Ajker Patrika

বরিশালে দুই শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় দুজনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০: ২০
বরিশালে দুই শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় দুজনের যাবজ্জীবন

বরিশালে ধর্ষণের ঘটনায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি দুই দণ্ডিতকে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

আজ সোমবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইয়ারব হোসেন দুটি পৃথক ঘটনায় এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় দুই দণ্ডিত এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির।

দণ্ডিতরা হলেন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার আহতী বাটরা গ্রামের রজত হালদার (৩৬) এবং উজিরপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামের আবুল হোসেন বালী (৪৫)।

পৃথক দুই মামলার বরাত দিয়ে বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, ২০১২ সালের ৫ জুন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার আহতী বাটরা গ্রামের বাড়ির পাশের ধানখেতে গরু তাড়াতে যায় ১১ বছর বয়সী শিশুকন্যা। খেতের পাশে থাকা রজত তখন শিশুকন্যার মুখ চেপে ধরে পাশের পাটখেতে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন রজত। এ ঘটনায় আগৈলঝাড়া থানায় মামলা হয়। থানার এসআই ইদ্রিস আলী ২০১২ সালের ৪ আগস্ট রজতকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন। বিচারক সাতজনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় দিয়েছেন।

অপর দিকে ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল উজিরপুরে ৯ বছর বয়সী মাদ্রাসাছাত্রীকে খাবারের প্রলোভন দিয়ে দোকানের পেছনে নেন দোকানি আবুল হোসেন বালী। পরে সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় এক ক্রেতা এসে দোকানি আবুলকে না পেয়ে পেছনে উঁকি দিয়ে শিশুকে ধর্ষণ করতে দেখে মাদ্রাসায় গিয়ে জানিয়ে দেন। পরে মাদ্রাসার শিক্ষকেরা গিয়ে শিশুকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। উজিরপুর মডেল থানার এসআই হুমাউন কবির একই বছরের ২৩ জুন আদালতে চার্জশিট জমা দেন। বিচারক চারজনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাবেক এমপি নিক্সনের গানম্যানের নেতৃত্বে ভাঙ্গায় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক বানানো হচ্ছিল: পুলিশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ৫৮
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে পেট্রলবোমা ও ককটেল বানানোর সময় তিন যুবককে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর গানম্যান মুরাদ খানের নেতৃত্বে এসব বিস্ফোরক বানানো হচ্ছিল। আজ বুধবার রাতে ভাঙ্গা থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল এ কথা বলেন।

অভিযুক্ত মুরাদ খান মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উতরাইল নয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা।

আজ বেলা ২টায় উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামের সৌদিপ্রবাসী টিটু সরদারের পরিত্যক্ত টিনের ঘরে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে বিস্ফোরক বানানোর সময় তিন যুবককে আটক করা হয়। এ সময় ২৩টি পেট্রলবোমা, বেশ কয়েকটি ককটেল, বারুদ, গান পাউডার, পেট্রল, অকটেনসহ বিস্ফোরক বানানোর উপকরণ জব্দ করে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, আটক হওয়া তিন যুবক ভবঘুরে এবং তাঁরা ঢাকার মিরপুরে থাকেন। আটক ব্যক্তিরা হলেন হুসাইন রাজ (২৫), আহমেদুল রশিদ রাকিব (২৪) ও জিয়াউর রহমান (২৮)।

পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘আগামীকাল মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালের একটি রায়কে কেন্দ্র করে কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বাস্তবায়নে অরাজকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই বাড়িতে বিস্ফোরক দ্রব্য তৈরি করা হচ্ছিল। মুরাদ খান নামের যুবলীগের এক কর্মীর নেতৃত্বে এগুলো তৈরি করা হয়। এই মুরাদ এই আসনের (ফরিদপুর-৪) এমপি মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর গানম্যান ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি এবং রাজিব নামের আরেক যুবলীগ নেতার নিকট থেকে এগুলো আনা হয়। তাদেরও আমরা গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’

পুলিশ সুপার বলেন, ভাঙ্গা গোলচত্বর ঘিরে আজ থেকেই ফোর্স ও গোয়েন্দা সদস্য মোতায়েন রয়েছে এবং চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ ছাড়া আগামীকাল ভোর ৫টা থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকবে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালাতে গেলে তিনজনকেই আটক করতে সক্ষম হই। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চকরিয়ায় দুর্ঘটনা: পরিবারের ৫ সদস্য হারানো বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রও মারা গেলেন

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
শাহেদ মজুমদার নিশান। ছবি: আজকের পত্রিকা
শাহেদ মজুমদার নিশান। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে গুরুতর আহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শাহেদ মজুমদার নিশান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু হলো। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নিহতের জেঠাতো ভাই সৈকত মজুমদার ও প্রতিবেশী সাংবাদিক আবু বকর সুজন।

নিশান চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ফালগুনকরা গ্রামের আবদুল মান্নান মজুমদারের ছেলে। তিনি বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

৫ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রামমুখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে কক্সবাজারমুখী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাঁসের দিঘি আর্মি ক্যাম্পের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান নিশানের মা, দুই বোনসহ পাঁচজন। দুর্ঘটনায় নিশানসহ তিনজন আহত হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য নিশানকে প্রথম দুই দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আজ সকালে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে তাঁকে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়।

আজ সন্ধ্যায় নিহতের প্রতিবেশী সাংবাদিক আবু বকর সুজন বলেন, স্ত্রী ও দুই মেয়ের পর একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আবদুল মান্নান মজুমদার বাক্‌রুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা কারও জানা নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে আগুন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ৫৮
আগুন দেওয়ার কিছুক্ষণ পরে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
আগুন দেওয়ার কিছুক্ষণ পরে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকায় রেললাইনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টার দিকে তেজগাঁও রেলস্টেশনে রাখা পুরোনো বগিতে আগুন লাগে।

ঢাকা রেলওয়ের কন্ট্রোল থেকে জানানো হয়েছে, তেজগাঁও রেলস্টেশনে রাখা পুরোনো বগিতে কিছু টোকাই আগুন দিয়েছিল। আগুন দেওয়ার কিছুক্ষণ পরে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আ.লীগের নেতা-কর্মীরা যেকোনো দলে যোগদান করতে পারে: নুর

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ পৌর মাঠে গণঅধিকার পরিষদের জনসভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হবিগঞ্জ পৌর মাঠে গণঅধিকার পরিষদের জনসভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আওয়ামী লীগের নিরপরাধ নেতা-কর্মীরা যেকোনো দলে যোগদান করতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। আজ বুধবার হবিগঞ্জ পৌর মাঠে হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে দলীয় এমপি প্রার্থীর সমর্থনে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নুরুল হক নুর বলেন, আওয়ামী লীগের যেসব নেতা-কর্মী কোনো অন্যায়-জুলুম করেননি, তাঁরা যেকোনো দলে যোগদান করতে পারেন। গণঅধিকার পরিষদ তাঁদের গ্রহণ করতে রাজি আছে। ৫ আগস্টের পর মামলা-বাণিজ্য করে অনেক নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বলে মন্তব্য করে নুর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের যাঁরা নিরপরাধ, তাঁদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে না—তাঁর (মির্জা ফখরুল) এ বক্তব্যের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদও একমত। আওয়ামী লীগের নিরপরাধ সাধারণ নেতা-কর্মীদের জন্য সব রাজনৈতিক দল উন্মুক্ত। তাঁরা জামায়াত, বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদ যে দল ভালো লাগে, সে দলে যোগ দিতে পারেন।

নুর আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণঅধিকার পরিষদের অনেক দাবি জুলাই সনদে গ্রহণ করেছে। আগামী নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে হবে। গণঅধিকার পরিষদ এখনো কোনো জোটে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। জুলাই অভ্যুত্থানের শরিকদের নিয়ে একটি জোট করার চেষ্টা চলছে। আগামী নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে। সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান ছাড়াও কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত