গত মাসে নিজ দেশের বাইরে এক বিরল সফরে বেরিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। প্রায় সপ্তাহব্যাপী সফরে সৌদি আরবের জেদ্দা ও জাপানের হিরোশিমায় কাটিয়েছেন। লক্ষ্য ছিল মূলত ব্রাজিল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও সৌদি আরবের সমর্থন আদায় করা। এই প্রধান চারটি দেশ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের শুরু থেকেই দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে।
এই রাষ্ট্রগুলো এবং বৈশ্বিক দক্ষিণের অন্যান্য নেতৃস্থানীয় দেশগুলোর প্রভাব-প্রতিপত্তি এখন অনেক বেশি। এর পেছনে নতুন ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যের ফল। এদের আরও এজেন্সি রয়েছে, তারা আঞ্চলিকীকরণ থেকে উপকৃত হয় এবং মার্কিন-চীন উত্তেজনার ফায়দা নিতে পারে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যেকোনো সময়ের তুলনায় এই মধ্যবর্তী শক্তিগুলোর কাছে এখন সবচেয়ে বেশি কর্তৃত্ব এসে গেছে। এগুলো ভূরাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
তবে এটা স্পষ্ট যে, তারা বিশ্বের দুটি পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের চেয়ে কম শক্তিশালী। বৈশ্বিক উত্তরে রয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আরও কয়েকটি দেশ। রাশিয়া বাদে এই দেশগুলো কিন্তু বৈশ্বিক ক্ষমতা ও প্রভাব-প্রতিপত্তির পরিবর্তনশীল গতিশীলতা সম্পর্কে খুব একটা কিছু জানান দিচ্ছে না। কারণ তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আরও মজার ব্যাপার হলো, বৈশ্বিক দক্ষিণের ছয়টি শীর্ষস্থানীয় শক্তি: ব্রাজিল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তুরস্ক। বৈশ্বিক দক্ষিণের এই `সুইং স্টেটগুলো' সুপার পাওয়ারের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সংযুক্ত নয়। ফলে এরা নতুন বৈশ্বিক ক্ষমতার ভারসাম্যে গতিশীলতা তৈরি করতে ভূমিকা রাখার ব্যাপারে স্বাধীন। এরা সবাই জি-২০-এর সদস্য এবং ভূরাজনীতি ও ভূ-অর্থনীতি উভয় ক্ষেত্রেই সক্রিয়। বৈশ্বিক দক্ষিণে এই ছয় দেশ বৃহত্তর ভূরাজনৈতিক প্রবণতার জন্য নির্ভরযোগ্য ব্যারোমিটার হিসেবেও কাজ করে।
এই ছয় রাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। এই কারণগুলোকে দুটি গ্রুপে বিভক্ত করা যেতে পারে: দীর্ঘমেয়াদী ঐতিহাসিক বিবর্তন এবং সাম্প্রতিক বৈশ্বিক প্রবণতা। প্রথম গ্রুপ সম্পর্কে বলা যেতে পারে, স্নায়ুযুদ্ধের পরের বৈশ্বিক পরিস্থিতি এই রাষ্ট্রগুলোকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরও প্রভাব বিস্তারকারী এজেন্সি দিয়েছে।
বিরোধী ব্লকে কঠোর বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে স্নায়ুযুদ্ধ। এই বিচ্ছেদ ও বিচ্ছিন্নতাই আজকের কিছু সুইং স্টেটের জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একচ্ছত্র আধিপত্য (এক মেরু) যুগে প্রায় সব রাষ্ট্রেরই ওয়াশিংটনের প্রতি কিছু আনুগত্যের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এখনকার সিনো-মার্কিন দ্বিমেরু (বাইপোলারিটি) বেশ দুর্বল। এ কারণে সমস্ত মধ্যশক্তির পক্ষ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতাও বেশি।
দ্বিতীয় গ্রুপের ক্ষেত্রে: দুই দশক ধরে বিশ্বের ক্ষমতা বিন্যাসে গুরুত্বপূর্ণ মোড় লক্ষ করা গেছে। ক্ষমতার ক্ষেত্রে আর গোলকায়নের ধারণা টিকে থাকছে না। এর ফলে আঞ্চলিক পর্যায়ে নতুন ভূরাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে।
সুইং স্টেটগুলো মূলত সবাই একটি আঞ্চলিক নেতৃত্বে রয়েছে। তারা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে কারণ, অঞ্চলগুলো ক্রমেই ক্ষমতাশালী হয়ে উঠছে। নিয়ার-শোরিং (সাপ্লাই চেইনকে ঘরের কাছাকাছি সরিয়ে আনা) এবং ফ্রেন্ড-শোরিং (প্রতিপক্ষ থেকে সমমনা দেশগুলোতে সাপ্লাই চেইন নিয়ে যাওয়া) প্রক্রিয়াগুলো ধীরে ধীরে কিছু সংস্থা এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ককে চীন থেকে অন্য অঞ্চলে সরিয়ে দিচ্ছে। এর বেশির ভাগই যাচ্ছে বৈশ্বিক দক্ষিণে।
বৈশ্বিক দক্ষিণের কিছু সুইং স্টেট ক্রমেই আঞ্চলিক বাণিজ্যের ব্যস্ত কেন্দ্র হয়ে উঠবে। ভারত এর সর্বোত্তম উদাহরণ। কারণ কিছু মার্কিন সংস্থা সেখানে নতুন উৎপাদন ও রুটের সাপ্লাই চেইন হিসেবে দেশটিকে বেছে নিচ্ছে। জ্বালানির বাজারগুলো আরও আঞ্চলিক হয়ে উঠছে, এতে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। সংগত কারণেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জোর দিয়ে বলেছে, বিশ্ব খণ্ড খণ্ড হয়ে যাচ্ছে। একটি খণ্ডিত বিশ্বে আঞ্চলিক মধ্যশক্তিগুলো যৌক্তিকভাবেই ক্রমবর্ধমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
তৃতীয়ত, স্নায়ুযুদ্ধের সময় ভারত ও ইন্দোনেশিয়া ঔপনিবেশিক শাসন থেকে বেরিয়ে এসেছে। সদ্য উপনিবেশ থেকে মুক্তি দ্বিমেরুর যুগে তাদের বৈশ্বিক ভূমিকা সীমিত করেছিল। আজ ছয়টি সুইং স্টেট সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত সার্বভৌম।
কিন্তু এটা ভাবলে ভুল হবে যে, তারা কেবল জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের একটি নতুন অবতার। বৈশ্বিক দক্ষিণে আধিপত্যকারী অন্যান্য গ্রুপ যেমন জি-৭৭ এবং ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা), এদের কোনোটিরই মতোই তারা নয়। এই গ্রুপগুলো সবাই ঘনিষ্ঠ বা কিছু আদর্শিক সখ্য তাদের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু আজকের ছয়টি সুইং স্টেটের তেমন কোনো চরিত্র নেই। আদর্শিক সখ্যের অনুপস্থিতি এই রাষ্ট্রগুলো বৈদেশিক নীতিতে একটি কঠিন ও রক্ষণশীল লেনদেন পদ্ধতি গ্রহণে বাধ্য নয়। এ ধরনের বাধ্যবাধকতা থেকে তারা মুক্ত থাকতে পারে। ফলস্বরূপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের সামগ্রিক প্রভাব আরও বিস্তৃত হতেই সাহায্য করবে।
সুইং স্টেটগুলোর শক্তি বৃদ্ধিদে আরও যে অন্যান্য চালকের ভূমিকা রয়েছে তার মূলে রয়েছে সাম্প্রতিক বৈশ্বিক প্রবণতা। সুইং স্টেটগুলোর ক্ষমতা তাদের পরস্পরের মধ্যকার প্রতিযোগিতা এবং দ্বন্দ্ব থেকে আর শক্তি সঞ্চয় করে। এটিই ক্রমবর্ধমানভাবে মার্কিন-চীন সম্পর্ককে প্রভাবিত করে।
প্রতিটি পরাশক্তি চায় সুইং স্টেটগুলো তার সঙ্গে থাকুক। পরাশক্তির এই বৈশিষ্ট্য সুইং স্টেটগুলোকে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ তৈরি করে দেয়। উদাহরণ স্বরূপ, চতুর্পক্ষীয় নিরাপত্তা সংলাপে (কোয়াড) যোগদানের পর থেকে ভারতের ক্ষমতা এবং প্রভাব নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। চীনের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক ক্ষমতায় ভারসাম্য আনার লক্ষ্যে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা এই কোয়াড।
প্রযুক্তি শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, বিশেষ করে লিথিয়াম, নিকেল এবং অ্যালুমিনিয়াম পেতে ব্রাজিল এবং ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে যেতে চায় চীন। বেইজিংয়ের এমন আগ্রহ থেকে উপকৃত হয়েছে উপকৃত হয়েছে দুই দেশ। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রও এসব খনিজের নির্ভরযোগ্য ও দীর্ঘমেয়াদি উৎস পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। জাপান, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপরে সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জো বাইডেন।
সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ছয়টি সুইং স্টেটের প্রত্যেকেরই যুক্তরাষ্ট্র বা চীনের দিকে ঝুঁকে যাওয়ার নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। তাদের বেশিরভাগই আনুগত্যের প্রশ্ন তুলনামূলকভাবে ভারসাম্য বজায় রাখে। আপাতত, একের পর এক দুর্দান্ত ক্ষমতার খেলা খেলতে অনেক ক্ষেত্রেই স্বাধীন থাকবে তারা। সেমিকন্ডাক্টর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), কোয়ান্টাম প্রযুক্তি, ফাইভজি টেলিকমিউনিকেশন এবং বায়োটেকসহ এই সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তিমূলক প্রযুক্তি বিদ্যা এক্ষেত্রে অবশ্য ব্যতিক্রম। এসব খাতে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই মধ্যশক্তিগুলোকে সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র অথবা চীন দুটির একটিকে বেছে নিতে হবে।
একইভাবে, বৈশ্বিক দক্ষিণের সুইং স্টেটগুলো, তাদের বৃহৎ এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির সঙ্গে আন্তর্জাতিক জলবায়ু নীতিগুলো থেকে লাভবান হয়। এই রাষ্ট্রগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে উৎসারিত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
কার্বন বাজারগুলো ক্রমেই এই মধ্যম শক্তির দেশগুলোতে তাদের সম্পদ স্থানান্তর করবে। সেখানে তারা গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের প্রকৃত প্রভাব বিবেচনায় নেবে না। পশ্চিমা কোম্পানিগুলোকে বাধ্য হয়েই বিদেশে সহযোগী প্রতিষ্ঠান পেতে হবে,কারণ নিজ দেশে তাদের নেট-জিরো স্ট্যাটাস অনুসরণ করতে।
আরও বিস্তৃতভাবে বন উজাড় ঠেকানো এবং ডিকার্বনাইজেশন সংক্রান্ত নীতিগুলির জন্য সুইং স্টেটগুলোর গঠনমূলক অংশগ্রহণ প্রয়োজন। বন উজাড়ের বিষয়ে ব্রাজিল এবং ইন্দোনেশিয়া এবং প্রধানত ভারত ও ইন্দোনেশিয়া ডিকার্বনাইজেশনে, বিশেষ করে কয়লার ব্যবহারে এগিয়ে আছে।
ছয়টি সুইং স্টেট ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রতি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি র্গঠনে এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রথম থেকেই তারা ইউক্রেনে পশ্চিমা সামরিক সহায়তা এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার পক্ষে অবস্থান নিতে অস্বীকার করেছে। তারা যুক্তি দেখিয়েছে, এই যুদ্ধ শুধু ইউরোপকে প্রভাবিত করবে, বৈশ্বিক নিরাপত্তাকে নয়। সেই সঙ্গে এই যুদ্ধে পশ্চিমা নীতি উন্নয়ন, সরকারি ঋণ হ্রাস, খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে তাদের জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয় না।
কিন্তু যুদ্ধে এই রাষ্ট্রগুলোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব হলো, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা-এবং কিছু ক্ষেত্রে অবমূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে তাদের নেতৃত্বের ভূমিকা। তুরস্ক দ্বৈত-ব্যবহারযোগ্য (বেসামরিক ও সামরিক উভয় খাতে ব্যবহারযোগ্য) বিপুল পরিমাণ পণ্য রাশিয়ায় পাঠিয়েছে। এটি রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা অবস্থানের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এসব কর্মকাণ্ডের কারণে যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে চারটি তুর্কি কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা আগে থেকে রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে থাকলেও অন্যান্য মধ্যম শক্তির অধিকাংশই দৃঢ়ভাবে নিরপেক্ষ থেকেছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ছয়টি রাষ্ট্রই রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য ও অন্যান্য সম্পর্ক বজায় রেখেছে, কেউ কেউ বাড়িয়েছে।
আইএমএফের অনুমান, রাশিয়ার অর্থনীতির আকার এ বছর দশমিক ৭ শতাংশ বাড়বে। পশ্চিমা দেশগুলো যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার যে ভয়ানক প্রভাব আশা করেছিল তা এখন বেশ ক্ষীণ বলেই মনে হচ্ছে। সুইং স্টেটগুলো রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কমাতে সাহায্য করেছে। তারা এটি করতেই থাকবে। এই কারণেই ক্রেমলিনের এখন দৃঢ় বিশ্বাস, রাশিয়ার বাণিজ্য এখন দক্ষিণ এবং পূর্ব দিকে ঘুরে যাবে।
ফরেন পলিসি অবলম্বনে জাহাঙ্গীর আলম
গত মাসে নিজ দেশের বাইরে এক বিরল সফরে বেরিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। প্রায় সপ্তাহব্যাপী সফরে সৌদি আরবের জেদ্দা ও জাপানের হিরোশিমায় কাটিয়েছেন। লক্ষ্য ছিল মূলত ব্রাজিল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও সৌদি আরবের সমর্থন আদায় করা। এই প্রধান চারটি দেশ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের শুরু থেকেই দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে।
এই রাষ্ট্রগুলো এবং বৈশ্বিক দক্ষিণের অন্যান্য নেতৃস্থানীয় দেশগুলোর প্রভাব-প্রতিপত্তি এখন অনেক বেশি। এর পেছনে নতুন ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যের ফল। এদের আরও এজেন্সি রয়েছে, তারা আঞ্চলিকীকরণ থেকে উপকৃত হয় এবং মার্কিন-চীন উত্তেজনার ফায়দা নিতে পারে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যেকোনো সময়ের তুলনায় এই মধ্যবর্তী শক্তিগুলোর কাছে এখন সবচেয়ে বেশি কর্তৃত্ব এসে গেছে। এগুলো ভূরাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
তবে এটা স্পষ্ট যে, তারা বিশ্বের দুটি পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের চেয়ে কম শক্তিশালী। বৈশ্বিক উত্তরে রয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আরও কয়েকটি দেশ। রাশিয়া বাদে এই দেশগুলো কিন্তু বৈশ্বিক ক্ষমতা ও প্রভাব-প্রতিপত্তির পরিবর্তনশীল গতিশীলতা সম্পর্কে খুব একটা কিছু জানান দিচ্ছে না। কারণ তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আরও মজার ব্যাপার হলো, বৈশ্বিক দক্ষিণের ছয়টি শীর্ষস্থানীয় শক্তি: ব্রাজিল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তুরস্ক। বৈশ্বিক দক্ষিণের এই `সুইং স্টেটগুলো' সুপার পাওয়ারের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সংযুক্ত নয়। ফলে এরা নতুন বৈশ্বিক ক্ষমতার ভারসাম্যে গতিশীলতা তৈরি করতে ভূমিকা রাখার ব্যাপারে স্বাধীন। এরা সবাই জি-২০-এর সদস্য এবং ভূরাজনীতি ও ভূ-অর্থনীতি উভয় ক্ষেত্রেই সক্রিয়। বৈশ্বিক দক্ষিণে এই ছয় দেশ বৃহত্তর ভূরাজনৈতিক প্রবণতার জন্য নির্ভরযোগ্য ব্যারোমিটার হিসেবেও কাজ করে।
এই ছয় রাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। এই কারণগুলোকে দুটি গ্রুপে বিভক্ত করা যেতে পারে: দীর্ঘমেয়াদী ঐতিহাসিক বিবর্তন এবং সাম্প্রতিক বৈশ্বিক প্রবণতা। প্রথম গ্রুপ সম্পর্কে বলা যেতে পারে, স্নায়ুযুদ্ধের পরের বৈশ্বিক পরিস্থিতি এই রাষ্ট্রগুলোকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরও প্রভাব বিস্তারকারী এজেন্সি দিয়েছে।
বিরোধী ব্লকে কঠোর বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে স্নায়ুযুদ্ধ। এই বিচ্ছেদ ও বিচ্ছিন্নতাই আজকের কিছু সুইং স্টেটের জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একচ্ছত্র আধিপত্য (এক মেরু) যুগে প্রায় সব রাষ্ট্রেরই ওয়াশিংটনের প্রতি কিছু আনুগত্যের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এখনকার সিনো-মার্কিন দ্বিমেরু (বাইপোলারিটি) বেশ দুর্বল। এ কারণে সমস্ত মধ্যশক্তির পক্ষ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতাও বেশি।
দ্বিতীয় গ্রুপের ক্ষেত্রে: দুই দশক ধরে বিশ্বের ক্ষমতা বিন্যাসে গুরুত্বপূর্ণ মোড় লক্ষ করা গেছে। ক্ষমতার ক্ষেত্রে আর গোলকায়নের ধারণা টিকে থাকছে না। এর ফলে আঞ্চলিক পর্যায়ে নতুন ভূরাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে।
সুইং স্টেটগুলো মূলত সবাই একটি আঞ্চলিক নেতৃত্বে রয়েছে। তারা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে কারণ, অঞ্চলগুলো ক্রমেই ক্ষমতাশালী হয়ে উঠছে। নিয়ার-শোরিং (সাপ্লাই চেইনকে ঘরের কাছাকাছি সরিয়ে আনা) এবং ফ্রেন্ড-শোরিং (প্রতিপক্ষ থেকে সমমনা দেশগুলোতে সাপ্লাই চেইন নিয়ে যাওয়া) প্রক্রিয়াগুলো ধীরে ধীরে কিছু সংস্থা এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ককে চীন থেকে অন্য অঞ্চলে সরিয়ে দিচ্ছে। এর বেশির ভাগই যাচ্ছে বৈশ্বিক দক্ষিণে।
বৈশ্বিক দক্ষিণের কিছু সুইং স্টেট ক্রমেই আঞ্চলিক বাণিজ্যের ব্যস্ত কেন্দ্র হয়ে উঠবে। ভারত এর সর্বোত্তম উদাহরণ। কারণ কিছু মার্কিন সংস্থা সেখানে নতুন উৎপাদন ও রুটের সাপ্লাই চেইন হিসেবে দেশটিকে বেছে নিচ্ছে। জ্বালানির বাজারগুলো আরও আঞ্চলিক হয়ে উঠছে, এতে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। সংগত কারণেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জোর দিয়ে বলেছে, বিশ্ব খণ্ড খণ্ড হয়ে যাচ্ছে। একটি খণ্ডিত বিশ্বে আঞ্চলিক মধ্যশক্তিগুলো যৌক্তিকভাবেই ক্রমবর্ধমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
তৃতীয়ত, স্নায়ুযুদ্ধের সময় ভারত ও ইন্দোনেশিয়া ঔপনিবেশিক শাসন থেকে বেরিয়ে এসেছে। সদ্য উপনিবেশ থেকে মুক্তি দ্বিমেরুর যুগে তাদের বৈশ্বিক ভূমিকা সীমিত করেছিল। আজ ছয়টি সুইং স্টেট সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত সার্বভৌম।
কিন্তু এটা ভাবলে ভুল হবে যে, তারা কেবল জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের একটি নতুন অবতার। বৈশ্বিক দক্ষিণে আধিপত্যকারী অন্যান্য গ্রুপ যেমন জি-৭৭ এবং ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা), এদের কোনোটিরই মতোই তারা নয়। এই গ্রুপগুলো সবাই ঘনিষ্ঠ বা কিছু আদর্শিক সখ্য তাদের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু আজকের ছয়টি সুইং স্টেটের তেমন কোনো চরিত্র নেই। আদর্শিক সখ্যের অনুপস্থিতি এই রাষ্ট্রগুলো বৈদেশিক নীতিতে একটি কঠিন ও রক্ষণশীল লেনদেন পদ্ধতি গ্রহণে বাধ্য নয়। এ ধরনের বাধ্যবাধকতা থেকে তারা মুক্ত থাকতে পারে। ফলস্বরূপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের সামগ্রিক প্রভাব আরও বিস্তৃত হতেই সাহায্য করবে।
সুইং স্টেটগুলোর শক্তি বৃদ্ধিদে আরও যে অন্যান্য চালকের ভূমিকা রয়েছে তার মূলে রয়েছে সাম্প্রতিক বৈশ্বিক প্রবণতা। সুইং স্টেটগুলোর ক্ষমতা তাদের পরস্পরের মধ্যকার প্রতিযোগিতা এবং দ্বন্দ্ব থেকে আর শক্তি সঞ্চয় করে। এটিই ক্রমবর্ধমানভাবে মার্কিন-চীন সম্পর্ককে প্রভাবিত করে।
প্রতিটি পরাশক্তি চায় সুইং স্টেটগুলো তার সঙ্গে থাকুক। পরাশক্তির এই বৈশিষ্ট্য সুইং স্টেটগুলোকে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ তৈরি করে দেয়। উদাহরণ স্বরূপ, চতুর্পক্ষীয় নিরাপত্তা সংলাপে (কোয়াড) যোগদানের পর থেকে ভারতের ক্ষমতা এবং প্রভাব নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। চীনের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক ক্ষমতায় ভারসাম্য আনার লক্ষ্যে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা এই কোয়াড।
প্রযুক্তি শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, বিশেষ করে লিথিয়াম, নিকেল এবং অ্যালুমিনিয়াম পেতে ব্রাজিল এবং ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে যেতে চায় চীন। বেইজিংয়ের এমন আগ্রহ থেকে উপকৃত হয়েছে উপকৃত হয়েছে দুই দেশ। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রও এসব খনিজের নির্ভরযোগ্য ও দীর্ঘমেয়াদি উৎস পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। জাপান, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপরে সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জো বাইডেন।
সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ছয়টি সুইং স্টেটের প্রত্যেকেরই যুক্তরাষ্ট্র বা চীনের দিকে ঝুঁকে যাওয়ার নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। তাদের বেশিরভাগই আনুগত্যের প্রশ্ন তুলনামূলকভাবে ভারসাম্য বজায় রাখে। আপাতত, একের পর এক দুর্দান্ত ক্ষমতার খেলা খেলতে অনেক ক্ষেত্রেই স্বাধীন থাকবে তারা। সেমিকন্ডাক্টর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), কোয়ান্টাম প্রযুক্তি, ফাইভজি টেলিকমিউনিকেশন এবং বায়োটেকসহ এই সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তিমূলক প্রযুক্তি বিদ্যা এক্ষেত্রে অবশ্য ব্যতিক্রম। এসব খাতে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই মধ্যশক্তিগুলোকে সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র অথবা চীন দুটির একটিকে বেছে নিতে হবে।
একইভাবে, বৈশ্বিক দক্ষিণের সুইং স্টেটগুলো, তাদের বৃহৎ এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির সঙ্গে আন্তর্জাতিক জলবায়ু নীতিগুলো থেকে লাভবান হয়। এই রাষ্ট্রগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে উৎসারিত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
কার্বন বাজারগুলো ক্রমেই এই মধ্যম শক্তির দেশগুলোতে তাদের সম্পদ স্থানান্তর করবে। সেখানে তারা গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের প্রকৃত প্রভাব বিবেচনায় নেবে না। পশ্চিমা কোম্পানিগুলোকে বাধ্য হয়েই বিদেশে সহযোগী প্রতিষ্ঠান পেতে হবে,কারণ নিজ দেশে তাদের নেট-জিরো স্ট্যাটাস অনুসরণ করতে।
আরও বিস্তৃতভাবে বন উজাড় ঠেকানো এবং ডিকার্বনাইজেশন সংক্রান্ত নীতিগুলির জন্য সুইং স্টেটগুলোর গঠনমূলক অংশগ্রহণ প্রয়োজন। বন উজাড়ের বিষয়ে ব্রাজিল এবং ইন্দোনেশিয়া এবং প্রধানত ভারত ও ইন্দোনেশিয়া ডিকার্বনাইজেশনে, বিশেষ করে কয়লার ব্যবহারে এগিয়ে আছে।
ছয়টি সুইং স্টেট ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রতি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি র্গঠনে এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রথম থেকেই তারা ইউক্রেনে পশ্চিমা সামরিক সহায়তা এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার পক্ষে অবস্থান নিতে অস্বীকার করেছে। তারা যুক্তি দেখিয়েছে, এই যুদ্ধ শুধু ইউরোপকে প্রভাবিত করবে, বৈশ্বিক নিরাপত্তাকে নয়। সেই সঙ্গে এই যুদ্ধে পশ্চিমা নীতি উন্নয়ন, সরকারি ঋণ হ্রাস, খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে তাদের জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয় না।
কিন্তু যুদ্ধে এই রাষ্ট্রগুলোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব হলো, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা-এবং কিছু ক্ষেত্রে অবমূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে তাদের নেতৃত্বের ভূমিকা। তুরস্ক দ্বৈত-ব্যবহারযোগ্য (বেসামরিক ও সামরিক উভয় খাতে ব্যবহারযোগ্য) বিপুল পরিমাণ পণ্য রাশিয়ায় পাঠিয়েছে। এটি রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা অবস্থানের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এসব কর্মকাণ্ডের কারণে যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে চারটি তুর্কি কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা আগে থেকে রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে থাকলেও অন্যান্য মধ্যম শক্তির অধিকাংশই দৃঢ়ভাবে নিরপেক্ষ থেকেছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ছয়টি রাষ্ট্রই রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য ও অন্যান্য সম্পর্ক বজায় রেখেছে, কেউ কেউ বাড়িয়েছে।
আইএমএফের অনুমান, রাশিয়ার অর্থনীতির আকার এ বছর দশমিক ৭ শতাংশ বাড়বে। পশ্চিমা দেশগুলো যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার যে ভয়ানক প্রভাব আশা করেছিল তা এখন বেশ ক্ষীণ বলেই মনে হচ্ছে। সুইং স্টেটগুলো রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কমাতে সাহায্য করেছে। তারা এটি করতেই থাকবে। এই কারণেই ক্রেমলিনের এখন দৃঢ় বিশ্বাস, রাশিয়ার বাণিজ্য এখন দক্ষিণ এবং পূর্ব দিকে ঘুরে যাবে।
ফরেন পলিসি অবলম্বনে জাহাঙ্গীর আলম
হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেনকে নিয়ে একটি নতুন নিরাপত্তা পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রও এ শান্তিরক্ষায় যুক্ত থাকবে।
১৩ ঘণ্টা আগেইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনা জোরদার হয়েছে। এ নিয়ে আলাস্কায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে বিরল বৈঠক হয়েছে। গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গেও ট্রাম্পের বৈঠক হয়েছে। এই আলোচনায় মূল কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে ইউক্রেনের
২১ ঘণ্টা আগে২০১৩-১৪ সালে ইউক্রেনে ব্যাপক গণবিক্ষোভ শুরু হলে রুশপন্থী প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ক্ষমতাচ্যুত হন। এই রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কোনো রাষ্ট্রীয় প্রতীকবিহীন সশস্ত্র সৈন্য পাঠিয়ে ক্রিমিয়া দখল করে নেন। পরে পুতিন ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার জন্য একটি
২ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, আগামী বছর এক ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে এসব ডেটা সেন্টার। ২০২৬ সালে প্রথমবারের মতো আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে এআইয়ের এসব ডেটা সেন্টার।
৩ দিন আগে