Ajker Patrika

গুমের ৯ বছর পর কিশোর উদ্ধার, হয়রানির শিকার ১৩ পরিবার

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২৩: ৪২
গুমের ৯ বছর পর কিশোর উদ্ধার, হয়রানির শিকার ১৩ পরিবার

দীর্ঘ নয় বছর পর উদ্ধার করা হয়েছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া গ্রাম থেকে গুম হওয়া কিশোরকে। সোমবার ঢাকা যাত্রাবাড়ী থেকে গুম হওয়া কিশোর রাসেল মৃধাকে উদ্ধার করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। 

এ দিকে অপহরণ হওয়া ও গুমের ঘটনার পর ১৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। আর সেই মামলায় চার আসামি দীর্ঘদিন জেল হাজত খেটে বর্তমানে জামিনে আছেন। এ ছাড়া ৯ আসামি রয়েছেন পলাতক। এই মামলায় ১৩ আসামির পরিবার হারিয়েছেন সহায় সম্বল। মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও নিঃস্ব হওয়া পরিবারের সদস্যরা মিথ্যা মামলার বাদীর ও তদন্তকারী কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। 

অপহরণ ও গুম মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফোরকান হোসেন জানান, গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া গ্রামের মো. জালাল মৃধার স্ত্রী ফাহিমা বেগম (৪৫) ২০১২ সালের মে মাসে গৌরনদী মডেল থানায় তাঁর ছেলে রাসেল মৃধাকে (১৪) অপহরণ করে হত্যার পর লাশ গুমের একটি মামলা করেন। 

এই মামলায় একই গ্রামের প্রতিবেশী এস. রহমান মৃধা (৫৫), তার ছেলে আরমান মৃধা (২৬), ছোট ছেলে রায়হান (২৩), স্থানীয় শাহীন মল্লিক (৩০), হক ভূঁইয়া (৭০) ও তাঁর ছেলে মবিন ভূঁইয়াসহ (২৮) ১৩ জনকে আসামি করা হয়। ২০১৩ সালে শেষের দিকে এজাহারভুক্ত ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মামলার তদন্তকালে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল। তাতে যে তথ্য পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতেই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। 

মিথ্যা মামলায় জেল হাজত থেকে জামিনে আসা মো. রহমান মৃধা, রায়হান মৃধা অভিযোগ করে বলেন, ‘অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুমের মিথ্যা মামলায় আমরা চারজন দীর্ঘদিন কারা ভোগ করেছি। ৯ আসামি পালিয়ে থেকে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলায় ৯ বছরে আমরা ১৩টি পরিবার সহায় সম্বল সব হারিয়েছি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফোরকান হোসেন বাদীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে সঠিক তদন্ত ছাড়াই আমাদের ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বাদী ও মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ 

ভিকটিম জীবিত থাকার পরেও তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া প্রসঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফোরকান হোসেন বলেন, অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই মামলার তদন্তকালে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তাতে যে তথ্য পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতেই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। 

গৌরনদী থানা–পুলিশ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয়দের সহায়তা পুলিশ সোমবার ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে গুম হওয়া রাসেল মৃধাকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার গৌরনদী থানায় নিয়ে আসা হয়। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন বলেন, উদ্ধারকৃত রাসেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষার্থীদের ‘কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে’ সপরিবারে পালিয়েছেন বিএসবির বাশার

পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের’ নির্দেশ

কাশ্মীরে বিধ্বস্ত বিমানের অংশবিশেষ ফরাসি কোম্পানির তৈরি, হতে পারে রাফাল

সীমান্তে সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত: পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী

পাকিস্তানে হামলায় ‘লোইটারিং মিউনিশনস’ ব্যবহারের দাবি ভারতের, এটি কীভাবে কাজ করে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত