Ajker Patrika

বরিশালে বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ, আহত ১০

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ মে ২০২৩, ১৮: ৩৩
বরিশালে বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ, আহত ১০

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আফজাল হোসেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা বিএনপির সভায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। 

বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আফজাল হোসেনের অভিযোগ, ২০ মে বরিশালের জনসমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতি সভা চলছিল। সভার শেষ দিকে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা লোহার রড, লাঠিসোঁটা ও জিআই পাইপ নিয়ে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ বলেন, ‘এ ধরনের হামলা সম্পর্কে আমি কিছুই শুনিনি।’ 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ১০ দফা দাবি আদায়ে ২০ মে বরিশালে জেলা সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে গতকাল আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আফজাল হোসেনের বাড়িতে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শেষ পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একদল নেতা-কর্মী হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। হামলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ৩০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এতে ১০ নেতা-কর্মী আহত হন। 

আহতরা হলেন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেনের স্ত্রী মিলি বেগম (৫৫), পুত্র জহিরুল ইসলাম জনি (৩০), আগৈলঝাড়া উপজেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক মানিক ব্যাপারী (৪২), উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মনির হোসেন মোল্লা (৪৫), উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির রহমান (২৮), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হক খান (৪০), সদস্য মো. পলাশ হোসেন (৩৫), উপজেলা যুবদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক সান্টু মোল্লা (৩৮), ছাত্রদলের সদস্য কাইয়ুম সিকদারসহ (১৮) আরও কয়েকজন।

আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজাহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি নেতার কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, বিএনপির সভায় কতিপয় যুবক ঢুকে গালিগালাজ করেছে। বড় ধরনের হামলার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।’

এদিকে উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহান, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আ.লীগ কর্মী সন্দেহে একজনকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহে ছাত্র-জনতার হাতে আটক ব্যক্তিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহে ছাত্র-জনতার হাতে আটক ব্যক্তিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহে একজনকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশ থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করে বিক্ষোভকারী ছাত্র-জনতা। পরে গুলিস্তানের রমনা ফিলিং স্টেশনে এনে তাঁকে মারধর করে কাছেই একটি মার্কেটে এক ঘণ্টা ধরে আটক করে রাখা হয়। এরপর বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

আটক ব্যক্তির নাম মো. মুবিন। মুবিনের গ্রাম চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম মোস্তফা ব্যাপারী। মুবিন জানান, তিনি গত তিন বছর ধরে কেরানীগঞ্জে নিজেদের বেকারিতে কাজ করেন।

আওয়ামী লীগ সন্দেহে আটক মো. মুবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ফেসবুকে আওয়ামী লীগের পোস্ট ছিল, এ জন্য আমাকে মারধর করেছে।’ পোস্ট শেয়ারের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে ভালো লাগে আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভালো লাগে না।

নারায়ণগঞ্জ জেলার গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি মেহেবুবা আক্তার জানান, আওয়ামী লীগ কর্মীকে প্রথমে আটক করে বিক্ষুব্ধ জনতা। প্রায় এক ঘণ্টা তাঁকে মার্কেটের ভেতরে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ চলে গেলে আবার এসে তাঁকে নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলিস্তানের একটি জায়গা থেকে প্রথমে তাঁকে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার সন্দেহে আটক করা হয়। তাঁর ফোন চেক করে দেখা যায়, সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম শেয়ার করেছেন। পরে তাঁকে ছাত্র-জনতা আটক করে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মুন্সিগঞ্জ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বাবুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাঁকে আটক করা হয়েছে, তিনি জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছিলেন। তাঁর ফেসবুক আইডিতে আওয়ামী লীগের পোস্ট ছিল এবং তিনি আওয়ামী লীগের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত ছিলেন। হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও ক্লিপসও ছিল। এ জন্য তাঁকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় চারটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

খুলনা প্রতিনিধি
বোমাসদৃশ বস্তু। ছবি: সংগৃহীত
বোমাসদৃশ বস্তু। ছবি: সংগৃহীত

খুলনার তেরখাদা উপজেলা থেকে চারটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া একই উপজেলার মধুপুরে একটি বাড়ির সামনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে তেরখাদা সদর ইউনিয়নের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার আব্দুর রউফ ফকিরের বাড়িতে তিনটি লাল কৌটা পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় ওয়ালিদ নামের এক ব্যক্তি।

তিনি প্রতিদিনের মতো কোচিং করানোর উদ্দেশ্যে সকাল সোয়া ৬টার দিকে বাড়ির পাশে পৌঁছালে ঘরের সানসেটের ওপর লাল রঙের কৌটা দেখতে পান, যা বোমাসদৃশ মনে হয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশে খবর দিলে তেরখাদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনটি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করে।

এর কিছুক্ষণ পর উপজেলার বাইপাস সড়কের পাশে কচুগাছের নিচে আরও একটি লাল কৌটা দেখতে পান এক পথচারী নারী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কৌটাটি উদ্ধার করে। একই দিনে তেরখাদা নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ‘ঢাকা লকডাউন’ শিরোনামে কিছু লিফলেটও টানিয়ে যায়।

অপর দিকে বুধবার রাতে তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের পারহাজিগ্রাম কাটাশিয়া বাজার এলাকায় ইউপি সদস্য বেল্লাল মোল্লার বাড়ির প্রবেশপথে তিন দফায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রথম বিস্ফোরণের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা বাইরে বেরিয়ে এলে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি পালিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর আরও বিকট শব্দে আরও দুটি বিস্ফোরণ হয়।

এ ব্যাপারে তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, পরিত্যক্ত অবস্থায় চারটি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, উদ্ধার করা বস্তুগুলো বালতিতে ভিজিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হচ্ছে এবং ঘটনাটির উৎস ও উদ্দেশ্য অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতীবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে কফর উদ্দিন (৫০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বড়খাতা রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কফর উদ্দিন বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর পিতার নাম মৃত আবুল হোসেন।

রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কফর উদ্দিন বড়খাতা বাজার রেলগেট পথ হয়ে হেঁটে রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময় বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা ৬৬ নম্বর ডাউন কমিউটার দিনাজপুরের পার্বতীপুরগামী ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কফর উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় বড়খাতা বাজার ও আশপাশের এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন। স্টেশনের পাশে মাঝেমধ্যে রাতে থাকতেন। পরিবারের লোকজনেরা তাঁর চিকিৎসা করেও সুস্থ করতে পারেননি। তাঁকে বাড়িতে রাখার চেষ্টা করলেও তিনি বাড়িতে থাকতেন না।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, লালমনিরহাট থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ২০তম বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ২০তম বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ২০তম বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের (বিআইআরসি) শহীদ কর্নেল নকীব হলে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সম্মেলনে সেনাপ্রধান রেজিমেন্টের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য ও দেশমাতৃকার সেবায় অবদানের কথা উল্লেখ করেন। সে সঙ্গে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান।

এ ছাড়া বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের অধিনায়কদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সেনাপ্রধান এ রেজিমেন্টের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, গবেষণা, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন।

অনুষ্ঠানে জিওসি, আর্টডক; কমান্ড্যান্ট, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার; জিওসি ১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, বগুড়া এরিয়া; সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার ও রাজশাহী স্টেশনে কর্মরত সব কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের সব ইউনিটের অধিনায়কেরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সেনাপ্রধান বিআইআরসি সম্মেলনকক্ষে পৌঁছালে তাঁকে জিওসি, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (আর্টডক); কমান্ড্যান্ট, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার; জিওসি, ১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার এবং বগুড়া এরিয়া অভ্যর্থনা জানায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত