আহমেদ খান হীরক
তিনটা পুরোনো কাগজ আর চারটা শোলার কাঠি দিয়ে রাতুল একটা মেশিন বানিয়ে ফেলল। মেঘ ধরার মেশিন।
আর কী!
বারান্দায় দাঁড়িয়ে শুরু হলো মেঘ ধরার কসরত। সুতোয় বাঁধা মেশিনটা ছুড়ে দেয় আকাশে। মেঘ ছুঁতে না ছুঁতেই সেটা আবার ফিরে আসে। প্রতিবার রাতুল আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে; কিন্তু মেঘ আর ধরা পড়ে না।
কী সমস্যা হচ্ছে?
বেশ কিছুক্ষণ চিন্তা করল রাতুল।
মেশিনটার ওপর দিয়ে মেঘ চলে যাচ্ছে, কিন্তু কোনোভাবেই আটকাচ্ছে না কেন?
আটকানোর উপায় অবশ্য আছে।
কী উপায়?
ছুটল রাতুল ভাইয়ার ঘরে। নিয়ে এল কাগজ জোড়া দেওয়ার আঠা। মেশিনের গায়ে লাগিয়ে দিল আঠা। মেশিনটা আবার ছুড়ে দিল আকাশে।
এই মেঘ আয়…
মেশিনের ভেতর আয়…
সাদা মেঘ কালো মেঘ সবই চলে গেল মেশিনটার ওপর দিয়ে। একটাও আটকা পড়ল না। এবার কী করা যায়!
রাতুল নিয়ে এল ছোট্ট একটা বয়াম। কাচের। স্বচ্ছ। মেঘটা যদি এসে বয়ামে ঢুকে যায়, তাহলেই তো আটকা পড়ে যাবে। ধরা পড়ে যাবে মেঘ। বয়ামটা এবার আটকে দিল মেশিনে। ব্যস, ছুড়ে দিল আকাশে!
ওমা, মেঘ ধরার মেশিনটা আকাশে ছুড়তেই শুরু হলো বাতাস। বাতাস অল্প পরেই হয়ে গেল ঝড়। ঝড়টা কিছুক্ষণের মধ্যেই এমন গোঙাতে লাগল…রাতুল তো ভয়ই পেয়ে গেল। মেশিনটা এই দিকে ঝটকা খায় তো ওই দিকে গোঁত্তা! সুতো ছিঁড়ে ওড়েই না যায় মেশিনটা!
খুব শক্ত হাতে সামলাল রাতুল।
ধীরে ধীরে মেশিনটাকে টেনে নিয়ে এল নাগালের কাছে। ভালো করে দেখতেই দেখল ওমা…কাচের বয়ামের ভেতর ছোট্ট একটা মেঘছানা। এই এত্তটুকু। কুকুরছানার মতো নরম আর তুলোর
মতো ধবধবে।
মেঘ ধরা পড়েছে!
মেঘ ধরা পড়েছে!
আমার মেশিনে মেঘ ধরা পড়েছে!
রাতুল হইহই করে এবার বাসা মাথায় তুলল।
ভাইয়া এল ছুটে।
মা এল আঁতকে।
বাবা এল লাফিয়ে।
কোথায় মেঘ? কোথায় মেঘ?
রাতুল এবার তার মেঘ ধরার মেশিনটা দেখাল। বলল, এই যে দেখো, বয়ামের ভেতর সাদা সাদা… ছোট্ট…
কিন্তু রাতুল দেখল মেঘ তো নেই ওখানে আর। ওখানে শুধু পানি। মেঘটা কোথায় গেল!
ভাইয়া বলল, ধুর, পানি জমিয়ে মেঘ বলা হচ্ছে?
রাতুল বলল, একদমই না। আমি মেঘই ধরেছি। কিন্তু তুমি জানো না তো…একটু সময় গেলেই মেঘ বৃষ্টি হয়ে যায়!
তখনই বাইরে বৃষ্টি শুরু হলো ঝমঝমিয়ে। রাতুল বলল, এবার আর মেঘ না, আমি বানাব বৃষ্টি ধরার মেশিন!
শুরু হয়ে গেল রাতুলের বৃষ্টি ধরার মেশিন বানানোর খেলা!
তিনটা পুরোনো কাগজ আর চারটা শোলার কাঠি দিয়ে রাতুল একটা মেশিন বানিয়ে ফেলল। মেঘ ধরার মেশিন।
আর কী!
বারান্দায় দাঁড়িয়ে শুরু হলো মেঘ ধরার কসরত। সুতোয় বাঁধা মেশিনটা ছুড়ে দেয় আকাশে। মেঘ ছুঁতে না ছুঁতেই সেটা আবার ফিরে আসে। প্রতিবার রাতুল আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে; কিন্তু মেঘ আর ধরা পড়ে না।
কী সমস্যা হচ্ছে?
বেশ কিছুক্ষণ চিন্তা করল রাতুল।
মেশিনটার ওপর দিয়ে মেঘ চলে যাচ্ছে, কিন্তু কোনোভাবেই আটকাচ্ছে না কেন?
আটকানোর উপায় অবশ্য আছে।
কী উপায়?
ছুটল রাতুল ভাইয়ার ঘরে। নিয়ে এল কাগজ জোড়া দেওয়ার আঠা। মেশিনের গায়ে লাগিয়ে দিল আঠা। মেশিনটা আবার ছুড়ে দিল আকাশে।
এই মেঘ আয়…
মেশিনের ভেতর আয়…
সাদা মেঘ কালো মেঘ সবই চলে গেল মেশিনটার ওপর দিয়ে। একটাও আটকা পড়ল না। এবার কী করা যায়!
রাতুল নিয়ে এল ছোট্ট একটা বয়াম। কাচের। স্বচ্ছ। মেঘটা যদি এসে বয়ামে ঢুকে যায়, তাহলেই তো আটকা পড়ে যাবে। ধরা পড়ে যাবে মেঘ। বয়ামটা এবার আটকে দিল মেশিনে। ব্যস, ছুড়ে দিল আকাশে!
ওমা, মেঘ ধরার মেশিনটা আকাশে ছুড়তেই শুরু হলো বাতাস। বাতাস অল্প পরেই হয়ে গেল ঝড়। ঝড়টা কিছুক্ষণের মধ্যেই এমন গোঙাতে লাগল…রাতুল তো ভয়ই পেয়ে গেল। মেশিনটা এই দিকে ঝটকা খায় তো ওই দিকে গোঁত্তা! সুতো ছিঁড়ে ওড়েই না যায় মেশিনটা!
খুব শক্ত হাতে সামলাল রাতুল।
ধীরে ধীরে মেশিনটাকে টেনে নিয়ে এল নাগালের কাছে। ভালো করে দেখতেই দেখল ওমা…কাচের বয়ামের ভেতর ছোট্ট একটা মেঘছানা। এই এত্তটুকু। কুকুরছানার মতো নরম আর তুলোর
মতো ধবধবে।
মেঘ ধরা পড়েছে!
মেঘ ধরা পড়েছে!
আমার মেশিনে মেঘ ধরা পড়েছে!
রাতুল হইহই করে এবার বাসা মাথায় তুলল।
ভাইয়া এল ছুটে।
মা এল আঁতকে।
বাবা এল লাফিয়ে।
কোথায় মেঘ? কোথায় মেঘ?
রাতুল এবার তার মেঘ ধরার মেশিনটা দেখাল। বলল, এই যে দেখো, বয়ামের ভেতর সাদা সাদা… ছোট্ট…
কিন্তু রাতুল দেখল মেঘ তো নেই ওখানে আর। ওখানে শুধু পানি। মেঘটা কোথায় গেল!
ভাইয়া বলল, ধুর, পানি জমিয়ে মেঘ বলা হচ্ছে?
রাতুল বলল, একদমই না। আমি মেঘই ধরেছি। কিন্তু তুমি জানো না তো…একটু সময় গেলেই মেঘ বৃষ্টি হয়ে যায়!
তখনই বাইরে বৃষ্টি শুরু হলো ঝমঝমিয়ে। রাতুল বলল, এবার আর মেঘ না, আমি বানাব বৃষ্টি ধরার মেশিন!
শুরু হয়ে গেল রাতুলের বৃষ্টি ধরার মেশিন বানানোর খেলা!
একজন শিল্পী সারা জীবন কেবল পালিয়েই বেড়ালেন। খ্যাতি, যশ, অর্থ এমনকি সংসারজীবন থেকে পালিয়ে হয়ে উঠলেন বোহিমিয়ান। শিল্প সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় এক অদ্ভুত আধ্যাত্মিক চরিত্র হয়ে উঠেছিলেন শিল্পী এস এম সুলতান। বেঁচে থাকলে তিনি হতেন শতবর্ষী।
২ দিন আগেরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ নামগুলোর একটি হলেও কেন বাঙালি মুসলমানদের একটি বৃহৎ অংশের কাছে অগ্রহণযোগ্য? কেন দেড় শ বছর আগের এক কবির সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের রয়ে গেছে একটা দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক? এই দ্বন্দ্বের শুরুটা কোথায়?
৫ দিন আগেবাংলাদেশের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক ও অনুবাদক মশিউল আলম ইতালির চিভিতেলা রানিয়েরি ফেলোশিপে ভূষিত হয়েছেন। এই আন্তর্জাতিক সম্মাননা প্রতিবছর বিশ্বের খ্যাতিমান ভিজ্যুয়াল শিল্পী, লেখক ও সংগীতজ্ঞদের দেওয়া হয়। মশিউল আলম এই ফেলোশিপপ্রাপ্ত প্রথম বাংলাদেশি লেখক।
৯ দিন আগেরাউলিং বলেন, ‘হ্যারি পটার আর হগওয়ার্টস হঠাই আমার মাথায় চলে আসে। প্লট আর চরিত্র মাথায় আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি ঠিক করে ফেলি এটা লিখতেই হবে। অসাধারণ এক রোমাঞ্চ অনুভব করছিলাম।’
১১ দিন আগে