গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালের গৌরনদীতে আধিপত্য বিস্তারের বিরোধের জেরে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর বিরুদ্ধে মা-ছেলেসহ ৩ জনকে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত মা বাদী হয়ে আজ শুক্রবার চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আজ মামলার ভিত্তিতে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় মা-ছেলেসহ তিনজনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন নিলয় হাওলাদার (১৭), তার মা রুমা বেগম (৩৫) ও তার চাচা তরিকুল ইসলাম হাওলাদার (২৯)।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন পলাশ (২৭) ও মো. রুবেল (২৮)।
স্থানীয় লোকজন ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর সঙ্গে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের প্রভাবশালী সদস্য মো. জিয়া সরদারের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জের ধরে এরই মধ্যে একাধিকবার উভয়ের সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. জিয়া সরদারের সমর্থক ও তাঁর মামাতো ভাই আহত মো. নিলয় হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমার মোটরসাইকেলে মা ও চাচাকে নিয়ে মাহিলাড়া ডিগ্রী কলেজে ভর্তির আলোচনার জন্য বাড়ি পিংলাকাঠি থেকে মাহিলাড়া কলেজে রওনা হই। ওই দিন সকাল সোয়া ১১টায় মাহিলাড়া ডিগ্রী কলেজের সামনে সেতুর গোড়ায় মন্দিরের সামনে পৌঁছালে গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু আমার মোটরসাইকেলের পথরোধ করে আমার পরিচয় জানতে চান। পরিচয় দেওয়ার একপর্যায়ে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জিয়া আমার কি হয় জানতে চান। পরে জিয়া আমার ফুপাতো ভাই পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চেয়ারম্যান পিকলু লাথি মেরে মোটরসাইকেল থেকে আমাদের তিনজনকে ফেলে দেয়। এ সময় আমি, মা ও আমার চাচা মাটিতে পড়ে যাই। পরবর্তীতে উঠে দাঁড়াতেই চেয়ারম্যান পিকলুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী পলাশ ও রুবেলসহ ৯-১০ জন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এ সময় আমাকে রক্ষায় মা ও চাচা তরিকুল ইসলাম এগিয়ে এলে তাঁদের ওপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে জখম করে।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত নিলয় হাওলাদারের মা রুমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলে নিলয়কে মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেললে আমি চেয়ারম্যান পিকলুর পা ধরে প্রাণ ভিক্ষা চাই। এ সময় পিকলু চেয়ারম্যান আমাকে লাথি মেরে ফেলে দেয় এবং পিটিয়ে জখম করে আমার পড়নের বোরকা ছিঁড়ে ফেলেছে। একপর্যায়ে আমার ছেলের মোটরসাইকেলটি ভ্যানে তুলে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নিয়ে সেখানে আগুন ধরিয়ে দিয়ে সম্পূর্ণ ভস্ম করেছে। শত শত মানুষ এ দৃশ্য দেখলেও চেয়ারম্যানের ভয়ে আমাদের রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসেননি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সৈকত গুহ পিকলু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘হামলা মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। শুনেছি নববর্ষের শোভাযাত্রার র্যালিতে থাকা এক ছাত্রীকে নিলয় নামে এক বখাটে উত্ত্যক্ত করেছে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে মারধর করেছে।’
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় নিলয় হাওলাদারের মা-রুমা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ শুক্রবার এজাহার নামার আসামি পলাশ ও মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করেছে।’
বরিশালের গৌরনদীতে আধিপত্য বিস্তারের বিরোধের জেরে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর বিরুদ্ধে মা-ছেলেসহ ৩ জনকে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত মা বাদী হয়ে আজ শুক্রবার চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আজ মামলার ভিত্তিতে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় মা-ছেলেসহ তিনজনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন নিলয় হাওলাদার (১৭), তার মা রুমা বেগম (৩৫) ও তার চাচা তরিকুল ইসলাম হাওলাদার (২৯)।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন পলাশ (২৭) ও মো. রুবেল (২৮)।
স্থানীয় লোকজন ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর সঙ্গে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের প্রভাবশালী সদস্য মো. জিয়া সরদারের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জের ধরে এরই মধ্যে একাধিকবার উভয়ের সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. জিয়া সরদারের সমর্থক ও তাঁর মামাতো ভাই আহত মো. নিলয় হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমার মোটরসাইকেলে মা ও চাচাকে নিয়ে মাহিলাড়া ডিগ্রী কলেজে ভর্তির আলোচনার জন্য বাড়ি পিংলাকাঠি থেকে মাহিলাড়া কলেজে রওনা হই। ওই দিন সকাল সোয়া ১১টায় মাহিলাড়া ডিগ্রী কলেজের সামনে সেতুর গোড়ায় মন্দিরের সামনে পৌঁছালে গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু আমার মোটরসাইকেলের পথরোধ করে আমার পরিচয় জানতে চান। পরিচয় দেওয়ার একপর্যায়ে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জিয়া আমার কি হয় জানতে চান। পরে জিয়া আমার ফুপাতো ভাই পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চেয়ারম্যান পিকলু লাথি মেরে মোটরসাইকেল থেকে আমাদের তিনজনকে ফেলে দেয়। এ সময় আমি, মা ও আমার চাচা মাটিতে পড়ে যাই। পরবর্তীতে উঠে দাঁড়াতেই চেয়ারম্যান পিকলুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী পলাশ ও রুবেলসহ ৯-১০ জন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এ সময় আমাকে রক্ষায় মা ও চাচা তরিকুল ইসলাম এগিয়ে এলে তাঁদের ওপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে জখম করে।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত নিলয় হাওলাদারের মা রুমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলে নিলয়কে মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেললে আমি চেয়ারম্যান পিকলুর পা ধরে প্রাণ ভিক্ষা চাই। এ সময় পিকলু চেয়ারম্যান আমাকে লাথি মেরে ফেলে দেয় এবং পিটিয়ে জখম করে আমার পড়নের বোরকা ছিঁড়ে ফেলেছে। একপর্যায়ে আমার ছেলের মোটরসাইকেলটি ভ্যানে তুলে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নিয়ে সেখানে আগুন ধরিয়ে দিয়ে সম্পূর্ণ ভস্ম করেছে। শত শত মানুষ এ দৃশ্য দেখলেও চেয়ারম্যানের ভয়ে আমাদের রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসেননি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সৈকত গুহ পিকলু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘হামলা মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। শুনেছি নববর্ষের শোভাযাত্রার র্যালিতে থাকা এক ছাত্রীকে নিলয় নামে এক বখাটে উত্ত্যক্ত করেছে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে মারধর করেছে।’
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় নিলয় হাওলাদারের মা-রুমা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ শুক্রবার এজাহার নামার আসামি পলাশ ও মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করেছে।’
আনিছুর রহমানের পাসপোর্ট স্ক্যান করার পর ইমিগ্রেশন ডেটাবেইসে তাঁর বিরুদ্ধে রংপুর মহানগরের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলার তথ্য পাওয়া যায়। পরে তাঁকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
৩৪ মিনিট আগেরাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ছুরিকাঘাতে রকি (৩১) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কামরাঙ্গীরচরের মাতবর বাজার বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেচাষিরা সাধারণত রাসায়নিক ব্যবহার করেন না। তবে বাগান কিনে নেওয়া কিছু ব্যবসায়ী অপরিপক্ব আম দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক প্রয়োগ করছেন, এতে আমের স্বাদ ও গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের হারিজের মোড় থেকে ফরিদপুর গ্রাম পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কটি তিন মিটার প্রশস্ত করে কার্পেটিংয়ের (পিচ ঢালাই) কাজের জন্য চলতি বছরের মার্চে এলজিইডি দরপত্র আহ্বান করে। ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির কাজ পায় চিরিরবন্দর উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনতাজ ট্রেডার্স।
২ ঘণ্টা আগে