Ajker Patrika

মুলাদীতে সাত বছর আগের খুনের জেরে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও মুলাদী প্রতিনিধি
মুলাদীতে সাত বছর আগের খুনের জেরে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা

বরিশালের মুলাদী, মাদারীপুরের কালকিনি ও শরিয়তপুরের ঘোসাইরহাট সীমান্ত এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের উত্তর পশ্চিম বালিয়াতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। হামলার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুজন। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন সফিপুর ইউনিয়নের উত্তর পশ্চিম বালিয়াতলী গ্রামের আলমগীর কবিরাজ (৫০) এবং বাটামারা ইউনিয়নের পূর্ব তয়কা গ্রামের হেলাল ব্যাপারী (৩২)। পুলিশের উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁদের হত্যা করেছে বলে পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন।

এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের পর হেলাল ব্যাপারীর ভাই কামাল ব্যাপারী এবং তয়কা গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে মমিন হোসেন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনেরা।

বরিশালের মুলাদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলায় নিহতদের স্বজনদের আহাজারিখোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৭ বছর আগে সংঘটিত হত্যার জেরে সোমবার রাতে এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মণ্ডল বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউপি সদস্য আলম ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

সরেজমিনে মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল উত্তর পশ্চিম বালিয়াতলী পরিদর্শন করে দেখা গেছে, নিহত আলমগীর পরিবারের স্বজনেরা বিলাপ করছেন। আশপাশের প্রতিবেশীরা অবস্থান করছিলেন। গোটা এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। একই সময় মুলাদী থানা-পুলিশ পাশের জাগরিন বাজারে অবস্থান করেন। 

নিহত আলমগীরের স্ত্রী রাবেয়া বেগম জানান, ২০১৬ সালে একটি হত্যা মামলার আসামি হওয়ার পরে আলমগীর কবিরাজ এলাকা ছেড়ে চলে যান। গত মার্চে তিনি এলাকায় ফেরেন। এরপর থেকে উত্তর বালিয়াতলী গ্রামের দাদন হাওলাদার ও তাঁদের লোকজন বিভিন্ন হুমকি দেন। এর মধ্যে কয়েক দিন আগে পাশের তয়কা-টুমচর গ্রামের আকন গ্রুপ ও হাজি গ্রুপের মধ্যে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। আলমগীর কবিরাজ আকন গ্রুপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় হাজি গ্রুপের আলম ব্যাপারী ও তাদের লোকজন ক্ষিপ্ত হন।

রাবেয়া বেগম আরও জানান, আলম ব্যাপারী সোমবার ২-৩টি ট্রলারে করে বহিরাগত লোক নিয়ে তয়কা-টুমচর এলাকায় আসেন। তাদের সঙ্গে উত্তর বালিয়াতলী গ্রামের দাদন হাওলাদারের লোকজন যুক্ত হয়। সংঘর্ষের আশঙ্কায় বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানানো হয়। সোমবার রাত ৮টার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতে আলম ব্যাপারী, দাদন হাওলাদারে ছেলে কাজল, ইয়াকুব, মৃত আনিচ হাওলাদারের ছেলে নয়ন, সজল, আলমগীর হাওলাদারের ছেলে মিলন ও রবিনসহ অর্ধশত লোক দেশীয় অস্ত্র ও হাতবোমা নিয়ে আলমগীর কবিরাজ, কামাল ব্যাপারী ও হেলাল ব্যাপারীদের ওপর হামলা চালায়।

বরিশালের মুলাদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলায় দুজন নিহত হওয়ার পর পুলিশের অবস্থানপ্রাণভয়ে আলমগীর কবিরাজ দৌড়ে নিজের বাড়িতে পাশের সমীর কবিরাজের লাকড়ির ঘরে খড়ের গাঁদায় লুকান এবং হেলাল ব্যাপারী সমীর কবিরাজের ঘরের মধ্যে আশ্রয় নেন। হামলাকারীরা সেখানে পৌঁছালে সমীর কবিরাজের স্ত্রী হেলাল ব্যাপারীকে বের করে দিলে তাঁকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। এ ছাড়া লাকড়ির ঘরের খড়ের গাঁদার মধ্যে আলমগীর কবিরাজকে টেটা ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় পুলিশ আশপাশেই অবস্থান করছিল। পরে মঙ্গলবার ভোরে পুলিশ আলমগীর এবং হেলালের লাশ উদ্ধার করেছে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ঘটনার পর জাগরনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. ওয়াহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘটনার পর অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া থানা-পুলিশ, ফাঁড়ি পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ এলাকায় অবস্থান করছেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তয়কা-টুমচর ও বালিয়াতলী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য একাধিকবার বৈঠক করা হয়েছিল। সোমবারের ঘটনায় পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধ অভিযোগ থাকলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ পেলে মামলা এবং দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।’ 

