অনলাইন ডেস্ক
এই বছরের নভেম্বরে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতা অর্জন করেছেন ৩৩ বছর বয়সী জোহরান মামদানি। ২৪ জুন অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বের নির্বাচনে তিনি নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোসহ প্রায় এক ডজন প্রার্থীকে পরাজিত করে রীতিমতো ইতিহাস গড়েছেন।
বলাবাহুল্য, চূড়ান্তভাবে মেয়র হওয়ার আগেই মামদানিকে নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে। এই মাতামাতির পেছনে তাঁর ‘মুসলিম’ পরিচয়টি বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। তবে মামদানির সমৃদ্ধ অবস্থানের পেছনে তাঁর পরিবারের ভূমিকাকে খাটো করে দেখার কোনো উপায় নেই। বাবা উগান্ডার এক অধ্যাপক হলেও মামদানির মা হলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ার।
১৯৯৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কামসূত্র: অ্যা টেল অব লাভ’ চলচ্চিত্রটি মীরা নায়ারকে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছিল। সাহসী ও দৃষ্টিনন্দন উপস্থাপনায় নির্মিত এই সিনেমা পরে কামনার, প্রেমের ও নারীর আত্ম-অন্বেষণের এক বিপুল অনুরণন হয়ে ওঠে। সেই সময় ভারতীয় সমাজের প্রচলিত নৈতিক ধ্যানধারণায় একটি বড়সড় ধাক্কা দিয়েছিল এই সিনেমা। মীরা নায়ার নিজের ভেতরের ভারতকে তুলে ধরেছিলেন সেই চোখ দিয়ে—যা যৌনতা, শরীর ও সম্পর্ককে নিষিদ্ধ নয়, বরং জীবনের স্বাভাবিক ও কাব্যময় উপাদান হিসেবে দেখে।
বিশ্লেষকদের মতে, মীরার সিনেমায় যে রাজনৈতিকতা রয়েছে, তা কখনোই স্লোগানে বন্দী নয়—বরং তা চুপচাপ নারী চরিত্রের চোখে, শরীরী ভাষায় এবং শ্রেণি ও সংস্কৃতির সংঘাতে ফুটে ওঠে। ‘কামসূত্র’ চলচ্চিত্রের দুই নায়িকা মায়া ও তারা। তাদের একজন দাসী, অন্যজন রাজকন্যা। তাদের সম্পর্ক, কামনা ও ক্ষমতার যাত্রাপথে খুঁজে পাওয়া যায় এক অন্তর্গত বিপ্লবের আভাস। এ ছবি শুধু কামনার নয়, বরং প্রতিরোধের, শরীরের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ দাবি করার এক রাজনৈতিক ভাষ্যও।
নির্মাতা মীরা নায়ার একসময় হার্ভার্ডে সমাজবিজ্ঞান নিয়ে পড়েছেন। বিয়ে করেছেন আফ্রিকান এক অধ্যাপককে। আফ্রিকা ও ভারত দুই মহাদেশেই জীবনের শেকড় ছড়িয়ে তিনি তাঁর পুত্র জোহরান মামদানিকে গড়ে তুলেছেন এক আলাদা রাজনৈতিক ভাবনায়। নিউইয়র্কের ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট জোহরান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিতে প্রতিনিধিত্ব করছেন। শ্রেণিবৈষম্য, বর্ণবাদ ও আবাসন-সংকটের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তিনিও একধরনের ক্ষমতার কাঠামো ভাঙার রাজনীতি করেন।
এই মা-পুত্রের একজন শরীরী স্বাধীনতার গল্প বলেন ক্যামেরার ভাষায়, আরেকজন নগরের দরিদ্র মানুষের পক্ষে কথা বলেন রাজনৈতিক সভায়। সেই অর্থে তাঁরা দুজনই রাজনীতিক, তবে তাঁদের ভাষা ও মঞ্চ আলাদা। কিন্তু মূল সুর একটাই—অধিকারের প্রশ্নে আপস নয়।
মীরা নায়ার যখন কামসূত্র নির্মাণ করছিলেন, তখন হয়তো ভাবেননি তাঁর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সাহসের এই ধারাকে রাজনৈতিক বাস্তবতায় রূপ দেবে। সিনেমা নির্মাতা মা আর রাজনীতিবিদ পুত্রের আদর্শিক সংগ্রাম যেন তাই উভয়ের ভেতরেই বিদ্রোহ, কামনা ও মানবিক মর্যাদার এক গভীর সেতুবন্ধ রচনা করেছে।
এই বছরের নভেম্বরে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতা অর্জন করেছেন ৩৩ বছর বয়সী জোহরান মামদানি। ২৪ জুন অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বের নির্বাচনে তিনি নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোসহ প্রায় এক ডজন প্রার্থীকে পরাজিত করে রীতিমতো ইতিহাস গড়েছেন।
বলাবাহুল্য, চূড়ান্তভাবে মেয়র হওয়ার আগেই মামদানিকে নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে। এই মাতামাতির পেছনে তাঁর ‘মুসলিম’ পরিচয়টি বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। তবে মামদানির সমৃদ্ধ অবস্থানের পেছনে তাঁর পরিবারের ভূমিকাকে খাটো করে দেখার কোনো উপায় নেই। বাবা উগান্ডার এক অধ্যাপক হলেও মামদানির মা হলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ার।
১৯৯৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কামসূত্র: অ্যা টেল অব লাভ’ চলচ্চিত্রটি মীরা নায়ারকে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছিল। সাহসী ও দৃষ্টিনন্দন উপস্থাপনায় নির্মিত এই সিনেমা পরে কামনার, প্রেমের ও নারীর আত্ম-অন্বেষণের এক বিপুল অনুরণন হয়ে ওঠে। সেই সময় ভারতীয় সমাজের প্রচলিত নৈতিক ধ্যানধারণায় একটি বড়সড় ধাক্কা দিয়েছিল এই সিনেমা। মীরা নায়ার নিজের ভেতরের ভারতকে তুলে ধরেছিলেন সেই চোখ দিয়ে—যা যৌনতা, শরীর ও সম্পর্ককে নিষিদ্ধ নয়, বরং জীবনের স্বাভাবিক ও কাব্যময় উপাদান হিসেবে দেখে।
বিশ্লেষকদের মতে, মীরার সিনেমায় যে রাজনৈতিকতা রয়েছে, তা কখনোই স্লোগানে বন্দী নয়—বরং তা চুপচাপ নারী চরিত্রের চোখে, শরীরী ভাষায় এবং শ্রেণি ও সংস্কৃতির সংঘাতে ফুটে ওঠে। ‘কামসূত্র’ চলচ্চিত্রের দুই নায়িকা মায়া ও তারা। তাদের একজন দাসী, অন্যজন রাজকন্যা। তাদের সম্পর্ক, কামনা ও ক্ষমতার যাত্রাপথে খুঁজে পাওয়া যায় এক অন্তর্গত বিপ্লবের আভাস। এ ছবি শুধু কামনার নয়, বরং প্রতিরোধের, শরীরের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ দাবি করার এক রাজনৈতিক ভাষ্যও।
নির্মাতা মীরা নায়ার একসময় হার্ভার্ডে সমাজবিজ্ঞান নিয়ে পড়েছেন। বিয়ে করেছেন আফ্রিকান এক অধ্যাপককে। আফ্রিকা ও ভারত দুই মহাদেশেই জীবনের শেকড় ছড়িয়ে তিনি তাঁর পুত্র জোহরান মামদানিকে গড়ে তুলেছেন এক আলাদা রাজনৈতিক ভাবনায়। নিউইয়র্কের ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট জোহরান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিতে প্রতিনিধিত্ব করছেন। শ্রেণিবৈষম্য, বর্ণবাদ ও আবাসন-সংকটের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তিনিও একধরনের ক্ষমতার কাঠামো ভাঙার রাজনীতি করেন।
এই মা-পুত্রের একজন শরীরী স্বাধীনতার গল্প বলেন ক্যামেরার ভাষায়, আরেকজন নগরের দরিদ্র মানুষের পক্ষে কথা বলেন রাজনৈতিক সভায়। সেই অর্থে তাঁরা দুজনই রাজনীতিক, তবে তাঁদের ভাষা ও মঞ্চ আলাদা। কিন্তু মূল সুর একটাই—অধিকারের প্রশ্নে আপস নয়।
মীরা নায়ার যখন কামসূত্র নির্মাণ করছিলেন, তখন হয়তো ভাবেননি তাঁর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সাহসের এই ধারাকে রাজনৈতিক বাস্তবতায় রূপ দেবে। সিনেমা নির্মাতা মা আর রাজনীতিবিদ পুত্রের আদর্শিক সংগ্রাম যেন তাই উভয়ের ভেতরেই বিদ্রোহ, কামনা ও মানবিক মর্যাদার এক গভীর সেতুবন্ধ রচনা করেছে।
২০১৬ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) প্রথমবার আসামের ক্ষমতায় আসার পর এই বিরোধ আরও বেড়ে গেছে। আসামে ভারতের যেকোনো রাজ্যের তুলনায় মুসলিম জনসংখ্যার হার সবচেয়ে বেশি। ৩ কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার রাজ্যটিতে মুসলমান মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের বেশি।
৮ ঘণ্টা আগেনাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আরব কর্মকর্তা বলেন, ‘গাজা, লেবানন, সিরিয়া ও এখন ইরান—সবখানেই তিনি (নেতানিয়াহু) নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণহীন, লাগামছাড়া শক্তি আর আমাদের জন্য সম্পদ নয়। এটি এখন আমাদের জন্য সমস্যা।’
১ দিন আগেডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুশি রাখতে ও ন্যাটোকে এক রাখার চেষ্টায় নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে সাম্প্রতিক ন্যাটো সম্মেলনে প্রায় সবকিছুই করেছে জোটটি। ঢালাও প্রশংসা, রাজকীয় আপ্যায়ন আর ট্রাম্পের বিখ্যাত স্লোগান নকল করাও বাদ যায়নি। পরিকল্পনা মোটামুটি সফল। যদিও ইউক্রেনে যুদ্ধ, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কৌশল বা ইউরোপে মার্কি
১ দিন আগেইসরায়েল-ইরানের ১২ দিনের যুদ্ধের সবচেয়ে ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয় যুদ্ধ শেষের ঠিক আগ মুহূর্তে। ইরানের লক্ষ্য ছিল দক্ষিণের মরুভূমি শহর বীর শেবা। সেখানে গত মঙ্গলবার ভোর ৬টার কিছু আগে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। বিস্ফোরণে একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের একপাশ সম্পূর্ণ উড়ে যায়। পরে ভবনের
২ দিন আগে