মারুফ ইসলাম
আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে বিরাট গর্তে পড়েছেন ট্রাম্প। আগামী নির্বাচনের বৈতরণি সম্ভবত উতরাতে পারবেন না। ট্রাম্পের বিরোধী যারা, অর্থাৎ ডেমোক্র্যাটরা খুশিতে বাকবাকুম। খুশিতে উৎফুল্ল ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকানের কতিপয় নেতাও, যাঁরা আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে আছেন।
এত খুশি হওয়ার কারণ কী? কারণ সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় গত বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ম্যানহাটনের জেলা অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগের গ্র্যান্ড জুরি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন এবং ওই দিনই অভিযোগপত্রটি ট্রাম্পের কাছে হস্তান্তর করেছেন। তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আদালতে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযোগগুলো প্রকাশ করা হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, মঙ্গলবার ট্রাম্প জেলা অ্যাটর্নির অফিসে রিপোর্ট করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তখন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এমন একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, সোমবারই ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্কে উড়ে যাবেন ট্রাম্প। এরপর ট্রাম্প টাওয়ারে রাত যাপন করবেন এবং পরদিন মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দেবেন।
ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন ট্রাম্প। এতে বিরোধীদের এত খুশি হওয়ার কারণ কী? কারণ হচ্ছে, ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার কারণে ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হতে পারেন বলে তাঁরা মনে করছেন।
তবে আইন বিশেষজ্ঞরা তাঁদের এই উচ্ছ্বাসে পানি ঢেলে দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেসব অভিযোগ তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদে অযোগ্য করার জন্য যথেষ্ট নয়।
ইউসিএলএ ল স্কুলের নির্বাচনী আইনের অধ্যাপক রিচার্ড হ্যাসেন বলেছেন, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে কোনো সাংবিধানিক বাধা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান বলছে, স্বাভাবিকভাবে জন্মগ্রহণকারী সব নাগরিক, যাদের বয়স কমপক্ষে ৩৫ বছর এবং অন্তত ১৪ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, তাঁরা প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
সুতরাং ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পরেও ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যেতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর কোনো আইনি বাধা নেই। এমনকি ট্রাম্প কারাদণ্ড ভোগ করলেও কোনো সমস্যা হবে না বলে মত দিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দিনেই তিনি সন্ধ্যায় একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি অন্যায়ের শিকার হয়েছেন।
এর আগে এ মাসের শুরুর দিকে বার্ষিক কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে তিনি বলেছিলেন, আমাকে মামলায় অভিযুক্ত করা হলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে পিছপা হব না।
সুতরাং ট্রাম্প যে নির্বাচনী লড়াই লড়বেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব মামলা ট্রাম্পের জন্য ইতিবাচক হবে, নাকি নেতিবাচক হবে? ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়া ল স্কুলের সাংবিধানিক আইনের অধ্যাপক সাইকৃষ্ণ প্রকাশ বলেছেন, এটি একই সঙ্গে বিব্রতকর এবং ইতিবাচক। এই অর্থে ইতিবাচক যে এই মামলার ফলে তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসবেন। এতে দলে তাঁর প্রভাব বাড়বে, যেটি তিনি মনেপ্রাণে চান।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক অ্যালান ডারশোভিটসও মনে করেন মামলাগুলো ট্রাম্পের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনতে পারে। তিনি বলেছেন, অভিযুক্ত ট্রাম্পের মুখ তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় সবচেয়ে বড় পোস্টার হয়ে উঠবে।
স্মরণ করা কর্তব্য যে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হলেন। তবে এর আগেও অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করেছিলেন বলে নজির রয়েছে।
অধ্যাপক রিচার্ড হ্যাসেন জানান, ১৯২০ সালে আটলান্টার কারাগারে থাকা অবস্থায় ইউজিন ডেবস নামে এক ব্যক্তি সোশ্যালিস্ট পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ডেবস যুদ্ধবিরোধী বক্তৃতা দেওয়ার সময় গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘন করে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।
আরেকজন দোষী সাব্যস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন লিন্ডন লারুচে। তিনি ১৯৭৬ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। মেইল জালিয়াতির অপরাধে ১৯৮৮ সালে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এবং ১৯৯২ সালে কারাগারে থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন।
অতএব, অভিযুক্ত হওয়ার পরেও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হতে পারবেন, এ ক্ষেত্রে তিনি বাধাপ্রাপ্ত হবেন না। তবে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় বাধার মুখোমুখি হতে পারেন। অধ্যাপক সাইকৃষ্ণ প্রকাশ বলেন, অভিযুক্ত হওয়ার পর ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন কি না, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন ট্রাম্পের মামলায় নিযুক্ত নিউইয়র্কের বিচারক।
তবে বিচারাধীন অবস্থায় ট্রাম্পকে গ্রেপ্তার কিংবা তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার কাজে বিচারকেরা বাধা দেবেন না বলেই মনে করেন অধ্যাপক সাইকৃষ্ণ প্রকাশ। তিনি বলেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো বেশির ভাগই ‘হোয়াইট কালার’। এসব অভিযোগের ক্ষেত্রে সাধারণত দ্রুতই মুক্তি দেওয়া হয়।
অধ্যাপক হ্যাসেন বলেছেন, ‘২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাগারে পাঠানো হবে আমি মনে করি না।’
আর কোনোক্রমে ট্রাম্প যদি নির্বাচনে জিতেই যান, তাহলে পাশার দান উল্টে যাবে। অধ্যাপক সাইকৃষ্ণ প্রকাশ বলেছেন, একজন বর্তমান প্রেসিডেন্টকে অভিযুক্ত করা, বিচার করা বা শাস্তি দেওয়ার নিয়ম নেই।
সূত্র: টাইম ম্যাগাজিন, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও বিবিসি
আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে বিরাট গর্তে পড়েছেন ট্রাম্প। আগামী নির্বাচনের বৈতরণি সম্ভবত উতরাতে পারবেন না। ট্রাম্পের বিরোধী যারা, অর্থাৎ ডেমোক্র্যাটরা খুশিতে বাকবাকুম। খুশিতে উৎফুল্ল ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকানের কতিপয় নেতাও, যাঁরা আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে আছেন।
এত খুশি হওয়ার কারণ কী? কারণ সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় গত বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ম্যানহাটনের জেলা অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগের গ্র্যান্ড জুরি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন এবং ওই দিনই অভিযোগপত্রটি ট্রাম্পের কাছে হস্তান্তর করেছেন। তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আদালতে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযোগগুলো প্রকাশ করা হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, মঙ্গলবার ট্রাম্প জেলা অ্যাটর্নির অফিসে রিপোর্ট করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তখন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এমন একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, সোমবারই ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্কে উড়ে যাবেন ট্রাম্প। এরপর ট্রাম্প টাওয়ারে রাত যাপন করবেন এবং পরদিন মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দেবেন।
ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন ট্রাম্প। এতে বিরোধীদের এত খুশি হওয়ার কারণ কী? কারণ হচ্ছে, ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার কারণে ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হতে পারেন বলে তাঁরা মনে করছেন।
তবে আইন বিশেষজ্ঞরা তাঁদের এই উচ্ছ্বাসে পানি ঢেলে দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেসব অভিযোগ তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদে অযোগ্য করার জন্য যথেষ্ট নয়।
ইউসিএলএ ল স্কুলের নির্বাচনী আইনের অধ্যাপক রিচার্ড হ্যাসেন বলেছেন, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে কোনো সাংবিধানিক বাধা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান বলছে, স্বাভাবিকভাবে জন্মগ্রহণকারী সব নাগরিক, যাদের বয়স কমপক্ষে ৩৫ বছর এবং অন্তত ১৪ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, তাঁরা প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
সুতরাং ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পরেও ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যেতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর কোনো আইনি বাধা নেই। এমনকি ট্রাম্প কারাদণ্ড ভোগ করলেও কোনো সমস্যা হবে না বলে মত দিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দিনেই তিনি সন্ধ্যায় একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি অন্যায়ের শিকার হয়েছেন।
এর আগে এ মাসের শুরুর দিকে বার্ষিক কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে তিনি বলেছিলেন, আমাকে মামলায় অভিযুক্ত করা হলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে পিছপা হব না।
