফুল আরিফ জুয়েল, নেত্রকোনা

ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার সরকারি খাদ্যগুদামগুলোয় বদলি-বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কয়েকজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ‘পারিবারিক সমস্যা’ দেখিয়ে প্রত্যাহারের আবেদন করিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে অন্যদের পদায়ন করা হচ্ছে।
সম্প্রতি অন্তত ছয়টি গুদামের কর্মকর্তাদের এভাবে বদলি ও পদায়নের তথ্য পাওয়া গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, ময়মনসিংহ আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে গঠিত একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট এই বদলি-বাণিজ্যের মূল হোতা। পুরো প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করছেন খাদ্য পরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম কামাল।
নেত্রকোনার কেন্দুয়া সদর খাদ্যগুদামে সম্প্রতি মেয়াদ শেষ না হতেই বিধিবহির্ভূতভাবে একজন উপপরিদর্শককে পদায়ন করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী সেখানে পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা থাকার কথা। অভিযোগ ওঠার পর ওই পদায়ন আদেশ পরে বাতিল করা হয়।
এদিকে নেত্রকোনা সদর, ঠাকুরাকোণা, ময়মনসিংহের গৌরীপুর, তারাকান্দা, ধলা ও শ্যামগঞ্জ গুদামে দেখা গেছে, দুই বছর পূর্ণের আগেই কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথ্য-উপাত্ত ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৯ আগস্ট ময়মনসিংহের তারাকান্দা গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলাল হোসেনকে দুই বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার ২৫ দিন আগেই পারিবারিক সমস্যার কারণে বদলি করা হয় ফুলবাড়িয়ায়। একই দিন তারাকান্দায় পদায়ন করা হয় শাকিল আহম্মেদকে। ২৭ দিন পর আলাল হোসেনকে গৌরীপুর খাদ্যগুদামে পদায়ন করা হয়। ৯ সেপ্টেম্বর শ্যামগঞ্জ গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুমকে একই কারণ দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাস ৫ দিন আগেই বদলি করে তাঁর স্থলে একই দিনে পদায়ন করা হয় সাজ্জাদ হোসেন খান পাঠানকে। ১৪ সেপ্টেম্বর গৌরীপুর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিনকে পারিবারিক সমস্যার কারণ দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার ২৮ দিন আগেই বদলি করে তাঁর স্থলে আলাল হোসেনকে পদায়ন করা হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর ত্রিশালের ধলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদকে একই কারণ দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগেই বদলি করে তাঁর স্থলে হিমেল চন্দ্র সরকারকে পদায়ন করা হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর নেত্রকোনার ঠাকুরাকোণা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম আহমেদকে একই কারণ (পারিবারিক সমস্যা) দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস ২০ দিন আগেই বদলি করে তাঁর স্থলে আব্দুল ওয়াহাবকে পদায়ন করা হয়। ৩০ অক্টোবর নেত্রকোনা সদর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম মোহাম্মদকে পারিবারিক সমস্যার কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার ২২ দিন আগে বদলি করে তাঁর স্থলে রেজাউল ইসলামকে পদায়ন করা হয়েছে।
খাদ্য অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস থেকে চাপ দিয়ে পারিবারিক সমস্যার আবেদন করতে বলা হয়েছে। ঊর্ধ্বতনের কথা না মানলে সমস্যায় পড়তে হবে। তাই সবাই বাধ্য হয়ে আবেদন করেছে। বদলি-বাণিজ্যে এখন প্রতি পদায়নে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হচ্ছে। টাকা না দিলে গুদামের দায়িত্বও দেওয়া হচ্ছে না। অনেকের বদলি ও পদায়নের অফিস কপিও লুকিয়ে রাখা হয়েছে; যেটা অফিস ফাইলে থাকার কথা। ওই কর্মকর্তারা বলেন, একসঙ্গে এত কর্মকর্তাকে পারিবারিক সমস্যা দেখিয়ে প্রত্যাহার করা এবং ঘুষ নিয়ে নতুনদের বসানো হয়েছে। এর আগে কখনো এমন অনিয়ম দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে কথা বলতে ময়মনসিংহ আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) আশরাফুল আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে কল দেখে তিনি এ বিষয়টি তাঁর অনিয়মের সহযোগী পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম কামালকে জানিয়ে রাখেন।
খাদ্য পরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক স্যারকে কল দিয়েছিলাম; সাংবাদিক কল দিয়েছিল, এটা তিনি আমাকে জানিয়েছেন। স্যার মূলত সচরাচর কারও কল ধরেন না। আমি নিজেই একসময় সাংবাদিক ছিলাম। অভিযোগের বিষয়টা মিথ্যা। ঠাকুরাকোণা গুদামের কর্মকর্তা শামীম তাঁর এক বন্ধুকে এখানে দিয়ে সময়কাল শেষ হওয়ার আগেই তিনি স্বেচ্ছায় আবেদন করে চলে গেছেন। অন্যগুলোও প্রায় একই রকম। কয়েকজন অহেতুক আমাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করে যাচ্ছে। সোর্স লাগিয়ে তাদের খুঁজে বের করতে সময় লাগবে না।’
এ বিষয়ে জানতে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীরের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
খাদ্যসচিব মাসুদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের খাদ্য অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী একজন কর্মকর্তা দুই বছর একটি স্টেশনে থাকবেন। যদি তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি না থাকে, তাহলে তাঁকে বদলি করার নিয়ম নেই। আর একসঙ্গে তো এত কর্মকর্তার পারিবারিক সমস্যা হতে পারে না। বিষয়টা তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার সরকারি খাদ্যগুদামগুলোয় বদলি-বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কয়েকজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ‘পারিবারিক সমস্যা’ দেখিয়ে প্রত্যাহারের আবেদন করিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে অন্যদের পদায়ন করা হচ্ছে।
সম্প্রতি অন্তত ছয়টি গুদামের কর্মকর্তাদের এভাবে বদলি ও পদায়নের তথ্য পাওয়া গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, ময়মনসিংহ আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে গঠিত একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট এই বদলি-বাণিজ্যের মূল হোতা। পুরো প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করছেন খাদ্য পরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম কামাল।
নেত্রকোনার কেন্দুয়া সদর খাদ্যগুদামে সম্প্রতি মেয়াদ শেষ না হতেই বিধিবহির্ভূতভাবে একজন উপপরিদর্শককে পদায়ন করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী সেখানে পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা থাকার কথা। অভিযোগ ওঠার পর ওই পদায়ন আদেশ পরে বাতিল করা হয়।
এদিকে নেত্রকোনা সদর, ঠাকুরাকোণা, ময়মনসিংহের গৌরীপুর, তারাকান্দা, ধলা ও শ্যামগঞ্জ গুদামে দেখা গেছে, দুই বছর পূর্ণের আগেই কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথ্য-উপাত্ত ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৯ আগস্ট ময়মনসিংহের তারাকান্দা গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলাল হোসেনকে দুই বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার ২৫ দিন আগেই পারিবারিক সমস্যার কারণে বদলি করা হয় ফুলবাড়িয়ায়। একই দিন তারাকান্দায় পদায়ন করা হয় শাকিল আহম্মেদকে। ২৭ দিন পর আলাল হোসেনকে গৌরীপুর খাদ্যগুদামে পদায়ন করা হয়। ৯ সেপ্টেম্বর শ্যামগঞ্জ গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুমকে একই কারণ দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাস ৫ দিন আগেই বদলি করে তাঁর স্থলে একই দিনে পদায়ন করা হয় সাজ্জাদ হোসেন খান পাঠানকে। ১৪ সেপ্টেম্বর গৌরীপুর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিনকে পারিবারিক সমস্যার কারণ দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার ২৮ দিন আগেই বদলি করে তাঁর স্থলে আলাল হোসেনকে পদায়ন করা হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর ত্রিশালের ধলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদকে একই কারণ দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগেই বদলি করে তাঁর স্থলে হিমেল চন্দ্র সরকারকে পদায়ন করা হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর নেত্রকোনার ঠাকুরাকোণা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম আহমেদকে একই কারণ (পারিবারিক সমস্যা) দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস ২০ দিন আগেই বদলি করে তাঁর স্থলে আব্দুল ওয়াহাবকে পদায়ন করা হয়। ৩০ অক্টোবর নেত্রকোনা সদর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম মোহাম্মদকে পারিবারিক সমস্যার কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার ২২ দিন আগে বদলি করে তাঁর স্থলে রেজাউল ইসলামকে পদায়ন করা হয়েছে।
খাদ্য অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস থেকে চাপ দিয়ে পারিবারিক সমস্যার আবেদন করতে বলা হয়েছে। ঊর্ধ্বতনের কথা না মানলে সমস্যায় পড়তে হবে। তাই সবাই বাধ্য হয়ে আবেদন করেছে। বদলি-বাণিজ্যে এখন প্রতি পদায়নে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হচ্ছে। টাকা না দিলে গুদামের দায়িত্বও দেওয়া হচ্ছে না। অনেকের বদলি ও পদায়নের অফিস কপিও লুকিয়ে রাখা হয়েছে; যেটা অফিস ফাইলে থাকার কথা। ওই কর্মকর্তারা বলেন, একসঙ্গে এত কর্মকর্তাকে পারিবারিক সমস্যা দেখিয়ে প্রত্যাহার করা এবং ঘুষ নিয়ে নতুনদের বসানো হয়েছে। এর আগে কখনো এমন অনিয়ম দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে কথা বলতে ময়মনসিংহ আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) আশরাফুল আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে কল দেখে তিনি এ বিষয়টি তাঁর অনিয়মের সহযোগী পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম কামালকে জানিয়ে রাখেন।
খাদ্য পরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক স্যারকে কল দিয়েছিলাম; সাংবাদিক কল দিয়েছিল, এটা তিনি আমাকে জানিয়েছেন। স্যার মূলত সচরাচর কারও কল ধরেন না। আমি নিজেই একসময় সাংবাদিক ছিলাম। অভিযোগের বিষয়টা মিথ্যা। ঠাকুরাকোণা গুদামের কর্মকর্তা শামীম তাঁর এক বন্ধুকে এখানে দিয়ে সময়কাল শেষ হওয়ার আগেই তিনি স্বেচ্ছায় আবেদন করে চলে গেছেন। অন্যগুলোও প্রায় একই রকম। কয়েকজন অহেতুক আমাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করে যাচ্ছে। সোর্স লাগিয়ে তাদের খুঁজে বের করতে সময় লাগবে না।’
