পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশটির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমেকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। তাঁকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্টার্ন আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস)। কিন্তু অভ্যুত্থানকারীরা সেই সময়সীমা মানেনি। এবার পরবর্তী করণীয় নাইজেরিয়ায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জোটটির সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানেরা। এই পরিপ্রেক্ষিতে শক্ত প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান নিয়েছে নাইজারের সেনাবাহিনী।
ইকোওয়াস জোটের সদস্যরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় এক বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নাইজারের পরিস্থিতি নিয়ে পরবর্তী করণীয় কী। তবে বিশ্লেষকদের অনুমান, নাইজার সংকট সমাধানে এখনো কূটনৈতিক আলোচনার পথ খোলা রয়েছে।
ইকোওয়াসের এই সিদ্ধান্ত এমন সময়ে এল যখন নাইজারের জান্তা সরকার জোটের দেওয়া সাত দিনের চূড়ান্ত সময়সীমা অস্বীকার করেছে এবং দেশের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। আয়তনে ফ্রান্সের চেয়েও দ্বিগুণ বড় ভূ-বেষ্টিত নাইজার আফ্রিকার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আকাশপথের ওপর অবস্থিত। ফলে নাইজারের এই সিদ্ধান্তের ফলে বেসামরিক বিমান চলাচল অনেকটাই বাধাগ্রস্ত হবে।
গত রোববার নাইজারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে অভ্যুত্থানকারীদের নেতা আমাদু আবদ্রামানা বলেন, ‘একটি প্রতিবেশী দেশের হস্তক্ষেপের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নাইজারের আকাশসীমা সমস্ত বিমানের জন্য বন্ধ থাকবে। জাতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘনের যেকোনো প্রচেষ্টাকে জোরালো এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে মোকাবিলা করা হবে।’
এদিকে, ইকোওয়াস আগেই হুমকি দিয়েছিল—তাঁরা নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা সম্পন্ন করেছে। বিপরীতে নাইজারের অভ্যুত্থানকারীরাও তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে পাল্টা জবাব দিয়েছে। তবে এখনো যুদ্ধে জড়ানোর মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে মত বিশ্লেষকদের।
এ বিষয়ে মালির কনরাড আডেনওয়ার ফাউন্ডেশনের প্রধান উলফ লেসিং বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য অনুকূলে নয়। আমি মনে করি না যে, এটি যুদ্ধে গড়াবে। ইকোওয়াসের সক্ষমতা সামান্যই এবং তাদের কোনো টাস্কফোর্স নেই।’ তিনি আরও বলেন, এখন কোনো চমকে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া সময় শেষ হয়ে গেছে। তার চেয়ে এই চেষ্টা করা ভালো যে, জান্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই একটি নির্বাচনের আয়োজন করা।
লেসিংয়ের মতে, এই পরিস্থিততে যেকোনো ধরনের সামরিক অপারেশন হবে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং এটি ভুল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তার চেয়েও বড় প্রশ্ন হলো—এর পর কী ঘটবে?
নাইজারের সঙ্গে দীর্ঘ স্থলসীমান্ত থাকা আলজেরিয়াও এই সংকট সমাধানে সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে। দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল মাদজিদ তেবোউন সতর্ক করেছেন যে, এ ধরনের পদক্ষেপ তাঁর দেশের জন্য ‘সরাসরি হুমকিস্বরূপ’। আন্তর্জাতিক অংশীদাররাও ইকোওয়াসকে কূটনীতিতে লেগে থাকতে উৎসাহিত করছে।
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি সোমবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইকোওয়াসের বাজুমেকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে দেওয়ার সময়সীমা আরও বাড়ানো। তাঁর মতেও, এই সংকট সমাধানের একমাত্র উপায় হলো কূটনৈতিক উপায়। তাজানি বলেন, ‘এটি ঠিক যে তাঁকে (প্রেসিডেন্ট বাজুমে) মুক্ত করা উচিত কিন্তু আমরা নিজেরা তা করতে পারি না। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে খুব সতর্ক। এটি কল্পনাই করা যায় না যে, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপ করবে।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র কোনো সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দেয়নি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ফরাসি রেডিও স্টেশন আরএফআইকে বলেছেন যে, কূটনীতিই সর্বোত্তম সমাধান। ব্লিঙ্কেন অবশ্য নাইজার থেকে মার্কিন সৈন্যদের সম্ভাব্য প্রত্যাহারের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স এবং ডয়চে ভেলে
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশটির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমেকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। তাঁকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্টার্ন আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস)। কিন্তু অভ্যুত্থানকারীরা সেই সময়সীমা মানেনি। এবার পরবর্তী করণীয় নাইজেরিয়ায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জোটটির সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানেরা। এই পরিপ্রেক্ষিতে শক্ত প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান নিয়েছে নাইজারের সেনাবাহিনী।
ইকোওয়াস জোটের সদস্যরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় এক বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নাইজারের পরিস্থিতি নিয়ে পরবর্তী করণীয় কী। তবে বিশ্লেষকদের অনুমান, নাইজার সংকট সমাধানে এখনো কূটনৈতিক আলোচনার পথ খোলা রয়েছে।
ইকোওয়াসের এই সিদ্ধান্ত এমন সময়ে এল যখন নাইজারের জান্তা সরকার জোটের দেওয়া সাত দিনের চূড়ান্ত সময়সীমা অস্বীকার করেছে এবং দেশের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। আয়তনে ফ্রান্সের চেয়েও দ্বিগুণ বড় ভূ-বেষ্টিত নাইজার আফ্রিকার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আকাশপথের ওপর অবস্থিত। ফলে নাইজারের এই সিদ্ধান্তের ফলে বেসামরিক বিমান চলাচল অনেকটাই বাধাগ্রস্ত হবে।
গত রোববার নাইজারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে অভ্যুত্থানকারীদের নেতা আমাদু আবদ্রামানা বলেন, ‘একটি প্রতিবেশী দেশের হস্তক্ষেপের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নাইজারের আকাশসীমা সমস্ত বিমানের জন্য বন্ধ থাকবে। জাতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘনের যেকোনো প্রচেষ্টাকে জোরালো এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে মোকাবিলা করা হবে।’
এদিকে, ইকোওয়াস আগেই হুমকি দিয়েছিল—তাঁরা নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা সম্পন্ন করেছে। বিপরীতে নাইজারের অভ্যুত্থানকারীরাও তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে পাল্টা জবাব দিয়েছে। তবে এখনো যুদ্ধে জড়ানোর মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে মত বিশ্লেষকদের।
এ বিষয়ে মালির কনরাড আডেনওয়ার ফাউন্ডেশনের প্রধান উলফ লেসিং বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য অনুকূলে নয়। আমি মনে করি না যে, এটি যুদ্ধে গড়াবে। ইকোওয়াসের সক্ষমতা সামান্যই এবং তাদের কোনো টাস্কফোর্স নেই।’ তিনি আরও বলেন, এখন কোনো চমকে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া সময় শেষ হয়ে গেছে। তার চেয়ে এই চেষ্টা করা ভালো যে, জান্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই একটি নির্বাচনের আয়োজন করা।
লেসিংয়ের মতে, এই পরিস্থিততে যেকোনো ধরনের সামরিক অপারেশন হবে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং এটি ভুল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তার চেয়েও বড় প্রশ্ন হলো—এর পর কী ঘটবে?
নাইজারের সঙ্গে দীর্ঘ স্থলসীমান্ত থাকা আলজেরিয়াও এই সংকট সমাধানে সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে। দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল মাদজিদ তেবোউন সতর্ক করেছেন যে, এ ধরনের পদক্ষেপ তাঁর দেশের জন্য ‘সরাসরি হুমকিস্বরূপ’। আন্তর্জাতিক অংশীদাররাও ইকোওয়াসকে কূটনীতিতে লেগে থাকতে উৎসাহিত করছে।
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি সোমবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইকোওয়াসের বাজুমেকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে দেওয়ার সময়সীমা আরও বাড়ানো। তাঁর মতেও, এই সংকট সমাধানের একমাত্র উপায় হলো কূটনৈতিক উপায়। তাজানি বলেন, ‘এটি ঠিক যে তাঁকে (প্রেসিডেন্ট বাজুমে) মুক্ত করা উচিত কিন্তু আমরা নিজেরা তা করতে পারি না। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে খুব সতর্ক। এটি কল্পনাই করা যায় না যে, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপ করবে।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র কোনো সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দেয়নি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ফরাসি রেডিও স্টেশন আরএফআইকে বলেছেন যে, কূটনীতিই সর্বোত্তম সমাধান। ব্লিঙ্কেন অবশ্য নাইজার থেকে মার্কিন সৈন্যদের সম্ভাব্য প্রত্যাহারের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স এবং ডয়চে ভেলে
ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, তিনিই বিশ্ব চালাচ্ছেন। তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষা সীমাহীন। কিন্তু এটি বিপজ্জনক ঔদ্ধত্যেরও ইঙ্গিত দেয় এবং একটি গুরুতর প্রশ্ন তোলে—এই বিশৃঙ্খল ও প্রতিহিংসাপরায়ণ প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে পৃথিবী কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? দ্য আটলান্টিককে দেওয়া নতুন এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী আধিপত্য...
১২ ঘণ্টা আগেবড় প্রশ্ন হলো, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো সামরিক পদক্ষেপ নেবে কি না? ২০১৯ সালে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪০ ভারতীয় পুলিশ নিহত হয়। এরপর পেহেলগামের হামলাই ছিল কাশ্মীরে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। এমনকি এটি ১৯৮৯ সালে কাশ্মীরে ভারতীয় নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানকার
১৯ ঘণ্টা আগেবিশ্লেষকদের মতে, ভারত হয়তো কিছুটা সংযত আচরণই করবে। কারণ, দেশটির সামরিক বাহিনী এখনো পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ফলে, তাদের প্রকাশ্যে এনে যুদ্ধের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার মধ্যে ঝুঁকি আছে। ২০১৮ সালে ভারতীয় পার্লামেন্টের এক প্রতিবেদনে দেশের ৬৮ শতাংশ সামরিক সরঞ্জামকে ‘পুরোনো মডেলের’, ২৪ শতাংশকে...
২ দিন আগেসংবাদ বা তথ্যের সংলাপমূলক উপস্থাপন চর্চার উত্থানের পাশাপাশি, পাঠকেরা এখন চ্যাটবটকে ফলোআপ প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন, চাহিদামতো সারসংক্ষেপের জন্য অনুরোধ করেন, এমনকি বিরোধপূর্ণ বিষয়ের ব্যাখ্যাও এআই–এর কাছে চাওয়া হয়। ফলে পাঠকেরা সংবাদ পাঠে চিরাচরিত নিষ্ক্রিয় গ্রহীতা থেকে সক্রিয় অংশগ্রহণকারীতে রূপান্তরিত হচ্ছে
৩ দিন আগে