নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল বিএম কলেজে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী কয়েক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না, বরং একপ্রকার নীরব সমর্থন দিচ্ছে ছাত্রলীগকে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ উভয় পক্ষই ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন। ওই সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসের অদূরে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু সহপাঠীদের ওপর হামলার খবরে কয়েক শ ছাত্র দুপুর ১২টার পর ক্যাম্পাসে ছুটে আসেন। তাঁরা কলেজের প্রধান গেট দিয়ে ঢুকে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন।
এ সময় আন্দোলনকারীরা পুরো ক্যাম্পাসে থাকা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। একপর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মারমুখী হয়ে উঠলে সটকে পড়েন ছাত্রলীগের কর্মীরা। সাধারণ ছাত্ররা ক্যাম্পাসের মসজিদ গেট, ফার্স্ট গেট, জিরো পয়েন্ট, বিজ্ঞান ভবন এলাকায় ছাত্রলীগের কর্মীদের খুঁজতে থাকেন। পরে বেলা দেড়টার দিকে অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের সামনে ছাত্রলীগ ও সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়।
পরে দুপুর ২টার দকে আবারও ছাত্রলীগের কর্মীরা জিরো পয়েন্টে আসার চেষ্টা করলে আন্দোলনকারীদের ধাওয়ায় সটকে পড়ে ছাত্রলীগ। এ সময় অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের কাছে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসে লাঠিপেটা ও ইট নিক্ষেপ করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বেলা আড়াইটা পর্যন্ত দুই পক্ষই বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে।
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর হোসেন বলেন, ‘আমরা সকালে এসে ক্যাম্পাসে সমবেত হই। পরে সেখান থেকে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে অবস্থান নিই। বেলা সাড়ে ১১টায় খবর পাই, ক্যাম্পাসে আমাদের সহপাঠীদের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ। এরপর আমরা সবাই মিলে ক্যাম্পাসে চলে আসি এবং আমাদের দেখে ছাত্রলীগ সটকে পড়ে।’ তানভীর দাবি করেন, পুরো ঘটনায় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে এবং ছাত্রলীগকে একপ্রকার প্রশ্রয় দিচ্ছে।
থমথমে অবস্থায় ক্যাম্পাসে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নেতৃত্বে আছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভূঁইয়া।

বরিশাল বিএম কলেজে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী কয়েক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না, বরং একপ্রকার নীরব সমর্থন দিচ্ছে ছাত্রলীগকে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ উভয় পক্ষই ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন। ওই সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসের অদূরে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু সহপাঠীদের ওপর হামলার খবরে কয়েক শ ছাত্র দুপুর ১২টার পর ক্যাম্পাসে ছুটে আসেন। তাঁরা কলেজের প্রধান গেট দিয়ে ঢুকে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন।
এ সময় আন্দোলনকারীরা পুরো ক্যাম্পাসে থাকা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। একপর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মারমুখী হয়ে উঠলে সটকে পড়েন ছাত্রলীগের কর্মীরা। সাধারণ ছাত্ররা ক্যাম্পাসের মসজিদ গেট, ফার্স্ট গেট, জিরো পয়েন্ট, বিজ্ঞান ভবন এলাকায় ছাত্রলীগের কর্মীদের খুঁজতে থাকেন। পরে বেলা দেড়টার দিকে অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের সামনে ছাত্রলীগ ও সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়।
পরে দুপুর ২টার দকে আবারও ছাত্রলীগের কর্মীরা জিরো পয়েন্টে আসার চেষ্টা করলে আন্দোলনকারীদের ধাওয়ায় সটকে পড়ে ছাত্রলীগ। এ সময় অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের কাছে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসে লাঠিপেটা ও ইট নিক্ষেপ করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বেলা আড়াইটা পর্যন্ত দুই পক্ষই বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে।
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর হোসেন বলেন, ‘আমরা সকালে এসে ক্যাম্পাসে সমবেত হই। পরে সেখান থেকে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে অবস্থান নিই। বেলা সাড়ে ১১টায় খবর পাই, ক্যাম্পাসে আমাদের সহপাঠীদের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ। এরপর আমরা সবাই মিলে ক্যাম্পাসে চলে আসি এবং আমাদের দেখে ছাত্রলীগ সটকে পড়ে।’ তানভীর দাবি করেন, পুরো ঘটনায় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে এবং ছাত্রলীগকে একপ্রকার প্রশ্রয় দিচ্ছে।
থমথমে অবস্থায় ক্যাম্পাসে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নেতৃত্বে আছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভূঁইয়া।

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় আরশি (৮) নামের দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের বেড়াখলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আরশি ওই এলাকার সরদার আলী হাজী বাড়ির মো. সোহেল মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির...
