Ajker Patrika

সড়কে হাঁটু সমান কাদা, সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

পিরোজপুর প্রতিনিধি
নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বানিয়ারি গ্রামে সড়কের ওপর গাছের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বানিয়ারি গ্রামে সড়কের ওপর গাছের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বানিয়ারি গ্রামে সড়কের ওপর গাছের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয়রা। যুগের পর যুগ ধরে সড়কটি বেহাল অবস্থায় থাকলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না থাকায় বাধ্য হয়ে গাছের ডালপালা দিয়ে অস্থায়ী সাঁকো তৈরি করেন তারা।

কাঁচা এই সড়ক বানিয়ারি গ্রাম হয়ে পাশের কালীগঞ্জসহ পাঁচ থেকে সাতটি গ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত। প্রতিদিন হাজারও মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করে। বর্ষা মৌসুমে কাদা ও পানির কারণে সড়কটিতে চলাচল হয়ে পড়ে অত্যন্ত দুর্বিষহ।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটি এখন সমতলভূমির সঙ্গে মিশে গেছে। কোথাও কোথাও সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। এতে বর্ষায় হাঁটু সমান কাদা জমে। জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়।

বানিয়ারি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মানস মিত্র বলেন, ‘রাস্তাটির এমন করুণ অবস্থা দেখে আমরা বাধ্য হয়ে নিজেরাই সাঁকো বানিয়েছি। না হলে গ্রামের মানুষ, বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী ও রোগীরা কষ্ট পেত।’

জুয়েল মিয়া নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘বর্ষা এলেই আমাদের চিন্তার শেষ থাকে না। চলার কোনো উপায় মেলাতে না পেরে সর্বশেষ গ্রামবাসী সবাই মিলে রাস্তার ওপরে সাঁকো তৈরি করে দিয়েছে।’

এ বিষয়ে মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বানিয়ারি থেকে কালীগঞ্জ বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি খুবই খারাপ অবস্থা। বেশ কয়েকবার এলজিইডিতে এই প্রকল্প দেওয়া হয়েছে, এখন পর্যন্ত পাস হয়নি। আশা করছি প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।’

স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে স্থায়ী সমাধান না করলে ভবিষ্যতে এই সড়কে জনদুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে।

নাজিরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র দাস বলেন, রাস্তাটি আমি পরিদর্শন করেছি। বর্তমানে এসবিপি প্রকল্পে রাস্তাটি আমাদের অধিদপ্তরে। পরবর্তী টেন্ডারের জন্য আবেদন করছি। আমি আশা করছি, এই ২৫-২৬ অর্থবছরে কাজটি টেন্ডারে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত