Ajker Patrika

বরগুনার নারী ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে অনীহা, ভয়

বরগুনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২০: ৪৮
বরগুনার নারী ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে অনীহা, ভয়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসনের নারীদের অনেকেই ভোটকেন্দ্রে যেতে অনীহা প্রকাশ করছেন। বিগত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা, প্রচার-প্রচারণায় ক্ষমতাসীনদের হুমকিসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নারী ভোটারদের অনেকেই ভোটাধিকার প্রয়োগে নিরুৎসাহী। বরগুনা-১ আসনের বিভিন্ন এলাকার নারীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বরগুনা সদর, আমতলী ও তালতলী—এই তিন উপজেলা নিয়ে বরগুনা-১ আসন গঠিত। আয়তন ও ভোটার সংখ্যা বিবেচনায় দেশের শীর্ষ ১০টি আসনের মধ্যে বরগুনা-১ আসন অন্যতম। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৯১০। এঁদের মধ্যে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৪৪ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন নারী ভোটার। অর্থাৎ পুরুষের তুলনায় এ আসনে নারী ভোটার সংখ্যা বেশি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রতিটি নির্বাচনে নারী ভোটাররা জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরগুনার বিভিন্ন এলাকার নারী ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়ে মনোভাব জানার চেষ্টা করেছেন এই প্রতিবেদক। এর মধ্যে প্রতি ১০ জন নারীর দুজন কারও সহযোগিতা ছাড়াই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগে আগ্রহী। তবে নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত তাঁরা। এ ছাড়া তিনজন হ্যাঁ বা না কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তাঁরা পুরুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতি নির্ভরশীল। অর্থাৎ এই নারীদের অভিভাবক চাইলে ভোট দিতে যাবেন, না চাইলে যাবেন না। বাকি পাঁচ নারী সাফ জানিয়েছেন, তাঁরা ‘নিরাপত্তার ভয়ে’ ভোট দিতে যেতে চান না​।

বরগুনা সদর উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদ ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা এলাকা। এই এলাকার একজন গৃহবধূ পারভীন আক্তার যাঁর স্বামীর পেশা নদীতে মাছ শিকার করা। ভোটকেন্দ্রে যেতে আগ্রহী কি না জানতে চাইলে পারভীন বলেন, ‘হ্যারা যেই রহম হুমকি-ধামকি দেয় মোবাইলে দেহি, হ্যাতে মুই এবার ভোট দেতে যামনু। গ্যাছে বচ্ছর (একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) হ্যার (স্বামীর) কতায় ভোট দেতে যাইয়া ফিররা আইছি। মোর ভোট বোলে দেওয়া অইয়া গ্যাছে। এবারও যা দ্যাকতে আছি, হ্যাতে মোর মোনে অয়ন যে সেন্টারে যাইয়া মোর ভোটটা মুই দেতে পারমু।’

একই প্রশ্ন করা হয় পারভীনের প্রতিবেশী মাকসুদা বেগমকে। মাকসুদা বলেন, ‘মোগো ভোট দেলেও বা কী না দেলেও বা কী। হুনছি বোলে এবারও হ্যারা (ক্ষমতাসীনরা) রাইতে নিজেরা ভোট দিয়া লইবে, নাইলে কাইট্টা লইয়া যাইবে। ফাও ছেরেচ্ছাত (কষ্ট করে) হইররা কেডা ভোট দেতে যাইবে।’

জেলার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া এলাকার জেলেপল্লির কয়েকজন নারীর সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। ওই নারীরা অবশ্য জানান, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তাঁদের স্বামীর সঙ্গে গিয়ে স্বামীর পছন্দমতো প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে আসছেন। সংসদ নির্বাচনেও স্বামীর পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিতে হবে। এঁদের মধ্যে একজন নিলুফা বেগম বলেন, ‘মোরা হারা জনম হ্যার (স্বামীর) কতামতো প্রার্থীরে ভোট দিয়া আইছি। এইবারও এর ব্যত্যয় হবে না।’

ভোটাধিকার প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অপরের ওপর নির্ভরশীল নন এমন কয়েকজন নারী জানান, প্রচার-প্রচারণায় যেমন পরিবেশ, এখনো ভোট দিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা সিদ্ধান্তহীন। আমতলী উপজেলার চাওড়া এলাকার বাসিন্দা রেজওয়ানা পারভীন (৩৪)। ভোট দিতে যাবেন কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘অবশ্যই যাওয়া উচিত। এটা নাগরিক অধিকার। তবে এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। কারণ, প্রার্থীরা পরস্পরকে যেভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে, তাতে এখনো নিরাপদ বোধ করছি না। তবে ভোটের দিন ভোট দিতে যাব মানসিকভাবে এমন প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’ একই রকম বক্তব্য পাওয়া গেছে বেশ কয়েকজন নারীর।

বেসরকারি সংস্থা নারীপক্ষের প্রকল্প সমন্বয়কারী সামিয়া আফরিন বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনেই নারীরা ভোটের ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তবে আমাদের নারীদের একটা বড় অংশ এখনো নির্ভরশীল ব্যক্তির মতামতে ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধ্য হন। আবার অনেকে নিরাপত্তার ভয়ে কেন্দ্রে যেতে চান না​। তবে কিছু নারী আছেন যাঁরা যেকোনো পরিবেশে স্বাধীন মতপ্রকাশ করেন। তবে এমন নারীর সংখ্যা খুব কম। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ বাধাগ্রস্ত হওয়ার মতো কোনো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে আমি মনে করছি না। নারীদের উচিত, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের চর্চা করা।’

বরগুনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বরগুনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নারী ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে উদ্বুদ্ধকরণে আমরা বেশ কিছু কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। এ ছাড়া বেসরকারি সংস্থাগুলোর মাধ্যমেও নারীদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এর বাইরেও প্রার্থীদেরও বলা হয়েছে যাতে নারীরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেই পরিবেশ বজায় রাখতে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ: ইস্টার্ন ব্যাংকের ম্যানেজারসহ দুজনের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে গ্রাহকের এফডিআর হিসাব জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজারসহ দুজনের ১৪ বছর ও আরেকজনের আট বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় আরেক আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মো. মিজানুর রহমানের আদালত এ রায় দেন।

১৪ বছরের দণ্ডিত দুজন হলেন চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে অবস্থিত ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের চান্দগাঁও শাখার সাবেক প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজার মো. ইফতেখারুল কবির ও আজম চৌধুরী নামে আরেক ব্যক্তি। আট বছরের দণ্ডিত আসামি হলেন নগরীর খুলশী এলাকার লাবীবা ট্রেডিং নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক জাকির হোসেন বাপ্পী।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোকাররম হোসাইন জানান, রায়ে দুই আসামিকে ১৪ বছর ও এক আসামিকে আট বছর সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে আত্মসাৎকৃত অর্থের সমপরিমাণ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত দণ্ডিত আসামি জাকির হোসেন বাপ্পীর স্ত্রী ফারজানা হোসেন ফেন্সীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। তিনি জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে দণ্ডিত আসামিদের সাজামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৭৩ হাজার ১০৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

খুলনা প্রতিনিধি
সাজ্জাদুল আলম সাকের। ছবি: সংগৃহীত
সাজ্জাদুল আলম সাকের। ছবি: সংগৃহীত

খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদুল আলম সাকেরকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানা বয়রা মহিলা কলেজের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের একটি অংশ নাশকতার মাধ্যমে নগরীতে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছিল। সেই পরিকল্পনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে সাজ্জাদুল আলম সাকেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওসি তৈমুর ইসলাম বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, সাকের নাশকতার উদ্দেশ্যে সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মীকে একত্রিত করার চেষ্টা করছে। খবর পেয়ে ডিবির একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে, যা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।’

গ্রেপ্তারের পর সাকেরকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনা, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশু মারা গেছে। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার কাশিপুর গ্রামের ইয়াসিনের বাড়ির সামনে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে তারা মারা যায়। দুই শিশু হচ্ছে সামিয়া (৯) ও জিহাদ (৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা গেছে, আজ দুপুরে কাশিপুর গ্রামের ইয়াসিনের বাড়ির সামনে পুকুরে গোসল করতে যায় সামিয়া ও জিহাদ। হঠাৎ আশপাশের লোকজন দুই শিশুকে পানিতে ভাসতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত জিহাদের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ফুলপুর উপজেলার খইছাপুর গ্রামে। সে তার নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে মারা যায়।

ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে আমি খবরটি শুনেছি। তারা পানিতে পড়ে মারা যায়। লাশ বাড়িতে নিয়ে গেছে। আমি এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছি। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কোনো অজুহাতে লবণ আমদানি করতে দেওয়া হবে না: শিল্পসচিব

কক্সবাজার প্রতিনিধি
সভায় শিল্পসচিব মো. ওবায়দুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
সভায় শিল্পসচিব মো. ওবায়দুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেছেন, লবণশিল্পের আড়ালে কোনো অজুহাতে খাবার লবণ আমদানি করতে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিসিকের আয়োজনে স্থানীয় লবণ মিল মালিক ও চাষিদের সঙ্গে বার্ষিক পর্যালোচনা সভায় শিল্প সচিব এসব কথা বলেন।

ওবায়দুর রহমান বলেন, দেশে লবণ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে প্রান্তিক লবণচাষি ও মিলমালিকদের অধিকার সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। সভায় অংশগ্রহণকারীরা মাঠপর্যায়ে লবণের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণে মতামত তুলে ধরেছেন জানিয়ে শিল্পসচিব বলেন, উত্থাপিত প্রস্তাবনা সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে পর্যালোচনা করে লবণের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া কক্সবাজারে জমি পেলে লবণ সংরক্ষণাগার গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিজামউদ্দিন আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য দেন। সভায় বর্তমান লবণের মজুত, ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ, লবণ মিলমালিক, প্রান্তিক চাষিদের সমস্যা ও লবণশিল্পের সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

উল্লেখ্য, দেশের একমাত্র লবণ উৎপাদনকেন্দ্র কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী সমুদ্র উপকূল। প্রতিবছর নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত লবণ উৎপাদনের মৌসুম ধরা হয়। এই সময়ে সাগরের লোনাপানি শুকিয়ে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, সদর ও টেকনাফ এবং পাশের চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়ার উপকূলে লবণ উৎপাদন করা হয়, যা থেকে পূরণ হয় দেশের সার্বিক লবণের চাহিদা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত