বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) এক শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুপ্রভাত হালদারের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সাদেকুল আরেফিনের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।
গতকাল সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম এবিএম মুশফিকুর রহমান। তিনি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের ছাত্র।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান দুপুর দেড়টার দিকে একাডেমিক ভবনের চারতলা থেকে নিচতলায় যাচ্ছিলেন। হঠাৎ সহকারী অধ্যাপক সুপ্রভাত হালদার তাঁকে ডাক দেন। ডাক শুনতে না পেয়ে নিচতলার উদ্দেশ্যে হেঁটে যান মুশফিকুর। এতে সুপ্রভাত হালদার ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে শার্টের কলার ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করেন। একপর্যায়ে শিক্ষক সুপ্রভাত হালদার কোনো উত্তর না দিয়ে ওই ছাত্রের শার্টের কলার ধরে টানতে টানতে নিজের কক্ষে নিয়ে তাঁকে উপর্যুপরি লাঞ্ছিত করেন ও শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।
এদিকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার আগে বিষয়টি নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সমঝোতায় না গিয়ে এ বিষয়ে সুষ্ঠু বিচার চান ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান জানান, শিক্ষক সুপ্রভাত হালদার তাঁর কক্ষে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং একাডেমিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের হুমকি দেন। এ ঘটনায় তিনি উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপাচার্য বলেছেন বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক সুপ্রভাত হালদার আজকের পত্রিকাকে জানান, যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য তিনি এখনো পাননি, সেহেতু এ বিষয়ে কিছুই বলতে চান না তিনি। উপাচার্যের দপ্তরে মঙ্গলবার ওই ছাত্রের সঙ্গে সমঝোতা করানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ঘটনাও সত্য নয়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম বলেন, সোমবার দুপুরে মুশফিকসহ একদল শিক্ষার্থী শ্রেণি কক্ষের সামনে হইচই করছিলেন। এ সময় আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুপ্রভাত হালদার বেরিয়ে এসে বকাবকি করেন। ওই শিক্ষক মুশফিককে ডাক দিলেও তিনি না শোনায় শিক্ষক তাঁর হাত ধরেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে শিক্ষক সুপ্রভাত বোধ হয় ছাত্রের কলার ধরে তাঁর বিভাগে নিয়ে যান।
প্রক্টর ড. খোরশেদ জানান, বিষয়টি শুনে দ্রুত গিয়ে ওই ছাত্রকে সেখান থেকে নিয়ে আসেন তিনি।
প্রক্টর আরও বলেন, এ ঘটনা সোমবার রাতে ছড়িয়ে পড়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তবে ছাত্র মুসফিককে বোঝানো হলেও তিনি মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপাচার্যের কাছে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। এ সময় তারা ছাত্র ও শিক্ষকের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করেও পারেননি। ওই ছাত্র সমঝোতায় আসতে চান না। উপাচার্যের কার্যালয়ে তখন আইন বিভাগ এবং ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষকেরাও ছিলেন।
এ ব্যাপারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল বাতেন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকা উচিৎ। যে শিক্ষককে নিয়ে কথা উঠেছে সেই শিক্ষক ভালো মানুষ। ওনার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠার কথা নয়। যে বিষয়টি এসেছে তা দুঃখজনক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। শিক্ষার্থীর অভিযোগ সঠিক কিনা তা নিশ্চয়ই কর্তৃপক্ষ যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। তা ছাড়া ছাত্রদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো রাখতে দুই বিভাগের শিক্ষকেরাও ভূমিকা নেবেন বলে মনে করি।
এ বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিনের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) এক শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুপ্রভাত হালদারের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সাদেকুল আরেফিনের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।
গতকাল সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম এবিএম মুশফিকুর রহমান। তিনি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের ছাত্র।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান দুপুর দেড়টার দিকে একাডেমিক ভবনের চারতলা থেকে নিচতলায় যাচ্ছিলেন। হঠাৎ সহকারী অধ্যাপক সুপ্রভাত হালদার তাঁকে ডাক দেন। ডাক শুনতে না পেয়ে নিচতলার উদ্দেশ্যে হেঁটে যান মুশফিকুর। এতে সুপ্রভাত হালদার ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে শার্টের কলার ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করেন। একপর্যায়ে শিক্ষক সুপ্রভাত হালদার কোনো উত্তর না দিয়ে ওই ছাত্রের শার্টের কলার ধরে টানতে টানতে নিজের কক্ষে নিয়ে তাঁকে উপর্যুপরি লাঞ্ছিত করেন ও শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।
এদিকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার আগে বিষয়টি নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সমঝোতায় না গিয়ে এ বিষয়ে সুষ্ঠু বিচার চান ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান জানান, শিক্ষক সুপ্রভাত হালদার তাঁর কক্ষে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং একাডেমিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের হুমকি দেন। এ ঘটনায় তিনি উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপাচার্য বলেছেন বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক সুপ্রভাত হালদার আজকের পত্রিকাকে জানান, যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য তিনি এখনো পাননি, সেহেতু এ বিষয়ে কিছুই বলতে চান না তিনি। উপাচার্যের দপ্তরে মঙ্গলবার ওই ছাত্রের সঙ্গে সমঝোতা করানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ঘটনাও সত্য নয়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম বলেন, সোমবার দুপুরে মুশফিকসহ একদল শিক্ষার্থী শ্রেণি কক্ষের সামনে হইচই করছিলেন। এ সময় আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুপ্রভাত হালদার বেরিয়ে এসে বকাবকি করেন। ওই শিক্ষক মুশফিককে ডাক দিলেও তিনি না শোনায় শিক্ষক তাঁর হাত ধরেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে শিক্ষক সুপ্রভাত বোধ হয় ছাত্রের কলার ধরে তাঁর বিভাগে নিয়ে যান।
প্রক্টর ড. খোরশেদ জানান, বিষয়টি শুনে দ্রুত গিয়ে ওই ছাত্রকে সেখান থেকে নিয়ে আসেন তিনি।
প্রক্টর আরও বলেন, এ ঘটনা সোমবার রাতে ছড়িয়ে পড়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তবে ছাত্র মুসফিককে বোঝানো হলেও তিনি মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপাচার্যের কাছে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। এ সময় তারা ছাত্র ও শিক্ষকের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করেও পারেননি। ওই ছাত্র সমঝোতায় আসতে চান না। উপাচার্যের কার্যালয়ে তখন আইন বিভাগ এবং ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষকেরাও ছিলেন।
এ ব্যাপারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল বাতেন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকা উচিৎ। যে শিক্ষককে নিয়ে কথা উঠেছে সেই শিক্ষক ভালো মানুষ। ওনার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠার কথা নয়। যে বিষয়টি এসেছে তা দুঃখজনক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। শিক্ষার্থীর অভিযোগ সঠিক কিনা তা নিশ্চয়ই কর্তৃপক্ষ যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। তা ছাড়া ছাত্রদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো রাখতে দুই বিভাগের শিক্ষকেরাও ভূমিকা নেবেন বলে মনে করি।
এ বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিনের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারি। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো তাদেরই পছন্দের অনেক ছবি। বইয়ে যে ছবি দেখে পড়া শিখেছে, সেগুলোই ঝুলছিল দেয়ালে। কী নেই সেখানে! নানা নকশায় লেখা বাংলা বর্ণমালা। গাছের ছবি, প্রাণীর ছবি, ফুলের ছবি, পাখির ছবি। বাচ্চারা সেগুলো দেখছে, পরস্পর আলাপ করছে।
৬ ঘণ্টা আগেসংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি
৬ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভুয়া কাগজপত্রে ভোটার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৬ ঘণ্টা আগেইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ বেতারের পুরোনো সদর দপ্তর ভবন। রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনের অবস্থা এখন করুণ। বেতারের স্মৃতি-ঐতিহ্যের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রায় পরিত্যক্ত এই ভবন এখন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ/পিজি) জন্য কাজ করা আনসার সদস্যদের
৬ ঘণ্টা আগে