যে কারণে হত্যাকাণ্ড
এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দিনদুপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে উত্তর বালিয়াতলী গ্রামের আনিচ হাওলাদারকে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডে আলমগীর কবিরাজ ও তাঁর লোকজন নেতৃত্ব দিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনায় আনিচ হাওলাদারের ভাই দাদন হাওলাদার বাদী হয়ে আলমগীর কবিরাজ, হেলাল ব্যাপারী, কামাল ব্যাপারীসহ ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করে। মামলার পর থেকে আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন।

চলতি বছর মার্চে আলমগীর কবিরাজ লোকজন নিয়ে এলাকায় ফিরে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ছাড়া তয়কা-টুমচর এলাকায় আকন ও হাজি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বে একাধিকবার হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আলমগীর কবিরাজ আকন গ্রুপের পক্ষে অবস্থান নিয়ে হাজি গ্রুপের আলম ব্যাপারী এবং রুবেল শাহর বাড়িতে হামলা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালে হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অনিয়ম ও দুর্নীতি: রহনপুর ইউসুফ আলী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্তে মাউশি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুনিরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুনিরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নেমেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

মাউশির রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মো. আছাদুজ্জামানকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্য হলেন একই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আলমাছ উদ্দিন।

তদন্ত কমিটি আগামীকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় কলেজে গিয়ে সরেজমিন তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে। মাউশির নির্দেশনা অনুযায়ী, কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন তৈরি করে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে দাখিল করতে হবে।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘চাকরির ফাঁদে কোটি টাকার প্রতারণা’ শিরোনামে অধ্যক্ষ মুনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই বিষয়টি মাউশির নজরে আসে এবং তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান মো. আছাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে জমা দেওয়া হবে। আমরা বুধবার (৫ নভেম্বর) সরেজমিন তদন্তে যাচ্ছি। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করব এবং পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী প্রতিবেদন পাঠাব। মাউশি যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই চূড়ান্ত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বগুড়ার ডিবির সাবেক ইনচার্জসহ দুজনের প্রত্যাহার আদেশ বাতিল

বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া ডিবির সাবেক ইনচার্জ ইকবাল বাহার ও এসআই ফজলুল হক। ছবি: সংগৃহীত
বগুড়া ডিবির সাবেক ইনচার্জ ইকবাল বাহার ও এসআই ফজলুল হক। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক ইনচার্জ ইকবাল বাহার ও উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলুল হককে প্রত্যাহার করে রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে (আরআরএফ) সংযুক্তির আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) এ-সংক্রান্ত আদেশটি বগুড়া জেলা পুলিশের কাছে পৌঁছেছে।

বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) জেদান আল মুসা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল (সোমবার) রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান স্বাক্ষরিত আদেশে তাঁদের ওই সংযুক্তির আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁদের মাতৃ ইউনিট বগুড়া জেলা পুলিশে যোগদানের জন্য ছাড়পত্র দিতে বলা হয়েছে।

আদেশে উল্লেখ করা হয়, গত ১৪ অক্টোবর প্রশাসনিক কারণে তাঁদের আরআরএফ রাজশাহীতে সংযুক্ত করা হয়। অনুসন্ধানে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সংযুক্তির আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

এর আগে ১৪ অক্টোবর রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান স্বাক্ষরিত এক আদেশে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইনচার্জ ইকবাল বাহার, পুলিশ পরিদর্শক রাকিব হোসেন ও উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ফজলুল হককে প্রত্যাহার করে আরআরএফ রাজশাহীতে সংযুক্ত করা হয়।

জানা গেছে, ২১ অক্টোবর রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে বগুড়ায় আসেন। তিনি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দিলে প্রত্যাহার হওয়া তিন পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে দুজনের সংযুক্তি আদেশ বাতিল করা হয়।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ইনচার্জ ইকবাল বাহার বলেন, ‘সংযুক্তির আদেশ প্রত্যাহার হওয়ায় আজ মঙ্গলবার আরআরএফ রাজশাহী থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বগুড়া জেলা পুলিশে যোগদানের জন্য রওনা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএনপি নেতার দিঘিতে বিষপ্রয়োগ, অভিযোগ দলীয় প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
বিষ প্রয়োগের কারণে মাছ মরে ভেসে ওঠে। ছবি: সংগৃহীত
বিষ প্রয়োগের কারণে মাছ মরে ভেসে ওঠে। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের বিএনপির প্রার্থী ডি এম জিয়াউর রহমান জিয়ার সমর্থকদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দিঘিতে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলা বিএনপির সদস্য ও গোবিন্দাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের দিঘিতে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিঘিটি গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন এলাকায়। ৩৫ বিঘা আয়তনের ওই দিঘিতে বিষ প্রয়োগের কারণে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি হাবিবুর রহমানের। তাঁর অভিযোগ, ডি এম জিয়াউর রহমানের অনুসারীরা দিঘিতে বিষ দিয়েছেন।

