আজকের পত্রিকা ডেস্ক
১৯৫২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামেও ছিল মিটিং-মিছিল। তাতে অংশ নিয়েছিলেন কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন চৌধুরী হারুনুর রশীদ ও আজিজুর রহমান। অফিসে যাওয়ার পর কবি টের পেলেন, তাঁর শরীরে জ্বর। গায়ে জলবসন্ত। কাজের উত্তেজনায় ব্যাধির কথা টেরই পাননি তিনি। স্বভাবতই অফিস থেকে তাঁকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি তখন ছাত্র ফেডারেশনের কর্মী। একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা খন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস চট্টগ্রামে আসেন। বেলা তিনটার পর তিনি ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, গুলি চলেছে। অসংখ্য মানুষ মারা গেছে। কত মানুষ মারা গেছে, তা কেউ বলতে পারে না।
বাড়িতে বসেই খবরটা পেলেন মাহবুব উল আলম চৌধুরী। একজনকে বললেন লিখতে। তারপর গড়গড় করে বলে গেলেন হৃদয়-উত্থিত কবিতার শব্দাবলি। সেটাই ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’। একুশের প্রথম কবিতা।
খন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস যখন কবিকে দেখতে আসেন, তখন তিনি কবিতাটা দেখান। ইলিয়াস বলেন, এটি অসাধারণ একটি কবিতা। এটা ছাপিয়ে ২৩ তারিখের জনসভায় বিলি করতে হবে।
কান্দরকিল্লার কোহিনূর ইলেকট্রিক প্রেসে ছাপা হবে। খন্দকার ইলিয়াস আর উদয়ন পত্রিকার সম্পাদক রুহুল আমিন নিজামীর ওপর ছাপানোর দায়িত্ব। মুদ্রাকর হিসেবে নাম ছিল দবির আহমদ চৌধুরীর, প্রকাশক পৌর কমিশনার প্রার্থী কামাল উদ্দিন আহমদ খান। দাম দুই আনা। রাতের শেষ প্রহরে কম্পোজ ও প্রুফের কাজ শেষ। মেশিন পরিষ্কার হচ্ছে। সে সময় প্রেস ঘেরাও করে পুলিশ। প্রেসের লোকজন প্রুফ কপি, ম্যাটার আর খন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াসকে লুকিয়ে ফেলেন দোতলায়। পুলিশ এসে তল্লাশি চালায়; কিন্তু কিছু পায় না। খালি হাতে ফিরে যায়। তারা চলে গেলে ছাপা শুরু হয়। দুপুরের মধ্যে ছাপা হয়ে যায় ১০ হাজার কপি।
২৩ ফেব্রুয়ারি লালদীঘি ময়দানে চৌধুরী হারুনুর রশীদ সভার একপর্যায়ে পাঠ করেন মাহবুব উল আলম চৌধুরী রচিত কবিতা, ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’।
সূত্র: মামুন সিদ্দিকী, ভাষাসংগ্রামী মাহবুব উল আলম চৌধুরী, পৃষ্ঠা: ৪৪-৪৬
১৯৫২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামেও ছিল মিটিং-মিছিল। তাতে অংশ নিয়েছিলেন কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন চৌধুরী হারুনুর রশীদ ও আজিজুর রহমান। অফিসে যাওয়ার পর কবি টের পেলেন, তাঁর শরীরে জ্বর। গায়ে জলবসন্ত। কাজের উত্তেজনায় ব্যাধির কথা টেরই পাননি তিনি। স্বভাবতই অফিস থেকে তাঁকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি তখন ছাত্র ফেডারেশনের কর্মী। একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা খন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস চট্টগ্রামে আসেন। বেলা তিনটার পর তিনি ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, গুলি চলেছে। অসংখ্য মানুষ মারা গেছে। কত মানুষ মারা গেছে, তা কেউ বলতে পারে না।
বাড়িতে বসেই খবরটা পেলেন মাহবুব উল আলম চৌধুরী। একজনকে বললেন লিখতে। তারপর গড়গড় করে বলে গেলেন হৃদয়-উত্থিত কবিতার শব্দাবলি। সেটাই ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’। একুশের প্রথম কবিতা।
খন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস যখন কবিকে দেখতে আসেন, তখন তিনি কবিতাটা দেখান। ইলিয়াস বলেন, এটি অসাধারণ একটি কবিতা। এটা ছাপিয়ে ২৩ তারিখের জনসভায় বিলি করতে হবে।
কান্দরকিল্লার কোহিনূর ইলেকট্রিক প্রেসে ছাপা হবে। খন্দকার ইলিয়াস আর উদয়ন পত্রিকার সম্পাদক রুহুল আমিন নিজামীর ওপর ছাপানোর দায়িত্ব। মুদ্রাকর হিসেবে নাম ছিল দবির আহমদ চৌধুরীর, প্রকাশক পৌর কমিশনার প্রার্থী কামাল উদ্দিন আহমদ খান। দাম দুই আনা। রাতের শেষ প্রহরে কম্পোজ ও প্রুফের কাজ শেষ। মেশিন পরিষ্কার হচ্ছে। সে সময় প্রেস ঘেরাও করে পুলিশ। প্রেসের লোকজন প্রুফ কপি, ম্যাটার আর খন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াসকে লুকিয়ে ফেলেন দোতলায়। পুলিশ এসে তল্লাশি চালায়; কিন্তু কিছু পায় না। খালি হাতে ফিরে যায়। তারা চলে গেলে ছাপা শুরু হয়। দুপুরের মধ্যে ছাপা হয়ে যায় ১০ হাজার কপি।
২৩ ফেব্রুয়ারি লালদীঘি ময়দানে চৌধুরী হারুনুর রশীদ সভার একপর্যায়ে পাঠ করেন মাহবুব উল আলম চৌধুরী রচিত কবিতা, ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’।
সূত্র: মামুন সিদ্দিকী, ভাষাসংগ্রামী মাহবুব উল আলম চৌধুরী, পৃষ্ঠা: ৪৪-৪৬
১৬৫৫ সালে গৌড়ীয় রীতিতে রাজবাড়ির বালিয়াকান্দী উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামে জোড় বাংলা মন্দির ও বিগ্রহ নির্মাণ করেন রাজা সীতারাম রায়। দুটো মন্দির পাশাপাশি নির্মাণ করা হয় বলে এর এমন নাম। স্থানীয়দের মতে, রাজা সীতারাম বেলগাছিতে সোনায় গড়া মূর্তি দিয়ে দুর্গাপূজা করতে...
৩ দিন আগে১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৭ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১৩ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২৪ দিন আগে