১৪ মিনিট আগে
পিরোজপুরের নেছারাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে জনপ্রতিনিধি বা সরকারি বরাদ্দ ছাড়াই যোগাযোগব্যবস্থার চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। অবহেলিত জনপদের ভাঙাচোরা সড়ক ও অকেজো সেতুগুলো স্থানীয় তরুণ ও যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রমে নতুন কাঠামোয় প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
চলতি বছর ইয়াম বিলের (চারটি বিলের মধ্যে একটি) অর্ধেকের বেশি এলাকাজুড়ে লাল শাপলার বদলে কচুরিপানা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। কচুরিপানার কারণে লাল শাপলা দ্রুত বিলীন হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, এভাবে কচুরিপানা বাড়তে থাকলে আগামী বছরের মধ্যে পুরো বিলজুড়ে লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার আধিপত্য দেখা যাবে।
২ ঘণ্টা আগে
সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চট্টগ্রামে পরিচিতি পান ২৬ বছর আগে। তখন সরোয়ার হোসেন বাবলা, নুরনবী ম্যাক্সন, আকবর আলী ওরফে ঢাকাইয়া আকবর ও ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে সন্ত্রাসী দল গড়েন বড় সাজ্জাদ। একসময় উল্লিখিত ব্যক্তিদের হাতেই ছিল চট্টগ্রামের অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ।
৬ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় আরশি (৮) নামের দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের বেড়াখলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আরশি ওই এলাকার সরদার আলী হাজী বাড়ির মো. সোহেল মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
আরশির দাদি ফাতেমা বেগম জানান, দুপুরে তিনি পাশের বাড়িতে যাওয়ার সময় নাতনি আরশি ও তার বড় বোন আলভীকে ঘরে রেখে যান। দুপুরের খাবার খেয়ে আরশি ঘুমাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পর আলভী গোসল শেষ করে ঘরে ফিরে আরশিকে ডাকলেও কোনো সাড়া পায়নি। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় আরশিকে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আসিফ মোহাম্মদ তকি বলেন, ‘শিশু আরশিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে। মৃত্যুটি অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় বিষয়টি আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।’
ব্রাহ্মণপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলামিন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। প্রাথমিকভাবে নাক দিয়ে রক্ত ও গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আজ (৯ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।’

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় আরশি (৮) নামের দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের বেড়াখলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আরশি ওই এলাকার সরদার আলী হাজী বাড়ির মো. সোহেল মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
আরশির দাদি ফাতেমা বেগম জানান, দুপুরে তিনি পাশের বাড়িতে যাওয়ার সময় নাতনি আরশি ও তার বড় বোন আলভীকে ঘরে রেখে যান। দুপুরের খাবার খেয়ে আরশি ঘুমাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পর আলভী গোসল শেষ করে ঘরে ফিরে আরশিকে ডাকলেও কোনো সাড়া পায়নি। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় আরশিকে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আসিফ মোহাম্মদ তকি বলেন, ‘শিশু আরশিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে। মৃত্যুটি অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় বিষয়টি আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।’
ব্রাহ্মণপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলামিন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। প্রাথমিকভাবে নাক দিয়ে রক্ত ও গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আজ (৯ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।’

বরিশাল বিএম কলেজে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারী কয়েক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না বরং একপ্রকার নীরব সমর্থন দিচ্ছে ছাত্রলীগকে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ উভয় পক্ষই ক্যাম্
১৬ জুলাই ২০২৪
পিরোজপুরের নেছারাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে জনপ্রতিনিধি বা সরকারি বরাদ্দ ছাড়াই যোগাযোগব্যবস্থার চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। অবহেলিত জনপদের ভাঙাচোরা সড়ক ও অকেজো সেতুগুলো স্থানীয় তরুণ ও যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রমে নতুন কাঠামোয় প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
চলতি বছর ইয়াম বিলের (চারটি বিলের মধ্যে একটি) অর্ধেকের বেশি এলাকাজুড়ে লাল শাপলার বদলে কচুরিপানা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। কচুরিপানার কারণে লাল শাপলা দ্রুত বিলীন হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, এভাবে কচুরিপানা বাড়তে থাকলে আগামী বছরের মধ্যে পুরো বিলজুড়ে লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার আধিপত্য দেখা যাবে।
২ ঘণ্টা আগে
সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চট্টগ্রামে পরিচিতি পান ২৬ বছর আগে। তখন সরোয়ার হোসেন বাবলা, নুরনবী ম্যাক্সন, আকবর আলী ওরফে ঢাকাইয়া আকবর ও ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে সন্ত্রাসী দল গড়েন বড় সাজ্জাদ। একসময় উল্লিখিত ব্যক্তিদের হাতেই ছিল চট্টগ্রামের অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ।
৬ ঘণ্টা আগেনেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

পিরোজপুরের নেছারাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে জনপ্রতিনিধি বা সরকারি বরাদ্দ ছাড়াই যোগাযোগব্যবস্থার চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। অবহেলিত জনপদের ভাঙাচোরা সড়ক ও অকেজো সেতুগুলো স্থানীয় তরুণ ও যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রমে নতুন কাঠামোয় প্রাণ ফিরে পেয়েছে। বলদিয়া ইউনিয়নের ৩০ তরুণের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ‘সবার আগে বলদিয়া’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ক্ষুদ্র অর্থায়নে এ পর্যন্ত ৩০টি সেতু সংস্কার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তাঁরা এখন ‘অদম্য যুবসমাজ’ নামে পরিচিত।
বলদিয়া ইউনিয়নের চামি ৩ নম্বর ওয়ার্ডের একতা বাজার থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত এলজিইডির অধীনে প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ ছিল তিনটি পুল (ছোট সেতু)। এই রাস্তা দিয়ে কোনো রোগী পরিবহন বা পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করতে পারত না। একবার রাস্তাটির পুলসহ পুরো রাস্তার জন্য টেন্ডার হলেও সরকার পরিবর্তনের পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা গাছ ও বাঁশের সাহায্যে পুলগুলোতে জোড়াতালি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতেন। গত শনিবার ‘সবার আগে বলদিয়া’ সংগঠনের সদস্যরা সারা দিন স্বেচ্ছাশ্রমে এ তিনটি পুল সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করেন। এতে রাস্তাটি পুনরায় সচল হওয়ায় এলাকাবাসীর মুখে হাসি ফোটে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বরাদ্দ না পাওয়ায় এত দিন কাজ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এই তরুণেরা প্রমাণ করেছে, উন্নয়নের জন্য শুধু বরাদ্দ নয়, দরকার ইচ্ছা আর আগ্রহ।’
একই ইউনিয়নে অবস্থিত বলদিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের পাশে ৬০ ফুট লম্বা একটি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে সেটি পার হতো। সংগঠনের উদ্যোগে সেটি সংস্কার করা হলে এখন শিক্ষার্থীরা নিশ্চিন্তে চলাচল করছে। বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলে, ‘আগে সেতু পার হতে ভয় লাগত, এখন মনে হয় নতুন রাস্তা পেয়েছি।’
উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের সাগরকান্দা বাজার থেকে জিনুহার গ্রাম পর্যন্ত সড়কেও একই ধরনের কাজ করেছে সংগঠনটি। নাথপাড়া এলাকায় স্কুল, মসজিদ ও মন্দিরসংলগ্ন তিনটি পুল প্রায় ১৫ বছর ধরে ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল। সম্প্রতি সংবাদ প্রকাশের পর সংগঠনের নেতা মো. মাসুদ পারভেজ ও সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সেখানে নতুন করে তিনটি সেতু নির্মিত হয়।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আহম্মেদ সোহেল মঞ্জুর সুমন তিনটি সেতু নির্মাণের জন্য অর্থ দিয়েছিলেন। আমরা সেই অর্থে পাঁচটি সেতু করেছি। এ ছাড়াও আমরা আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্থায়ন ও স্বেচ্ছাশ্রমে ২৫টি সেতু সংস্কার করেছি।’
সংগঠনের সভাপতি মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘প্রথমে নিজেদের অর্থায়নে ২২টি সেতু সংস্কার করেছি। পরে সোহেল মঞ্জুর সুমন সাহেবের সহায়তায় আরও পাঁচটি নতুন সেতু করেছি। শনিবার চামি গ্রামে আরও তিনটি সেতু সংস্কার শেষে আমাদের মোট কাজের সংখ্যা ৩০-এ পৌঁছেছে। শুরুতে সদস্য ছিল ৩০ জন, এখন শতাধিক তরুণ আমাদের সঙ্গে কাজ করছে।’
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, যুবকদের এমন কাজ প্রশংসার দাবিদার এবং দৃষ্টান্ত। তিনি এই কাজকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, অসাধারণ উদ্যোগ। অন্য ইউনিয়নের লোকেরা এগিয়ে আসতে পারেন এমনভাবে নিজেদের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য।

পিরোজপুরের নেছারাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে জনপ্রতিনিধি বা সরকারি বরাদ্দ ছাড়াই যোগাযোগব্যবস্থার চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। অবহেলিত জনপদের ভাঙাচোরা সড়ক ও অকেজো সেতুগুলো স্থানীয় তরুণ ও যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রমে নতুন কাঠামোয় প্রাণ ফিরে পেয়েছে। বলদিয়া ইউনিয়নের ৩০ তরুণের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ‘সবার আগে বলদিয়া’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ক্ষুদ্র অর্থায়নে এ পর্যন্ত ৩০টি সেতু সংস্কার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তাঁরা এখন ‘অদম্য যুবসমাজ’ নামে পরিচিত।
বলদিয়া ইউনিয়নের চামি ৩ নম্বর ওয়ার্ডের একতা বাজার থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত এলজিইডির অধীনে প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ ছিল তিনটি পুল (ছোট সেতু)। এই রাস্তা দিয়ে কোনো রোগী পরিবহন বা পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করতে পারত না। একবার রাস্তাটির পুলসহ পুরো রাস্তার জন্য টেন্ডার হলেও সরকার পরিবর্তনের পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা গাছ ও বাঁশের সাহায্যে পুলগুলোতে জোড়াতালি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতেন। গত শনিবার ‘সবার আগে বলদিয়া’ সংগঠনের সদস্যরা সারা দিন স্বেচ্ছাশ্রমে এ তিনটি পুল সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করেন। এতে রাস্তাটি পুনরায় সচল হওয়ায় এলাকাবাসীর মুখে হাসি ফোটে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বরাদ্দ না পাওয়ায় এত দিন কাজ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এই তরুণেরা প্রমাণ করেছে, উন্নয়নের জন্য শুধু বরাদ্দ নয়, দরকার ইচ্ছা আর আগ্রহ।’
একই ইউনিয়নে অবস্থিত বলদিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের পাশে ৬০ ফুট লম্বা একটি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে সেটি পার হতো। সংগঠনের উদ্যোগে সেটি সংস্কার করা হলে এখন শিক্ষার্থীরা নিশ্চিন্তে চলাচল করছে। বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলে, ‘আগে সেতু পার হতে ভয় লাগত, এখন মনে হয় নতুন রাস্তা পেয়েছি।’
উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের সাগরকান্দা বাজার থেকে জিনুহার গ্রাম পর্যন্ত সড়কেও একই ধরনের কাজ করেছে সংগঠনটি। নাথপাড়া এলাকায় স্কুল, মসজিদ ও মন্দিরসংলগ্ন তিনটি পুল প্রায় ১৫ বছর ধরে ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল। সম্প্রতি সংবাদ প্রকাশের পর সংগঠনের নেতা মো. মাসুদ পারভেজ ও সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সেখানে নতুন করে তিনটি সেতু নির্মিত হয়।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আহম্মেদ সোহেল মঞ্জুর সুমন তিনটি সেতু নির্মাণের জন্য অর্থ দিয়েছিলেন। আমরা সেই অর্থে পাঁচটি সেতু করেছি। এ ছাড়াও আমরা আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্থায়ন ও স্বেচ্ছাশ্রমে ২৫টি সেতু সংস্কার করেছি।’
সংগঠনের সভাপতি মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘প্রথমে নিজেদের অর্থায়নে ২২টি সেতু সংস্কার করেছি। পরে সোহেল মঞ্জুর সুমন সাহেবের সহায়তায় আরও পাঁচটি নতুন সেতু করেছি। শনিবার চামি গ্রামে আরও তিনটি সেতু সংস্কার শেষে আমাদের মোট কাজের সংখ্যা ৩০-এ পৌঁছেছে। শুরুতে সদস্য ছিল ৩০ জন, এখন শতাধিক তরুণ আমাদের সঙ্গে কাজ করছে।’
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, যুবকদের এমন কাজ প্রশংসার দাবিদার এবং দৃষ্টান্ত। তিনি এই কাজকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, অসাধারণ উদ্যোগ। অন্য ইউনিয়নের লোকেরা এগিয়ে আসতে পারেন এমনভাবে নিজেদের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য।

বরিশাল বিএম কলেজে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারী কয়েক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না বরং একপ্রকার নীরব সমর্থন দিচ্ছে ছাত্রলীগকে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ উভয় পক্ষই ক্যাম্
১৬ জুলাই ২০২৪
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় আরশি (৮) নামের দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের বেড়াখলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আরশি ওই এলাকার সরদার আলী হাজী বাড়ির মো. সোহেল মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির...
১৪ মিনিট আগে
চলতি বছর ইয়াম বিলের (চারটি বিলের মধ্যে একটি) অর্ধেকের বেশি এলাকাজুড়ে লাল শাপলার বদলে কচুরিপানা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। কচুরিপানার কারণে লাল শাপলা দ্রুত বিলীন হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, এভাবে কচুরিপানা বাড়তে থাকলে আগামী বছরের মধ্যে পুরো বিলজুড়ে লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার আধিপত্য দেখা যাবে।
২ ঘণ্টা আগে
সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চট্টগ্রামে পরিচিতি পান ২৬ বছর আগে। তখন সরোয়ার হোসেন বাবলা, নুরনবী ম্যাক্সন, আকবর আলী ওরফে ঢাকাইয়া আকবর ও ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে সন্ত্রাসী দল গড়েন বড় সাজ্জাদ। একসময় উল্লিখিত ব্যক্তিদের হাতেই ছিল চট্টগ্রামের অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ।
৬ ঘণ্টা আগেজৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবির হাওর এলাকার অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ লাল শাপলার বিল এখন প্রকৃতিগত পরিবর্তনের শিকার। কচুরিপানার দ্রুত আগ্রাসনের ফলে এ বিলটি অচিরেই লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার বিল হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পারে। প্রকৃতিপ্রেমীরা প্রশ্ন তুলেছেন, বিলের লাল শাপলা সুরক্ষার জন্য প্রশাসনের গঠিত সুরক্ষা কমিটি কী ভূমিকা পালন করছে?
সরেজমিনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবিরহাওরে ইয়াম, হরফকাটা, ডিবি, কেন্দ্রী—এই চারি বিল নিয়ে গঠিত প্রায় ৯০০ একর জায়গাজুড়ে প্রকৃতিগতভাবে এই লাল শাপলার বিল সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৬ সালে সংবাদপত্রের মাধ্যমে এটি সারা দেশসহ বিশ্ববাসীর সামনে অন্যতম পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা বিলের সৌন্দর্য দেখে প্রশংসা করেন।
চলতি বছর ইয়াম বিলের (চারটি বিলের মধ্যে একটি) অর্ধেকের বেশি এলাকাজুড়ে লাল শাপলার বদলে কচুরিপানা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। কচুরিপানার কারণে লাল শাপলা দ্রুত বিলীন হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, এভাবে কচুরিপানা বাড়তে থাকলে আগামী বছরের মধ্যে বিলজুড়ে লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার আধিপত্য দেখা যাবে। ফলে জৈন্তাপুরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ এই লাল শাপলার বিলটি বিলীন হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষ লাল শাপলা সুরক্ষায় উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত সুরক্ষা কমিটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, লাল শাপলা বিলের সুরক্ষার জন্য গঠিত কমিটির প্রধান কাজ ছিল বিলের শাপলাকে ধ্বংসকারী জলজ উদ্ভিদসহ অন্যান্য সমস্যা চিহ্নিত করে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান ও পরিচর্যা করা। এ ছাড়া পর্যটকদের বহনকারী নৌকা থেকে ১০০ টাকা হারে আদায়কৃত অর্থ বিলের বাঁধ সুরক্ষা এবং জলজ উদ্ভিদ থেকে শাপলাকে রক্ষার পরিচর্যার জন্য ব্যয় সংকুলান করার কথা ছিল।

তাঁরা আরও জানান, বর্তমানে ইয়াম বিলটিতে যেভাবে লাল শাপলার চরম শত্রু কচুরিপানা গ্রাস করছে, তাতে আগামী বছরে তা বিলগুলোতে ছড়িয়ে পড়বে। ইয়াম বিলের প্রায় অর্ধেক অংশ এখন কচুরিপানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। লাল শাপলার পরিবর্তে সেখানে এখন কচুরিপানার ফুল ফুটছে। এর ফলে লাল শাপলার সৌন্দর্য মারাত্মকভাবে বিনষ্ট হচ্ছে। তাই দ্রুত পরিবেশ সমীক্ষা করে লাল শাপলাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জর্জ মিত্র চাকমা বলেন, ‘লাল শাপলা বিলে জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানার কারণে শাপলা ধ্বংস হচ্ছে, এ বিষয়টি ইতিপূর্বে কেউ আমাকে অবহিত করেনি। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে লাল শাপলা সুরক্ষায় দ্রুত কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করব।’

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবির হাওর এলাকার অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ লাল শাপলার বিল এখন প্রকৃতিগত পরিবর্তনের শিকার। কচুরিপানার দ্রুত আগ্রাসনের ফলে এ বিলটি অচিরেই লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার বিল হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পারে। প্রকৃতিপ্রেমীরা প্রশ্ন তুলেছেন, বিলের লাল শাপলা সুরক্ষার জন্য প্রশাসনের গঠিত সুরক্ষা কমিটি কী ভূমিকা পালন করছে?
সরেজমিনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবিরহাওরে ইয়াম, হরফকাটা, ডিবি, কেন্দ্রী—এই চারি বিল নিয়ে গঠিত প্রায় ৯০০ একর জায়গাজুড়ে প্রকৃতিগতভাবে এই লাল শাপলার বিল সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৬ সালে সংবাদপত্রের মাধ্যমে এটি সারা দেশসহ বিশ্ববাসীর সামনে অন্যতম পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা বিলের সৌন্দর্য দেখে প্রশংসা করেন।
চলতি বছর ইয়াম বিলের (চারটি বিলের মধ্যে একটি) অর্ধেকের বেশি এলাকাজুড়ে লাল শাপলার বদলে কচুরিপানা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। কচুরিপানার কারণে লাল শাপলা দ্রুত বিলীন হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, এভাবে কচুরিপানা বাড়তে থাকলে আগামী বছরের মধ্যে বিলজুড়ে লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার আধিপত্য দেখা যাবে। ফলে জৈন্তাপুরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ এই লাল শাপলার বিলটি বিলীন হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষ লাল শাপলা সুরক্ষায় উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত সুরক্ষা কমিটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, লাল শাপলা বিলের সুরক্ষার জন্য গঠিত কমিটির প্রধান কাজ ছিল বিলের শাপলাকে ধ্বংসকারী জলজ উদ্ভিদসহ অন্যান্য সমস্যা চিহ্নিত করে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান ও পরিচর্যা করা। এ ছাড়া পর্যটকদের বহনকারী নৌকা থেকে ১০০ টাকা হারে আদায়কৃত অর্থ বিলের বাঁধ সুরক্ষা এবং জলজ উদ্ভিদ থেকে শাপলাকে রক্ষার পরিচর্যার জন্য ব্যয় সংকুলান করার কথা ছিল।

তাঁরা আরও জানান, বর্তমানে ইয়াম বিলটিতে যেভাবে লাল শাপলার চরম শত্রু কচুরিপানা গ্রাস করছে, তাতে আগামী বছরে তা বিলগুলোতে ছড়িয়ে পড়বে। ইয়াম বিলের প্রায় অর্ধেক অংশ এখন কচুরিপানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। লাল শাপলার পরিবর্তে সেখানে এখন কচুরিপানার ফুল ফুটছে। এর ফলে লাল শাপলার সৌন্দর্য মারাত্মকভাবে বিনষ্ট হচ্ছে। তাই দ্রুত পরিবেশ সমীক্ষা করে লাল শাপলাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জর্জ মিত্র চাকমা বলেন, ‘লাল শাপলা বিলে জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানার কারণে শাপলা ধ্বংস হচ্ছে, এ বিষয়টি ইতিপূর্বে কেউ আমাকে অবহিত করেনি। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে লাল শাপলা সুরক্ষায় দ্রুত কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করব।’

বরিশাল বিএম কলেজে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারী কয়েক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না বরং একপ্রকার নীরব সমর্থন দিচ্ছে ছাত্রলীগকে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ উভয় পক্ষই ক্যাম্
১৬ জুলাই ২০২৪
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় আরশি (৮) নামের দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের বেড়াখলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আরশি ওই এলাকার সরদার আলী হাজী বাড়ির মো. সোহেল মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির...
১৪ মিনিট আগে
পিরোজপুরের নেছারাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে জনপ্রতিনিধি বা সরকারি বরাদ্দ ছাড়াই যোগাযোগব্যবস্থার চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। অবহেলিত জনপদের ভাঙাচোরা সড়ক ও অকেজো সেতুগুলো স্থানীয় তরুণ ও যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রমে নতুন কাঠামোয় প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চট্টগ্রামে পরিচিতি পান ২৬ বছর আগে। তখন সরোয়ার হোসেন বাবলা, নুরনবী ম্যাক্সন, আকবর আলী ওরফে ঢাকাইয়া আকবর ও ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে সন্ত্রাসী দল গড়েন বড় সাজ্জাদ। একসময় উল্লিখিত ব্যক্তিদের হাতেই ছিল চট্টগ্রামের অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ।
৬ ঘণ্টা আগেসবুর শুভ, চট্টগ্রাম

সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চট্টগ্রামে পরিচিতি পান ২৬ বছর আগে। তখন সরোয়ার হোসেন বাবলা, নুরনবী ম্যাক্সন, আকবর আলী ওরফে ঢাকাইয়া আকবর ও ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে সন্ত্রাসী দল গড়েন বড় সাজ্জাদ। একসময় উল্লিখিত ব্যক্তিদের হাতেই ছিল চট্টগ্রামের অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ম্যাক্সন, সরোয়ার ও আকবর আলী বড় সাজ্জাদের সঙ্গ ছেড়ে আলাদাভাবে পথচলা শুরু করেন ১০ বছর আগে। এ অবস্থায় ২০১৫ সাল থেকে বড় সাজ্জাদের কমান্ডে ছোট সাজ্জাদ দলের হাল ধরেন। পরে ভারতে ম্যাক্সনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। সরোয়ার ও আকবর বড় ও ছোট দুই সাজ্জাদের নিশানায় পড়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে এ-সংক্রান্ত মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে গত ২৯ মার্চ নগরের বাকলিয়া অ্যাকসেস রোড এলাকায় প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে সরোয়ারকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় প্রাইভেট কারে থাকা তাঁর দুই সহযোগী বখতিয়ার হোসেন মানিক (৩০) ও মো. আবদুল্লাহ (৩৬) ঘটনাস্থলে মারা যান। সেই থেকে সরোয়ার হোসেন বাবলা বিদেশে চলে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে তদবির করে তিনি পুলিশের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিন মাস ধরে চেষ্টা করেছেন বলে জানান বাবলার ছোট ভাই মো. আজিজ। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কাতার থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন সরোয়ার। এরপর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সরোয়ারের পাসপোর্ট ব্লক (বন্ধ) করে দেয় বলে জানান মো. আজিজ।
সরোয়ারের আরেক সহযোগী নগরের বিভিন্ন থানার হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১০টি মামলার আসামি আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবরকে গত ২৩ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় উপর্যুপরি গুলি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। দুই দিন পর ঢাকাইয়া আকবর মারা যান। কারাগারে বন্দী সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ হোসেনের অনুসারীরা আকবর হত্যার পেছনে রয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সহযোগীর এই ধরনের টার্গেটেড হত্যাকাণ্ডে বিদেশে যাওয়ার জন্য আরও ব্যাকুলতা বাড়ে সরোয়ার হোসেন বাবলার। এর মধ্যে একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি আসতে থাকে বড় সাজ্জাদ ও রায়হানদের কাছ থেকে। কেউ সাত দিন, কেউ তিন দিনের মৃত্যুর পরোয়ানা পাঠায় সরোয়ারকে। এরই মধ্যে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন সরোয়ার। বিয়ের পর স্ত্রীসহ পরিবারের সবাই জোর করছিল সরোয়ারকে বিদেশে চলে যেতে। জীবন বাঁচাতে সরোয়ারও বিদেশে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পাসপোর্টের ব্লক খুলতে পারছিলেন না। শেষতক মৃত্যুই সরোয়ারের জীবনের সমাধান দিল বলে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তাঁর ছোট ভাই মো. আজিজ।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (বিশেষ শাখা) মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাসপোর্ট ব্লক মূলত সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়। সরকার নির্দেশনা দিলে স্পেশাল ব্রাঞ্চ (পুলিশের বিশেষ শাখা) আবেদন করে ইমিগ্রেশন বিভাগের কাছে। এরপর পাসপোর্ট ব্লক হয়। সরোয়ার হোসেন বাবলার পাসপোর্ট ব্লকের বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের কাছে থাকার কথা নয়।’
বুধবার (৫ নভেম্বর) মাগরিবের নামাজের পরপরই চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নিয়ে গুলিতে নিহত হন সরোয়ার হোসেন বাবলা। এ সময় চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহও গুলিবিদ্ধ হন। এরশাদ উল্লাহ বর্তমানে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার বাবলা। ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ ১৫টির বেশি মামলা রয়েছে।
এদিকে সরোয়ার হত্যায় করা মামলার এজাহারে এক নম্বরে যাঁর নাম এসেছে, সেই সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদের। নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর চালিতাতলী এলাকার ঠিকাদার আবদুল গণির ছেলে সাজ্জাদ আলী। ১৯৯৯ সালের ২ জুন পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর লিয়াকত আলী খান বাড়ির সামনে খুন হন। লিয়াকত হত্যায় সাজ্জাদ জড়িত ছিলেন বলে ব্যাপক প্রচার আছে। এ নিয়ে দায়ের করা মামলার আসামি ছিলেন সাজ্জাদ আলী। লিয়াকত হত্যার পর অপরাধজগতে সাজ্জাদের নাম ছড়িয়ে পড়ে।
২০০০ সালের ১২ জুলাই মাইক্রোবাসে করে একটি দলীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মী। পথে বহদ্দারহাটে ওই মাইক্রোবাস থামিয়ে ব্রাশফায়ার করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাস্থলেই ছাত্রলীগের ওই ছয় নেতা-কর্মীসহ আটজন মারা যান। ‘এইট মার্ডার’ নামে পরিচিত ওই হত্যাকাণ্ডে সাজ্জাদ নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২০০০ সালের ১ অক্টোবর একে-৪৭ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বড় সাজ্জাদ। ২০০৪ সালে জামিনে বেরিয়ে তিনি বিদেশে পালিয়ে যান। বর্তমানে ভারতের পাঞ্জাবে রয়েছেন বলে জানা গেছে। বড় সাজ্জাদের স্ত্রী পাঞ্জাবি হওয়ার সূত্রে তিনি পাঞ্জাবে অবস্থানের সুযোগ পেয়েছেন।

সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চট্টগ্রামে পরিচিতি পান ২৬ বছর আগে। তখন সরোয়ার হোসেন বাবলা, নুরনবী ম্যাক্সন, আকবর আলী ওরফে ঢাকাইয়া আকবর ও ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে সন্ত্রাসী দল গড়েন বড় সাজ্জাদ। একসময় উল্লিখিত ব্যক্তিদের হাতেই ছিল চট্টগ্রামের অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ম্যাক্সন, সরোয়ার ও আকবর আলী বড় সাজ্জাদের সঙ্গ ছেড়ে আলাদাভাবে পথচলা শুরু করেন ১০ বছর আগে। এ অবস্থায় ২০১৫ সাল থেকে বড় সাজ্জাদের কমান্ডে ছোট সাজ্জাদ দলের হাল ধরেন। পরে ভারতে ম্যাক্সনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। সরোয়ার ও আকবর বড় ও ছোট দুই সাজ্জাদের নিশানায় পড়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে এ-সংক্রান্ত মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে গত ২৯ মার্চ নগরের বাকলিয়া অ্যাকসেস রোড এলাকায় প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে সরোয়ারকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় প্রাইভেট কারে থাকা তাঁর দুই সহযোগী বখতিয়ার হোসেন মানিক (৩০) ও মো. আবদুল্লাহ (৩৬) ঘটনাস্থলে মারা যান। সেই থেকে সরোয়ার হোসেন বাবলা বিদেশে চলে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে তদবির করে তিনি পুলিশের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিন মাস ধরে চেষ্টা করেছেন বলে জানান বাবলার ছোট ভাই মো. আজিজ। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কাতার থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন সরোয়ার। এরপর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সরোয়ারের পাসপোর্ট ব্লক (বন্ধ) করে দেয় বলে জানান মো. আজিজ।
সরোয়ারের আরেক সহযোগী নগরের বিভিন্ন থানার হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১০টি মামলার আসামি আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবরকে গত ২৩ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় উপর্যুপরি গুলি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। দুই দিন পর ঢাকাইয়া আকবর মারা যান। কারাগারে বন্দী সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ হোসেনের অনুসারীরা আকবর হত্যার পেছনে রয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সহযোগীর এই ধরনের টার্গেটেড হত্যাকাণ্ডে বিদেশে যাওয়ার জন্য আরও ব্যাকুলতা বাড়ে সরোয়ার হোসেন বাবলার। এর মধ্যে একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি আসতে থাকে বড় সাজ্জাদ ও রায়হানদের কাছ থেকে। কেউ সাত দিন, কেউ তিন দিনের মৃত্যুর পরোয়ানা পাঠায় সরোয়ারকে। এরই মধ্যে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন সরোয়ার। বিয়ের পর স্ত্রীসহ পরিবারের সবাই জোর করছিল সরোয়ারকে বিদেশে চলে যেতে। জীবন বাঁচাতে সরোয়ারও বিদেশে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পাসপোর্টের ব্লক খুলতে পারছিলেন না। শেষতক মৃত্যুই সরোয়ারের জীবনের সমাধান দিল বলে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তাঁর ছোট ভাই মো. আজিজ।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (বিশেষ শাখা) মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাসপোর্ট ব্লক মূলত সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়। সরকার নির্দেশনা দিলে স্পেশাল ব্রাঞ্চ (পুলিশের বিশেষ শাখা) আবেদন করে ইমিগ্রেশন বিভাগের কাছে। এরপর পাসপোর্ট ব্লক হয়। সরোয়ার হোসেন বাবলার পাসপোর্ট ব্লকের বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের কাছে থাকার কথা নয়।’
বুধবার (৫ নভেম্বর) মাগরিবের নামাজের পরপরই চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নিয়ে গুলিতে নিহত হন সরোয়ার হোসেন বাবলা। এ সময় চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহও গুলিবিদ্ধ হন। এরশাদ উল্লাহ বর্তমানে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার বাবলা। ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ ১৫টির বেশি মামলা রয়েছে।
এদিকে সরোয়ার হত্যায় করা মামলার এজাহারে এক নম্বরে যাঁর নাম এসেছে, সেই সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদের। নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর চালিতাতলী এলাকার ঠিকাদার আবদুল গণির ছেলে সাজ্জাদ আলী। ১৯৯৯ সালের ২ জুন পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর লিয়াকত আলী খান বাড়ির সামনে খুন হন। লিয়াকত হত্যায় সাজ্জাদ জড়িত ছিলেন বলে ব্যাপক প্রচার আছে। এ নিয়ে দায়ের করা মামলার আসামি ছিলেন সাজ্জাদ আলী। লিয়াকত হত্যার পর অপরাধজগতে সাজ্জাদের নাম ছড়িয়ে পড়ে।
২০০০ সালের ১২ জুলাই মাইক্রোবাসে করে একটি দলীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মী। পথে বহদ্দারহাটে ওই মাইক্রোবাস থামিয়ে ব্রাশফায়ার করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাস্থলেই ছাত্রলীগের ওই ছয় নেতা-কর্মীসহ আটজন মারা যান। ‘এইট মার্ডার’ নামে পরিচিত ওই হত্যাকাণ্ডে সাজ্জাদ নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২০০০ সালের ১ অক্টোবর একে-৪৭ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বড় সাজ্জাদ। ২০০৪ সালে জামিনে বেরিয়ে তিনি বিদেশে পালিয়ে যান। বর্তমানে ভারতের পাঞ্জাবে রয়েছেন বলে জানা গেছে। বড় সাজ্জাদের স্ত্রী পাঞ্জাবি হওয়ার সূত্রে তিনি পাঞ্জাবে অবস্থানের সুযোগ পেয়েছেন।

বরিশাল বিএম কলেজে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারী কয়েক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না বরং একপ্রকার নীরব সমর্থন দিচ্ছে ছাত্রলীগকে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ উভয় পক্ষই ক্যাম্
১৬ জুলাই ২০২৪
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় আরশি (৮) নামের দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের বেড়াখলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আরশি ওই এলাকার সরদার আলী হাজী বাড়ির মো. সোহেল মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির...
১৪ মিনিট আগে
পিরোজপুরের নেছারাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে জনপ্রতিনিধি বা সরকারি বরাদ্দ ছাড়াই যোগাযোগব্যবস্থার চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। অবহেলিত জনপদের ভাঙাচোরা সড়ক ও অকেজো সেতুগুলো স্থানীয় তরুণ ও যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রমে নতুন কাঠামোয় প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
চলতি বছর ইয়াম বিলের (চারটি বিলের মধ্যে একটি) অর্ধেকের বেশি এলাকাজুড়ে লাল শাপলার বদলে কচুরিপানা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। কচুরিপানার কারণে লাল শাপলা দ্রুত বিলীন হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, এভাবে কচুরিপানা বাড়তে থাকলে আগামী বছরের মধ্যে পুরো বিলজুড়ে লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানার আধিপত্য দেখা যাবে।
২ ঘণ্টা আগে