অনলাইন ডেস্ক
ইরান যদি সত্যিই চাইত এবং যদি বিশ্বাস করত যে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সরাসরি হামলা হতে পারে কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটা সরাসরি যুদ্ধে জড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে, তাহলে দেশটি রাশিয়ার আরও কাছাকাছি আসতে পারত। এমন এক পরিস্থিতির জন্য রাশিয়া ইরানের তুলনায় অনেক বেশি প্রস্তুত ছিল। যদি তখনই দ্রুত এবং সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা হতো, তাহলে আজকের বাস্তবতা হয়তো একেবারেই ভিন্ন হতো। এমনকি পুরো যুদ্ধটাই হয়তো ঠেকানো যেত। তবে এখন আমার ভয় হচ্ছে, হয়তো অনেক দেরি হয়ে গেছে।
একটি স্বতন্ত্র ও সার্বভৌম শক্তি হিসেবে রাশিয়া তার অবস্থান স্পষ্টভাবে ধরে রেখেছে। আমরা যুদ্ধের বিপক্ষে, ইসরায়েলি হামলার বিপক্ষে এবং পশ্চিমা হস্তক্ষেপেরও বিরুদ্ধে। বিশেষভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে মাথাচাড়া দেওয়া নব্যরক্ষণশীলদের উত্থানের বিরোধিতা করি। মনে হচ্ছে, এই নব্যরক্ষণশীলরা ট্রাম্পকে একপ্রকার জিম্মি করে রেখেছে। তবে আমরা ট্রাম্পের বিরোধী নই, ‘ট্রাম্পবাদ’ বা ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন (MAGA) ’—এরও বিরোধীও না। কারণ, আদর্শিকভাবে এগুলো বাইডেন এবং বিশ্বায়নবাদীদের তুলনায় অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। সবকিছুই এখানে পরস্পরের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ যে, যে যার যার নীতিমালা, ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধ ও জাতীয় স্বার্থ অনুযায়ী চলে।
এবার আসি বহু-মেরু বিশ্ব (multipolarity) তত্ত্বে। এই তত্ত্ব আমি আমার বই ‘The Theory of a Multipolar World’ ও ‘The Multipolar World’—এ বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেছি। এ ধারণা অনুযায়ী, ইসলামি বিশ্বকে একটি ভূ-রাজনৈতিক মেরুতে পরিণত হতে হবে। আমি একে বলি ‘বাগদাদ খেলাফত ২.০। ’ এই ব্লককে শক্তিশালী হতে হবে এবং পশ্চিমা আধিপত্যের অবশিষ্ট প্রভাবের বিরুদ্ধে নিজের সভ্যতাগত সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।
এখানে ইসরায়েল হলো পশ্চিমা বিশ্বের অবশিষ্ট প্রভাবের প্রক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দু ও চালক। যতক্ষণ না ইসলামি বিশ্ব একত্র হচ্ছে, ততক্ষণ ইসরায়েল একে একে হামাস, হিজবুল্লাহ, সিরিয়া এবং এখন ইরানসহ তার সব আঞ্চলিক প্রতিপক্ষদের ধ্বংস করতে পারবে। এরপর লক্ষ্য হবে ইয়েমেন, তারপর সৌদি আরবসহ অন্যান্য সুন্নি রাষ্ট্রগুলো।
যখন ইসরায়েলের পক্ষে একা এগোনো সম্ভব হয় না, তখন তারা পশ্চিমা শক্তিগুলোর—যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের—সহায়তা চায়। এভাবে তারা ইসলামি জগৎকে বারবার পরীক্ষার মুখে ফেলে। কিন্তু এত কিছুর পরও আদৌ কি কোনো ইসলামি মেরু গড়ে উঠেছে? মুসলমানরা কি বহু-মেরু ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুত, নাকি এখনো অপ্রস্তুত? রাশিয়া বহু-মেরু বিশ্বের পক্ষে, কিন্তু মুসলমানদের হয়ে ইসলামি মেরু তৈরি করে দেবে না। আবার ইসরায়েল কিংবা পশ্চিমের বিরুদ্ধে মুসলমানদের হয়ে যুদ্ধে নামবেও না।
তাহলে একবার ভাবুন, যদি ইসলামি বিশ্বের অন্তত কিছু দেশ ইউক্রেন যুদ্ধের সময় আমাদের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান নিত—যেখানে আমরা পশ্চিমা আধিপত্যের বিরুদ্ধে আমাদের সভ্যতার সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য লড়ছি এবং নিজেদের মেরু গড়ছি, যদি তারা কেবল কূটনৈতিকভাবে বা নিরপেক্ষ ভঙ্গিতে না থেকে উত্তর কোরিয়ার মতো সরাসরি ও শক্ত অবস্থান নিত, তাহলে গাজা থেকে শুরু করে আজকের মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিতেও রাশিয়া ইসলামি দেশগুলোর পাশে দাঁড়াতে বাধ্য হতো।
অথচ বাস্তবে অনেক ইসলামি দেশ ইসরায়েল ও বিশ্বায়নবাদীদের স্বার্থে (সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-) আসাদ সরকারকে হটাতে সহায়তা করেছিল। এই সরকার প্রতিরোধ অক্ষ, রাশিয়া এবং ইরানের সঙ্গে একত্রে বহু-মেরুর পক্ষে কাজ করছিল। এ ঘটনাকে তারা অদূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গিতে বিজয় হিসেবে দেখেছিল।
ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রতি ইসলামি রাষ্ট্রগুলো কোনো সুস্পষ্ট সমর্থন দেয়নি; তারা দ্বিধান্বিত থেকেছে। যদিও তারা পুরোপুরি পশ্চিমঘেঁষা অবস্থানও নেয়নি, এটা অন্তত ভালো। ইরান অবশ্য সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে আমাদের পাশে ছিল—এটা আমরা ভুলে যাব না।
রাশিয়া শুরু থেকেই স্পষ্টভাবে এক-মেরু বিশ্বের বিরুদ্ধে এবং বহু-মেরু বিশ্বের পক্ষে। এটাই আমাদের নীতিগত অবস্থান ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশল। এতে কোনো সন্দেহ বা দর–কষাকষির অনুষঙ্গ নেই। তাই মূলনীতির জায়গা থেকে আমরা একটি স্বাধীন ইসলামি মেরুর উত্থানকে সমর্থন করি। চীনও তা করে, যদিও আরও সংযতভাবে। ভারতের অবস্থান ভিন্ন—সেখানে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কারণেই তারা এর বিরোধী।
অন্যদিকে পশ্চিমারা এই ধারণার প্রবল বিরোধী। কারণ, তারা চায় ইসলামি বিশ্বের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্বের মাধ্যমে শাসন করতে—তাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে। আরবদের তুর্কিদের বিরুদ্ধে, তুর্কিদের পারসিদের বিরুদ্ধে, শিয়াদের সুন্নিদের বিরুদ্ধে—এইভাবে বিভক্ত করে শাসন চালিয়ে যেতে চায়।
এই প্রেক্ষাপটেই ইসরায়েল (এবং সম্ভবত শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্র) ও ইরানের মধ্যকার যুদ্ধকে বুঝতে হবে। পরবর্তী পদক্ষেপ এখন রাশিয়ার নয়—আমাদের কৌশল তো পরিষ্কার। বরং এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ইসলামি বিশ্বের। এখনই তাদের উচিত ঐক্যবদ্ধ হওয়া, ইসরায়েল ও পশ্চিমা আধিপত্যের বিরুদ্ধে একটি জোট গঠন করা। তবেই একটি ইসলামি মেরু সত্যিকার অর্থে গড়ে উঠবে। তবেই জয় সম্ভব হবে। না হলে একা কেউ তা পারবে না—এই আশঙ্কাই আমার রয়েছে।
দুগিনের ওয়েবসাইট জিওপলিটিকা. আরইউ থেকে অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক আব্দুর রহমান
ইরান যদি সত্যিই চাইত এবং যদি বিশ্বাস করত যে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সরাসরি হামলা হতে পারে কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটা সরাসরি যুদ্ধে জড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে, তাহলে দেশটি রাশিয়ার আরও কাছাকাছি আসতে পারত। এমন এক পরিস্থিতির জন্য রাশিয়া ইরানের তুলনায় অনেক বেশি প্রস্তুত ছিল। যদি তখনই দ্রুত এবং সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা হতো, তাহলে আজকের বাস্তবতা হয়তো একেবারেই ভিন্ন হতো। এমনকি পুরো যুদ্ধটাই হয়তো ঠেকানো যেত। তবে এখন আমার ভয় হচ্ছে, হয়তো অনেক দেরি হয়ে গেছে।
একটি স্বতন্ত্র ও সার্বভৌম শক্তি হিসেবে রাশিয়া তার অবস্থান স্পষ্টভাবে ধরে রেখেছে। আমরা যুদ্ধের বিপক্ষে, ইসরায়েলি হামলার বিপক্ষে এবং পশ্চিমা হস্তক্ষেপেরও বিরুদ্ধে। বিশেষভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে মাথাচাড়া দেওয়া নব্যরক্ষণশীলদের উত্থানের বিরোধিতা করি। মনে হচ্ছে, এই নব্যরক্ষণশীলরা ট্রাম্পকে একপ্রকার জিম্মি করে রেখেছে। তবে আমরা ট্রাম্পের বিরোধী নই, ‘ট্রাম্পবাদ’ বা ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন (MAGA) ’—এরও বিরোধীও না। কারণ, আদর্শিকভাবে এগুলো বাইডেন এবং বিশ্বায়নবাদীদের তুলনায় অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। সবকিছুই এখানে পরস্পরের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ যে, যে যার যার নীতিমালা, ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধ ও জাতীয় স্বার্থ অনুযায়ী চলে।
এবার আসি বহু-মেরু বিশ্ব (multipolarity) তত্ত্বে। এই তত্ত্ব আমি আমার বই ‘The Theory of a Multipolar World’ ও ‘The Multipolar World’—এ বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেছি। এ ধারণা অনুযায়ী, ইসলামি বিশ্বকে একটি ভূ-রাজনৈতিক মেরুতে পরিণত হতে হবে। আমি একে বলি ‘বাগদাদ খেলাফত ২.০। ’ এই ব্লককে শক্তিশালী হতে হবে এবং পশ্চিমা আধিপত্যের অবশিষ্ট প্রভাবের বিরুদ্ধে নিজের সভ্যতাগত সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।
এখানে ইসরায়েল হলো পশ্চিমা বিশ্বের অবশিষ্ট প্রভাবের প্রক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দু ও চালক। যতক্ষণ না ইসলামি বিশ্ব একত্র হচ্ছে, ততক্ষণ ইসরায়েল একে একে হামাস, হিজবুল্লাহ, সিরিয়া এবং এখন ইরানসহ তার সব আঞ্চলিক প্রতিপক্ষদের ধ্বংস করতে পারবে। এরপর লক্ষ্য হবে ইয়েমেন, তারপর সৌদি আরবসহ অন্যান্য সুন্নি রাষ্ট্রগুলো।
যখন ইসরায়েলের পক্ষে একা এগোনো সম্ভব হয় না, তখন তারা পশ্চিমা শক্তিগুলোর—যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের—সহায়তা চায়। এভাবে তারা ইসলামি জগৎকে বারবার পরীক্ষার মুখে ফেলে। কিন্তু এত কিছুর পরও আদৌ কি কোনো ইসলামি মেরু গড়ে উঠেছে? মুসলমানরা কি বহু-মেরু ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুত, নাকি এখনো অপ্রস্তুত? রাশিয়া বহু-মেরু বিশ্বের পক্ষে, কিন্তু মুসলমানদের হয়ে ইসলামি মেরু তৈরি করে দেবে না। আবার ইসরায়েল কিংবা পশ্চিমের বিরুদ্ধে মুসলমানদের হয়ে যুদ্ধে নামবেও না।
তাহলে একবার ভাবুন, যদি ইসলামি বিশ্বের অন্তত কিছু দেশ ইউক্রেন যুদ্ধের সময় আমাদের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান নিত—যেখানে আমরা পশ্চিমা আধিপত্যের বিরুদ্ধে আমাদের সভ্যতার সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য লড়ছি এবং নিজেদের মেরু গড়ছি, যদি তারা কেবল কূটনৈতিকভাবে বা নিরপেক্ষ ভঙ্গিতে না থেকে উত্তর কোরিয়ার মতো সরাসরি ও শক্ত অবস্থান নিত, তাহলে গাজা থেকে শুরু করে আজকের মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিতেও রাশিয়া ইসলামি দেশগুলোর পাশে দাঁড়াতে বাধ্য হতো।
অথচ বাস্তবে অনেক ইসলামি দেশ ইসরায়েল ও বিশ্বায়নবাদীদের স্বার্থে (সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-) আসাদ সরকারকে হটাতে সহায়তা করেছিল। এই সরকার প্রতিরোধ অক্ষ, রাশিয়া এবং ইরানের সঙ্গে একত্রে বহু-মেরুর পক্ষে কাজ করছিল। এ ঘটনাকে তারা অদূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গিতে বিজয় হিসেবে দেখেছিল।
ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রতি ইসলামি রাষ্ট্রগুলো কোনো সুস্পষ্ট সমর্থন দেয়নি; তারা দ্বিধান্বিত থেকেছে। যদিও তারা পুরোপুরি পশ্চিমঘেঁষা অবস্থানও নেয়নি, এটা অন্তত ভালো। ইরান অবশ্য সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে আমাদের পাশে ছিল—এটা আমরা ভুলে যাব না।
রাশিয়া শুরু থেকেই স্পষ্টভাবে এক-মেরু বিশ্বের বিরুদ্ধে এবং বহু-মেরু বিশ্বের পক্ষে। এটাই আমাদের নীতিগত অবস্থান ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশল। এতে কোনো সন্দেহ বা দর–কষাকষির অনুষঙ্গ নেই। তাই মূলনীতির জায়গা থেকে আমরা একটি স্বাধীন ইসলামি মেরুর উত্থানকে সমর্থন করি। চীনও তা করে, যদিও আরও সংযতভাবে। ভারতের অবস্থান ভিন্ন—সেখানে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কারণেই তারা এর বিরোধী।
অন্যদিকে পশ্চিমারা এই ধারণার প্রবল বিরোধী। কারণ, তারা চায় ইসলামি বিশ্বের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্বের মাধ্যমে শাসন করতে—তাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে। আরবদের তুর্কিদের বিরুদ্ধে, তুর্কিদের পারসিদের বিরুদ্ধে, শিয়াদের সুন্নিদের বিরুদ্ধে—এইভাবে বিভক্ত করে শাসন চালিয়ে যেতে চায়।
এই প্রেক্ষাপটেই ইসরায়েল (এবং সম্ভবত শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্র) ও ইরানের মধ্যকার যুদ্ধকে বুঝতে হবে। পরবর্তী পদক্ষেপ এখন রাশিয়ার নয়—আমাদের কৌশল তো পরিষ্কার। বরং এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ইসলামি বিশ্বের। এখনই তাদের উচিত ঐক্যবদ্ধ হওয়া, ইসরায়েল ও পশ্চিমা আধিপত্যের বিরুদ্ধে একটি জোট গঠন করা। তবেই একটি ইসলামি মেরু সত্যিকার অর্থে গড়ে উঠবে। তবেই জয় সম্ভব হবে। না হলে একা কেউ তা পারবে না—এই আশঙ্কাই আমার রয়েছে।
দুগিনের ওয়েবসাইট জিওপলিটিকা. আরইউ থেকে অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক আব্দুর রহমান
ইরানের উত্তরাঞ্চলে গতকাল শুক্রবার মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের এই সময়ে ভূকম্পন ইরানের গোপন পারমাণবিক পরীক্ষা কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেকয়েক মাস ধরে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের করণীয় কী হওয়া উচিত—তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। এই তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র আগের কঠোর নিষেধাজ্ঞাকে আরও জোরালো করেছে। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গত জানুয়ারিতে ঘোষণা দিয়েছে, তারা আগামী ১ জুলাই থেকে ইরানি তেলে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর...
৪ ঘণ্টা আগেমধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে দ্রুত বাড়তে থাকা উত্তেজনাকে চীন ও রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্র-নির্ভর বিশ্বব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠার একটি মোক্ষম সুযোগ হিসেবে দেখছে বলে মনে করছেন অনেকে। ফোনালাপে পুতিন এবং সি ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে জাতিসংঘ সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত
৪ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের ১৩ জুন বিশ্ব ফের একবার একতরফা সামরিক আগ্রাসনের ভয়াবহ পরিণতির সাক্ষী হলো। এদিন ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে এক অপ্রত্যাশিত ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী হামলা চালায় এবং দেশটির সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে।
৬ ঘণ্টা আগে