সুতরাং ট্রাম্প যে নির্বাচনী লড়াই লড়বেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব মামলা ট্রাম্পের জন্য ইতিবাচক হবে, নাকি নেতিবাচক হবে? ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়া ল স্কুলের সাংবিধানিক আইনের অধ্যাপক সাইকৃষ্ণ প্রকাশ বলেছেন, এটি একই সঙ্গে বিব্রতকর এবং ইতিবাচক। এই অর্থে ইতিবাচক যে এই মামলার ফলে তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসবেন। এতে দলে তাঁর প্রভাব বাড়বে, যেটি তিনি মনেপ্রাণে চান।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক অ্যালান ডারশোভিটসও মনে করেন মামলাগুলো ট্রাম্পের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনতে পারে। তিনি বলেছেন, অভিযুক্ত ট্রাম্পের মুখ তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় সবচেয়ে বড় পোস্টার হয়ে উঠবে।
স্মরণ করা কর্তব্য যে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হলেন। তবে এর আগেও অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করেছিলেন বলে নজির রয়েছে।
অধ্যাপক রিচার্ড হ্যাসেন জানান, ১৯২০ সালে আটলান্টার কারাগারে থাকা অবস্থায় ইউজিন ডেবস নামে এক ব্যক্তি সোশ্যালিস্ট পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ডেবস যুদ্ধবিরোধী বক্তৃতা দেওয়ার সময় গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘন করে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।
আরেকজন দোষী সাব্যস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন লিন্ডন লারুচে। তিনি ১৯৭৬ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। মেইল জালিয়াতির অপরাধে ১৯৮৮ সালে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এবং ১৯৯২ সালে কারাগারে থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন।
অতএব, অভিযুক্ত হওয়ার পরেও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হতে পারবেন, এ ক্ষেত্রে তিনি বাধাপ্রাপ্ত হবেন না। তবে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় বাধার মুখোমুখি হতে পারেন। অধ্যাপক সাইকৃষ্ণ প্রকাশ বলেন, অভিযুক্ত হওয়ার পর ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন কি না, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন ট্রাম্পের মামলায় নিযুক্ত নিউইয়র্কের বিচারক।
তবে বিচারাধীন অবস্থায় ট্রাম্পকে গ্রেপ্তার কিংবা তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার কাজে বিচারকেরা বাধা দেবেন না বলেই মনে করেন অধ্যাপক সাইকৃষ্ণ প্রকাশ। তিনি বলেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো বেশির ভাগই ‘হোয়াইট কালার’। এসব অভিযোগের ক্ষেত্রে সাধারণত দ্রুতই মুক্তি দেওয়া হয়।
অধ্যাপক হ্যাসেন বলেছেন, ‘২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাগারে পাঠানো হবে আমি মনে করি না।’
আর কোনোক্রমে ট্রাম্প যদি নির্বাচনে জিতেই যান, তাহলে পাশার দান উল্টে যাবে। অধ্যাপক সাইকৃষ্ণ প্রকাশ বলেছেন, একজন বর্তমান প্রেসিডেন্টকে অভিযুক্ত করা, বিচার করা বা শাস্তি দেওয়ার নিয়ম নেই।
সূত্র: টাইম ম্যাগাজিন, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও বিবিসি
কয়েক দশক ধরে বহু সংলাপ ও সংযমের করুণায় সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ এড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান। একের পর এক মার্কিন প্রেসিডেন্ট এসেছেন, চলে গেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ এড়াতে তাঁরা ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক শক্তি ব্যবহার থেকে বিরত থেকেছেন।
২ ঘণ্টা আগে‘এই লোক বলেন এক কথা, করেন ঠিক আরেকটা’—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে বাংকার বাস্টার বোমা ফেলবেন কি না, তা নিয়ে যখন ব্যাপক গুঞ্জন; তখনই এ মন্তব্য করেন এক রাজনৈতিক ভাষ্যকার। ট্রাম্পের কাজকর্মের ধরন সম্পর্কে তাঁর এ কথায় একমত লোকের অভাব হবে না, তা ভরসা নিয়েই বলা যায়। আর জনমনের সেই ধারণা সত্যি
১৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের রাতের বিমান হামলায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর পুরো অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইরান পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এই হামলার ‘চিরস্থায়ী পরিণতি’ হবে।
১ দিন আগেইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব নতুন মোড় নিয়েছে। আর এই দ্বন্দ্বে চীনের অবস্থান হয়ে উঠছে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ। বেইজিং এই সংকটে এমন এক কৌশলী অবস্থান নিয়েছে, যেখানে একদিকে ইরানের প্রতি কৌশলগত সমর্থন দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে ইসরায়েলের সঙ্গেও সম্পর্কের সেতু ধরে
১ দিন আগে