পটুয়াখালী প্রতিনিধি
‘ওই দিনের পর থেকে আমরা কেউ ভালো নেই। মেহেদীর মা এবং আমি অনেক অসুস্থ। মেহেদীর মা সারা দিন পাগলের মতো করে মেহেদীর জন্য। গতকাল (বুধবার) ঢাকার বাসা থেকে ওর মা বের হয়ে সেই ওভারব্রিজের নিচে গিয়ে বসে ছিল; যেখানে মেহেদী মারা যায়। ওভারব্রিজের নিচে গিয়ে এখনো মেহেদীকে খোঁজে।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ঢাকা টাইমসের জ্যেষ্ঠ রিপোর্টার হাসান মেহেদীর মায়ের অবস্থা এভাবেই তুলে ধরছিলেন ঢাকায় অবস্থানরত তাঁর বাবা মোশারফ হেসেন। তিনি আরও বলেন, ‘শুধু এটুকু বলতে চাই, আমরা আন্দোলনের কিছু বুঝি না, শুধু বুঝি আর কোনো মায়ের কোল খালি না হোক।’
গত ১৮ জুলাই ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ওভারব্রিজের নিচে সহিংসতার মধ্যে পড়ে মারা যান সাংবাদিক হাসান মেহেদী। ঘটনার দিনের বর্ণনা দিয়ে তাঁর বাবা বলেন, ‘মেহেদীর এক সহকর্মী ফোন করে বলে, ‘আংকেল, আশিক (মেহেদীর ভাই) কোথায়, ওরে একটু ফোন দিতে বলেন জরুরি।’ তখনই আমার মনে কামড় দেয়, আমি জিজ্ঞেস করি—আমার মেহেদী কোথায়? তখন ও বলে, মেহেদী অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে আছে। পরে আশিক ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে আমাকে ফোন করে একটা চিৎকার দিয়ে বলে মেহেদী নাই।’
সাংবাদিক হাসান মেহেদী পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামের এক সাধারণ পরিবারের সন্তান। ছোটবেলা থেকেই অভাব-অনটনে বেড়ে উঠেছেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে মেহেদী ছিলেন সবার বড়। তাই তাঁর দায়িত্বও ছিল বেশি। মেহেদীর মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়েছে পুরো পরিবার। মা-বাবার চিকিৎসার পাশাপাশি মেহেদীর স্ত্রী ও দুই মেয়ে এবং ছোট দুই ভাইয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় এই সাংবাদিকের পরিবার।
গত মঙ্গলবার বিকেলে মেহেদীদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে মেহেদীর কবর। পাশে দাঁড়িয়ে স্থানীয়দের কাছে মেহেদীর স্মৃতিচারণা করছিলেন তাঁর খালা মাহিনুর বেগম। তিনি বলেন, ‘মেহেদী বাবায় সাংবাদিক হওয়ার পর আমরা সবাই গর্ব করতাম। হ্যার সাংবাদিকতা কইরা চিন্তা আছেলে কেমনে মা-বাপরে একটু সুখে রাকপে। বাহের চিকিৎসার লইগ্যা সব সময় ব্যস্ত থাকত। আগে দোচালা টিনের ঘর আছেলে, হ্যার বাপ-মা’র লইগ্যা বিল্ডিং করছে সাংবাদিকতার চাকরি কইরা। আর হেই সাংবাদিকতা করতে যাইয়া পোলাডা মইরা গেল, এহন কেডা দেখপে হ্যার অসুস্থ বাপ-মারে।’
স্বজনেরা জানান, মেহেদীর সাত মাস ও চার বছর বয়সী দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জে থাকতেন। মৃত্যুর পর মেহেদীর পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। মেহেদীর মা-বাবা বর্তমানে কেরানীগঞ্জে পুত্রবধূ ও নাতনিদের কাছে রয়েছেন।
মেহেদী ঢাকা টাইমসের হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিটে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করতেন। এর আগে তিনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টি ফোর এবং দৈনিক কালের কণ্ঠে কাজ করেছেন।
‘ওই দিনের পর থেকে আমরা কেউ ভালো নেই। মেহেদীর মা এবং আমি অনেক অসুস্থ। মেহেদীর মা সারা দিন পাগলের মতো করে মেহেদীর জন্য। গতকাল (বুধবার) ঢাকার বাসা থেকে ওর মা বের হয়ে সেই ওভারব্রিজের নিচে গিয়ে বসে ছিল; যেখানে মেহেদী মারা যায়। ওভারব্রিজের নিচে গিয়ে এখনো মেহেদীকে খোঁজে।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ঢাকা টাইমসের জ্যেষ্ঠ রিপোর্টার হাসান মেহেদীর মায়ের অবস্থা এভাবেই তুলে ধরছিলেন ঢাকায় অবস্থানরত তাঁর বাবা মোশারফ হেসেন। তিনি আরও বলেন, ‘শুধু এটুকু বলতে চাই, আমরা আন্দোলনের কিছু বুঝি না, শুধু বুঝি আর কোনো মায়ের কোল খালি না হোক।’
গত ১৮ জুলাই ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ওভারব্রিজের নিচে সহিংসতার মধ্যে পড়ে মারা যান সাংবাদিক হাসান মেহেদী। ঘটনার দিনের বর্ণনা দিয়ে তাঁর বাবা বলেন, ‘মেহেদীর এক সহকর্মী ফোন করে বলে, ‘আংকেল, আশিক (মেহেদীর ভাই) কোথায়, ওরে একটু ফোন দিতে বলেন জরুরি।’ তখনই আমার মনে কামড় দেয়, আমি জিজ্ঞেস করি—আমার মেহেদী কোথায়? তখন ও বলে, মেহেদী অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে আছে। পরে আশিক ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে আমাকে ফোন করে একটা চিৎকার দিয়ে বলে মেহেদী নাই।’
সাংবাদিক হাসান মেহেদী পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামের এক সাধারণ পরিবারের সন্তান। ছোটবেলা থেকেই অভাব-অনটনে বেড়ে উঠেছেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে মেহেদী ছিলেন সবার বড়। তাই তাঁর দায়িত্বও ছিল বেশি। মেহেদীর মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়েছে পুরো পরিবার। মা-বাবার চিকিৎসার পাশাপাশি মেহেদীর স্ত্রী ও দুই মেয়ে এবং ছোট দুই ভাইয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় এই সাংবাদিকের পরিবার।
গত মঙ্গলবার বিকেলে মেহেদীদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে মেহেদীর কবর। পাশে দাঁড়িয়ে স্থানীয়দের কাছে মেহেদীর স্মৃতিচারণা করছিলেন তাঁর খালা মাহিনুর বেগম। তিনি বলেন, ‘মেহেদী বাবায় সাংবাদিক হওয়ার পর আমরা সবাই গর্ব করতাম। হ্যার সাংবাদিকতা কইরা চিন্তা আছেলে কেমনে মা-বাপরে একটু সুখে রাকপে। বাহের চিকিৎসার লইগ্যা সব সময় ব্যস্ত থাকত। আগে দোচালা টিনের ঘর আছেলে, হ্যার বাপ-মা’র লইগ্যা বিল্ডিং করছে সাংবাদিকতার চাকরি কইরা। আর হেই সাংবাদিকতা করতে যাইয়া পোলাডা মইরা গেল, এহন কেডা দেখপে হ্যার অসুস্থ বাপ-মারে।’
স্বজনেরা জানান, মেহেদীর সাত মাস ও চার বছর বয়সী দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জে থাকতেন। মৃত্যুর পর মেহেদীর পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। মেহেদীর মা-বাবা বর্তমানে কেরানীগঞ্জে পুত্রবধূ ও নাতনিদের কাছে রয়েছেন।
মেহেদী ঢাকা টাইমসের হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিটে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করতেন। এর আগে তিনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টি ফোর এবং দৈনিক কালের কণ্ঠে কাজ করেছেন।
জানা যায়, জনদুর্ভোগ কমাতে গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে দুটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এতে সেতুর ওপর সব ধরনের দোকানপাট ও যানবাহন রাখা নিষেধ বলে সতর্ক করা হয়। ২০১১ সালে নির্মিত এই নতুন সেতুতে যানজট এড়াতে একসময় ট্রাফিক পুলিশ রাখা হলেও কয়েক মাস পর তাদের তুলে নেওয়া হয়।
৬ মিনিট আগে২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পর্যন্ত রফিকুল আলমকে বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। সেই সময় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নদভীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ও ব্যবসা ছিল। অভিযোগ আছে, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি ওইসব নেতাদের সঙ্গে মিলে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুরানো জাহাজের সরঞ্জাম বিক্রির দুটি দোকান ও একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের দোকানসহ মোট তিনটি দোকান পুড়ে গেছে। এ ছাড়া, মার্কেটের আরও কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মাদামবিবিরহাট চেয়ারম্যান
১ ঘণ্টা আগেচিঠি ছাড়াও বিদেশ অথবা দেশে আপনজনের কাছে টাকা পাঠাতে একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম এটি। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে ই-মেইল, অনলাইন আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবাদে এই পোস্ট অফিসের গুরুত্ব এখন আর নেই বললেই চলে। তবু এখনো এই পোস্ট অফিসে জীবনবীমা, সঞ্চয়পত্রের টাকা জামানত রাখা কিংবা জরুরি কাগজপত্র পাঠাতে নির্ভরযোগ্য
১ ঘণ্টা আগে