যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি বইমেলা হবে। সেখানে নিলামে উঠছে ‘বার্ড ম্যান’ নামে পরিচিত এক ব্যক্তির চিত্রকর্মে ঠাসা একটি বইয়ের সেট। আর এগুলোর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ লাখ পাউন্ড। কে এই বার্ড ম্যান আর কী আছে এই বইগুলিতে?
জন গুল্ড ছিলেন ১৯ শতকের লন্ডনের সবচেয়ে নামী ট্যাক্সিডার্মিস্টদের একজন। মৃত প্রাণীর চামড়ার ভেতরে খড়সহ বিভিন্ন উপাদান ঢুকিয়ে ট্যাক্সিডর্মিস্টরা এমন রূপ দেন, দেখতে এদের অনেকটা জীবিত প্রাণীর মতোই লাগে। রাজা চতুর্থ জর্জ তাঁকে দায়িত্ব দেন ইংল্যান্ডে আসা প্রথম জিরাফের মৃতদেহ স্টাফ বা ট্যাক্সিডার্মি করার।
তবে গুল্ডের মূল আগ্রহের জায়গা ছিল পাখি। পৃথিবীর নানা জায়গা ঘুরে যতগুলো পাখি প্রজাতি পান, সেগুলোর তথ্য সংরক্ষণ ও ক্যাটালগ করেছিলেন। এসব পাখির অনেকগুলোকেই আগে কখনো দেখা যায়নি। এ কারণে ‘বার্ড ম্যান’ নাম পেয়ে যান তিনি এবং জুওলজিক্যাল সোসাইটি তাঁকে ‘বার্ড স্টাফার’ হিসেবে নিয়োগ করে।
গুল্ড তাঁর আবিষ্কার করা পাখিগুলোর নোট ও স্কেচ থেকে বেশ কয়েকটি সুন্দর পেইন্টিং তৈরি করেছিলেন, যার মধ্যে আছে ১৮৩৬ সালে চার্লস ডারউইন এইচএমএস বিগলের অভিযানের পরে যেগুলো ব্রিটেনে ফিরিয়ে এনেছিলেন সেগুলোর চিত্রকর্মও।
আগামী সপ্তাহে গুল্ডের সমস্ত চিত্রসংবলিত তাঁর বইগুলোর একটি অত্যন্ত দুর্লভ সেট লন্ডনের একটি বইমেলায় নিলামে তোলা হবে। আর এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ লাখ পাউন্ড।
ফার্স্ট বুক ফেয়ার নামের বইমেলাটি হবে ১৬ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত সাচি গ্যালারিতে। বইয়ের ডিলার পিটার হ্যারিংটনের মালিক ও ফার্স্ট বুক ফেয়ারের চেয়ারম্যান পম হ্যারিংটন বলেন, একটি সংগ্রহে সম্পূর্ণ সেট পাওয়ার কথা শোনা যায় না বললেই চলে। এটি বাজারে আসা সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ সেট।
‘উনিশ শতকে ছয় দশকজুড়ে এগুলো প্রকাশিত হয়। এ ধরনের ফোলিও বা বই খুব কমই একসঙ্গে পাওয়া যায়। আর বাজারে সেট হিসেবে আসার বিষয়টা খুবই কম ঘটে।’ বলেন হ্যারিংটন।
বইয়ের সেটটিতে অস্ট্রেলিয়ার স্তন্যপায়ী প্রাণীদের নিয়ে কাজও পাবেন। ১৮৮১ সালে ৭৬ বছর বয়সে মারা যাওয়া গুল্ড ১৮৩৮ সালে ভ্রমণ করেছিলেন সেখানে।
গুল্ড ১৮০৪ সালে ইংল্যান্ডের ডরসেটের লাইম রেজিসে জন্ম নেন। একজন মালির ছেলে গুল্ড তরুণ বয়সেই লন্ডনে তাঁর ট্যাক্সিডার্মি ব্যবসা শুরু করেন।
গুল্ড তাঁর স্ত্রী এলিজাবেথ গোল্ড, উইলিয়াম ম্যাথিউ হার্ট, জোসেফ উলফসহ কিছু শিল্পীকে তাঁর নোট ও স্কেচ থেকে কাজ করার জন্য নিয়োগ করেছিলেন।
‘গোল্ড কখনোই দাবি করেননি যে তিনি এই বর্ণিল চিত্রকর্মগুলোর শিল্পী ছিলেন। তবে তিনি বারবার লিখেছেন, তাঁর করা খসড়া স্কেচ ও বর্ণনা থেকেই শিল্পীরা অঙ্কনগুলো সম্পন্ন করেন।’ বলেন হ্যারিংটন, ‘বইগুলিতে পাখির নকশা ও প্রাকৃতিক বিন্যাস জন গুল্ডের প্রতিভার পরিচয় দেয়।’
গুল্ডের জীবনীকার গর্ডন সয়্যার অক্সফোর্ড ডিকশনারি অব ন্যাশনাল বায়োগ্রাফিতে লেখেন, ডারউইনের জুওলজি অব দ্য ভেয়জ অব এইচএমএস বিগলে পাখিদের অংশটিতে কাজ করেন গুল্ড।
১৮৩৭ সালের জানুয়ারিতে গুল্ড গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ থেকে আনা ১২টি পাখির একটি দল শনাক্তে সাহায্য করেছিলেন।
আগামী সপ্তাহে বিক্রির জন্য তোলা দুর্লভ বইয়ের সেটটি গোল্ডের মৃত্যুর পরে ১৮৮০-র দশকের শেষের দিকে বা ১৮৯০-এর দশকে একজন সংগ্রাহক বা বই বিক্রেতা একত্রিত করেছিলেন এবং পরে বিক্রি করে দেন বলে জানান হ্যারিংটন।
দুর্ভাগ্যবশত, সেটটিতে মালিকানার কোনো চিহ্ন নেই বলে জানান হ্যারিংটন। তই ওই সংগ্রাহক বা বিক্রেতা সম্পর্কে জানা যায়নি।
যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি বইমেলা হবে। সেখানে নিলামে উঠছে ‘বার্ড ম্যান’ নামে পরিচিত এক ব্যক্তির চিত্রকর্মে ঠাসা একটি বইয়ের সেট। আর এগুলোর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ লাখ পাউন্ড। কে এই বার্ড ম্যান আর কী আছে এই বইগুলিতে?
জন গুল্ড ছিলেন ১৯ শতকের লন্ডনের সবচেয়ে নামী ট্যাক্সিডার্মিস্টদের একজন। মৃত প্রাণীর চামড়ার ভেতরে খড়সহ বিভিন্ন উপাদান ঢুকিয়ে ট্যাক্সিডর্মিস্টরা এমন রূপ দেন, দেখতে এদের অনেকটা জীবিত প্রাণীর মতোই লাগে। রাজা চতুর্থ জর্জ তাঁকে দায়িত্ব দেন ইংল্যান্ডে আসা প্রথম জিরাফের মৃতদেহ স্টাফ বা ট্যাক্সিডার্মি করার।
তবে গুল্ডের মূল আগ্রহের জায়গা ছিল পাখি। পৃথিবীর নানা জায়গা ঘুরে যতগুলো পাখি প্রজাতি পান, সেগুলোর তথ্য সংরক্ষণ ও ক্যাটালগ করেছিলেন। এসব পাখির অনেকগুলোকেই আগে কখনো দেখা যায়নি। এ কারণে ‘বার্ড ম্যান’ নাম পেয়ে যান তিনি এবং জুওলজিক্যাল সোসাইটি তাঁকে ‘বার্ড স্টাফার’ হিসেবে নিয়োগ করে।
গুল্ড তাঁর আবিষ্কার করা পাখিগুলোর নোট ও স্কেচ থেকে বেশ কয়েকটি সুন্দর পেইন্টিং তৈরি করেছিলেন, যার মধ্যে আছে ১৮৩৬ সালে চার্লস ডারউইন এইচএমএস বিগলের অভিযানের পরে যেগুলো ব্রিটেনে ফিরিয়ে এনেছিলেন সেগুলোর চিত্রকর্মও।
আগামী সপ্তাহে গুল্ডের সমস্ত চিত্রসংবলিত তাঁর বইগুলোর একটি অত্যন্ত দুর্লভ সেট লন্ডনের একটি বইমেলায় নিলামে তোলা হবে। আর এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ লাখ পাউন্ড।
ফার্স্ট বুক ফেয়ার নামের বইমেলাটি হবে ১৬ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত সাচি গ্যালারিতে। বইয়ের ডিলার পিটার হ্যারিংটনের মালিক ও ফার্স্ট বুক ফেয়ারের চেয়ারম্যান পম হ্যারিংটন বলেন, একটি সংগ্রহে সম্পূর্ণ সেট পাওয়ার কথা শোনা যায় না বললেই চলে। এটি বাজারে আসা সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ সেট।
‘উনিশ শতকে ছয় দশকজুড়ে এগুলো প্রকাশিত হয়। এ ধরনের ফোলিও বা বই খুব কমই একসঙ্গে পাওয়া যায়। আর বাজারে সেট হিসেবে আসার বিষয়টা খুবই কম ঘটে।’ বলেন হ্যারিংটন।
বইয়ের সেটটিতে অস্ট্রেলিয়ার স্তন্যপায়ী প্রাণীদের নিয়ে কাজও পাবেন। ১৮৮১ সালে ৭৬ বছর বয়সে মারা যাওয়া গুল্ড ১৮৩৮ সালে ভ্রমণ করেছিলেন সেখানে।
গুল্ড ১৮০৪ সালে ইংল্যান্ডের ডরসেটের লাইম রেজিসে জন্ম নেন। একজন মালির ছেলে গুল্ড তরুণ বয়সেই লন্ডনে তাঁর ট্যাক্সিডার্মি ব্যবসা শুরু করেন।
গুল্ড তাঁর স্ত্রী এলিজাবেথ গোল্ড, উইলিয়াম ম্যাথিউ হার্ট, জোসেফ উলফসহ কিছু শিল্পীকে তাঁর নোট ও স্কেচ থেকে কাজ করার জন্য নিয়োগ করেছিলেন।
‘গোল্ড কখনোই দাবি করেননি যে তিনি এই বর্ণিল চিত্রকর্মগুলোর শিল্পী ছিলেন। তবে তিনি বারবার লিখেছেন, তাঁর করা খসড়া স্কেচ ও বর্ণনা থেকেই শিল্পীরা অঙ্কনগুলো সম্পন্ন করেন।’ বলেন হ্যারিংটন, ‘বইগুলিতে পাখির নকশা ও প্রাকৃতিক বিন্যাস জন গুল্ডের প্রতিভার পরিচয় দেয়।’
গুল্ডের জীবনীকার গর্ডন সয়্যার অক্সফোর্ড ডিকশনারি অব ন্যাশনাল বায়োগ্রাফিতে লেখেন, ডারউইনের জুওলজি অব দ্য ভেয়জ অব এইচএমএস বিগলে পাখিদের অংশটিতে কাজ করেন গুল্ড।
১৮৩৭ সালের জানুয়ারিতে গুল্ড গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ থেকে আনা ১২টি পাখির একটি দল শনাক্তে সাহায্য করেছিলেন।
আগামী সপ্তাহে বিক্রির জন্য তোলা দুর্লভ বইয়ের সেটটি গোল্ডের মৃত্যুর পরে ১৮৮০-র দশকের শেষের দিকে বা ১৮৯০-এর দশকে একজন সংগ্রাহক বা বই বিক্রেতা একত্রিত করেছিলেন এবং পরে বিক্রি করে দেন বলে জানান হ্যারিংটন।
দুর্ভাগ্যবশত, সেটটিতে মালিকানার কোনো চিহ্ন নেই বলে জানান হ্যারিংটন। তই ওই সংগ্রাহক বা বিক্রেতা সম্পর্কে জানা যায়নি।
একজন শিল্পী সারা জীবন কেবল পালিয়েই বেড়ালেন। খ্যাতি, যশ, অর্থ এমনকি সংসারজীবন থেকে পালিয়ে হয়ে উঠলেন বোহিমিয়ান। শিল্প সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় এক অদ্ভুত আধ্যাত্মিক চরিত্র হয়ে উঠেছিলেন শিল্পী এস এম সুলতান। বেঁচে থাকলে তিনি হতেন শতবর্ষী।
১ দিন আগেরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ নামগুলোর একটি হলেও কেন বাঙালি মুসলমানদের একটি বৃহৎ অংশের কাছে অগ্রহণযোগ্য? কেন দেড় শ বছর আগের এক কবির সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের রয়ে গেছে একটা দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক? এই দ্বন্দ্বের শুরুটা কোথায়?
৫ দিন আগেবাংলাদেশের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক ও অনুবাদক মশিউল আলম ইতালির চিভিতেলা রানিয়েরি ফেলোশিপে ভূষিত হয়েছেন। এই আন্তর্জাতিক সম্মাননা প্রতিবছর বিশ্বের খ্যাতিমান ভিজ্যুয়াল শিল্পী, লেখক ও সংগীতজ্ঞদের দেওয়া হয়। মশিউল আলম এই ফেলোশিপপ্রাপ্ত প্রথম বাংলাদেশি লেখক।
৮ দিন আগেরাউলিং বলেন, ‘হ্যারি পটার আর হগওয়ার্টস হঠাই আমার মাথায় চলে আসে। প্লট আর চরিত্র মাথায় আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি ঠিক করে ফেলি এটা লিখতেই হবে। অসাধারণ এক রোমাঞ্চ অনুভব করছিলাম।’
১১ দিন আগে