গতকাল বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি এম জিয়াউর রহমানকে এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব অধ্যাপক কামাল হোসেন। হাবিবুর রহমান অধ্যাপক কামাল হোসেনের অনুসারী।

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত অধ্যাপক কামাল হোসেনের অনুসারী। রাজনৈতিক কারণে আমার দিঘিতে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলা হয়েছে। মনোনয়ন ঘোষণার পর রাতেই বিষ প্রয়োগ করা হয়। সকালে মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকলে পাহারাদার বিষয়টি লক্ষ করে আমাকে জানান। বেলা যত বাড়ছে, মাছ তত বেশি ভেসে উঠছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার দিঘির পাশেই বিল। বিলের মাছচাষি খুরশেদ, রফিক, সাইফুল, সাইদুরসহ কয়েকজনকে গতকালই জিয়ার সমর্থক আয়নাল, রেজাউল, শহিদুল মেম্বার ও আব্দুল হুমকি দেয় এই বলে যে, ‘‘আমাদের সঙ্গে থাকলে না, এখন যেন পুকুর থেকে মাছ মারা না হয়।’’ এরপর রাতেই আমার দিঘিতে বিষ দেওয়া হয়েছে। বিলে তো আমার দিঘি না। আমার ক্ষতিটা করল কেন? বিষয়টা পুলিশকে জানিয়েছি। দেখি, পুলিশ কী ব্যবস্থা নেয়।’

জানতে চাইলে ডি এম জিয়াউর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ শুনে আমি লোক পাঠিয়েছিলাম। দিঘির মাছ মরেনি। হাবিবুর নিজে নিজে বিষ দিয়েছেন। এমন বিষ যে ছোট মাছ মারা যাবে, বড় মাছ মরবে না। সে রকম ছোট ছোট কিছু মাছ মরেছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। মাছ যদি মারা যায়, আমি নিজে তাকে ক্ষতিপূরণ দেব।’

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হাবিবুর রহমান মৌখিকভাবে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। দিঘি দেখতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা ফিরলে বিস্তারিত বলা যাবে। এ নিয়ে কোনো অভিযোগ হলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
জামায়াত নেতা জাহিদুল ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
জামায়াত নেতা জাহিদুল ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের রেজিস্ট্রার ও সহকারী অধ্যাপক ড. নাহরিন ইসলাম খানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে সিরাজগঞ্জ সদর আমলি আদালতে দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় মামলাটি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলাকারীর আইনজীবী সিরাজগঞ্জ জজ আদালতের অ্যাডভোকেট আবু তালেব আকন্দ।

এজাহারে জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ৫ আগস্ট ২০২৪ আওয়ামী সরকার পতনের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা কোনো ধরনের ভাঙচুর বা আর্থিক ক্ষতিসাধন করেননি। ফলে সাধারণ জনগণসহ আওয়ামী লীগের অনেক সমর্থকও তাদের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন। তিনি আসন্ন সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এবং জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। এমন অবস্থায় একটি মহল অসৎ উদ্দেশ্যে তাঁকে ও জামায়াতে ইসলামীকে নির্বাচনে পরাজিত করার লক্ষ্যে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে মানহানিকর বক্তব্য প্রচার করেছে।

এজাহারে জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ঘটনার তারিখে ও সময়ে গাজী টিভির ‘রেইনবো নেশন বনাম ধর্মীয় কার্ড, টাইমলাইন বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে সঞ্চালক কাজী জেসিনের পরিচালনায় ড. নাহরিন ইসলাম খান বলেন, ‘জামায়াতের সিরাজগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি বলেছেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের স্ত্রীদের প্রতি জামায়াতের হক। ড. নাহরিন ইসলাম খানের এ বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, কুরুচিপূর্ণ ও জামায়াত ইসলামীর নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থী দাবি করে এজাহারে জাহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি কখনো এমন বক্তব্য দেননি। এ মিথ্যা মন্তব্যের মাধ্যমে আসামি তাঁর ও তাঁর দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন এবং দেশ-বিদেশে জামায়াতপন্থী মানুষকে মর্মাহত করেছেন। এ ঘটনায় দলীয় নেতাদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে মামলা করতে দেরি হয়েছে বলে এজাহারে জানান জাহিদুল ইসলাম।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে উদ্দেশ্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যে মন্তব্য করেছেন সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও কুরুচিপূর্ণ। আমি কখনো এমন কথা বলিনি। এতে আমার ব্যক্তিগত মর্যাদা এবং জামায়াতে ইসলামীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এজন্য আমি মামলাটি করেছি।’

সিরাজগঞ্জ জজ আদালতের অ্যাডভোকেট আবু তালেব আকন্দ বলেন, ‘আমরা আদালতে ভিডিও ক্লিপসহ সব প্রমাণ উপস্থাপন করেছি। আদালত প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে মামলাটির পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য বিবেচনায় নিয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত