Ajker Patrika

ইশতেহারে নারীদের নিয়ে কথার ফুলঝুরি হাতপাখার প্রার্থীর, নৌকার প্রার্থীর কিছুই নেই

নাজমুল হাসান সাগর, বরিশাল থেকে
আপডেট : ০৯ জুন ২০২৩, ১৬: ২২
ইশতেহারে নারীদের নিয়ে কথার ফুলঝুরি হাতপাখার প্রার্থীর, নৌকার প্রার্থীর কিছুই নেই

বরিশাল সিটি নির্বাচনে ভোটারদের নজর কাড়তে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন সাত মেয়র পদপ্রার্থী। এর মধ্যে তিন প্রার্থী নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। তবে তাঁদের ইশতেহারে নারীবান্ধব তেমন কোনো প্রতিশ্রুতি না থাকায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন নারী ভোটাররা। 

তিন প্রার্থীর ঘোষিত ইশতেহার ঘেঁটে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) ৩৫টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। তবে সেখানে নারী ভোটার বা নাগরিকদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপসের ৩০টি প্রতিশ্রুতির মধ্যে শুধু ‘নারী ও শিশুবান্ধব হাসপাতাল’ গড়ার প্রতিশ্রুতি আছে। আর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইশতেহারে নারীদের নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতি থাকলেও দলটির ভেতরেই নারী নেতৃত্ব না থাকায় এসবে আস্থা রাখতে পারছেন না অনেকেই। 

সরকারি ব্রজমোহন কলেজের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অন্বেষা দাস প্রমি বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কোনো প্রার্থীকেই ভোট দেওয়ার জন্য উপযুক্ত মনে করছি না। যদি ‘না’ ভোট দেওয়ার অপশন থাকত, তাহলে আমি ‘না’ ভোট দিতাম। কারণ বড় দুই দল এবং নতুন আলোচনায় আসা ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী ইশতেহারে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেখানে নারীদের জন্য কোনো ভাবনা নেই। শুধু নারী নয় একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি মনে করি, এই সব প্রতিশ্রুতি নারীবান্ধব তো নয়ই, সাধারণ মানুষের জন্যও তেমন একটা উপযোগী নয়।’ 

২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ হাজার জন ভোটারের এই নগরীতে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন। ভোটারের এই সংখ্যার মতো নারীরা সব জায়গায় শুধু সংখ্যাতেই এগিয়ে যাচ্ছে; সুযোগ-সুবিধা ও অংশীজন করার ক্ষেত্রে তাঁদের পিছিয়ে রাখা হচ্ছে। বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আলোচিত প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি সেটি আবারও প্রমাণ করল বলে মনে করেন নগরীর সাধারণ ভোটার ও সংস্কৃতিকর্মী কাজী সেলিনা। 

জাতীয় পার্টি মেয়রপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস। ফাইল ছবিকাজী সেলিনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারীরা সব জায়গায় সংখ্যায় এগিয়ে থাকলেও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকে সব সময়। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মতো দলের প্রার্থীদের নির্বাচনী ইশতেহারে নারীবান্ধব কোনো প্রতিশ্রুতি না থাকাটা খুবই দুঃখজনক। নারীরা সমাজের একটি বড় অংশ। তাঁদের বাদ রেখে কোনো উন্নয়নকাজই শতভাগ সফল হবে না। জনপ্রিয় ও বড় দল হিসেবে তাঁদের প্রতিনিধিদের কাছে আমরা আরও দায়িত্বশীল আচরণ আশা করতেই পারি।’ 

নির্বাচনী ইশতেহারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চরমোনাই) মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে নারীদের নিয়ে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যৌতুকপ্রথা উচ্ছেদ, অনুকূল পরিবেশে নারীর জন্য পৃথক কর্মসংস্থান গড়ে তোলাসহ ইভটিজিং ও নারী অবমাননা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটের মাঠে লড়ছেন তিনি। এর সঙ্গে নগরীতে নারীর জন্য আলাদা টয়লেট, মার্কেট গড়াসহ গরিব গর্ভবতী নারীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। সাধারণ নারী ভোটাররা হাতপাখা প্রতীকের এই প্রার্থীর এমন প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানালেও নগরীর উচ্চশিক্ষিত ও রাজনীতিসচেতন নারীরা এসব প্রতিশ্রুতি সন্দেহের চোখে দেখছেন, তুলছেন নানা প্রশ্ন। 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দলীয় নীতি এবং এই দলে নারী নেতৃত্বের অনুপস্থিতির কথা উল্লেখ করে সাবেক শিক্ষক টুনু রানী কর্মকার বলেন, ‘হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী নারীদের নিয়ে এত সুন্দর সুন্দর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভালো কথা। কিন্তু তাঁদের দলে দেখেন তো নারী নেতৃত্ব আছে কি না? এই দলে নারীদের কোনো সংগঠন আছে? থাকলে তাঁদের কোনো কাজ কী চোখে পড়েছে? যারা নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে না, তাঁদের কোনো প্রতিশ্রুতিই বিশ্বাসযোগ্য নয়। তবে অন্য দুই দলের প্রার্থীরা যে বেমালুম নারীদের কথা ভুলে গেছে সেটাও ঠিক হয়নি। তাঁদের এমন উদাসীনতা মানা যায় না। 

ইসলামী আন্দোলনের মেয়র পদপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ফাইল ছবি ফয়জুল করীমের এসব প্রতিশ্রুতিকে স্রেফ নির্বাচনী স্ট্যান্টবাজী বলে আখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নেতা মনীষা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘শুধু নারীবান্ধব কেন আমরা চাই জনবান্ধব প্রতিশ্রুতি। যেটা কারও ইশতেহারেই পরিলক্ষিত হয়নি। আর হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেটাতে নারী মুক্তি হবে না। তাঁরা আদর্শগতভাবেই নারীদের এই সমাজ থেকে পৃথক রাখতে চান। সেই লক্ষ্যেই তাঁরা নারীদের জন্য আলাদা পাবলিক টয়লেট, মার্কেট গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নারীদের জন্য আলাদা আলাদা সবকিছু করলেই তো আর নারীবান্ধব হয় না। আমার এই ক্ষুদ্র রাজনৈতিক জীবনে আমি তাঁদের দল থেকে নারী মুক্তির জন্য কোনো আন্দোলন করতে দেখিনি। বরং দেখেছি নানা সময়ে নারী নির্যাতনের ঘটনায় তাঁরা নারীদের পর্দা না করাকে দায়ী করেন। কয়েকটি প্রতিশ্রুতি দিলেই যে তাঁরা খুব নারীবান্ধব হয়ে গেল সেটা আমি মনে করি না।’ 

এদিকে আলোচনায় থাকা আরেক স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা কামরুল আহসান রুপন এখনো ইশতেহার ঘোষণা করেননি। তাঁর ইশতেহারের দিকে নজর রাখছেন সচেতন নারী ভোটাররা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুড়িগ্রামে জনজীবন স্বাভাবিক, নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে আটক ৩৩

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
বিশেষ অভিযানে আটক ব্যক্তিদের কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিশেষ অভিযানে আটক ব্যক্তিদের কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

কার্যক্রম নি‌ষিদ্ধ আওয়ামী লী‌গের অনলাইনে ডাকা কর্মসূ‌চির কারণে কু‌ড়িগ্রা‌মে জনজীবনে কোনো ধরনের প্রভাব পড়েনি। সবকিছু স্বাভা‌বিকভাবে চলছে। আজ বৃহস্প‌তিবার (১৩ ন‌ভেম্বর) সকাল থে‌কে বি‌ভিন্ন রু‌টে মালবাহী ও গণপ‌রিবহন চলাচল কর‌তে দেখা গে‌ছে। এ ছাড়া সরকা‌রি প্রতিষ্ঠানসহ বি‌ভিন্ন দপ্তরে দি‌নের স্বাভা‌বিক কার্যক্রম চলমান র‌য়ে‌ছে। তবে নাশকতা চেষ্টার অভি‌যো‌গে দুই দি‌নে কু‌ড়িগ্রা‌মে আওয়ামী লীগের ৩৩ নেতা-কর্মী‌কে আটক ক‌রে‌ছে পু‌লিশ।

জেলা শহরসহ উপ‌জেলা শহ‌রে সরকা‌রি, বেসরকা‌রি ও শ্বায়ত্তশা‌সিত প্রতিষ্ঠানগু‌লো‌তে স্বাভা‌বিক কার্যক্রম চলমান র‌য়ে‌ছে। ‌শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগু‌লো‌তে পাঠদান চল‌ছে। এ ছাড়া ব‌্যবসাপ্রতিষ্ঠা, বাজার ও দোকানপা‌টে বেচাকেনা ও লেন‌দেন স্বাভা‌বিক র‌য়ে‌ছে। আজ বেলা সা‌ড়ে ১১টা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রী‌তিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়‌নি।

জেলা মোটর মা‌লিক স‌মি‌তির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান ক‌বির ব‌লেন, জেলার সব রু‌টে প‌রিবহন চলাচল স্বাভা‌বিক র‌য়ে‌ছে। প‌রিবহন সেক্টরসহ কোনো পর্যা‌য়ে কার্যক্রম নি‌ষিদ্ধ দল আওয়ামী ল‌ী‌গ ঘো‌ষিত কর্মসূ‌চির কোনো প্রভাব প‌ড়ে‌নি।

জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উলিপুর সার্কেল) মো. আশরাফুল আলম বলেন, তথাকথিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নাশকতা সৃ‌ষ্টির চেষ্টার অভিযো‌গে কুড়িগ্রাম জেলায় ২৪ ঘণ্টায় ২০ জনসহ গত দুই দি‌নে ৩৩ জন‌কে গ্রেপ্তার করে আদাল‌তে সোপর্দ করা হ‌য়ে‌ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এই অভিযান নিয়মিত চলমান থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কিশোরকে বাসা থেকে নিয়ে নির্যাতনের পর ফেলে যায় রাস্তায়, হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু

ঢামেক প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মীরহাজীরবাগে চোর সন্দেহে নির্যাতনের শিকার কিশোর বাপ্পি (১৫) মারা গেছে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে তার মারধর করা হয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে গেলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠিয়েছে।

বাপ্পি বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার কদমতলা গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে। তার বাবা রিকশাচালক এবং মা পারুল বেগম একটি কারখানায় কাজ করেন। বাপ্পিও মায়ের সঙ্গে একই কারখানায় কাজ করত। সে ধোলাইপাড় এলাকার প্রেমগলিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত।

বাপ্পির বড় ভাই মো. পারভেজ জানান, গত মঙ্গলবার আনুমানিক দিবাগত রাত ২টার দিকে একই এলাকার কাপশি রাসেল, মোল্লা শুভ এবং শাকিব তাঁদের বাসায় আসে। তারা অভিযোগ করে, বাপ্পি মীরহাজীরবাগের একটি বাসা থেকে জানালা দিয়ে টাকা ও বিদ্যুতের প্রিপেইড কার্ড চুরি করেছে। এরপর তাকে জোর করে ধরে নিয়ে মীরহাজীরবাগের আবু হাজী মসজিদ গলির একটি বাসার নিচতলার ‘ক্লাব ঘরে’ আটকে রাখা হয়।

পারভেজ আরও বলেন, সেখানে বাপ্পিকে রাতভর পেটানো হয়। বুধবার সকাল ৬টার দিকে চুরির টাকা ও মালামাল বের করে দেওয়ার কথা বলে বাপ্পিকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু কিছু না পেয়ে তারা আবার বাপ্পিকে নিয়ে যায়। বাপ্পিকে ছাড়াতে তার মা পিছু পিছু গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। সারা দিন নির্যাতনের পর বাপ্পি যখন নিস্তেজ হয়ে পড়ে, তখন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে তাকে মীরহাজীরবাগের বড়বাড়ি প্রথম গেটের সামনের রাস্তায় ফেলে রেখে যায় অভিযুক্তরা। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথেই বাপ্পি মারা যায়।

ঢামেক মর্গে বাপ্পির বাবা মো. শাহজাহান আকুল আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘আমার ছেলে যদি কোনো অপরাধ করেও থাকে, তাহলে মারধর করার পর পুলিশের কাছে তুলে দিত। এইভাবে নির্যাতন করে মেরে ফেলল কেন? আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে জানান, চোর সন্দেহে বাপ্পি নামে ওই কিশোরকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এসআই জুয়েল নিশ্চিত করেন, বাপ্পির মা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে যার বাসায় চুরির সন্দেহে বাপ্পিকে ডেকে নেওয়া হয়েছিল, সেই ফৌজিয়া রওশন আক্তার প্রীতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ৫-৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুন্দরগঞ্জে নাশকতার মামলায় প্রধান শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার ২

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি 
সুন্দরগঞ্জ থানা। ছবি : সংগৃহীত
সুন্দরগঞ্জ থানা। ছবি : সংগৃহীত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নাশকতার মামলায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ (ভারপ্রাপ্ত) দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাকিম আজাদ।

গ্রেপ্তার করা প্রধান শিক্ষক হলেন মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন দোলন। তিনি সীচা উচ্চবিদ্যালয়ে কর্মরত। তিনি চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সীচা গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে। গ্রেপ্তার আরেকজন হলেন হরিপুর ইউনিয়নের চরিতাবাড়ী গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাদশা মিয়া (৫৫)। তিনি হরিপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

ওসি আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, গতকাল বুধবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় আলাদা আলাদা অভিযান চালিয়ে পুলিশ এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নাশকতা ঠেকাতে এই অভিযান অব্যাহত আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে পেট্রলবোমা হামলা

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের বাউন্ডারিতে পেট্রলবোমা হামলার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের বাউন্ডারিতে পেট্রলবোমা হামলার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সেরেস্তায় পেট্রলবোমা হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এই নাশকতার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকটি চেয়ার-টেবিল পুড়ে গেছে। ঘটনার পরপরই টুটপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনস্থল পরিদর্শন করেছে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের নিরাপত্তাপ্রহরী ওয়াহিদুর রহমান নান্নু জানান, দলিল লেখকদের সেরেস্তায় আগুন লেগে চেয়ার-টেবিল পুড়ে গেছে। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন না নেভালে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল।

এ সময় তিনি হামলায় ব্যবহৃত দুটি বোতল দেখিয়ে বলেন, হামলাকারীরা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের পেছনের গ্রিল দিয়ে ভেতরে পেট্রলবোমা দুটি নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।

খুলনা সদর থানার ওসি তদন্ত আব্দুল হাই জানান, নাশকতার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত