খান রফিক, বরিশাল
মোহাম্মদ মিরাজ হোসাইন। বাসিন্দা বরিশাল মহানগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের। গত মার্চে টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড পেয়েছেন। সেই কার্ড ব্যবহার করে একবার টিসিবির পণ্যও তুলেছেন। ঈদুল ফিতরের আগে অন্য কার্ডধারীদের সঙ্গে তাঁরও পণ্য পাওয়ার কথা; কিন্তু বিধি বাম। ঈদের আগে পণ্য তুলতে গিয়ে জানতে পারেন, তার কার্ড বাতিল হয়ে গেছে।
কার্ড যে শুধু মিরাজেরই বাতিল হয়েছে তা-ই নয়, সেই তালিকায় রয়েছেন বরিশাল মহানগরের প্রায় ৮ হাজার কার্ডধারী। বিতরণের সময় অ্যাকটিভ (সচল) না করায় কার্ডগুলো বাতিল করেছে মন্ত্রণালয়। পণ্য না পাওয়া কার্ডধারীরা এর জন্য দুষছেন টিসিবি ও সিটি করপোরেশনকে। কেননা কার্ডগুলো সচল করার দায়িত্ব ছিল বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ওয়ার্ড সচিবদের।
ভুক্তভোগী মিরাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যখন কার্ড দিল তখন কেন অ্যাকটিভ করে দিল না। এটি অ্যাকটিভ করার ক্ষমতা কেবল ওয়ার্ড সচিবের। তা ছাড়া টিসিবি কর্তৃপক্ষ কী কোথাও ঘোষণা দিয়েছে, গ্রাহকের কার্ডটি অ্যাকটিভ করতে হবে? তাঁদের অবহেলার কারণেই এত ঘটা করে দেওয়া স্মার্ট কার্ড বাতিল হলো।’
একই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী দীপা রানী দাস, জাফর জমাদ্দার, দুলাল হোসেনসহ অনেকেই। তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছেন, টিসিবি কিংবা বিসিসি কেন বিষয়টি গ্রাহককে জানাল না। এর দায় এখন কে নেবে?
বিসিসি সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর সময়ে নগরের ৩০টি ওয়ার্ডে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৯০ হাজার ম্যানুয়াল কার্ড। এর মধ্যে গত জানুয়ারিতে ৬০ হাজার বাতিল করে টিসিবি কর্তৃপক্ষ। যাচাই-বাছাই শেষে গত মার্চে প্রায় ৩১ হাজার ৭০০ স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করে মন্ত্রণালয়। কিন্তু ওয়ার্ড সচিবেরা সচল না করায় প্রায় ৮ হাজার কার্ড বাতিল হয়ে যায়।
এদিকে, নতুন ৬৮৭টি স্মার্ট কার্ড পাওয়ার কথা জানিয়ে সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব জাকির হোসেন বলেন, ৬৮৭টি কার্ডের মধ্যে ১০-১২টি অ্যাকটিভ না করায় বাতিল হয়েছে। যদিও স্থানীয় এক রাজনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এই ওয়ার্ডের প্রায় ১০০ স্মার্ট কার্ড বাতিল হয়েছে।
কার্ডধারীরা সচেতন নয় উল্লেখ করে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব মো. জসিম উদ্দিন বলেন, তাঁর ওয়ার্ডে ৩ হাজার ১৮০টি স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অ্যাকটিভ না করা ২৫০-৩০০ কার্ড বাতিল হয়েছে।
নগরীতে ৬০ হাজার ম্যানুয়াল কার্ড বাতিল হওয়ার পর প্রায় ৩১ হাজার স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বরিশাল টিসিবির সহকারী পরিচালক শতদল মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সঠিক সময় স্মার্ট কার্ড অ্যাকটিভ করবে সিটি করপোরেশন; কিন্তু তা করা হয়নি। আবার অনেকে কার্ড নেননি। এ রকম ৭-৮ হাজারের মতো নতুন স্মার্ট কার্ড বাতিল হয়েছে।’
এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. রেজাউল বারী বলেন, টিসিবির স্মার্ট কার্ড বাতিলের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। কেন বাতিল হলো, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন।
মোহাম্মদ মিরাজ হোসাইন। বাসিন্দা বরিশাল মহানগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের। গত মার্চে টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড পেয়েছেন। সেই কার্ড ব্যবহার করে একবার টিসিবির পণ্যও তুলেছেন। ঈদুল ফিতরের আগে অন্য কার্ডধারীদের সঙ্গে তাঁরও পণ্য পাওয়ার কথা; কিন্তু বিধি বাম। ঈদের আগে পণ্য তুলতে গিয়ে জানতে পারেন, তার কার্ড বাতিল হয়ে গেছে।
কার্ড যে শুধু মিরাজেরই বাতিল হয়েছে তা-ই নয়, সেই তালিকায় রয়েছেন বরিশাল মহানগরের প্রায় ৮ হাজার কার্ডধারী। বিতরণের সময় অ্যাকটিভ (সচল) না করায় কার্ডগুলো বাতিল করেছে মন্ত্রণালয়। পণ্য না পাওয়া কার্ডধারীরা এর জন্য দুষছেন টিসিবি ও সিটি করপোরেশনকে। কেননা কার্ডগুলো সচল করার দায়িত্ব ছিল বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ওয়ার্ড সচিবদের।
ভুক্তভোগী মিরাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যখন কার্ড দিল তখন কেন অ্যাকটিভ করে দিল না। এটি অ্যাকটিভ করার ক্ষমতা কেবল ওয়ার্ড সচিবের। তা ছাড়া টিসিবি কর্তৃপক্ষ কী কোথাও ঘোষণা দিয়েছে, গ্রাহকের কার্ডটি অ্যাকটিভ করতে হবে? তাঁদের অবহেলার কারণেই এত ঘটা করে দেওয়া স্মার্ট কার্ড বাতিল হলো।’
একই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী দীপা রানী দাস, জাফর জমাদ্দার, দুলাল হোসেনসহ অনেকেই। তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছেন, টিসিবি কিংবা বিসিসি কেন বিষয়টি গ্রাহককে জানাল না। এর দায় এখন কে নেবে?
বিসিসি সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর সময়ে নগরের ৩০টি ওয়ার্ডে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৯০ হাজার ম্যানুয়াল কার্ড। এর মধ্যে গত জানুয়ারিতে ৬০ হাজার বাতিল করে টিসিবি কর্তৃপক্ষ। যাচাই-বাছাই শেষে গত মার্চে প্রায় ৩১ হাজার ৭০০ স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করে মন্ত্রণালয়। কিন্তু ওয়ার্ড সচিবেরা সচল না করায় প্রায় ৮ হাজার কার্ড বাতিল হয়ে যায়।
এদিকে, নতুন ৬৮৭টি স্মার্ট কার্ড পাওয়ার কথা জানিয়ে সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব জাকির হোসেন বলেন, ৬৮৭টি কার্ডের মধ্যে ১০-১২টি অ্যাকটিভ না করায় বাতিল হয়েছে। যদিও স্থানীয় এক রাজনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এই ওয়ার্ডের প্রায় ১০০ স্মার্ট কার্ড বাতিল হয়েছে।
কার্ডধারীরা সচেতন নয় উল্লেখ করে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব মো. জসিম উদ্দিন বলেন, তাঁর ওয়ার্ডে ৩ হাজার ১৮০টি স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অ্যাকটিভ না করা ২৫০-৩০০ কার্ড বাতিল হয়েছে।
নগরীতে ৬০ হাজার ম্যানুয়াল কার্ড বাতিল হওয়ার পর প্রায় ৩১ হাজার স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বরিশাল টিসিবির সহকারী পরিচালক শতদল মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সঠিক সময় স্মার্ট কার্ড অ্যাকটিভ করবে সিটি করপোরেশন; কিন্তু তা করা হয়নি। আবার অনেকে কার্ড নেননি। এ রকম ৭-৮ হাজারের মতো নতুন স্মার্ট কার্ড বাতিল হয়েছে।’
এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. রেজাউল বারী বলেন, টিসিবির স্মার্ট কার্ড বাতিলের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। কেন বাতিল হলো, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মিজানুর রহমান সুজন খান (৪৮) নামে এক চালক নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত তিনটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মির্জাপুর বাইপাসের বাওয়ার কুমারজানী মা সিএনজি পাম্প সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত চালক সুজন খান বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার জিরাইল গ্রামের ইউনুছ খানের ছেলে।
১৫ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রাণীদের নিরাপদে বিচরণের জন্য ২০২৩ সালে ট্রেন ও সড়কপথে যানবাহনের গতিসীমা ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নির্দেশনা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। কেউই তা মেনে চলছে না।
৪ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ
৫ ঘণ্টা আগেনগদ টাকার সঙ্গে ঘুষ হিসেবে ঘুমানোর জন্য খাট নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হুদা তালুকদারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ঘুষ আদায় করতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে তৈরি করেছেন সিন্ডিকেট।
৫ ঘণ্টা আগে