পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার পাথরঘাটায় পূর্বশত্রুতার জেরে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে নিয়ে স্কুলশিক্ষককে জড়িয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন আব্দুর রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তি। এ বিষয়ে ওই স্কুলছাত্রী ও তার অভিভাবকদের কোনো অভিযোগ না থাকলেও তথ্য গোপন করে কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় দরখাস্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন আব্দুর রাজ্জাক। পরে বিষয়টি টের পেয়ে সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুলেছে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ছোনবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (৭) নিয়ে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষককে জড়িয়ে। এ নিয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার আদেশে পাথরঘাটা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করলে ঘটনার সত্যতা পাননি।
ওই স্কুলছাত্রীর দাদা জানান, চার মাস আগের ভিক্তিহীন বিষয়টি নিয়ে সাক্ষ্য দিলে আমাদের টাকার প্রস্তাব দেন রাজ্জাক।
জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বরে পরীক্ষার ফল ভালো হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সামনে আদর করে ধন্যবাদ জানায়। এ নিয়ে অন্য শিশুশিক্ষার্থীরা বলাবলি করে, স্যার তোদেরকে ভালোবাসেন, তাই তিনি তোমাদের আদর করেন। বিষয়টি নিয়ে একটি মহল অন্যদিকে ঘুরিয়ে ওই শিক্ষককের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রটায়। এর ইন্ধন দেন আব্দুর রাজ্জাক। ঘটনার তিন মাস পর চলতি মাসের ৫ তারিখ কথিত গ্রাম বাংলা প্রতিদিন নামের একটি পত্রিকায় শিক্ষককে জড়িয়ে একটি প্রতিবেদনও করান তিনি। একই দিনে স্কুলছাত্রীর মায়ের স্বাক্ষরিত আবেদন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পৌঁছে দেন আব্দুর রাজ্জাক। পত্রিকায় প্রতিবেদনের আগে জিয়াউর ইসলাম নামের এক কথিত সাংবাদিক ওই শিক্ষকের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দেন বলে জানান ওই স্কুলশিক্ষক।
এ বিষয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও কথিত সাংবাদিক জিয়াউর ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে বাঁশ দেওয়ার জন্য ওখানে গিয়েছেন। ঠিক আছে। ঠিকমতো বাঁশ দিয়ে আসেন বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।’
ওই স্কুলছাত্রীর মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে আব্দুর রাজ্জাক ভুল বুঝিয়ে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন। এর কয়েক দিন পর শুনতে পাই, আমার মেয়ের নাম-পরিচয় দিয়ে একটি পত্রিকায় নিউজ হয়েছে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছেড়ে দিয়েছে।
ওই স্কুলছাত্রীর দাদি জানান, ‘তিলকে তাল বানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক আমাদের ও স্কুলের শিক্ষকের সম্মানহানি করেছে। এ ঘটনায় আমরা লজ্জিত।’
আব্দুর রাজ্জাক পাথরঘাটার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা এলাকার সৃজন আলীর ছেলে। তাঁর সঙ্গে ওই স্কুলশিক্ষককের বাবার উত্তর ঘুটাবাছা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরেকটি স্কুল কমিটির সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে।
ওই স্কুলশিক্ষক বলেন, ‘চার মাস আগে শিশুশিক্ষার্থীদের ভালো রেজাল্ট করায় সকল শিক্ষার্থীর সামনে কৃতী শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে যারা অপপ্রচার চালিয়েছে। আমি তাদের বিচার দাবি করছি।’
আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি অস্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, ‘আমাকে জিয়াউর ইসলাম ওইখানে নিয়ে গেছে।’
পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান জানান, ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কের মধ্যে রয়েছে আদর, স্নেহ ও শাসনের সম্পর্ক। ছোনবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে কুচক্রী মহল যেভাবে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যকার সম্পর্কের মধ্যে ভিন্ন কিছু খুঁজে সম্মানহানি করছে। এতে পুরো শিক্ষকসমাজ লজ্জিত।
পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বর্তমানে ফেসবুক সাংবাদিকদের ভিড়ে মূল ধারার সাংবাদিকেরাও সমালোচনার মুখে পড়েছেন। কোথাকার কে আন্ডারগ্রাউন্ডের পত্রিকা, যার নাম কোনো দিন শুনিনি, সেসব পত্রিকায় বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে মূলধারার সাংবাদিকদের প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
পাথরঘাটা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুজন হাওলাদার জানান, বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসে আবেদনের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি করে দেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। আমরা সরেজমিন গিয়ে স্কুলছাত্রীকে পাইনি। তবে ওই স্কুলছাত্রীর মা এসে একটি লিখিত বক্তব্য দিয়ে গেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি কোনো অভিযোগ করিনি। আব্দুর রাজ্জাক এসে সাদা কাগজে একটি স্বাক্ষর নিয়েছে।’ তবে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি।
বরগুনার পাথরঘাটায় পূর্বশত্রুতার জেরে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে নিয়ে স্কুলশিক্ষককে জড়িয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন আব্দুর রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তি। এ বিষয়ে ওই স্কুলছাত্রী ও তার অভিভাবকদের কোনো অভিযোগ না থাকলেও তথ্য গোপন করে কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় দরখাস্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন আব্দুর রাজ্জাক। পরে বিষয়টি টের পেয়ে সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুলেছে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ছোনবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (৭) নিয়ে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষককে জড়িয়ে। এ নিয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার আদেশে পাথরঘাটা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করলে ঘটনার সত্যতা পাননি।
ওই স্কুলছাত্রীর দাদা জানান, চার মাস আগের ভিক্তিহীন বিষয়টি নিয়ে সাক্ষ্য দিলে আমাদের টাকার প্রস্তাব দেন রাজ্জাক।
জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বরে পরীক্ষার ফল ভালো হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সামনে আদর করে ধন্যবাদ জানায়। এ নিয়ে অন্য শিশুশিক্ষার্থীরা বলাবলি করে, স্যার তোদেরকে ভালোবাসেন, তাই তিনি তোমাদের আদর করেন। বিষয়টি নিয়ে একটি মহল অন্যদিকে ঘুরিয়ে ওই শিক্ষককের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রটায়। এর ইন্ধন দেন আব্দুর রাজ্জাক। ঘটনার তিন মাস পর চলতি মাসের ৫ তারিখ কথিত গ্রাম বাংলা প্রতিদিন নামের একটি পত্রিকায় শিক্ষককে জড়িয়ে একটি প্রতিবেদনও করান তিনি। একই দিনে স্কুলছাত্রীর মায়ের স্বাক্ষরিত আবেদন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পৌঁছে দেন আব্দুর রাজ্জাক। পত্রিকায় প্রতিবেদনের আগে জিয়াউর ইসলাম নামের এক কথিত সাংবাদিক ওই শিক্ষকের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দেন বলে জানান ওই স্কুলশিক্ষক।
এ বিষয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও কথিত সাংবাদিক জিয়াউর ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে বাঁশ দেওয়ার জন্য ওখানে গিয়েছেন। ঠিক আছে। ঠিকমতো বাঁশ দিয়ে আসেন বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।’
ওই স্কুলছাত্রীর মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে আব্দুর রাজ্জাক ভুল বুঝিয়ে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন। এর কয়েক দিন পর শুনতে পাই, আমার মেয়ের নাম-পরিচয় দিয়ে একটি পত্রিকায় নিউজ হয়েছে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছেড়ে দিয়েছে।
ওই স্কুলছাত্রীর দাদি জানান, ‘তিলকে তাল বানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক আমাদের ও স্কুলের শিক্ষকের সম্মানহানি করেছে। এ ঘটনায় আমরা লজ্জিত।’
আব্দুর রাজ্জাক পাথরঘাটার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা এলাকার সৃজন আলীর ছেলে। তাঁর সঙ্গে ওই স্কুলশিক্ষককের বাবার উত্তর ঘুটাবাছা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরেকটি স্কুল কমিটির সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে।
ওই স্কুলশিক্ষক বলেন, ‘চার মাস আগে শিশুশিক্ষার্থীদের ভালো রেজাল্ট করায় সকল শিক্ষার্থীর সামনে কৃতী শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে যারা অপপ্রচার চালিয়েছে। আমি তাদের বিচার দাবি করছি।’
আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি অস্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, ‘আমাকে জিয়াউর ইসলাম ওইখানে নিয়ে গেছে।’
পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান জানান, ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কের মধ্যে রয়েছে আদর, স্নেহ ও শাসনের সম্পর্ক। ছোনবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে কুচক্রী মহল যেভাবে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যকার সম্পর্কের মধ্যে ভিন্ন কিছু খুঁজে সম্মানহানি করছে। এতে পুরো শিক্ষকসমাজ লজ্জিত।
পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বর্তমানে ফেসবুক সাংবাদিকদের ভিড়ে মূল ধারার সাংবাদিকেরাও সমালোচনার মুখে পড়েছেন। কোথাকার কে আন্ডারগ্রাউন্ডের পত্রিকা, যার নাম কোনো দিন শুনিনি, সেসব পত্রিকায় বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে মূলধারার সাংবাদিকদের প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
পাথরঘাটা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুজন হাওলাদার জানান, বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসে আবেদনের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি করে দেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। আমরা সরেজমিন গিয়ে স্কুলছাত্রীকে পাইনি। তবে ওই স্কুলছাত্রীর মা এসে একটি লিখিত বক্তব্য দিয়ে গেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি কোনো অভিযোগ করিনি। আব্দুর রাজ্জাক এসে সাদা কাগজে একটি স্বাক্ষর নিয়েছে।’ তবে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্পপ্রবণ ১৯৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৫তম অবস্থানে জানিয়ে পরিকল্পনাবিদ তৌফিকুল আলম বলেন, দেশে সিলেট অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ। ঢাকায় উচ্চ জনঘনত্ব, মাটি দুর্বল ও নীতিমালা না মেনেই ভবন নির্মাণের কারণে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৫১ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
১৬ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মিজানুর রহমান সুজন খান (৪৮) নামে এক চালক নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত তিনটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মির্জাপুর বাইপাসের বাওয়ার কুমারজানী মা সিএনজি পাম্প সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত চালক সুজন খান বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার জিরাইল গ্রামের ইউনুছ খানের ছেলে।
৪৩ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রাণীদের নিরাপদে বিচরণের জন্য ২০২৩ সালে ট্রেন ও সড়কপথে যানবাহনের গতিসীমা ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নির্দেশনা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। কেউই তা মেনে চলছে না।
৪ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ
৫ ঘণ্টা আগে