Ajker Patrika

পাইকারিতে কমলেও খুচরা বাজারে চালের দাম অপরিবর্তিত

আয়নাল হোসেন ও মাহমুদ সোহেল
পাইকারিতে কমলেও খুচরা বাজারে চালের দাম অপরিবর্তিত

ঢাকা: রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মোকাম ও পাইকারি বাজারে চালের দাম কমেছে। পাইকারি বাজারে চালের দাম কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ছয় টাকা এবং মোকামে মাঝারি মানের চাল কেজিপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েনি। ভোক্তারা আগের দামেই চাল কিনছেন।

রামপুরা বাজারে নিয়মিত বাজার করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিক হাসান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, এ বছর রেকর্ড পরিমাণ বোরো ধান উৎপাদিত হয়েছে। নতুন চাল বাজারেও এসেছে। এর পরও চালের দাম কমছে না। খুচরা ব্যবসায়ীরা আগের দামেই চাল বিক্রি করছেন। এ দেশে ক্রেতাদের অধিকার নিয়ে কেউ ভাবেন না। বাজার মনিটরিং টিম যেন ঘুমিয়ে আছে।

রাজধানীর বাবুবাজার এলাকার পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা জানান, আগে মানভেদে প্রতিকেজি মিনিকেট চালের দাম ছিল ৬০ থেকে ৬৪ টাকা দামে বিক্রি হতো, যা গতকাল বুধবার বিক্রি হয়েছে ৫৭ থেকে ৫৮ টাকায়। বিআর-২৮ চালের দাম ছিল ৫০ টাকা, যা গতকাল বিক্রি হয়েছে ৪৪ টাকায়। অর্থাৎ, পাইকারি বাজারে চালের দাম কেজিপ্রতি তিন থেকে ছয় টাকা পর্যন্ত কমেছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, গতকাল বুধবার কেজিপ্রতি সরু চাল বিক্রি হয়েছে ৫৭ থেকে ৬৫ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা। মাঝারি মানের চাল কেজিপ্রতি ৫২ থেকে ৫৬ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, যা আগে ছিল ৫২ থেকে ৫৮ টাকা। আর মোটা চাল ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দেশের উত্তরাঞ্চলের নওগাঁ জেলার চালকল মালিকেরা জানান, আগে ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা মিনিকেট চালের দাম ছিল ২ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা। বর্তমানে এ মানের প্রতি বস্তা চাল ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বস্তাপ্রতি দাম কমেছে ৩০০ টাকা।

পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরা বাজারে দাম অপরিবর্তিত থাকার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, পাইকারি বাজারের সঙ্গে মহল্লার বাজার মেলানো যাবে না। অনেক সময় তাদের আগে থেকে চাল কেনা থাকে। তাই পাইকারিতে দাম কমলেও খুচরায় তারা কমে বিক্রি করতে পারে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত