সম্পাদকীয়
রণেশ দাশগুপ্ত সারা জীবন মানুষের মুক্তির সংগ্রামে যুক্ত ছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টি করার পাশাপাশি তিনি প্রগতি লেখক সংঘ ও উদীচী প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।
রণেশ দাশগুপ্তের জন্ম ভারতের আসামের ডিব্রুগড় শহরে ১৯১২ সালের ১৫ জানুয়ারি। তাঁর পৈতৃক নিবাস ঢাকার মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার গাউরদিয়া গ্রামে। বিহারের রাঁচি স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে বাঁকুড়া কলেজে ভর্তি হন তিনি। সে সময় ব্রিটিশবিরোধী রাজনীতিতে সরাসরি জড়িয়ে পড়ার অপরাধে কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হন। এরপর তিনি কলকাতার সিটি কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। কিন্তু পুলিশের উৎপাতে লেখাপড়ায় বিঘ্ন হওয়ায় বরিশালের ব্রজমোহন কলেজে ইংরেজিতে অনার্সে ভর্তি হন। তখন তিনি থাকতেন তাঁর জ্যাঠা সত্যানন্দ দাশের বড়িতে। সত্যানন্দ দাশ ছিলেন কবি জীবনানন্দ দাশের বাবা।
রণেশ দাশগুপ্ত ১৯৩৮ সালে ঢাকায় সাপ্তাহিক ‘সোনার বাংলা’ পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সে বছরই বাবার মৃত্যু হলে সংসারের অর্থাভাব মেটাতে তিনি একটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি নেন। তারপর আবার সাংবাদিকতায় ফিরে এসে দৈনিক ইত্তেফাক ও সংবাদ পত্রিকায় যুক্ত ছিলেন।
সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। তাই তিনি ১৯৫৮ সালে কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন ঢাকা পৌরসভার নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাঁতীবাজার এলাকা থেকে কমিশনার নির্বাচিত হন। রাজনীতি করার কারণে তাঁকে বিভিন্ন সময়ে কারাভোগ করতে হয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১ নভেম্বর কলকাতায় একটি সভায় যোগ দিতে গিয়ে আর দেশে ফিরে আসেননি রণেশ। সেই সময় তাঁকে ভারত সরকার ভাতা ও নাগরিকত্ব দিতে চাইলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। যদিও তাঁর প্রচণ্ড অর্থকষ্ট ছিল।
রণেশ দাশগুপ্তের গুরুত্বপূর্ণ বইগুলো হলো: উপন্যাসের শিল্পরূপ, শিল্পীর স্বাধীনতার প্রশ্নে, ল্যাটিন আমেরিকার মুক্তিসংগ্রাম, কখনো চম্পা কখনো অতসী প্রভৃতি। অনুবাদ করেছেন উর্দু কবি ফয়েজ আহমদ ফয়েজের কবিতা।
তিনি ১৯৯৭ সালের ৪ নভেম্বর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
রণেশ দাশগুপ্ত সারা জীবন মানুষের মুক্তির সংগ্রামে যুক্ত ছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টি করার পাশাপাশি তিনি প্রগতি লেখক সংঘ ও উদীচী প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।
রণেশ দাশগুপ্তের জন্ম ভারতের আসামের ডিব্রুগড় শহরে ১৯১২ সালের ১৫ জানুয়ারি। তাঁর পৈতৃক নিবাস ঢাকার মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার গাউরদিয়া গ্রামে। বিহারের রাঁচি স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে বাঁকুড়া কলেজে ভর্তি হন তিনি। সে সময় ব্রিটিশবিরোধী রাজনীতিতে সরাসরি জড়িয়ে পড়ার অপরাধে কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হন। এরপর তিনি কলকাতার সিটি কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। কিন্তু পুলিশের উৎপাতে লেখাপড়ায় বিঘ্ন হওয়ায় বরিশালের ব্রজমোহন কলেজে ইংরেজিতে অনার্সে ভর্তি হন। তখন তিনি থাকতেন তাঁর জ্যাঠা সত্যানন্দ দাশের বড়িতে। সত্যানন্দ দাশ ছিলেন কবি জীবনানন্দ দাশের বাবা।
রণেশ দাশগুপ্ত ১৯৩৮ সালে ঢাকায় সাপ্তাহিক ‘সোনার বাংলা’ পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সে বছরই বাবার মৃত্যু হলে সংসারের অর্থাভাব মেটাতে তিনি একটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি নেন। তারপর আবার সাংবাদিকতায় ফিরে এসে দৈনিক ইত্তেফাক ও সংবাদ পত্রিকায় যুক্ত ছিলেন।
সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। তাই তিনি ১৯৫৮ সালে কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন ঢাকা পৌরসভার নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাঁতীবাজার এলাকা থেকে কমিশনার নির্বাচিত হন। রাজনীতি করার কারণে তাঁকে বিভিন্ন সময়ে কারাভোগ করতে হয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১ নভেম্বর কলকাতায় একটি সভায় যোগ দিতে গিয়ে আর দেশে ফিরে আসেননি রণেশ। সেই সময় তাঁকে ভারত সরকার ভাতা ও নাগরিকত্ব দিতে চাইলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। যদিও তাঁর প্রচণ্ড অর্থকষ্ট ছিল।
রণেশ দাশগুপ্তের গুরুত্বপূর্ণ বইগুলো হলো: উপন্যাসের শিল্পরূপ, শিল্পীর স্বাধীনতার প্রশ্নে, ল্যাটিন আমেরিকার মুক্তিসংগ্রাম, কখনো চম্পা কখনো অতসী প্রভৃতি। অনুবাদ করেছেন উর্দু কবি ফয়েজ আহমদ ফয়েজের কবিতা।
তিনি ১৯৯৭ সালের ৪ নভেম্বর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
বাংলাদেশের অ্যাংলিংকান সম্প্রদায় উপাসনার জন্য নির্মাণ করেছিল সেন্ট থমাস ক্যাথেড্রাল চার্চ। ১৮১৯ সালে শেষ হয় এর নির্মাণকাজ। ঢাকা কারাগারের কয়েদিরা নাকি এটির নির্মাণে শ্রম দিয়েছিল। কলকাতার বিশপ রেজিনাল্ড হেবার ১৮২৪ সালের ১০ জুলাই ঢাকায় এসে উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত এই গির্জাটির।
৯ ঘণ্টা আগেআজ বিশ্ব নৃত্য দিবস। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর সহযোগী সংস্থা আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট-আইটিআই ১৯৮২ সালে ২৯ এপ্রিলকে বিশ্ব নৃত্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। মূলত নৃত্যশিল্পের বিকাশ ও বিশ্বব্যাপী নৃত্যপ্রেমীদের একত্রিত করাই এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য। ২৯ এপ্রিল আধুনিক
১ দিন আগেদুপুরের খাবারের বিরতির পর তাঁরা আবার কাজ শুরু করেন। সন্ধ্যা ৭টায় কাজ শেষ হলে সিপির চীনা ও আইরিশ শ্রমিকেরা এক দিনে ১০ মাইল ৫৬ ফুট (১৬.১১১ কিলোমিটার) রেলপথ বসানোর অনন্য রেকর্ড গড়েন।
২ দিন আগেআলীর এই সিদ্ধান্তে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ আলীর অবস্থানের প্রশংসা করেন, আবার কেউ কেউ তাঁকে আখ্যায়িত করেন বিশ্বাসঘাতক। তাঁকে বক্সিং রিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় অর্জিত শিরোপা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে ফেডারেল সরকারের বিচার বিভাগ।
২ দিন আগে