আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
মহাসড়ক আইনের ৯ (১১) ধারা অনুযায়ী মহাসড়কের উভয় পার্শ্বে ভূমির প্রান্তসীমা থেকে ১০ মিটারের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা দন্ডনীয় অপরাধ। এমন আইনের ধারা সম্বলিত লেখা সাইনবোর্ডের নিচেই নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা।
পটুয়াখালী-কুয়াকাটা ৭১ কিলোমিটার মহাসড়কের পাশে এমন কয়েক হাজার অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এ সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।
জানা গেছে, পটুয়াখালী-কুয়াকাটা ৭১ কিলোমিটার মহাসড়ক। এ মহাসড়কের উভয় পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১০ মিটার করে ভূমি রয়েছে। এ সব ভূমি রক্ষায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ ৭১ কিলোমিটার মহাসড়কের অন্তত দুই ডজন স্থানে ‘মহাসড়ক আইনের ৯ (১১) ধারা অনুযায়ী মহাসড়কের উভয় পাশে ভূমির প্রান্তসীমা হতে ১০ মিটারের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা দন্ডনীয় অপরাধ’ লেখা সাইনবোর্ড টানিয়েছে।
কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা ওই সব ভূমি দখল করে বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে হাজার হাজার পাকা-আধা পাকা ও কাঁচা স্থাপনা নির্মাণ করেছে। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ওই জমি অধিক মূল্যে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
গত ২০ বছর ধরে সড়কের পাশের ভূমি এমন ক্রয়-বিক্রয় চললেও সড়ক বিভাগ নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এ জমি উদ্ধারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। আরও অভিযোগ রয়েছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি মহল ওই জমি ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। ফলে সড়কের পাশে অহরহ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে। এতে সড়কে দুর্ঘটনাসহ নানা সমস্যার দেখা দিচ্ছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ৭১ কিলোমিটারের শতাধিক স্ট্যান্ডে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে প্রভাবশালীরা। ওই স্থাপনায় তারা ব্যবসা করছেন।
বরগুনার আমতলী উপজেলার শাখারিয়া থেকে বান্দ্রা ৩৭ কিলোমিটার সড়কের শাখারিয়া, ব্রিকস ফিল্ড, কেওয়াবুনিয়া, মহিষকাটা, চুনাখালী, আমড়াগাছিয়া খানকা, ডাক্তারবাড়ী, ঘটখালী, তুলাতলী, একে স্কুল চৌরাস্তা, ছুরিকাটা, মানিকঝুড়ি, খুড়িয়ার খেয়াঘাট, খলিয়ান, কল্যাণপুর ও বান্দ্রাসহ অন্তত ৩০টি স্থানে প্রভাবশালীরা জমি দখল করে সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। অবৈধ স্থাপনার সাথেই সড়ক ও জনপথ বিভাগের আইনের সাইনবোর্ড টানানো আছে কিন্তু বাস্তবে তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বান্দ্রা স্ট্যান্ডের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা করছি। কেউ তো উচ্ছেদ করতে আসেনি।’ তারা আরও বলেন, ‘তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতাদের মাধ্যমে সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজনকে ম্যানেজ করে স্থাপনা নির্মাণ করেছি।’
মহিষকাটা স্ট্যান্ডের আয়াত ডিজিটাল স্টুডিওর মালিক মিজানুর রহমান ও মৃধা হোটেলের মালিক জলিল মৃধা বলেন, ‘গত ২০ বছর ধরে মাসিক চুক্তিতে ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছি। কিন্তু মালিক কিভাবে সড়কের পাশে ঘর তুলেছেন তা আমাদের জানা নেই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাখারিয়া বাস স্ট্যান্ডের কয়েকজন বলেন, ‘এভাবে তো গত এক যুগ ধরে চলে আসছে। কেউ তো উচ্ছেদ করতে আসেনি। ভয় দেখাতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজন আইনের ধারা লিখে সাইনবোর্ড টানিয়েছে।’ তারা আরও বলেন, ‘যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সেই দলের নেতাদের অনুমতি নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করতে হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের মৌখিক অনুমতি নিয়েই স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। তাদের ম্যানেজ ছাড়া কিছুই হয়নি।’ তবে এই প্রভাবশালী কারা, নাম জানতে চাইলে স্থানীয়রা নাম প্রকাশে অপরগতা প্রকাশ করেন।
আমতলী পৌর শহরের হাসপাতাল সড়কের বাবুল হোসেন বলেন, ‘সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমতি না নিয়েই স্থাপনা নির্মাণ করেছি। সরকারের প্রয়োজন হলে জমি ছেড়ে দেব।’
পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিক উল্যাহ বলেন, ‘মানুষকে সচেতন করতে আইনের ধারা লিখে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে, যাতে তারা সরকারী জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ না করেন। কিন্তু তারা সচেতন হয়নি। যারা সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন, তাদের ওই সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জড়িতের প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মহাসড়ক আইনের ৯ (১১) ধারা অনুযায়ী মহাসড়কের উভয় পার্শ্বে ভূমির প্রান্তসীমা থেকে ১০ মিটারের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা দন্ডনীয় অপরাধ। এমন আইনের ধারা সম্বলিত লেখা সাইনবোর্ডের নিচেই নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা।
পটুয়াখালী-কুয়াকাটা ৭১ কিলোমিটার মহাসড়কের পাশে এমন কয়েক হাজার অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এ সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।
জানা গেছে, পটুয়াখালী-কুয়াকাটা ৭১ কিলোমিটার মহাসড়ক। এ মহাসড়কের উভয় পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১০ মিটার করে ভূমি রয়েছে। এ সব ভূমি রক্ষায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ ৭১ কিলোমিটার মহাসড়কের অন্তত দুই ডজন স্থানে ‘মহাসড়ক আইনের ৯ (১১) ধারা অনুযায়ী মহাসড়কের উভয় পাশে ভূমির প্রান্তসীমা হতে ১০ মিটারের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা দন্ডনীয় অপরাধ’ লেখা সাইনবোর্ড টানিয়েছে।
কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা ওই সব ভূমি দখল করে বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে হাজার হাজার পাকা-আধা পাকা ও কাঁচা স্থাপনা নির্মাণ করেছে। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ওই জমি অধিক মূল্যে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
গত ২০ বছর ধরে সড়কের পাশের ভূমি এমন ক্রয়-বিক্রয় চললেও সড়ক বিভাগ নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এ জমি উদ্ধারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। আরও অভিযোগ রয়েছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি মহল ওই জমি ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। ফলে সড়কের পাশে অহরহ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে। এতে সড়কে দুর্ঘটনাসহ নানা সমস্যার দেখা দিচ্ছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ৭১ কিলোমিটারের শতাধিক স্ট্যান্ডে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে প্রভাবশালীরা। ওই স্থাপনায় তারা ব্যবসা করছেন।
বরগুনার আমতলী উপজেলার শাখারিয়া থেকে বান্দ্রা ৩৭ কিলোমিটার সড়কের শাখারিয়া, ব্রিকস ফিল্ড, কেওয়াবুনিয়া, মহিষকাটা, চুনাখালী, আমড়াগাছিয়া খানকা, ডাক্তারবাড়ী, ঘটখালী, তুলাতলী, একে স্কুল চৌরাস্তা, ছুরিকাটা, মানিকঝুড়ি, খুড়িয়ার খেয়াঘাট, খলিয়ান, কল্যাণপুর ও বান্দ্রাসহ অন্তত ৩০টি স্থানে প্রভাবশালীরা জমি দখল করে সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। অবৈধ স্থাপনার সাথেই সড়ক ও জনপথ বিভাগের আইনের সাইনবোর্ড টানানো আছে কিন্তু বাস্তবে তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বান্দ্রা স্ট্যান্ডের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা করছি। কেউ তো উচ্ছেদ করতে আসেনি।’ তারা আরও বলেন, ‘তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতাদের মাধ্যমে সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজনকে ম্যানেজ করে স্থাপনা নির্মাণ করেছি।’
মহিষকাটা স্ট্যান্ডের আয়াত ডিজিটাল স্টুডিওর মালিক মিজানুর রহমান ও মৃধা হোটেলের মালিক জলিল মৃধা বলেন, ‘গত ২০ বছর ধরে মাসিক চুক্তিতে ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছি। কিন্তু মালিক কিভাবে সড়কের পাশে ঘর তুলেছেন তা আমাদের জানা নেই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাখারিয়া বাস স্ট্যান্ডের কয়েকজন বলেন, ‘এভাবে তো গত এক যুগ ধরে চলে আসছে। কেউ তো উচ্ছেদ করতে আসেনি। ভয় দেখাতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজন আইনের ধারা লিখে সাইনবোর্ড টানিয়েছে।’ তারা আরও বলেন, ‘যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সেই দলের নেতাদের অনুমতি নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করতে হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের মৌখিক অনুমতি নিয়েই স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। তাদের ম্যানেজ ছাড়া কিছুই হয়নি।’ তবে এই প্রভাবশালী কারা, নাম জানতে চাইলে স্থানীয়রা নাম প্রকাশে অপরগতা প্রকাশ করেন।
আমতলী পৌর শহরের হাসপাতাল সড়কের বাবুল হোসেন বলেন, ‘সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমতি না নিয়েই স্থাপনা নির্মাণ করেছি। সরকারের প্রয়োজন হলে জমি ছেড়ে দেব।’
পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিক উল্যাহ বলেন, ‘মানুষকে সচেতন করতে আইনের ধারা লিখে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে, যাতে তারা সরকারী জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ না করেন। কিন্তু তারা সচেতন হয়নি। যারা সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন, তাদের ওই সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জড়িতের প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে নিষিদ্ধঘোষিত দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া না দিতে মাইকিং করেছে পুলিশ। কোনো ভাড়াটিয়া নিষিদ্ধঘোষিত দলের সদস্য হিসেবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আটক হলে সেই বাড়ির মালিককে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সহযোগী হিসেবে আটক করা হবে মাইকিংয়ে বলা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে গোসলের সময় নারী পর্যটকদের ভিডিও ধারণ ও অশ্লীল কথাবার্তার দায়ে মো. রুবেল (৩০) নামের এক যুবকের এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট...
২ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার থেকে যাত্রীবেশে পাকস্থলীতে করে ইয়াবা বড়ি নিয়ে এসে ধরা পড়েছেন রাজু মোল্লা নামের এক মাদক কারবারি। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেরাঙামাটির সাজেকে চান্দের গাড়ি দুর্ঘটনায় ছাত্রী নিহতের ঘটনায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল সাদাত এ তথ্য জানিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে