আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে (সাব সাহারা) যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র নাইজার। তাই দেশটিতে সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের ঘটনা পশ্চিমা পর্যবেক্ষকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিষয়টিকে নাইজারে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রভাব হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
গত ২৬ জুলাই নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ বাজুমকে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরিয়ে দেন তাঁর গার্ড বাহিনীর সাবেক কমান্ডার জেনারেল আবদুরাহমানে তিয়ানি। পরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তিনি ক্ষমতা দখল করেছেন বলে ঘোষণা দেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রুশ কর্মকর্তারা নাইজারে শান্তির আহ্বান জানালেও বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, অভ্যুত্থানকে সমর্থন করে যারা নাইজারের রাজধানী নিয়ামির রাস্তায় নেমে এসেছিলেন, তাঁদের অনেকেই রাশিয়ার পতাকা বহন করছিলেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সমর্থন করে তাঁরা স্লোগানও দিচ্ছিলেন।
এদিকে পুতিনও সাম্প্রতিক সময়ে আফ্রিকাতে শক্তিশালী অবস্থান গড়ায় মনোনিবেশ করেছেন। সম্প্রতি ইউক্রেনের সঙ্গে কৃষ্ণ সাগরের শস্য চুক্তি স্থগিত করে তিনি আফ্রিকার দেশগুলোকে বিনা মূল্যে শস্য দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
এ ছাড়া সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও মালির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করা রাশিয়ান ভাড়াটে যোদ্ধার দল ভাগনার গ্রুপ নাইজারের অস্থিরতার সুযোগ নেবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। দলটির নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন দেশটিতে অভ্যুত্থানের প্রশংসা করে টেলিগ্রামে একটি বার্তা পোস্ট করেছেন বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছে রয়টার্স। প্রিগোঝিনের বিষয়ে নিশ্চিত না হলেও যিনি বার্তাটি দিয়েছেন, তিনি নাইজারের শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভাগনার গ্রুপকে সম্পৃক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি।
অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নাইজারকে কয়েক মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। এ ছাড়া দেশটিতে দুটি ঘাঁটিও স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ১১ শ মার্কিন সেনা অবস্থান করছে।
তারপরও ওয়াশিংটনের কর্নেল ইউনিভার্সিটির ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডেভিড সিলবি মনে করেন, নাইজারে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সংঘাতের সম্ভাবনা কম। তিনি বলেন, ‘কোনো পক্ষই এমনটি চাইছে না।’
তবে নাইজারে অবস্থান করা মার্কিন বাহিনী এবং রুশ সমর্থক স্থানীয়দের মধ্যে এনকাউন্টারের মতো সংঘর্ষের ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করেন সিলবি।
সিলবির মতোই মত দিয়েছেন আফ্রিকা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষণা পরিচালক জোসেফ সিগেল। আমেরিকান সৈন্যদের সঙ্গে ভাগনার যোদ্ধাদের সংঘর্ষের সম্ভাবনা দেখেন না তিনিও।
তবে সিগেল জানান, পশ্চিম আফ্রিকার মালিতে বর্তমানে ভাগনার গ্রুপের এক থেকে দেড় হাজার যোদ্ধা রয়েছে। খুব শিগগির তাদের একটি অংশকে নাইজারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রতিবেশী বুরকিনা ফাসোতে মোতায়েন করা হতে পারে। নাইজারে বর্তমানে কোনো ভাগনার যোদ্ধা অবস্থান না করলেও দেশটিতে বাজুম এবং ফরাসি বিরোধিতার পাশাপাশি রাশিয়াপন্থী মনোভাব তৈরিতে তাদের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হয়।
সিলবি ও সিগেল কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতি না দেখলেও সন্ত্রাসবাদ গবেষক কলিন পি ক্লার্ক সতর্ক করেছেন, নাইজারের পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারে রাশিয়া। নিউজউইককে এক ই-মেইলে তিনি জানান, আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো পশ্চিম আফ্রিকার ১৫টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইউনিয়নকে সমর্থন দিয়ে আসছে। অভ্যুত্থানের আগপর্যন্ত নাইজারও এই ইউনিয়নের সদস্য ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাশিয়া যদি নাইজারকে সমর্থন করে এবং বুরকিনা ফাসো ও মালি যদি এই পক্ষে থাকে, তবে তাদের সঙ্গে ভাগনার গ্রুপের পেশি শক্তি যোগ হয়ে পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে তুলবে।
নিউইয়র্কভিত্তিক সৌফান গ্রুপ থিংক ট্যাংকের নীতি ও গবেষণার পরিচালক ক্লার্ক মনে করেন, সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে নিশ্চিতভাবেই বেসামরিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা দেশের মধ্যে এবং সীমান্তের বাইরে পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে। অশান্তিকে কাজে লাগিয়ে সাব সাহারা অঞ্চলে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে এবং লোকবল বাড়ানোর পাশাপাশি বৃহত্তর অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে জিহাদি গোষ্ঠীগুলো তৎপর রয়েছে।
তবে ক্লার্ক মনে করেন, দুই পক্ষের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের সম্ভাবনা কম হলেও তাকে শূন্য বলা যাবে না। তিনি বলেন, ‘সাহেল (সাব সাহারা) অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো ব্যর্থ হলে দিন শেষে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ফ্রান্স সবাই কিছু না কিছু হারাবে।’
নিউজউইক অবলম্বনে
আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে (সাব সাহারা) যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র নাইজার। তাই দেশটিতে সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের ঘটনা পশ্চিমা পর্যবেক্ষকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিষয়টিকে নাইজারে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রভাব হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
গত ২৬ জুলাই নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ বাজুমকে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরিয়ে দেন তাঁর গার্ড বাহিনীর সাবেক কমান্ডার জেনারেল আবদুরাহমানে তিয়ানি। পরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তিনি ক্ষমতা দখল করেছেন বলে ঘোষণা দেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রুশ কর্মকর্তারা নাইজারে শান্তির আহ্বান জানালেও বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, অভ্যুত্থানকে সমর্থন করে যারা নাইজারের রাজধানী নিয়ামির রাস্তায় নেমে এসেছিলেন, তাঁদের অনেকেই রাশিয়ার পতাকা বহন করছিলেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সমর্থন করে তাঁরা স্লোগানও দিচ্ছিলেন।
এদিকে পুতিনও সাম্প্রতিক সময়ে আফ্রিকাতে শক্তিশালী অবস্থান গড়ায় মনোনিবেশ করেছেন। সম্প্রতি ইউক্রেনের সঙ্গে কৃষ্ণ সাগরের শস্য চুক্তি স্থগিত করে তিনি আফ্রিকার দেশগুলোকে বিনা মূল্যে শস্য দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
এ ছাড়া সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও মালির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করা রাশিয়ান ভাড়াটে যোদ্ধার দল ভাগনার গ্রুপ নাইজারের অস্থিরতার সুযোগ নেবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। দলটির নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন দেশটিতে অভ্যুত্থানের প্রশংসা করে টেলিগ্রামে একটি বার্তা পোস্ট করেছেন বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছে রয়টার্স। প্রিগোঝিনের বিষয়ে নিশ্চিত না হলেও যিনি বার্তাটি দিয়েছেন, তিনি নাইজারের শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভাগনার গ্রুপকে সম্পৃক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি।
অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নাইজারকে কয়েক মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। এ ছাড়া দেশটিতে দুটি ঘাঁটিও স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ১১ শ মার্কিন সেনা অবস্থান করছে।
তারপরও ওয়াশিংটনের কর্নেল ইউনিভার্সিটির ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডেভিড সিলবি মনে করেন, নাইজারে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সংঘাতের সম্ভাবনা কম। তিনি বলেন, ‘কোনো পক্ষই এমনটি চাইছে না।’
তবে নাইজারে অবস্থান করা মার্কিন বাহিনী এবং রুশ সমর্থক স্থানীয়দের মধ্যে এনকাউন্টারের মতো সংঘর্ষের ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করেন সিলবি।
সিলবির মতোই মত দিয়েছেন আফ্রিকা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষণা পরিচালক জোসেফ সিগেল। আমেরিকান সৈন্যদের সঙ্গে ভাগনার যোদ্ধাদের সংঘর্ষের সম্ভাবনা দেখেন না তিনিও।
তবে সিগেল জানান, পশ্চিম আফ্রিকার মালিতে বর্তমানে ভাগনার গ্রুপের এক থেকে দেড় হাজার যোদ্ধা রয়েছে। খুব শিগগির তাদের একটি অংশকে নাইজারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রতিবেশী বুরকিনা ফাসোতে মোতায়েন করা হতে পারে। নাইজারে বর্তমানে কোনো ভাগনার যোদ্ধা অবস্থান না করলেও দেশটিতে বাজুম এবং ফরাসি বিরোধিতার পাশাপাশি রাশিয়াপন্থী মনোভাব তৈরিতে তাদের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হয়।
সিলবি ও সিগেল কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতি না দেখলেও সন্ত্রাসবাদ গবেষক কলিন পি ক্লার্ক সতর্ক করেছেন, নাইজারের পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারে রাশিয়া। নিউজউইককে এক ই-মেইলে তিনি জানান, আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো পশ্চিম আফ্রিকার ১৫টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইউনিয়নকে সমর্থন দিয়ে আসছে। অভ্যুত্থানের আগপর্যন্ত নাইজারও এই ইউনিয়নের সদস্য ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাশিয়া যদি নাইজারকে সমর্থন করে এবং বুরকিনা ফাসো ও মালি যদি এই পক্ষে থাকে, তবে তাদের সঙ্গে ভাগনার গ্রুপের পেশি শক্তি যোগ হয়ে পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে তুলবে।
নিউইয়র্কভিত্তিক সৌফান গ্রুপ থিংক ট্যাংকের নীতি ও গবেষণার পরিচালক ক্লার্ক মনে করেন, সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে নিশ্চিতভাবেই বেসামরিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা দেশের মধ্যে এবং সীমান্তের বাইরে পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে। অশান্তিকে কাজে লাগিয়ে সাব সাহারা অঞ্চলে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে এবং লোকবল বাড়ানোর পাশাপাশি বৃহত্তর অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে জিহাদি গোষ্ঠীগুলো তৎপর রয়েছে।
তবে ক্লার্ক মনে করেন, দুই পক্ষের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের সম্ভাবনা কম হলেও তাকে শূন্য বলা যাবে না। তিনি বলেন, ‘সাহেল (সাব সাহারা) অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো ব্যর্থ হলে দিন শেষে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ফ্রান্স সবাই কিছু না কিছু হারাবে।’
নিউজউইক অবলম্বনে
চার বছর আগে, ২০২১ সালের জুনে, জেনেভায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পুতিনের শেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তখনো রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ হামলা চালায়নি। কিন্তু সেই বছরের শেষের দিকেই পুতিন ইউক্রেন সীমান্তে হাজার হাজার সেনা পাঠান এবং যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলা চালানো হয়। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার
১৯ ঘণ্টা আগেআলাস্কার শান্ত শহর অ্যাঙ্কোরেজ হঠাৎ পরিণত হয়েছে বিশ্বরাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঐতিহাসিক শীর্ষ বৈঠক হতে চলেছে শহরটিতে। বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধের ফয়সালাসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।
১ দিন আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বহুল আলোচিত ও প্রতীক্ষিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার। যুক্তরাষ্ট্রের রাশিয়াসংলগ্ন অঙ্গরাজ্য আলাস্কায় অবস্থিত যৌথ ঘাঁটি এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসনে মুখোমুখি বসবেন ট্রাম্প-পুতিন। বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয়
২ দিন আগেনিজের ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প জানান, তিনি ইতিমধ্যে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন এবং নতুন কোনো শর্ত আরোপ করা হচ্ছে না। একই সময়ে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও মার্কিন পণ্যে তাদের শুল্ক স্থগিতাদেশ একই মেয়াদে বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। তাদের পূর্বের চুক্তি শেষ হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে।
৪ দিন আগে