এ বিষয়ে জানতে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীরের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
খাদ্যসচিব মাসুদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের খাদ্য অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী একজন কর্মকর্তা দুই বছর একটি স্টেশনে থাকবেন। যদি তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি না থাকে, তাহলে তাঁকে বদলি করার নিয়ম নেই। আর একসঙ্গে তো এত কর্মকর্তার পারিবারিক সমস্যা হতে পারে না। বিষয়টা তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা বাজার অংশ যেন মরণ ফাঁদ হয়ে উঠেছে। চার লেনের এ সড়ক নির্মাণে মোকামতলা বাজারের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে রাখা হয়নি পদচারী-সেতু। ফলে বাজারের পাকুড়তলা থেকে চকপাড়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারে প্রায়ই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি।
২৯ এপ্রিল ২০২৩
তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
১ ঘণ্টা আগে
‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’—মর্মস্পর্শী বাক্যটি দেশজুড়ে বেশ আলোচিত হয়েছিল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার (২৪) মাথায় চাপ না দেওয়ার সতর্কবাণী ছিল এটি। সমাজতত্ত্ব বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থীর মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মাথার খুলি খুলে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়েছিল দুই মাস আগে।
১ ঘণ্টা আগে
শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।
৩ ঘণ্টা আগেচবি শিক্ষার্থী-গ্রামবাসী সংঘাত
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’—মর্মস্পর্শী বাক্যটি দেশজুড়ে বেশ আলোচিত হয়েছিল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার (২৪) মাথায় চাপ না দেওয়ার সতর্কবাণী ছিল এটি। সমাজতত্ত্ব বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থীর মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মাথার খুলি খুলে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়েছিল দুই মাস আগে। অবশেষে গত শনিবার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
গত ৩০ আগস্ট এক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চবির অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হন। গ্রামবাসীর মধ্যেও অনেকে আহত হন। তাঁদের মধ্যে মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন মামুন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ সায়েম (২৪)। প্রথমে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। দ্রুত অস্ত্রোপচারের জন্য পরে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই তাঁদের অস্ত্রোপচার হয়। এর মধ্যে অপারেশনের মাধ্যমে মামুনের মাথার খুলি পৃথক করে রেখে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে মামুন ও সায়েম পার্কভিউ হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসাধীন। তবে এখন বেশ উন্নতি হয়েছে। মামুনের চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি প্রায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আর সায়েমও (২৪) সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন।
পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম জানান, ‘মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দুই শিক্ষার্থীকে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দুজনই এখন সুস্থ। মামুনের মাথায় খুলি আমরা প্রতিস্থাপন করেছি। এরপর মামুন স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছেন।’
চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু. ইসমাঈল হোসেন জানান, অপারেশনের দুই মাস পর মামুনের মাথার খুলিটা প্রতিস্থাপন করা হলো। এখন মামুন সুস্থ। আর হামলায় সায়েমের একটি পা অবশ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে থেরাপি দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে তিনিও সুস্থ। আরও কিছুদিন তাঁকে থেরাপি দিতে হবে। দুজনই এখন স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন। হামলার সময় ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মামুনের মাথার পেছনের অংশে মারাত্মকভাবে আঘাত করা হয়। অপারেশনের মাধ্যমে তাঁর মাথা থেকে ১৩ টুকরা হাড় বের করা হয়েছিল বলেও জানান এই চিকিৎসক।
মামুনের ভাই মাসুদ রানা বলেন, ‘মামুনের সুস্থতার জন্য আমরা সবার কাছে ঋণী।’
তথ্যমতে, মাথার খুলি রেখে দেওয়ার ঘটনা এটি প্রথম নয়। এর আগে ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাহাদি আকিব মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পান। দুদিন পর তাঁর মাথায় অপারেশন করা হয়। তখনো খুলি রেখে দিয়ে ব্যান্ডেজের ওপর লিখে দেওয়া হয়েছিল—‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’।

‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’—মর্মস্পর্শী বাক্যটি দেশজুড়ে বেশ আলোচিত হয়েছিল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার (২৪) মাথায় চাপ না দেওয়ার সতর্কবাণী ছিল এটি। সমাজতত্ত্ব বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থীর মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মাথার খুলি খুলে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়েছিল দুই মাস আগে। অবশেষে গত শনিবার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
গত ৩০ আগস্ট এক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চবির অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হন। গ্রামবাসীর মধ্যেও অনেকে আহত হন। তাঁদের মধ্যে মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন মামুন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ সায়েম (২৪)। প্রথমে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। দ্রুত অস্ত্রোপচারের জন্য পরে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই তাঁদের অস্ত্রোপচার হয়। এর মধ্যে অপারেশনের মাধ্যমে মামুনের মাথার খুলি পৃথক করে রেখে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে মামুন ও সায়েম পার্কভিউ হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসাধীন। তবে এখন বেশ উন্নতি হয়েছে। মামুনের চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি প্রায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আর সায়েমও (২৪) সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন।
পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম জানান, ‘মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দুই শিক্ষার্থীকে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দুজনই এখন সুস্থ। মামুনের মাথায় খুলি আমরা প্রতিস্থাপন করেছি। এরপর মামুন স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছেন।’
চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু. ইসমাঈল হোসেন জানান, অপারেশনের দুই মাস পর মামুনের মাথার খুলিটা প্রতিস্থাপন করা হলো। এখন মামুন সুস্থ। আর হামলায় সায়েমের একটি পা অবশ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে থেরাপি দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে তিনিও সুস্থ। আরও কিছুদিন তাঁকে থেরাপি দিতে হবে। দুজনই এখন স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন। হামলার সময় ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মামুনের মাথার পেছনের অংশে মারাত্মকভাবে আঘাত করা হয়। অপারেশনের মাধ্যমে তাঁর মাথা থেকে ১৩ টুকরা হাড় বের করা হয়েছিল বলেও জানান এই চিকিৎসক।
মামুনের ভাই মাসুদ রানা বলেন, ‘মামুনের সুস্থতার জন্য আমরা সবার কাছে ঋণী।’
তথ্যমতে, মাথার খুলি রেখে দেওয়ার ঘটনা এটি প্রথম নয়। এর আগে ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাহাদি আকিব মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পান। দুদিন পর তাঁর মাথায় অপারেশন করা হয়। তখনো খুলি রেখে দিয়ে ব্যান্ডেজের ওপর লিখে দেওয়া হয়েছিল—‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’।

বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা বাজার অংশ যেন মরণ ফাঁদ হয়ে উঠেছে। চার লেনের এ সড়ক নির্মাণে মোকামতলা বাজারের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে রাখা হয়নি পদচারী-সেতু। ফলে বাজারের পাকুড়তলা থেকে চকপাড়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারে প্রায়ই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি।
২৯ এপ্রিল ২০২৩
তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
১ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার সরকারি খাদ্যগুদামগুলোয় বদলি-বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কয়েকজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ‘পারিবারিক সমস্যা’ দেখিয়ে প্রত্যাহারের আবেদন করিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে অন্যদের পদায়ন করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।
বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক রহমান রাজু।
অধ্যাপক রহমান রাজু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড একটি স্বপ্ন অভিযাত্রা, যেখানে স্বপ্নের ডানা মেলার আয়োজন নিহিত রয়েছে। এই আয়োজনের মধ্যে লুকিয়ে আছে আগামীর সম্ভাবনার বীজ। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পাঠপ্রেম জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি এটি সমাজে জ্ঞাননির্ভর, প্রগতিশীল ও মানবিক মনন গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। চিন্তা ও বুদ্ধির সমন্বয়ে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে এবং নির্মাণের পথে এগিয়ে নিতে বুক অলিম্পিয়াড এক অনন্য উদ্যোগ।
রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার এক অসাধারণ উদ্যোগ। ক্লাসের বই অনেক সময় বাধ্য হয়েই পড়া হয়, কিন্তু বুক অলিম্পিয়াড শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের গণ্ডি পেরিয়ে জ্ঞানের নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে। এই বই পড়া অভ্যাসই তাদের মানবিক ও চিন্তাশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।
নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ওমর আলী আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ জাগিয়েছে, যা ভবিষ্যতে তাদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, ‘সারা দেশে বুক অলিম্পিয়াডের আলোকছটা ছড়িয়ে দিতে আমরা রাজশাহীতে এই আয়োজন করেছি। বইয়ের ভেতরেই লুকিয়ে আছে জ্ঞানের আলো আর সেই আলোকে প্রতিটি শিক্ষার্থী ও প্রান্তিক অঞ্চলে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু, নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, জালাল উদ্দিন, আকতার ফারুক, সার্ক কৃষিকেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ও বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াডের যোগাযোগবিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক আবুল বাশার মিরাজ, লেখক সুফিয়া ডেইজি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটির সহযোগী হিসেবে ছিল স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশন, বইচারিতা, কাঠবিড়ালি প্রকাশন ও শব্দঘর।

শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।
বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক রহমান রাজু।
অধ্যাপক রহমান রাজু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড একটি স্বপ্ন অভিযাত্রা, যেখানে স্বপ্নের ডানা মেলার আয়োজন নিহিত রয়েছে। এই আয়োজনের মধ্যে লুকিয়ে আছে আগামীর সম্ভাবনার বীজ। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পাঠপ্রেম জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি এটি সমাজে জ্ঞাননির্ভর, প্রগতিশীল ও মানবিক মনন গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। চিন্তা ও বুদ্ধির সমন্বয়ে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে এবং নির্মাণের পথে এগিয়ে নিতে বুক অলিম্পিয়াড এক অনন্য উদ্যোগ।
রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার এক অসাধারণ উদ্যোগ। ক্লাসের বই অনেক সময় বাধ্য হয়েই পড়া হয়, কিন্তু বুক অলিম্পিয়াড শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের গণ্ডি পেরিয়ে জ্ঞানের নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে। এই বই পড়া অভ্যাসই তাদের মানবিক ও চিন্তাশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।
নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ওমর আলী আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ জাগিয়েছে, যা ভবিষ্যতে তাদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, ‘সারা দেশে বুক অলিম্পিয়াডের আলোকছটা ছড়িয়ে দিতে আমরা রাজশাহীতে এই আয়োজন করেছি। বইয়ের ভেতরেই লুকিয়ে আছে জ্ঞানের আলো আর সেই আলোকে প্রতিটি শিক্ষার্থী ও প্রান্তিক অঞ্চলে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু, নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, জালাল উদ্দিন, আকতার ফারুক, সার্ক কৃষিকেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ও বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াডের যোগাযোগবিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক আবুল বাশার মিরাজ, লেখক সুফিয়া ডেইজি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটির সহযোগী হিসেবে ছিল স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশন, বইচারিতা, কাঠবিড়ালি প্রকাশন ও শব্দঘর।

বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা বাজার অংশ যেন মরণ ফাঁদ হয়ে উঠেছে। চার লেনের এ সড়ক নির্মাণে মোকামতলা বাজারের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে রাখা হয়নি পদচারী-সেতু। ফলে বাজারের পাকুড়তলা থেকে চকপাড়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারে প্রায়ই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি।
২৯ এপ্রিল ২০২৩
তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
১ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার সরকারি খাদ্যগুদামগুলোয় বদলি-বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কয়েকজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ‘পারিবারিক সমস্যা’ দেখিয়ে প্রত্যাহারের আবেদন করিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে অন্যদের পদায়ন করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’—মর্মস্পর্শী বাক্যটি দেশজুড়ে বেশ আলোচিত হয়েছিল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার (২৪) মাথায় চাপ না দেওয়ার সতর্কবাণী ছিল এটি। সমাজতত্ত্ব বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থীর মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মাথার খুলি খুলে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়েছিল দুই মাস আগে।
১ ঘণ্টা আগে