শুভাশিস সিনহা
তুমি
অনেক অনেক দিন যাই না তোমার কাছে
তুমি তো সবুজ ঘাস, ধুলোয় গিয়েছ ঢেকে,
তুমি নীল, লুকিয়েছ আকাশের
কালো কালো মেঘের তলায়
তুমি রক্ত, একবার ছুরির খোঁচায়
আপন মাংসের থেকে প্রকাশিবে ভুলে,
তুমি তাড়াহুড়োয় ছিটকে পড়া
জামার বোতাম,
সুঁই হাতে বসে থাকা ঢুলুঢুলু
পুরাতন দর্জি,
মায়া, থেমে থাকা গান, আবক্ষ বেহাগ
তুমি তো পুরোনো পথ, নতুন নতুন বাঁকে
টান দিয়ে ঘটাও আপন নবায়ন,
কুড়ানো পাতার স্তূপ উড়ানোর
ঝোড়ো দীর্ঘশ্বাস
গ্রীষ্ম যায়, বরষা ঘোমটা খোলে, আধো,
নীপবনে জাগিছে হৃদয়
তুমি তবু কুহেলি হরিণী ছায়া,
নয়, কেউ নয়, কিছু নয়!
মেঘগান
জল হয়ে এলে অতলে হারালে
কালো আসমান নীল
পবন গোপন বেদন জাগালে
অশ্রু করে মিছিল।
স্লোগানে ও গানে পথে উৎসব
অক্ষরক্ষরা ভাষা
হাত খুলে যায় পাও ডুবে যায়
ছবিগুলো ভাসা ভাসা।
ভেসে যায় দাঁড়ি, কোলন কি কমা
বুকে ডুব দেয় ধ্বনি
তরঙ্গ ছোটে ভেঙেচুরে পাড়
খোঁজে নয়া সিম্ফনি।
সুর ভুলে যান রবীন্দ্রনাথ
বাজে কোন ভর্ৎসনা,
বিদ্যুৎরেখা কার হয়ে লেখে–
‘আসব না হাসব না!’
আমার ফেরার পথ
আমার ফেরার পথ এক
পথে থাকা মানুষগুলোও
কেবল কখনো গোধূলির রং
কখনো ঝাপটে আসা মেঘ
কখনো রোদ্দুর
সন্ধ্যাও বা
চায়ের দোকানগুলো বিষণ্ন, দু'এক জন
চা না খেয়ে সিগারেট খায়
লাইব্রেরিটাতে আসে না নতুন বই
ফের ফের ফটোকপি হয়
আমার ফেরার পথে নদী আছে
কখনো কখনো
প্রায়ই থাকে চর, বরষায় বান হয়ে যায়
পুরোনো আওয়াজগুলো
হাসিগুলো
আশপাশে ফেরে
একটি ওড়না ওড়ে
দীর্ঘশ্বাস মাখা তার বাতাসে হাওয়ায়
তারে তো দেখি না
সে থাকে পেছনে, আড়ালে আড়াল
আমার ফেরার পথ পিছল পিছল অন্তরাল!
তুমি
অনেক অনেক দিন যাই না তোমার কাছে
তুমি তো সবুজ ঘাস, ধুলোয় গিয়েছ ঢেকে,
তুমি নীল, লুকিয়েছ আকাশের
কালো কালো মেঘের তলায়
তুমি রক্ত, একবার ছুরির খোঁচায়
আপন মাংসের থেকে প্রকাশিবে ভুলে,
তুমি তাড়াহুড়োয় ছিটকে পড়া
জামার বোতাম,
সুঁই হাতে বসে থাকা ঢুলুঢুলু
পুরাতন দর্জি,
মায়া, থেমে থাকা গান, আবক্ষ বেহাগ
তুমি তো পুরোনো পথ, নতুন নতুন বাঁকে
টান দিয়ে ঘটাও আপন নবায়ন,
কুড়ানো পাতার স্তূপ উড়ানোর
ঝোড়ো দীর্ঘশ্বাস
গ্রীষ্ম যায়, বরষা ঘোমটা খোলে, আধো,
নীপবনে জাগিছে হৃদয়
তুমি তবু কুহেলি হরিণী ছায়া,
নয়, কেউ নয়, কিছু নয়!
মেঘগান
জল হয়ে এলে অতলে হারালে
কালো আসমান নীল
পবন গোপন বেদন জাগালে
অশ্রু করে মিছিল।
স্লোগানে ও গানে পথে উৎসব
অক্ষরক্ষরা ভাষা
হাত খুলে যায় পাও ডুবে যায়
ছবিগুলো ভাসা ভাসা।
ভেসে যায় দাঁড়ি, কোলন কি কমা
বুকে ডুব দেয় ধ্বনি
তরঙ্গ ছোটে ভেঙেচুরে পাড়
খোঁজে নয়া সিম্ফনি।
সুর ভুলে যান রবীন্দ্রনাথ
বাজে কোন ভর্ৎসনা,
বিদ্যুৎরেখা কার হয়ে লেখে–
‘আসব না হাসব না!’
আমার ফেরার পথ
আমার ফেরার পথ এক
পথে থাকা মানুষগুলোও
কেবল কখনো গোধূলির রং
কখনো ঝাপটে আসা মেঘ
কখনো রোদ্দুর
সন্ধ্যাও বা
চায়ের দোকানগুলো বিষণ্ন, দু'এক জন
চা না খেয়ে সিগারেট খায়
লাইব্রেরিটাতে আসে না নতুন বই
ফের ফের ফটোকপি হয়
আমার ফেরার পথে নদী আছে
কখনো কখনো
প্রায়ই থাকে চর, বরষায় বান হয়ে যায়
পুরোনো আওয়াজগুলো
হাসিগুলো
আশপাশে ফেরে
একটি ওড়না ওড়ে
দীর্ঘশ্বাস মাখা তার বাতাসে হাওয়ায়
তারে তো দেখি না
সে থাকে পেছনে, আড়ালে আড়াল
আমার ফেরার পথ পিছল পিছল অন্তরাল!
বাংলা সাহিত্যের নক্ষত্র, নোবেলজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৩৫টি হাতে লেখা চিঠি ও ১৪টি খাম আগামী সপ্তাহে নিলামে উঠছে। এর আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ৫-৭ কোটি রুপি। মূল্য ও ব্যাপ্তির দিক থেকে কবির সৃষ্টিকর্মের সবচেয়ে বড় নিলাম হতে চলেছে এটি। এই ঐতিহাসিক নিলামটি ২৬-২৭ জুন অনলাইনে আয়োজন করবে মুম্বাইভিত্তিক
৩ ঘণ্টা আগেসামগ্রিকভাবে পশ্চিমা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিল্পকর্মকে ‘বুর্জোয়া’ ও ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ বলে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করা হয় চীনে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই শেকসপিয়ারের সব সাহিত্যকর্ম—যেমন হ্যামলেট, ম্যাকবেথ, রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট, ওথেলো ইত্যাদি—চীনে নিষিদ্ধ হয়, কারণ সেগুলোতে চীনা কমিউনিস্ট আদর্শের ‘সঠিক রাজনৈতিক
২৫ মে ২০২৫কবি নজরুল ইসলামের বহুল পরিচিতি ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে, কিন্তু নজরুল উঁচুমার্গের ‘সাম্যবাদী কবি’ও বটেন। নজরুলের সাম্যচিন্তা তাঁর জীবনের বাস্তবতা থেকে উদ্ভূত। তাঁর শৈশব-কৈশোরের জীবন-অভিজ্ঞতা, তাঁর যৌবনের যাপিত জীবন তাঁকে বাস্তব পৃথিবীর দারিদ্র্য, অসমতা ও অসাম্যের সঙ্গে পরিচিত করেছে অত্যন্ত নগ্নভাবে...
২৫ মে ২০২৫বাংলা সাহিত্যে জনপ্রিয় সাহিত্যিকদের মধ্যে নজরুল অন্যতম। সাধারণত জনপ্রিয় সাহিত্যিকদের বেলায় দেখা যায় কালের সীমা অতিক্রম করলে তাঁদের নাম ইতিহাসের পাতায় আর পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে নজরুলের জীবন ও সাহিত্য কালের সীমা অতিক্রম করে আজও পাঠকপ্রিয় হয়ে আছে। এর মূলে রয়েছে তাঁর সচেতন জীবনবোধ...
২৫ মে ২০২৫