Ajker Patrika

টিকা পেয়ে খুশি পাহাড়িরা

আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২১, ১১: ৪১
টিকা পেয়ে খুশি পাহাড়িরা

আবহাওয়া খানিকটা বিরূপ থাকলেও পার্বত্য তিন জেলায় গতকাল শনিবার ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে কেন্দ্রগুলোতে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে টিকাপ্রত্যাশীরা ভিড় করেন। ভোগান্তি ছাড়া টিকা নিতে পেরে খুশি তাঁরা। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মীদের পাশাপাশি যুব রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সদস্যরা সেবা দিয়েছেন। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর–

খাগড়াছড়ি: জেলার ৯ উপজেলার ৩৮ ইউনিয়ন ও ৩ পৌরসভায় একযোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে জেলায় ২৪ হাজার ৮০০ ডোজ টিকা দেওয়া হবে। কেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে রেজিস্ট্রেশন ও টিকা গ্রহণ করতে দেখা গেছে প্রত্যাশীদের। কেন্দ্রভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত টিকাপ্রত্যাশী থাকায় অনেকে না পেয়ে ফিরে গেছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই ছিল না।

সিভিল সার্জন নুপুর কান্তি দাশ জানান, দুর্গম এলাকার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে হেলিকপ্টারে টিকা পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানান তিনি।

লক্ষ্মীছড়ি: উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ৬০০ করে মোট ১ হাজার ৮০০ টিকা দেওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী সাইফুল আলম জানান, একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে এই কার্যক্রম পৌঁছানোর কারণে টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যাও বেড়েছে।

দীঘিনালা: উপজেলার পাঁচটি ইউপিতে ১৫টি বুথের মধ্যে টিকা দেওয়া হয়। আগের দিন শুক্রবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. তনয় তালুকদার সাংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিলেন, উপজেলায় ৩ হাজার লোককে টিকা দেওয়া হবে।

মাটিরাঙ্গা: উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের সাতটি কেন্দ্রের ২১টি বুথে ৪ হাজার ২০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়। ইউপি চেয়ারম্যান ও তদারক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি এদিন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হেদায়েত উল্লা টিকাকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন।

মহালছড়ি: উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ১০টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ধনিষ্ঠা চাকমা বলেন, প্রতি ইউনিয়নে ৬০০ করে মোট ৩ হাজার জনকে টিকা প্রদান করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে ক্যায়াংঘাট ইউনিয়ন দুর্গম হওয়ায় লোকজন আসতে না পারায় ৬০০ জনকে টিকা প্রয়োগ সম্ভব হবে না।

পানছড়ি: উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের পাঁচ কেন্দ্রে সকালে টিকাদান শুরু হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনাবিষয়ক কর্মকর্তা ডাক্তার অনুতোষ চাকমা জানান, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর বৃষ্টির কারণে কয়েকটি কেন্দ্রে লোকজন আসতে পারেনি।

মানিকছড়ি: উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ পাঁচটি কেন্দ্রে সকাল থেকে টিকা–গ্রহীতার ভিড়ে দেখা গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রতন খীসা জানান, ইউপির চার কেন্দ্রে টিকা নিয়েছেন ২ হাজার ৪০০ জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়েছেন ৩৪২ জন।

রামগড়: উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতায় রামগড়ের দুটি ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নে টিকা দেওয়া হয়। তিনটি কেন্দ্রে ১ হাজার ৮০০ জনকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করার কথা জানিয়েছিল রামগড় উপজেলা প্রশাসন।

বিলাইছড়িতে করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু।

গুইমারা: উপজেলার জালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে টিকাদান উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তুষার আহমেদ। এদিন তিনটি ইউনিয়নে ১ হাজার ৮০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে বলে জানায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি): উপজেলার পৌরসভা ও ইউনিয়নের আটটি কেন্দ্রে সকাল থেকে টিকা দেওয়া হয়। প্রথম দিন বাঘাইছড়িতে টিকার ৪ হাজার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিশলয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফুল ইসলাম। এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইফতেখার আহম্মেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কাপ্তাই: উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্রে ৬০০ জন করে সর্বমোট ৩ হাজার ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছেন বলে জানিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের করোনার ফোকাল পারসন ডা. ওমর ফারুক রনি। সকালে কেআরসি উচ্চ বিদ্যালয়ে এর উদ্বোধন করেন ইউএনও মুনতাসির জাহান ও উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজুল হক।

বরকল: উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে টিকা দেওয়া হয়েছে। সকালে পাঁচ কেন্দ্রে ৩ হাজার ব্যক্তিকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। অপরদিকে বরকল উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৬০ জনকে ডোজ প্রদান করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মংক্যছিং সাগর কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন বলে জানান।

বিলাইছড়ি: উপজেলার সদর ইউপি প্রাঙ্গণে তিনটি বুথে টিকা প্রদান করে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ ছাড়া কেংড়াছড়ি ও ফারুয়া ইউনিয়নে এ টিকা দেওয়া হয়। মোট ১ হাজার ৮০০ জনকে টিকার দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে দুর্গম হওয়ায় বড়থলি ইউনিয়নে টিকা কর্মসূচি নেওয়া হয়নি।

রাজস্থলী: উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের তিনটি কেন্দ্রে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুইহ্লা অং মারমা জানান, প্রতি ইউনিয়নে ৬০০ জন করে তিনটি ইউনিয়নে সর্বমোট ১ হাজার ৮০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়।

লংগদু: উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের সিতটি কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অরবিন্দ চাকমা জানান, প্রথম দিনে লংগদুতে ৪ হাজার ২০০ টিকার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সাতটি কেন্দ্রে ১৮ স্বাস্থ্য সহকারীসহ রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা কাজ করেন।

থানচি (বান্দরবান) : উপজেলার ছয়টি কেন্দ্রে ১৮টি বুথে সকাল থেকে টিকা দেওয়া হয়। এদিন ১ হাজার ২০০ ডোজ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সদর ইউনিয়নের সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে বুথ উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা।

নাইক্ষ্যংছড়ি: সীমান্ত জনপদ নাইক্ষ্যংছড়ির পাঁচ ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্রে তিনটি করে বুথ ছিল। প্রতিটি বুথে ২০০ টিকা দেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ইউএনও সালমা ফেরদৌস ও উপজেলা হাসপাতালের প্রধান (টিএইচ) ডা. এ জেট এম ছলিম।

আলীকদম: উপজেলার চিরটি ইউনিয়নের ২ হাজার ৪০০ ব্যক্তিকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ প্রদান করা হয়েছে। এ সময় টিকাকেন্দ্রগুলোতে বিশৃঙ্খলা দেখা গেছে। সকালে আলীকদম আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান ইউএনও মো. সায়েদ ইকবাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠিত

পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেছেন, পিএইচপি কোরআনের আলো বিশ্বজুড়ে আলো ছড়াচ্ছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে দিনব্যাপী পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি প্রতিযোগীদের হাতে ইয়েস কার্ড, ক্রেস্ট ও উপহার তুলে দেন। এ সময় মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘পিএইচপির আয়োজনে ‘‘পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে’’ প্রতিযোগিতা। বিশ্বজুড়ে কোরআনের আলো ছড়াতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রমজান মাস ধরে আমাদের আয়োজকেরা হাফেজে কোরআনদের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। গত ১৭ বছর ধরে চলে আসা এই অনুষ্ঠান দেশে ধারাবাহিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।’

কোরআনের আলো অনুষ্ঠানকে চলমান রাখার ঘোষণা দিয়ে মোহাম্মদ মহসিন বলেন, পিএইচপি কেয়ামত পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে থাকবে। তিনি বলেন, যারা কুফরি করে এবং মানুষকে সত্যের পথ থেকে ফিরিয়ে রাখে, আল্লাহ তাদের দুনিয়ায় শাস্তি দেবেন এবং আখিরাতে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন—এটিই হচ্ছে মহান আল্লাহর ঘোষণা। প্রত্যেকের জীবনকে পবিত্র কোরআনের আলোয় জীবন গঠন করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির অনুষ্ঠান পরিচালক সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, ‘সারা দেশের হাজার হাজার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বাছাই করে টিভি অনুষ্ঠানের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। সেখান থেকে মাত্র চারজনকে বাছাই করা অনেক কঠিন কাজ। এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে চূড়ান্ত পর্যায়ে আমরা পৌঁছাই।’ অডিশনে উপস্থিত ছিলেন কোরআনের আলো ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মুফতি মোহম্মদ মহিউদ্দিন, অর্থ সচিব হাফেজ মোহাম্মদ জাকারিয়া, ক্বারী মাওলানা জহিরুল ইসলাম, হাফেজ আবদুল্লাহ আল জায়েদ, পিএইচপি পরিবারের মিডিয়া অ্যাডভাইজার দিলশাদ আহমেদসহ পিএইচপি পরিবার ও আয়োজকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে আড়াই ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক

মাদারীপুর প্রতিনিধি
ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনের মনোনয়নবঞ্চিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে লাভলু সিদ্দিকীর অনুসারীরা।

লাভলু জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর গোলচত্বরে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধের কারণে এক্সপ্রেসওয়ের উভয় পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর সমর্থকেরা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শিবচর অংশে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ সময় পর সড়ক অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, দীর্ঘ যানজট

 কুমিল্লা প্রতিনিধি 
কুমিল্লার আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লার আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও সিটি করপোরেশন) আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিক্ষোভ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, পাড়া-মহল্লা থেকে হাজারো নেতা-কর্মী কান্দিরপাড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা দলীয় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান এবং প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন।

ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার মজুমদার রাত পৌনে ১২টার দিকে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত হাজী ইয়াছিনের সমর্থকেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলছি। যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বলে তাঁদের মহাসড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুষ্টিয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকদের সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুষ্টিয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর গেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নেন সোহরাব সমর্থকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও প্রতিবাদ মিছিল করেন।

এ ছাড়াও সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষ্মীপুর এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেছেন।

এ সময় তাঁরা বলেন, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে আবার মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।

এর আগে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৩ (সদর) কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।

এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।

জানতে চাইলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও সদ্য সদর আসনের মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত