অনলাইন ডেস্ক
কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর আবারও উঠে এসেছে সেই পুরোনো প্রশ্ন—এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে কি না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামে একটি সংগঠন। এটি পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার একটি অঙ্গসংগঠন হিসেবে পরিচিত।
এক বিবৃতিতে টিআরএফ জানিয়েছে, কাশ্মীরে ৮৫ হাজারের বেশি বহিরাগত বসবাস করছে। এ কারণে তারা ক্ষুব্ধ। এই বিষয়ে তারা অনেক আগেই মৌখিক ও লিখিতভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বলেও দাবি করেছে।
হামলাটি এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারত সফর করছিলেন। এই সফরের মধ্যে এমন হামলা নজর কাড়ে আন্তর্জাতিক মহলের। এই বিষয়ে ইতিহাসের প্রসঙ্গ টেনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্টের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মার্কিন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সফরের সময় পাকিস্তান প্রায় সময়ই এমন হামলা ঘটিয়েছে। এর মধ্যে ২০০০ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের ভারত সফরের প্রাক্কালে কাশ্মীরের চিট্টিসিংহপুরায় ৩৬ জন শিখকে হত্যা করা হয়েছিল। ২০০২ সালে সেই সময়ের মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিনা রোক্কার ভারত সফরের সময় জম্মু কাশ্মীরের কালুচাকে হামলা চালিয়ে ৩০ জনকে হত্যা করা হয়।
এদিকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সাম্প্রতিক একটি বক্তব্যও ভারতীয় গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে। কয়েক দিন আগেই তিনি কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জাগুলার ভেইন’ (অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিরা) বলে উল্লেখ করেন। কাশ্মীরের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে ইঙ্গিত করে তিনি হিন্দুদের বিরুদ্ধে বলেন, ‘আমাদের ধর্ম, রীতিনীতি, চিন্তা আলাদা—আমরা দুটি জাতি, এক নই।’
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এর পাল্টা জবাবে বলেন, ‘ভারতের ইউনিয়ন টেরিটরির সঙ্গে কোনো বিদেশি শক্তির সম্পর্ক নেই; বরং পাকিস্তানের উচিত নিজেদের দখল করা কাশ্মীর অংশ খালি করা।’
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ অবশ্য হামলার দায় অস্বীকার করে এটি ‘ঘরোয়া বিদ্রোহ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, ভারতের নাগাল্যান্ড থেকে মণিপুর পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যে বিপ্লব চলছে এবং এসবে পাকিস্তানের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা নিরপরাধ মানুষের ওপর হামলার পক্ষে নই।’
হামলার ঘটনায় টিআরএফ দায় স্বীকার করলেও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার পরিকল্পনায় মূল ভূমিকায় ছিল লস্কর-ই-তাইয়েবা। এই জঙ্গি সংগঠনের পেছনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মদদ রয়েছে বলে দাবি করা হয়। ভারতীয় গোয়েন্দাদের মতে, সর্বশেষ হামলায় সেনাবাহিনীর পোশাকে দুই বিদেশি জঙ্গিও অংশ নিয়েছে।
অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের গবেষক তেহমিনা রিজভী বলেন, ‘এই হামলা পাকিস্তানের হতাশা থেকে জন্ম নেওয়া এক নৃশংসতা, যার লক্ষ্য কাশ্মীরের পর্যটনশিল্পকে ধ্বংস করা।’
সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে জে এস ঢিলন বলেছেন, ‘এই হামলা এমন সময় করা হয়েছে, যখন দেশে ও বিদেশে ভিআইপিদের সফর চলছে। পর্যটকদের টার্গেট করে তারা কাশ্মীরের শান্তি বিঘ্নিত করতে চায়।’
পাকিস্তানের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের মন্তব্য এবং অতীতের ঘটনার মিল বিচার করে ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এবারের হামলাটি পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট এক ‘গভীর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’-এর অংশ। শান্তিপ্রিয় ও পর্যটনমুখী কাশ্মীরকে অস্থিতিশীল করাই ছিল এর উদ্দেশ্য।
কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর আবারও উঠে এসেছে সেই পুরোনো প্রশ্ন—এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে কি না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামে একটি সংগঠন। এটি পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার একটি অঙ্গসংগঠন হিসেবে পরিচিত।
এক বিবৃতিতে টিআরএফ জানিয়েছে, কাশ্মীরে ৮৫ হাজারের বেশি বহিরাগত বসবাস করছে। এ কারণে তারা ক্ষুব্ধ। এই বিষয়ে তারা অনেক আগেই মৌখিক ও লিখিতভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বলেও দাবি করেছে।
হামলাটি এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারত সফর করছিলেন। এই সফরের মধ্যে এমন হামলা নজর কাড়ে আন্তর্জাতিক মহলের। এই বিষয়ে ইতিহাসের প্রসঙ্গ টেনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্টের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মার্কিন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সফরের সময় পাকিস্তান প্রায় সময়ই এমন হামলা ঘটিয়েছে। এর মধ্যে ২০০০ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের ভারত সফরের প্রাক্কালে কাশ্মীরের চিট্টিসিংহপুরায় ৩৬ জন শিখকে হত্যা করা হয়েছিল। ২০০২ সালে সেই সময়ের মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিনা রোক্কার ভারত সফরের সময় জম্মু কাশ্মীরের কালুচাকে হামলা চালিয়ে ৩০ জনকে হত্যা করা হয়।
এদিকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সাম্প্রতিক একটি বক্তব্যও ভারতীয় গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে। কয়েক দিন আগেই তিনি কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জাগুলার ভেইন’ (অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিরা) বলে উল্লেখ করেন। কাশ্মীরের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে ইঙ্গিত করে তিনি হিন্দুদের বিরুদ্ধে বলেন, ‘আমাদের ধর্ম, রীতিনীতি, চিন্তা আলাদা—আমরা দুটি জাতি, এক নই।’
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এর পাল্টা জবাবে বলেন, ‘ভারতের ইউনিয়ন টেরিটরির সঙ্গে কোনো বিদেশি শক্তির সম্পর্ক নেই; বরং পাকিস্তানের উচিত নিজেদের দখল করা কাশ্মীর অংশ খালি করা।’
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ অবশ্য হামলার দায় অস্বীকার করে এটি ‘ঘরোয়া বিদ্রোহ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, ভারতের নাগাল্যান্ড থেকে মণিপুর পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যে বিপ্লব চলছে এবং এসবে পাকিস্তানের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা নিরপরাধ মানুষের ওপর হামলার পক্ষে নই।’
হামলার ঘটনায় টিআরএফ দায় স্বীকার করলেও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার পরিকল্পনায় মূল ভূমিকায় ছিল লস্কর-ই-তাইয়েবা। এই জঙ্গি সংগঠনের পেছনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মদদ রয়েছে বলে দাবি করা হয়। ভারতীয় গোয়েন্দাদের মতে, সর্বশেষ হামলায় সেনাবাহিনীর পোশাকে দুই বিদেশি জঙ্গিও অংশ নিয়েছে।
অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের গবেষক তেহমিনা রিজভী বলেন, ‘এই হামলা পাকিস্তানের হতাশা থেকে জন্ম নেওয়া এক নৃশংসতা, যার লক্ষ্য কাশ্মীরের পর্যটনশিল্পকে ধ্বংস করা।’
সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে জে এস ঢিলন বলেছেন, ‘এই হামলা এমন সময় করা হয়েছে, যখন দেশে ও বিদেশে ভিআইপিদের সফর চলছে। পর্যটকদের টার্গেট করে তারা কাশ্মীরের শান্তি বিঘ্নিত করতে চায়।’
পাকিস্তানের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের মন্তব্য এবং অতীতের ঘটনার মিল বিচার করে ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এবারের হামলাটি পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট এক ‘গভীর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’-এর অংশ। শান্তিপ্রিয় ও পর্যটনমুখী কাশ্মীরকে অস্থিতিশীল করাই ছিল এর উদ্দেশ্য।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত গতকাল শনিবার নবম দিনে গড়িয়েছে। এই ৯ দিনে দুপক্ষই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে, যদিও ইরানের ক্ষয়ক্ষতি ইসরায়েলের তুলনায় অনেক বেশি। অনেক পর্যবেক্ষক বলছেন, এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতে চলেছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়ালে ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে..
৫ ঘণ্টা আগেইরানের উত্তরাঞ্চলে গতকাল শুক্রবার মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের এই সময়ে ভূকম্পন ইরানের গোপন পারমাণবিক পরীক্ষা কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেকয়েক মাস ধরে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের করণীয় কী হওয়া উচিত—তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। এই তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র আগের কঠোর নিষেধাজ্ঞাকে আরও জোরালো করেছে। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গত জানুয়ারিতে ঘোষণা দিয়েছে, তারা আগামী ১ জুলাই থেকে ইরানি তেলে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর...
১১ ঘণ্টা আগেমধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে দ্রুত বাড়তে থাকা উত্তেজনাকে চীন ও রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্র-নির্ভর বিশ্বব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠার একটি মোক্ষম সুযোগ হিসেবে দেখছে বলে মনে করছেন অনেকে। ফোনালাপে পুতিন এবং সি ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে জাতিসংঘ সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত
১১ ঘণ্টা আগে