Ajker Patrika

অতিবৃষ্টিতে পচে গেছে আমনের বীজতলা, অতিরিক্ত দামে বীজ বিক্রির অভিযোগ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
অতিবৃষ্টিতে পচে গেছে আমনের বীজতলা, অতিরিক্ত দামে বীজ বিক্রির অভিযোগ

বরগুনার আমতলীতে কয়েক দিনের অতিবর্ষণে ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় আমনের বীজতলা পচে গেছে। আর এতেই বিপাকে পরেছে আমতলীর কৃষকেরা। সেই সঙ্গে নতুন করে বীজতলা তৈরি করার জন্য বীজ ব্যবসায়ীদের কাছে গিয়ে অতিরিক্ত দামে বীজ কিনতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ২৩ হাজার ৫০০ হেক্টর আমন ধান চাষ উপযুক্ত জমি রয়েছে। যার জন্য ১ হাজার ১৭৫ হেক্টর আমনের বীজতলা তৈরি করেছেন কৃষকেরা। কিন্তু টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় আমনের অধিকাংশ বীজতলা পচে গেছে। 

কৃষকদের অভিযোগ—নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে বাধ্য হওয়ার সুযোগে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মূল্যে তাদের কাছে বীজ বিক্রি করছেন। এতে বিপাকে পরেছেন তারা। 

আজ রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গুলিশাখালী, কুকুয়া, আঠারোগাচিয়া, হলদিয়া, চাওড়া, আমতলী সদর ও আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ আমনের বীজতলায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে বীজ পচে গেছে। কৃষকদের নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে হবে। 

গুলিশাখালী ইউনিয়নের বাজারখালী গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম খলিলের সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আমনের বীজ পচে গেছে। এখন নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে হবে। কিন্তু ঘরে বীজ নেই। বাজার থেকে অতিরিক্ত দামে বীজ কিনতে হচ্ছে।’ 

হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের কৃষক শিবলী শরীফ বলেন, ‘আমনের বীজ নষ্ট হওয়ায় নতুন করে বীজ তৈরি না করা পর্যন্ত জমিতে বীজ বপন করতে পারব না।’ 

এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রাসেল বলেন, ‘টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতায় আমনের বীজতলায় ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি কমে গেছে, এখন নিরূপণ করতে পারব কত বীজ ক্ষতি হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘কৃষকদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত বীজ রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত