Ajker Patrika

১০ কেজি চালের জন্য ছুরিকাঘাতে চাচাকে খুন

প্রতিনিধি, আমতলী (বরগুনা) 
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪: ০৬
১০ কেজি চালের জন্য ছুরিকাঘাতে চাচাকে খুন

১০ কেজি চালের জন্য চাচাতো ভাইয়ের ছেলের ছুরিকাঘাতে নুরুল ইসলাম নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বরগুনার আমতলী উপজেলার সেকান্দারখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারী ওই ভাতিজার নাম মো. সাগর। 

মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আলানুর মুন্সি ও তার মা আলেয়া বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। 

জানা যায়, উপজেলার সেকান্দারকালী গ্রামের আলমগীর মুন্সির (৪৮) মা আলেয়া বেগম (৬০) চাচাতো ভাশুরের ছেলে নুরুল ইসলাম মুন্সির স্ত্রী রানী বেগমের কাছ থেকে ১০ কেজি চাল ধার নেন। এক বছর কেটে গেলেও এই চাল পরিশোধ করেননি আলেয়া। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চাচিশাশুড়ি আলেয়া বেগমের কাছে ওই চাল চান রানি বেগম। এতে ক্ষিপ্ত হন আলেয়া বেগম। 

এ ঘটনার ১৫ মিনিট পরে চাচি আলেয়ার ছেলে আলানুর মুন্সি, নাতি সাগর মুন্সি ও জামাতা খলিল শিকদার দেশীয় অস্ত্র বগি-দা ও ছুরি নিয়ে নুরুল ইসলামকে মারতে আসেন। এ সময় নুরুল ইসলাম মুন্সির ছোট ভাই হাসান মুন্সি আলানুরকে থামতে বলেন। কিন্তু আলানুরের ছেলে সাগর মুন্সি দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে চাচা নুরুল ইসলাম মুন্সির পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেন বলে জানান নিহতের ছোট ভাই হাসান মুন্সি। এতে আলেয়া, তাঁর দুই মেয়ে খালেদা ও আসমা সহযোগিতা করেছেন বলে জানান নিহতের বোন মিনারা ও বিলকিস বেগম। 

ছুরিকাঘাত করে তারা পালিয়ে যান। গুরুতর আহত নুরুল ইসলামকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে মেডিকেল অফিসার হিমাদ্রী রায় তাঁকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠায়।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত আলানুর মুন্সি ও তাঁর মা আলেয়া বেগমকে (৬০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, আলানুর মুন্সির বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি ও তাঁর ছেলে সাগর এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। নুরুল ইসলামকে হত্যা ঘটনার বিচার দাবি করেন তাঁরা।

নিহত নুরুল ইসলাম মুন্সির ছোট ভাই হাসান মুন্সি বলেন, `আলানুর বগি নিয়ে আমার ভাইকে মারতে আসে। আমি ওই বগি তাঁর হাত থেকে টেনে নেই। কিন্তু তাঁর ছেলে সাগর মুন্সি ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আমার ভাইয়ের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। এতে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।'

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. হিমাদ্রী রায় বলেন, নিহত নুরুল ইসলাম মুন্সির পেটের পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার পেটের নাড়িভুরি কেটে গেছে। 

আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, নিহত নুরুল ইসলাম মুন্সির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আলানুর মুন্সি ও তার মা আলেয়া বেগমকে আটক করা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত