Ajker Patrika

থানচিতে পাহাড়িদের বিয়ে নিবন্ধনের কাজ শুরু হচ্ছে

থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি  
থানচিতে হেডম্যান কারবারি কল্যাণ পরিষদের আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
থানচিতে হেডম্যান কারবারি কল্যাণ পরিষদের আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বান্দরবানের থানচিতে কারবারি হেডম্যানের মাধ্যমে পাহাড়িদের বিয়ে নিবন্ধন চলতি মার্চ থেকে শুরু হবে। এ জন্য প্রতিটি কারবারি হেডম্যানের হাতে নিবন্ধন বই দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার উপজেলা পরিষদের হলরুমে হেডম্যান কারবারি কল্যাণ পরিষদের মিলন মেলা ও প্রথাগতবিষয়ক আলোচনা সভায় এসব কথা জানানো হয়।

‘হেডম্যান কারবারি একসঙ্গে চলি, প্রথা রীতিনীতি সংরক্ষণে এক থাকি’ এই প্রতিপাদ্যে বোমাং সার্কেল হেডম্যান-কারবারি কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য খামলাই ম্রো, সদস্য আইনজীবী উবাথোয়াই মারমা, ইউএনও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-ফয়সাল, থানার ওসি নাছির উদ্দিন মজুমদার, প্রেসক্লাবের সভাপতি মংবোওয়াংচিং মারমা অনুপম, বোমাং সার্কেলের হেডম্যান কারবারি কল্যাণ পরিষদের সম্পাদক উনিংহ্লা মারমা প্রমুখ।

উপজেলা হেডম্যান কারবারি কল্যাণ পরিষদের সভাপতি বাথোয়াইচিং মারমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক উবামং কারবারি, হেডম্যান শিমন ত্রিপুরা, পিটর কারবারি, ঞোহ্লা কারবারি, জ্ঞানলাল কারবারি প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন হেডম্যান মুইশৈথুই মারমা।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপজেলার ১১টি মৌজাপ্রধান হেডম্যান, ২৪২টি গ্রামের প্রধান, সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১৪
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তসহ সাতজনকে আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-১৪)।

আজ শনিবার ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, আটক ব্যক্তিরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। আটককৃতরা হলেন: মো. লিমন সরকার (১৯), মো. তারেক হোসেন (১৯), মো. মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিজুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮), মো. মিরাজ হোসেন আকন (৪৬)।

জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করেছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাবের একাধিক টিম ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা অভিযান চালায়। অভিযানে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এই সাতজনকে আটক করা সম্ভব হয়।

উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ওই হিন্দু যুবককে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল এবং স্থানীয়রা দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। পুলিশ ও র‍্যাব যৌথভাবে তদন্ত শুরু করার পর আজ কয়েকজন অভিযুক্তকে আটক করা হলো।

র‍্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আটককৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে। অধিকতর তদন্তের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আনিসুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) সভাপতি ও জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার গুমানমর্দন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, রাত ১২টার দিকে ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে ঘটনাস্থলে আসে। তারা আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বাড়িতে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ঘটনার সময় আনিসুল ইসলাম কিংবা তাঁর পরিবারের কোনো সদস্য বাড়িতে ছিলেন না।

হামলাকারীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোঁটা ছিল এবং অধিকাংশের মুখে মাস্ক পরা ছিল। তারা ঘরের আসবাব তছনছ করে একপর্যায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বাড়ির সামনে থাকা একটি প্রাইভেট কার পুড়ে যায়। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে কাজ চলছে। হামলার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পেছনের উদ্দেশ্য ও জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে সব দিক বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

মাগুরা প্রতিনিধি 
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০৪
মাগুরা থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাগুরা থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাগুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মহাপরিচালক মাহবুবুল আলম এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহার বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।

গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জেলা জজ আদালত-সংলগ্ন ডক্টরস মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাসের পাশে দোতলা ‘জোহা ভবনে’ এই আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।

জোহার ভবন-সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানের মালিক প্রদীপ মণ্ডল এবং ডেকোরেটর ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর কয়েকজন দুই লিটারের অকটেনের বোতল সিমেন্টের ব্যাগের ভেতর ভরে ভবনের পেছন দিক দিয়ে প্রবেশ করে। পরে তারা মূল ফটক ও জানালার অংশে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। আগুনের শিখা দেখতে পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ভবনটির সব সময় জানালা-দরজা লাগানো থাকে বলে আগুন বেশি দূর ছড়াতে পারেনি। তাঁরা জানান, এই ভবনে একমাত্র কেয়ারটেকার ইনজার আলী বিশ্বাস থাকেন।

এ বিষয়ে কেয়ারটেকার ইনজার আলী জানান, তিনি ঘটনার সময় বাইরে ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে এসে দেখেন প্রতিবেশীরা আগুন নেভাচ্ছেন।

মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তপন কুমার বলেন, এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। তদন্ত চলছে। কারা এই ঘটনায় জড়িত, তা খুঁজে দেখা হবে।

এদিকে আজ শনিবার সকালে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম জানান, পুলিশ ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তেলের বোতল, মশালের টুকরাসহ কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে। তিনি বলেন, কারা এই নাশকতার সঙ্গে জড়িত, তা শনাক্তে পুলিশের একটি দল কাজ করে যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপি নেতার ঘরে আগুন লাগানোর অভিযোগ, শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ তিন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৫৭
আগুনে জ্বলছে ঘর। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগুনে জ্বলছে ঘর। ছবি: আজকের পত্রিকা

লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আগুনে আয়েশা বেগম (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই মেয়ে।

বেলাল হোসেন সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ দুই শিশু বীথি আক্তার (১৪) ও স্মৃতি আক্তারের (১৭) অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় নিজের ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন বেলাল হোসেন। গভীর রাতে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দৃর্বৃত্তরা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঘুমন্ত শিশু আয়েশা দগ্ধ হয়ে মারা যায়। দগ্ধ হন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই মেয়ে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তিনজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রনজিত কুমার দাস বলেন, এক শিশুকে মৃত এবং অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা অরূপ পাল বলেন, বেলাল হোসেনের শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। দুই শিশুর শরীর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক শিশু মারা গেছে। আরও তিনজন অগ্নিদগ্ধ। তবে আগুনের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এটি পরিকল্পিতভাবে নাশকতা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত