নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল মহানগর বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ে সদস্য ফরম বিতরণ উপলক্ষে কর্মিসভায় দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা মারামারি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ি করেছেন। অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসা নিয়ে এই মারামারিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার বিকেলে নগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের একটি রেস্তোরাঁয় মহানগর বিএনপি এই কর্মিসভার আয়োজন করে।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ও অতিথিদের সামনে মারামারি ও হট্টগোলে সভার কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এ সময় কর্মিসভায় আসা নারীসহ অনেক কর্মী বেরিয়ে গেলে সভাস্থল ফাঁকা হয়ে যায়।
জানা গেছে, বরিশাল মহানগর বিএনপি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ৩০টি ওয়ার্ড কমিটির নেতৃত্ব সৃষ্টির জন্য আটটি দল গঠন করা হয়। দলগুলো নিয়ে নেতা-কর্মীদের একাংশ বিরোধিতা করে। এ অবস্থার মধ্যেই নগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবের নেতৃত্বে ওয়ার্ডগুলোতে গতকাল মঙ্গলবার থেকে কর্মিসভা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বিকেলে নগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভা ডাকা হয়। এতে নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলামের অনুসারীরা মিছিল নিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় একটি পক্ষ তাঁদের বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরে বসার জায়গা না পেয়ে দুই পক্ষের হাতাহাতি শুরু হয়, যা পরে মারামারিতে রূপ নেয়। তাঁরা অতিথিদের উপস্থিতিতেই একে অপরকে কিল-ঘুষি মারেন এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ি করেন। এতে সভা কার্যক্রম থমকে যায়।
নগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদ্যসাবেক সদস্যসচিব দুলাল হোসেন বলেন, ‘মিছিল নিয়ে এসে আমরা সভাস্থলে বসে অতিথিদের কথা শুনছিলাম। হঠাৎ চেয়ারে বসা নিয়ে কেডিসি ও ভাটার খাল এলাকার যুবকদের মধ্যে বিরোধ বাধে। এ সময় মারামারিতে আমার সমর্থক মিজানসহ কয়েকজন আহত হন। মারামারির কারণে অনেকে সভাস্থল থেকে বেরিয়ে যান। বিশেষ করে, নারী কর্মীরা সভায় ছিলেন না। অল্প কিছু লোকের মধ্যে সদস্য ফরম বিতরণ করে সভা শেষ করা হয়।’
অপরদিকে একই ওয়ার্ড বিএনপির সদ্যসাবেক আহ্বায়ক তোতা মিয়া বলেন, ‘চেয়ারে বসা নিয়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঝামেলা হয়। কর্মীরা একে অপরকে কিল-ঘুষি দিতে থাকেন। কারা করেছেন, তা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। তাঁদের এই কাণ্ডে আমাদের সারা দিনের কষ্ট ব্যর্থ হয়ে যায়।’
এর আগে গতকালও নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মিসভা চলাকালে দুই পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা হয়। যে কারণে সেখানেও সভার কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের টিমপ্রধান বলেছেন, ১১ তারিখ বসে ওয়ার্ড কমিটি গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তারপরও আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব সভা করে যাচ্ছেন। এতে বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা ঘটছে। হাতাহাতি ও মারামারি ঘটেই যাচ্ছে। তাঁরা পকেট কমিটি করতে চাচ্ছেন।’
এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি তা ধরেননি।
নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কর্মিসভায় আসা একজনকে তাঁদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দেয়। কিন্তু ওই যুবক দাবি করেছেন, তিনি আওয়ামী লীগ করেননি। এ নিয়ে হট্টগোল বাধে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে সভা শেষ করেছি। এ ঘটনায় কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখে দায়ীদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরিশাল মহানগর বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ে সদস্য ফরম বিতরণ উপলক্ষে কর্মিসভায় দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা মারামারি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ি করেছেন। অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসা নিয়ে এই মারামারিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার বিকেলে নগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের একটি রেস্তোরাঁয় মহানগর বিএনপি এই কর্মিসভার আয়োজন করে।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ও অতিথিদের সামনে মারামারি ও হট্টগোলে সভার কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এ সময় কর্মিসভায় আসা নারীসহ অনেক কর্মী বেরিয়ে গেলে সভাস্থল ফাঁকা হয়ে যায়।
জানা গেছে, বরিশাল মহানগর বিএনপি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ৩০টি ওয়ার্ড কমিটির নেতৃত্ব সৃষ্টির জন্য আটটি দল গঠন করা হয়। দলগুলো নিয়ে নেতা-কর্মীদের একাংশ বিরোধিতা করে। এ অবস্থার মধ্যেই নগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবের নেতৃত্বে ওয়ার্ডগুলোতে গতকাল মঙ্গলবার থেকে কর্মিসভা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বিকেলে নগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভা ডাকা হয়। এতে নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলামের অনুসারীরা মিছিল নিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় একটি পক্ষ তাঁদের বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরে বসার জায়গা না পেয়ে দুই পক্ষের হাতাহাতি শুরু হয়, যা পরে মারামারিতে রূপ নেয়। তাঁরা অতিথিদের উপস্থিতিতেই একে অপরকে কিল-ঘুষি মারেন এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ি করেন। এতে সভা কার্যক্রম থমকে যায়।
নগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদ্যসাবেক সদস্যসচিব দুলাল হোসেন বলেন, ‘মিছিল নিয়ে এসে আমরা সভাস্থলে বসে অতিথিদের কথা শুনছিলাম। হঠাৎ চেয়ারে বসা নিয়ে কেডিসি ও ভাটার খাল এলাকার যুবকদের মধ্যে বিরোধ বাধে। এ সময় মারামারিতে আমার সমর্থক মিজানসহ কয়েকজন আহত হন। মারামারির কারণে অনেকে সভাস্থল থেকে বেরিয়ে যান। বিশেষ করে, নারী কর্মীরা সভায় ছিলেন না। অল্প কিছু লোকের মধ্যে সদস্য ফরম বিতরণ করে সভা শেষ করা হয়।’
অপরদিকে একই ওয়ার্ড বিএনপির সদ্যসাবেক আহ্বায়ক তোতা মিয়া বলেন, ‘চেয়ারে বসা নিয়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঝামেলা হয়। কর্মীরা একে অপরকে কিল-ঘুষি দিতে থাকেন। কারা করেছেন, তা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। তাঁদের এই কাণ্ডে আমাদের সারা দিনের কষ্ট ব্যর্থ হয়ে যায়।’
এর আগে গতকালও নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মিসভা চলাকালে দুই পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা হয়। যে কারণে সেখানেও সভার কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের টিমপ্রধান বলেছেন, ১১ তারিখ বসে ওয়ার্ড কমিটি গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তারপরও আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব সভা করে যাচ্ছেন। এতে বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা ঘটছে। হাতাহাতি ও মারামারি ঘটেই যাচ্ছে। তাঁরা পকেট কমিটি করতে চাচ্ছেন।’
এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি তা ধরেননি।
নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কর্মিসভায় আসা একজনকে তাঁদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দেয়। কিন্তু ওই যুবক দাবি করেছেন, তিনি আওয়ামী লীগ করেননি। এ নিয়ে হট্টগোল বাধে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে সভা শেষ করেছি। এ ঘটনায় কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখে দায়ীদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অসুস্থ বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে আল আমিন (২৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত দেড়টার দিকে পৌর শহরের ভৈরবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১০ মিনিট আগেরংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনোয়ারুল ইসলাম মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১১ মিনিট আগেতিনি টেকের বাজারে কাগজপত্র ফটোকপি করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান, তাঁর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম জিসান এবং সহযোগী আজমাইন চৌধুরীসহ আরও তিন-চারজন মিলে তাঁর পথরোধ করে। একপর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন এবং অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্রধারী এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহজাহান ভূঁইয়া।
১ ঘণ্টা আগে