নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধিকাংশ বিভাগে অধ্যাপক কিংবা সহযোগী ও সহকারী অধ্যাপকের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এখানে মেডিসিন বিভাগে অধ্যাপক পদের ৯৬ শতাংশ, সার্জারি বিভাগে ৮৫ শতাংশ এবং গাইনি বিভাগে ১০০ শতাংশ শিক্ষক শূন্য রয়েছে। হাসপাতালের মূল চালিকাশক্তি এই তিন বিভাগে সহযোগী এবং সহকারী অধ্যাপকের পদও প্রায় অর্ধেক ফাঁকা। এতে কলেজটির চিকিৎসাসেবা অনেকাংশে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।
এ অবস্থার নিরসন চেয়ে তিন দিন ধরে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে আছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ হয়েছে। বন্ধ রয়েছে কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজের একাডেমিক ভবনের প্রশাসনিক শাখার গেটের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, আন্দোলন ঠেকাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আজ চারজন প্রভাষক নিয়োগ দিয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে। অধিদপ্তরের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা একে ‘গরু মেরে জুতা দান’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন।
কলেজের প্রশাসনিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, মেডিসিন বিভাগে অধ্যাপকের ২৫টি পদের মধ্যে শূন্য রয়েছে ২৪ টি। শূন্যপদের হার ৯৬ শতাংশ। মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপকের ৩৪টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ১৪ টি। শূন্যপদের হার ৪০ শতাংশ। মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ৫৫টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৩০ টি। এখানে শূন্যপদের হার ৫৪ শতাংশ।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সার্জারি বিভাগে অধ্যাপক পদের ১৩ টির বিপরীতে শূন্য রয়েছে ১১ টি। শূন্যপদের হার ৮৫ শতাংশ। একইভাবে সহযোগী অধ্যাপকের ১৬টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৪ টি। এখানে শূন্যপদের হার ২০ শতাংশ। এ ছাড়া সহকারী অধ্যাপকের ৩৫টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ১১ টি। এখানে শূন্যপদের হার ৩৫ শতাংশ।
এদিকে গাইনি বিভাগের অধ্যাপক পদের ৩ টির বিপরীতে ৩টিই শূন্য। শূন্যপদের হার ১০০ শতাংশ। সহযোগী অধ্যাপকের ৬টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৪ টি। এখানে শূন্যপদের হার ৬৭ শতাংশ। সহকারী অধ্যাপকের ৭টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৩ টি।
আজকের কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষকসংকটের কারণে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উভয় ক্ষেত্রেই বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক না থাকায় অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। বিশেষ করে মেডিসিন, মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথলজি, ফিজিওলজি, সিসিইউ, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ডিপার্টমেন্টসহ ডেন্টাল ইউনিটেরও অধিকাংশ ডিপার্টমেন্টে এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা মানসম্মত ক্লাস ও প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান নাঈম জানান, শিক্ষকসংকট ইস্যুতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির কারণে কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা, অফিসসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। মাইক্রো ও প্যাথলজিক্যাল টেস্ট বন্ধ।
নাইমুর রহমান বলেন, ‘আন্দোলনের মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আজ চারজন প্রভাষক নিয়োগ দিয়ে একজন সিনিয়র শিক্ষককে বদলি করে নিয়ে গেছেন। এটা একধরনের জুতা মেরে গরু দানের মতোই। কিন্তু দরকার অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক কিংবা সহকারী অধ্যাপক লেভেলের শিক্ষক। যতক্ষণ পর্যন্ত জ্যেষ্ঠ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া না হবে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।
এ প্রসঙ্গে কলেজের নিউনেটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিধান চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে সকালে কলেজে গিয়ে হাজিরা দিতে পারিনি, বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তবে ওদের দাবি যৌক্তিক। ভালো শিক্ষার জন্য শিক্ষকের প্রয়োজন রয়েছে। আশা করি দ্রুত শিক্ষকসংকট নিরসনে উদ্যোগ নেবে সরকার।’
এ বিষয়ে কথা হলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। তাঁদের দাবিদাওয়াগুলো নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি। দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।’
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধিকাংশ বিভাগে অধ্যাপক কিংবা সহযোগী ও সহকারী অধ্যাপকের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এখানে মেডিসিন বিভাগে অধ্যাপক পদের ৯৬ শতাংশ, সার্জারি বিভাগে ৮৫ শতাংশ এবং গাইনি বিভাগে ১০০ শতাংশ শিক্ষক শূন্য রয়েছে। হাসপাতালের মূল চালিকাশক্তি এই তিন বিভাগে সহযোগী এবং সহকারী অধ্যাপকের পদও প্রায় অর্ধেক ফাঁকা। এতে কলেজটির চিকিৎসাসেবা অনেকাংশে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।
এ অবস্থার নিরসন চেয়ে তিন দিন ধরে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে আছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ হয়েছে। বন্ধ রয়েছে কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজের একাডেমিক ভবনের প্রশাসনিক শাখার গেটের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, আন্দোলন ঠেকাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আজ চারজন প্রভাষক নিয়োগ দিয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে। অধিদপ্তরের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা একে ‘গরু মেরে জুতা দান’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন।
কলেজের প্রশাসনিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, মেডিসিন বিভাগে অধ্যাপকের ২৫টি পদের মধ্যে শূন্য রয়েছে ২৪ টি। শূন্যপদের হার ৯৬ শতাংশ। মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপকের ৩৪টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ১৪ টি। শূন্যপদের হার ৪০ শতাংশ। মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ৫৫টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৩০ টি। এখানে শূন্যপদের হার ৫৪ শতাংশ।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সার্জারি বিভাগে অধ্যাপক পদের ১৩ টির বিপরীতে শূন্য রয়েছে ১১ টি। শূন্যপদের হার ৮৫ শতাংশ। একইভাবে সহযোগী অধ্যাপকের ১৬টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৪ টি। এখানে শূন্যপদের হার ২০ শতাংশ। এ ছাড়া সহকারী অধ্যাপকের ৩৫টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ১১ টি। এখানে শূন্যপদের হার ৩৫ শতাংশ।
এদিকে গাইনি বিভাগের অধ্যাপক পদের ৩ টির বিপরীতে ৩টিই শূন্য। শূন্যপদের হার ১০০ শতাংশ। সহযোগী অধ্যাপকের ৬টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৪ টি। এখানে শূন্যপদের হার ৬৭ শতাংশ। সহকারী অধ্যাপকের ৭টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৩ টি।
আজকের কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষকসংকটের কারণে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উভয় ক্ষেত্রেই বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক না থাকায় অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। বিশেষ করে মেডিসিন, মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথলজি, ফিজিওলজি, সিসিইউ, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ডিপার্টমেন্টসহ ডেন্টাল ইউনিটেরও অধিকাংশ ডিপার্টমেন্টে এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা মানসম্মত ক্লাস ও প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান নাঈম জানান, শিক্ষকসংকট ইস্যুতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির কারণে কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা, অফিসসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। মাইক্রো ও প্যাথলজিক্যাল টেস্ট বন্ধ।
নাইমুর রহমান বলেন, ‘আন্দোলনের মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আজ চারজন প্রভাষক নিয়োগ দিয়ে একজন সিনিয়র শিক্ষককে বদলি করে নিয়ে গেছেন। এটা একধরনের জুতা মেরে গরু দানের মতোই। কিন্তু দরকার অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক কিংবা সহকারী অধ্যাপক লেভেলের শিক্ষক। যতক্ষণ পর্যন্ত জ্যেষ্ঠ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া না হবে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।
এ প্রসঙ্গে কলেজের নিউনেটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিধান চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে সকালে কলেজে গিয়ে হাজিরা দিতে পারিনি, বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তবে ওদের দাবি যৌক্তিক। ভালো শিক্ষার জন্য শিক্ষকের প্রয়োজন রয়েছে। আশা করি দ্রুত শিক্ষকসংকট নিরসনে উদ্যোগ নেবে সরকার।’
এ বিষয়ে কথা হলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। তাঁদের দাবিদাওয়াগুলো নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি। দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।’
বরিশালের আইএসিআইবি নার্সিং ইনস্টিটিউটে এবার ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে ৫০ আসনের বিপরীতে একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি হননি। অন্যদিকে পটুয়াখালীর ড. জাফর নার্সিং কলেজে সমানসংখ্যক আসনের বিপরীতে মাত্র ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ভালনারেবল উইমেন বেনিফিটের (ভিডব্লিউবি) সুবিধাভোগী আজনুর আক্তার। দুই দিন ধরে ইউপি কার্যালয়ে ঘুরছেন ৫ মাসের বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলনের জন্য। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের...
২ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে নরসুন্দর বাবা-ছেলেকে হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) রাত ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে জগন্নাথ হল ও অন্যান্য হল ও ছাত্র...
২ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে মব সৃষ্টি করে হেনস্তা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে হানিফ মিয়া নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর একটি দল সোমবার রাতে তাঁকে আটক করে উত্তরা পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করে। হানিফ উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব।
২ ঘণ্টা আগে