Ajker Patrika

পুলিশ কর্মকর্তা ও সোর্সের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা, সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পুলিশ কর্মকর্তা ও সোর্সের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা, সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

পটুয়াখালীতে এক ব্যক্তির কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশের একজন সোর্স ও সদর থানার এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলার তদন্তের জন্য অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

আজ রোববার পটুয়াখালী সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মো. রুবেল খান (৩০) নামের ওই ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান। 

ভুক্তভোগী রুবেল খান বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল লতিফ খানের ছেলে। রুবেল ওই ইউনিয়নে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক। 

এ মামলার আসামিরা হলেন—সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের শহিদ ফকিরের ছেলে রাহাত ফকির (২৬) ও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিপুলসহ (৪০) অজ্ঞাত ২-৩ জন। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার ১ নম্বর আসামি রাহাত ফকির দীর্ঘদিন পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে ওই ইউনিয়নে চলাচল করে আসছেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেবেন বলে রুবেল খানের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে রাহাত। চাঁদা না দেওয়ায় গত শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে পৌরসভার লোহালিয়া খেয়াঘাট সংলগ্ন টোল ঘরে রুবেল খানের সঙ্গে রাহাতের বিরোধ আছে কি না জানতে চান এসআই বিপুল। এ সময় সিভিলে পোশাকে থাকা এসআই বিপুলসহ কয়েকজন মিলে রুবেল খানকে মারধর করে এবং হাতকড়া পরিয়ে মোটরসাইকেলে সদর থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়নি ও কোনো রকম টাকা-পয়সা নেওয়া হয়নি মর্মে জোরপূর্বক মৌখিক স্বীকারোক্তির ভিডিও ফুটেজ নিয়ে রুবেল খানকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার দ্বিতীয় আসামি ও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিপুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রুবেল খানের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল, তাই তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসছি। পরে তিনি আদালতে হাজির হওয়ার কাগজ দেখিয়েছে তখন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া রুবেল খানের বিরুদ্ধে ৬টি মাদক মামলা রয়েছে। সে ওই ইউনিয়নের একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসায় যাতে সমস্যা না হয়, তাই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।’ 

এ বিষয়ে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আশিকুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়েছেন। তিনি সিআইডিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে লোহালিয়া খেয়াঘাটের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে, তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলেছেন।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

গুমে জড়িত ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা: গুম কমিশনের প্রতিবেদন

ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা কাতারের, পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি

মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশে পরবর্তী ঘোষণার আগপর্যন্ত বাংলাদেশি সব ফ্লাইট বাতিল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত