বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনায় আলোচিত হৃদয় হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। রায়ে ১৬ কিশোর অপরাধীদের মধ্যে ১২ জনকে ১০ বছর ও চারজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তিনজনের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রায় ঘোষণা করেন শিশু আদালতের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান। এর আগে সকাল ৯টার দিকে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে ১৬ কিশোরকে আদালতে আনা হয়।
মো. হৃদয় (১৬) বরগুনা শহরের চরকলোনি এলাকার দেলোয়ার হোসেন ও ফিরোজা বেগম দম্পতির ছেলে। সে বরগুনা সরকারি টেক্সটাইল ও ভকেশনালে ইনস্টিটিউটে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে ২৫ মে ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে বরগুনা সদরের গোলবুনিয়া এলাকায় পায়রা নদীর তীরে বেড়াতে গেলে তুচ্ছ ঘটনার জেরে তর্কের একপর্যায়ে আসামিরা প্রকাশ্যে কিশোর হৃদয়কে পিটিয়ে হত্যা করে। হৃদয়কে পিটিয়ে হত্যার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি আলোচনায় আসে।
পর দিন ২৬ মে হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে বরগুনা সদর থানায় ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বরগুনা পুলিশ ওই বছরের ১৬ নভেম্বর ১৬ জন কিশোর ও নয়জন প্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে বাদীর নারাজির পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আরও তিন কিশোরসহ ১৯ জনের নামে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ১৮ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ১৯ জন অভিযুক্তের রায় ঘোষণা করেন আদালত।
রায়ে ইউনুছ কাজী (১৭) রানা আকন (১৭) ইমন হাওলাদার (১৬) জুয়েল কাজী (১৭), নয়ন হাওলাদার (১৭), সজিব (১৭) নাজমুল শিকদার (১৬) রাইয়ান বিন অন্তর অরফে অন্তর (১৫) সিফাত ইসলাম (১৭), মোশারফ (১৭) সাইফুল মৃধা (১৭) ও রাব্বিকে (১৬) ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এদের মধ্যে নয়ন হাওলাদার, সিফাত ইসলাম ও মো. সজিব পলাতক রয়েছে।
এ ছাড়া সাগর গাজী (১৭), সাইফুল কাজী (১৭), সোহাগ কাজী (১৬) ও ফাইজুল ইসলামকে (১৬) সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর তিনজন শফিকুল ইসলাম (১৭) নাঈম কাজী (১৭) ও রবিউল ইসলামের (১৬) অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
নিহত হৃদয়ের মা ও মামলার বাদী ফিরোজা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার একমাত্র ছেলে ঈদের দিন ঘুরতে বের হয়েছিল। তাকে আসামিরা পিটিয়ে হত্যা করে। আমি এ রায়ে খুশি হয়েছি। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, ‘শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী অপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজা প্রদান করেছে বিজ্ঞ আদালত। রায়ে আমরাসহ সাধারণ মানুষ খুশি।’
আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবির বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চাদালতে আপিল করবেন।
বরগুনায় আলোচিত হৃদয় হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। রায়ে ১৬ কিশোর অপরাধীদের মধ্যে ১২ জনকে ১০ বছর ও চারজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তিনজনের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রায় ঘোষণা করেন শিশু আদালতের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান। এর আগে সকাল ৯টার দিকে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে ১৬ কিশোরকে আদালতে আনা হয়।
মো. হৃদয় (১৬) বরগুনা শহরের চরকলোনি এলাকার দেলোয়ার হোসেন ও ফিরোজা বেগম দম্পতির ছেলে। সে বরগুনা সরকারি টেক্সটাইল ও ভকেশনালে ইনস্টিটিউটে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে ২৫ মে ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে বরগুনা সদরের গোলবুনিয়া এলাকায় পায়রা নদীর তীরে বেড়াতে গেলে তুচ্ছ ঘটনার জেরে তর্কের একপর্যায়ে আসামিরা প্রকাশ্যে কিশোর হৃদয়কে পিটিয়ে হত্যা করে। হৃদয়কে পিটিয়ে হত্যার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি আলোচনায় আসে।
পর দিন ২৬ মে হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে বরগুনা সদর থানায় ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বরগুনা পুলিশ ওই বছরের ১৬ নভেম্বর ১৬ জন কিশোর ও নয়জন প্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে বাদীর নারাজির পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আরও তিন কিশোরসহ ১৯ জনের নামে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ১৮ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ১৯ জন অভিযুক্তের রায় ঘোষণা করেন আদালত।
রায়ে ইউনুছ কাজী (১৭) রানা আকন (১৭) ইমন হাওলাদার (১৬) জুয়েল কাজী (১৭), নয়ন হাওলাদার (১৭), সজিব (১৭) নাজমুল শিকদার (১৬) রাইয়ান বিন অন্তর অরফে অন্তর (১৫) সিফাত ইসলাম (১৭), মোশারফ (১৭) সাইফুল মৃধা (১৭) ও রাব্বিকে (১৬) ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এদের মধ্যে নয়ন হাওলাদার, সিফাত ইসলাম ও মো. সজিব পলাতক রয়েছে।
এ ছাড়া সাগর গাজী (১৭), সাইফুল কাজী (১৭), সোহাগ কাজী (১৬) ও ফাইজুল ইসলামকে (১৬) সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর তিনজন শফিকুল ইসলাম (১৭) নাঈম কাজী (১৭) ও রবিউল ইসলামের (১৬) অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
নিহত হৃদয়ের মা ও মামলার বাদী ফিরোজা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার একমাত্র ছেলে ঈদের দিন ঘুরতে বের হয়েছিল। তাকে আসামিরা পিটিয়ে হত্যা করে। আমি এ রায়ে খুশি হয়েছি। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, ‘শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী অপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজা প্রদান করেছে বিজ্ঞ আদালত। রায়ে আমরাসহ সাধারণ মানুষ খুশি।’
আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবির বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চাদালতে আপিল করবেন।
রাজধানীতে কোনো ধরনের মব জাস্টিসকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি আরও বলেন, এসব ঘটনায় মামলা করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া মব জাস্টিস বা গণপিটুনির মতো ঘটনাগুলো প্রতিরোধে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের...
৩৯ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি পাটকলের শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে মহাসড়কের কাচঁপুর এলাকায় মালেক জুট মিলের শ্রমিকের এ মিছিল করেন।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ভাড়াটিয়ার সঙ্গে দ্বন্দে আহত হয়ে এক বাড়িয়েওয়ার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম মো. আবুল বাশার (৭০)। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকায় এ দ্বন্দের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভাড়াটিয়া পরিবারের তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেচাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আশু পাটওয়ারী ওরপে আশিক (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ফেসবুক ব্যবহারকারী ও স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে