
আমাদের দেশে যেমন বিয়ের কনে দেখার একটা রীতি আছে, তেমনি কোরবানির গরু দেখারও চল আছে। কম-বেশি সবার শৈশব-কৈশোর কাটে এর-ওর বাড়ি গিয়ে কোরবানির গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি পশু দেখে। অনেকে আবার শৈশব-কৈশোরের এই দুরন্তপনা বুড়ো বয়সেও বজায় রাখেন। যেমন, আমাদের পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবছর কোরবানির গরু কেনা এবং গরু দেখার একটা হাঙ্গামা লাগে। এবারের হাঙ্গামাটা একটু ব্যতিক্রম। কারণ, এবার গরু সরাসরি বাসায় আসেনি। আচ্ছা, তাহলে ঘটনাটা খুলেই বলি।
ভুবন তাঁর খালাতো ভাইকে নিয়ে গেছে হাটে। হাতে আরও দু-তিন দিন সময় আছে ঈদের। তাই সেদিনই যে গরু কেনা হয়ে যাবে, এ রকম কোনো ভাবনা ছিল না কারও। তাঁরা গেছেন রহমতগঞ্জের হাটে। একই সঙ্গে ছোট মামাও তাঁর ছেলে জাওয়াদকে নিয়ে গেছেন ওই হাটেই। অর্থাৎ, বাসায় দুইটা গরু আসবে—একটা মামা আনবেন, আরেকটা আনবে তাঁর ভাগনে ভুবন।
এদিকে আমি, শাশুড়ি মা আর জাওয়াদের ৯ বছরের ছোট্ট বোন জারা বসে নানা বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা আর হাহা-হিহি করছি। হঠাৎ রাত ১০টার দিকে মাকে তাঁর ছেলে ফোন করে বলল, গরু কেনা হয়ে গেছে। তবে গরু বাসায় আসছে না!
‘বাসায় আসছে না মানে?’ অবাক হলাম।
মা বললেন, রহমতগঞ্জ থেকে লালবাগ কাছে। তাই আপাতত লালবাগে খালার বাসায় রাখা হবে গরু। পরে আমাদের কায়েৎটুলীর বাসায় আনা হবে ঈদের আগের দিন। সেখানে খালাদের গরুর সঙ্গে দোস্তি পাতানো হবে আমাদের গরুর। তারা একজন আরেকজনের দেখাদেখি খাবে—এই হচ্ছে বাড়ির বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
যাই হোক, গরু কেনা হয়েছে শুনে মায়ের খুশির অন্ত নেই। তিনি আমাকে বললেন, ‘কোরবানি, কোরবানি গানটা লাগাও।’ আমি ইউটিউব থেকে মায়ের পছন্দের গানটা বাজিয়ে দিলাম—কোরবানি, কোরবানি, কোরবানি/আল্লাহ কো প্যায়ারি হ্যায় কোরবানি। তারপর বললেন, ‘এবার দেশিটা লাগাও। শাকিব খানের নতুন সিনেমা প্রিয়তমার একটা গান আছে কোরবানি নিয়ে, ওইটা ছাড়ো।’ সেটার কথা তো আমার জানা ছিল না! তবুও সেটা খুঁজে বাজিয়ে দিলাম। এই বয়সেও এভাবেই মা সব উৎসবে আমাদের সবাইকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করেন।
এবার মা ইচ্ছা প্রকাশ করলেন, যত রাতই হোক, খালার বাসায় যাবেন গরু দেখতে। কিন্তু কীভাবে যাবেন? মা রিকশায় উঠতে পারেন না, আমাদের গাড়ি নেই। সিএনজিচালিত অটোরিকশা আনতে হলে কাউকে মেইন রোডে যেতে হবে, সে রকম কেউ বাসায় নেই। মা ফোন দিলেন খালাকে। ঠিক হলো খালার ছোট ছেলে হোসাইন আসবে ব্যাটারিচালিত একটা বড় রিকশা নিয়ে, যেটায় সবাই মিলে যেতে পারব। কিন্তু সময় লাগবে, রাস্তায় প্রচুর জ্যাম।
রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হোসাইন রিকশা নিয়ে এল। কিন্তু হায়, বড় রিকশা কোথায়? হোসাইন বলল, ‘বড় রিকশা পাই নাই। যেটা আছে, সেটাতেই ওঠেন।’ মা উঠলেন, আমি উঠলাম, আমার কোলে জারা, আর হোসাইন রিকশাওয়ালা মামার সঙ্গে সামনে। এর মধ্যে ঝড়ের গতিতে ছোট মামি এসে হাজির, উনিও যাবেন, এই রিকশাতেই যাবেন। মা-ও নাছোড়বান্দা, মামিকে নিয়েই যাবেন। ওই মুহূর্তে জাওয়াদ ফোন দিল, ‘ভাবি একটু দাঁড়ান, আমাদের গরু আনতেসি বাসায়, দশ-পনেরো মিনিট লাগবে। আমাকে আপনাদের সঙ্গে লালবাগে নিয়ে যান।’ এ কি মুশকিল! এই ব্যাটারির রিকশাটায় চালক ছাড়া তিনজনের বেশি বসা যায় না।
একদিকে আমি জাওয়াদকে ফোনে বোঝাচ্ছিলাম— রিকশায় জায়গা হচ্ছে না, আরেক দিকে মামি রিকশায় উঠে বসার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মা বলছেন মামিকে, ‘তুমি আমার কোলে বস।’ মামিও সে অনুযায়ী খুব চেষ্টা করছেন। কিন্তু রিকশায় এক পায়ের বেশি ওঠাতে পারছেন না। আমি ফোন রেখে মামিকে বললাম, ‘মামি আপনি জাওয়াদের সঙ্গে আসেন। ও যাবে।’ কিন্তু মামি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড়, তিনি এই রিকশাতেই যাবেন। তারপর মনে হলো, মামি যে বাড়ি-ঘর তালা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন, তাহলে মামা এসে বাসায় ঢুকবেন কী করে? মামিকে সে কথাও মনে করিয়ে দিলাম। মামি তাও বললেন, ‘আমি কিছু জানি না, আমি যাব।’ বললাম, ‘চাবিটা অন্তত দোকানে দিয়ে আসেন।’ কিন্তু ততক্ষণে বাসার নিচের দোকানের শাটার নেমে গেছে। ঠিক ওই সময় ভুবনও বাসায় এসেছে ওর মোটরসাইকেল উঠান থেকে সরাবে বলে, মামার নির্দেশ—সেখানে গরু রাখা হবে। তখন মামিকে বললাম, ‘তাহলে চাবিটা ভুবনকে দিয়ে দেন।’ মামি সেটাই করলেন। এ যাত্রায় চাবির একটা মীমাংসা করা গেল।
তারপর আবার শুরু হলো মামির রিকশায় চড়ার কসরত—সোজা বসবেন নাকি উল্টো ঘুরে। এসব দেখে রিকশাওয়ালা মামাও তাঁর লাউয়ের বিচির মতো দাঁতগুলো বের করে বেশ আনন্দ পাচ্ছিলেন। শেষে আমার মনে হলো, আমি তো অন্য রিকশাতেও যেতে পারি! হাঙ্গামার মধ্যে এই কথাটা খুব দেরি করে মাথায় এল। হোসাইনকে বললাম, ‘চলো, আমরা দুইজন অন্য একটা রিকশা নিয়ে যাই।’ সঙ্গে সঙ্গে হোসাইন এক লাফে রিকশা থেকে নেমে গেল। আমরা আলাদা রিকশা নিয়ে রওনা হলাম। ভাগ্যিস মা তাঁর দুই সহকারীকে আগেই অন্য একটা রিকশায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। নয়তো আরও কুস্তাকুস্তি চলত ওই ব্যাটারির রিকশায় ওঠার জন্য।
আমাদের দুটো রিকশা খালার বাসায় পৌঁছে গেল প্রায় একই সময়ে। ‘এই রাতে যত ভাড়া লাগে আমি দিব’ সংলাপ দেওয়া মা ভাড়া দিতে গিয়ে খেয়াল করলেন তিনি তাঁর প্রিয় হাতব্যাগটা সঙ্গে আনেননি, যেটায় শত শত টাকা আছে। ভীষণ লজ্জা পেয়ে মামির কাছ থেকে ধার করলেন। আমি দিতে চাইলাম ভাড়া, কিন্তু মামির কাছ থেকেই ধার নেবেন মা! আমি শুধু একটা রিকশার ভাড়া দিলাম।
উঠানে দুই বাড়ির দুটো গরু দেখে সবার চোখ আরাম পেল। এবার ঠান্ডা মাথায় সবাই বসে আড্ডা দেওয়ার পালা। এর মধ্যে ভুবন আর জাওয়াদও খালার বাসায় চলে এসেছে। ওদের পুরো ঘটনা বিস্তারিত বলার সময় মায়ের হঠাৎ মনে পড়ল, মামির ওজন যে পরিমাণ তাতে মায়ের কোলে মামি বসলে তিনি হয়তো তিন দিন বিছানা ছেড়ে উঠতে পারতেন না! ঈদটাই মাটি হয়ে যেত।
আবার ভুবনও শোনাল তাঁর হাটের অভিজ্ঞতা। আমাদের যে গরুটা কেনা হয়েছে সে নাকি খুব সুচারুভাবে পেছনের দুই পা তুলে লাথি দিতে পারে। সেই লাথি খেয়েই ভুবন গরুটা কিনেছে!
এই নিয়ে বিস্তর হাসাহাসির পর জারা হঠাৎ আমাকে বলে উঠল, ‘সবাই একসঙ্গে থাকলে কত মজা হয়, তাই না ভাবি?’
আমি বললাম, ‘হ্যাঁ, একদম ঠিক।’
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

আমাদের দেশে যেমন বিয়ের কনে দেখার একটা রীতি আছে, তেমনি কোরবানির গরু দেখারও চল আছে। কম-বেশি সবার শৈশব-কৈশোর কাটে এর-ওর বাড়ি গিয়ে কোরবানির গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি পশু দেখে। অনেকে আবার শৈশব-কৈশোরের এই দুরন্তপনা বুড়ো বয়সেও বজায় রাখেন। যেমন, আমাদের পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবছর কোরবানির গরু কেনা এবং গরু দেখার একটা হাঙ্গামা লাগে। এবারের হাঙ্গামাটা একটু ব্যতিক্রম। কারণ, এবার গরু সরাসরি বাসায় আসেনি। আচ্ছা, তাহলে ঘটনাটা খুলেই বলি।
ভুবন তাঁর খালাতো ভাইকে নিয়ে গেছে হাটে। হাতে আরও দু-তিন দিন সময় আছে ঈদের। তাই সেদিনই যে গরু কেনা হয়ে যাবে, এ রকম কোনো ভাবনা ছিল না কারও। তাঁরা গেছেন রহমতগঞ্জের হাটে। একই সঙ্গে ছোট মামাও তাঁর ছেলে জাওয়াদকে নিয়ে গেছেন ওই হাটেই। অর্থাৎ, বাসায় দুইটা গরু আসবে—একটা মামা আনবেন, আরেকটা আনবে তাঁর ভাগনে ভুবন।
এদিকে আমি, শাশুড়ি মা আর জাওয়াদের ৯ বছরের ছোট্ট বোন জারা বসে নানা বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা আর হাহা-হিহি করছি। হঠাৎ রাত ১০টার দিকে মাকে তাঁর ছেলে ফোন করে বলল, গরু কেনা হয়ে গেছে। তবে গরু বাসায় আসছে না!
‘বাসায় আসছে না মানে?’ অবাক হলাম।
মা বললেন, রহমতগঞ্জ থেকে লালবাগ কাছে। তাই আপাতত লালবাগে খালার বাসায় রাখা হবে গরু। পরে আমাদের কায়েৎটুলীর বাসায় আনা হবে ঈদের আগের দিন। সেখানে খালাদের গরুর সঙ্গে দোস্তি পাতানো হবে আমাদের গরুর। তারা একজন আরেকজনের দেখাদেখি খাবে—এই হচ্ছে বাড়ির বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
যাই হোক, গরু কেনা হয়েছে শুনে মায়ের খুশির অন্ত নেই। তিনি আমাকে বললেন, ‘কোরবানি, কোরবানি গানটা লাগাও।’ আমি ইউটিউব থেকে মায়ের পছন্দের গানটা বাজিয়ে দিলাম—কোরবানি, কোরবানি, কোরবানি/আল্লাহ কো প্যায়ারি হ্যায় কোরবানি। তারপর বললেন, ‘এবার দেশিটা লাগাও। শাকিব খানের নতুন সিনেমা প্রিয়তমার একটা গান আছে কোরবানি নিয়ে, ওইটা ছাড়ো।’ সেটার কথা তো আমার জানা ছিল না! তবুও সেটা খুঁজে বাজিয়ে দিলাম। এই বয়সেও এভাবেই মা সব উৎসবে আমাদের সবাইকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করেন।
এবার মা ইচ্ছা প্রকাশ করলেন, যত রাতই হোক, খালার বাসায় যাবেন গরু দেখতে। কিন্তু কীভাবে যাবেন? মা রিকশায় উঠতে পারেন না, আমাদের গাড়ি নেই। সিএনজিচালিত অটোরিকশা আনতে হলে কাউকে মেইন রোডে যেতে হবে, সে রকম কেউ বাসায় নেই। মা ফোন দিলেন খালাকে। ঠিক হলো খালার ছোট ছেলে হোসাইন আসবে ব্যাটারিচালিত একটা বড় রিকশা নিয়ে, যেটায় সবাই মিলে যেতে পারব। কিন্তু সময় লাগবে, রাস্তায় প্রচুর জ্যাম।
রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হোসাইন রিকশা নিয়ে এল। কিন্তু হায়, বড় রিকশা কোথায়? হোসাইন বলল, ‘বড় রিকশা পাই নাই। যেটা আছে, সেটাতেই ওঠেন।’ মা উঠলেন, আমি উঠলাম, আমার কোলে জারা, আর হোসাইন রিকশাওয়ালা মামার সঙ্গে সামনে। এর মধ্যে ঝড়ের গতিতে ছোট মামি এসে হাজির, উনিও যাবেন, এই রিকশাতেই যাবেন। মা-ও নাছোড়বান্দা, মামিকে নিয়েই যাবেন। ওই মুহূর্তে জাওয়াদ ফোন দিল, ‘ভাবি একটু দাঁড়ান, আমাদের গরু আনতেসি বাসায়, দশ-পনেরো মিনিট লাগবে। আমাকে আপনাদের সঙ্গে লালবাগে নিয়ে যান।’ এ কি মুশকিল! এই ব্যাটারির রিকশাটায় চালক ছাড়া তিনজনের বেশি বসা যায় না।
একদিকে আমি জাওয়াদকে ফোনে বোঝাচ্ছিলাম— রিকশায় জায়গা হচ্ছে না, আরেক দিকে মামি রিকশায় উঠে বসার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মা বলছেন মামিকে, ‘তুমি আমার কোলে বস।’ মামিও সে অনুযায়ী খুব চেষ্টা করছেন। কিন্তু রিকশায় এক পায়ের বেশি ওঠাতে পারছেন না। আমি ফোন রেখে মামিকে বললাম, ‘মামি আপনি জাওয়াদের সঙ্গে আসেন। ও যাবে।’ কিন্তু মামি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড়, তিনি এই রিকশাতেই যাবেন। তারপর মনে হলো, মামি যে বাড়ি-ঘর তালা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন, তাহলে মামা এসে বাসায় ঢুকবেন কী করে? মামিকে সে কথাও মনে করিয়ে দিলাম। মামি তাও বললেন, ‘আমি কিছু জানি না, আমি যাব।’ বললাম, ‘চাবিটা অন্তত দোকানে দিয়ে আসেন।’ কিন্তু ততক্ষণে বাসার নিচের দোকানের শাটার নেমে গেছে। ঠিক ওই সময় ভুবনও বাসায় এসেছে ওর মোটরসাইকেল উঠান থেকে সরাবে বলে, মামার নির্দেশ—সেখানে গরু রাখা হবে। তখন মামিকে বললাম, ‘তাহলে চাবিটা ভুবনকে দিয়ে দেন।’ মামি সেটাই করলেন। এ যাত্রায় চাবির একটা মীমাংসা করা গেল।
তারপর আবার শুরু হলো মামির রিকশায় চড়ার কসরত—সোজা বসবেন নাকি উল্টো ঘুরে। এসব দেখে রিকশাওয়ালা মামাও তাঁর লাউয়ের বিচির মতো দাঁতগুলো বের করে বেশ আনন্দ পাচ্ছিলেন। শেষে আমার মনে হলো, আমি তো অন্য রিকশাতেও যেতে পারি! হাঙ্গামার মধ্যে এই কথাটা খুব দেরি করে মাথায় এল। হোসাইনকে বললাম, ‘চলো, আমরা দুইজন অন্য একটা রিকশা নিয়ে যাই।’ সঙ্গে সঙ্গে হোসাইন এক লাফে রিকশা থেকে নেমে গেল। আমরা আলাদা রিকশা নিয়ে রওনা হলাম। ভাগ্যিস মা তাঁর দুই সহকারীকে আগেই অন্য একটা রিকশায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। নয়তো আরও কুস্তাকুস্তি চলত ওই ব্যাটারির রিকশায় ওঠার জন্য।
আমাদের দুটো রিকশা খালার বাসায় পৌঁছে গেল প্রায় একই সময়ে। ‘এই রাতে যত ভাড়া লাগে আমি দিব’ সংলাপ দেওয়া মা ভাড়া দিতে গিয়ে খেয়াল করলেন তিনি তাঁর প্রিয় হাতব্যাগটা সঙ্গে আনেননি, যেটায় শত শত টাকা আছে। ভীষণ লজ্জা পেয়ে মামির কাছ থেকে ধার করলেন। আমি দিতে চাইলাম ভাড়া, কিন্তু মামির কাছ থেকেই ধার নেবেন মা! আমি শুধু একটা রিকশার ভাড়া দিলাম।
উঠানে দুই বাড়ির দুটো গরু দেখে সবার চোখ আরাম পেল। এবার ঠান্ডা মাথায় সবাই বসে আড্ডা দেওয়ার পালা। এর মধ্যে ভুবন আর জাওয়াদও খালার বাসায় চলে এসেছে। ওদের পুরো ঘটনা বিস্তারিত বলার সময় মায়ের হঠাৎ মনে পড়ল, মামির ওজন যে পরিমাণ তাতে মায়ের কোলে মামি বসলে তিনি হয়তো তিন দিন বিছানা ছেড়ে উঠতে পারতেন না! ঈদটাই মাটি হয়ে যেত।
আবার ভুবনও শোনাল তাঁর হাটের অভিজ্ঞতা। আমাদের যে গরুটা কেনা হয়েছে সে নাকি খুব সুচারুভাবে পেছনের দুই পা তুলে লাথি দিতে পারে। সেই লাথি খেয়েই ভুবন গরুটা কিনেছে!
এই নিয়ে বিস্তর হাসাহাসির পর জারা হঠাৎ আমাকে বলে উঠল, ‘সবাই একসঙ্গে থাকলে কত মজা হয়, তাই না ভাবি?’
আমি বললাম, ‘হ্যাঁ, একদম ঠিক।’
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

আমাদের দেশে যেমন বিয়ের কনে দেখার একটা রীতি আছে, তেমনি কোরবানির গরু দেখারও চল আছে। কম-বেশি সবার শৈশব-কৈশোর কাটে এর-ওর বাড়ি গিয়ে কোরবানির গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি পশু দেখে। অনেকে আবার শৈশব-কৈশোরের এই দুরন্তপনা বুড়ো বয়সেও বজায় রাখেন। যেমন, আমাদের পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবছর কোরবানির গরু কেনা এবং গরু দেখার একটা হাঙ্গামা লাগে। এবারের হাঙ্গামাটা একটু ব্যতিক্রম। কারণ, এবার গরু সরাসরি বাসায় আসেনি। আচ্ছা, তাহলে ঘটনাটা খুলেই বলি।
ভুবন তাঁর খালাতো ভাইকে নিয়ে গেছে হাটে। হাতে আরও দু-তিন দিন সময় আছে ঈদের। তাই সেদিনই যে গরু কেনা হয়ে যাবে, এ রকম কোনো ভাবনা ছিল না কারও। তাঁরা গেছেন রহমতগঞ্জের হাটে। একই সঙ্গে ছোট মামাও তাঁর ছেলে জাওয়াদকে নিয়ে গেছেন ওই হাটেই। অর্থাৎ, বাসায় দুইটা গরু আসবে—একটা মামা আনবেন, আরেকটা আনবে তাঁর ভাগনে ভুবন।
এদিকে আমি, শাশুড়ি মা আর জাওয়াদের ৯ বছরের ছোট্ট বোন জারা বসে নানা বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা আর হাহা-হিহি করছি। হঠাৎ রাত ১০টার দিকে মাকে তাঁর ছেলে ফোন করে বলল, গরু কেনা হয়ে গেছে। তবে গরু বাসায় আসছে না!
‘বাসায় আসছে না মানে?’ অবাক হলাম।
মা বললেন, রহমতগঞ্জ থেকে লালবাগ কাছে। তাই আপাতত লালবাগে খালার বাসায় রাখা হবে গরু। পরে আমাদের কায়েৎটুলীর বাসায় আনা হবে ঈদের আগের দিন। সেখানে খালাদের গরুর সঙ্গে দোস্তি পাতানো হবে আমাদের গরুর। তারা একজন আরেকজনের দেখাদেখি খাবে—এই হচ্ছে বাড়ির বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
যাই হোক, গরু কেনা হয়েছে শুনে মায়ের খুশির অন্ত নেই। তিনি আমাকে বললেন, ‘কোরবানি, কোরবানি গানটা লাগাও।’ আমি ইউটিউব থেকে মায়ের পছন্দের গানটা বাজিয়ে দিলাম—কোরবানি, কোরবানি, কোরবানি/আল্লাহ কো প্যায়ারি হ্যায় কোরবানি। তারপর বললেন, ‘এবার দেশিটা লাগাও। শাকিব খানের নতুন সিনেমা প্রিয়তমার একটা গান আছে কোরবানি নিয়ে, ওইটা ছাড়ো।’ সেটার কথা তো আমার জানা ছিল না! তবুও সেটা খুঁজে বাজিয়ে দিলাম। এই বয়সেও এভাবেই মা সব উৎসবে আমাদের সবাইকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করেন।
এবার মা ইচ্ছা প্রকাশ করলেন, যত রাতই হোক, খালার বাসায় যাবেন গরু দেখতে। কিন্তু কীভাবে যাবেন? মা রিকশায় উঠতে পারেন না, আমাদের গাড়ি নেই। সিএনজিচালিত অটোরিকশা আনতে হলে কাউকে মেইন রোডে যেতে হবে, সে রকম কেউ বাসায় নেই। মা ফোন দিলেন খালাকে। ঠিক হলো খালার ছোট ছেলে হোসাইন আসবে ব্যাটারিচালিত একটা বড় রিকশা নিয়ে, যেটায় সবাই মিলে যেতে পারব। কিন্তু সময় লাগবে, রাস্তায় প্রচুর জ্যাম।
রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হোসাইন রিকশা নিয়ে এল। কিন্তু হায়, বড় রিকশা কোথায়? হোসাইন বলল, ‘বড় রিকশা পাই নাই। যেটা আছে, সেটাতেই ওঠেন।’ মা উঠলেন, আমি উঠলাম, আমার কোলে জারা, আর হোসাইন রিকশাওয়ালা মামার সঙ্গে সামনে। এর মধ্যে ঝড়ের গতিতে ছোট মামি এসে হাজির, উনিও যাবেন, এই রিকশাতেই যাবেন। মা-ও নাছোড়বান্দা, মামিকে নিয়েই যাবেন। ওই মুহূর্তে জাওয়াদ ফোন দিল, ‘ভাবি একটু দাঁড়ান, আমাদের গরু আনতেসি বাসায়, দশ-পনেরো মিনিট লাগবে। আমাকে আপনাদের সঙ্গে লালবাগে নিয়ে যান।’ এ কি মুশকিল! এই ব্যাটারির রিকশাটায় চালক ছাড়া তিনজনের বেশি বসা যায় না।
একদিকে আমি জাওয়াদকে ফোনে বোঝাচ্ছিলাম— রিকশায় জায়গা হচ্ছে না, আরেক দিকে মামি রিকশায় উঠে বসার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মা বলছেন মামিকে, ‘তুমি আমার কোলে বস।’ মামিও সে অনুযায়ী খুব চেষ্টা করছেন। কিন্তু রিকশায় এক পায়ের বেশি ওঠাতে পারছেন না। আমি ফোন রেখে মামিকে বললাম, ‘মামি আপনি জাওয়াদের সঙ্গে আসেন। ও যাবে।’ কিন্তু মামি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড়, তিনি এই রিকশাতেই যাবেন। তারপর মনে হলো, মামি যে বাড়ি-ঘর তালা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন, তাহলে মামা এসে বাসায় ঢুকবেন কী করে? মামিকে সে কথাও মনে করিয়ে দিলাম। মামি তাও বললেন, ‘আমি কিছু জানি না, আমি যাব।’ বললাম, ‘চাবিটা অন্তত দোকানে দিয়ে আসেন।’ কিন্তু ততক্ষণে বাসার নিচের দোকানের শাটার নেমে গেছে। ঠিক ওই সময় ভুবনও বাসায় এসেছে ওর মোটরসাইকেল উঠান থেকে সরাবে বলে, মামার নির্দেশ—সেখানে গরু রাখা হবে। তখন মামিকে বললাম, ‘তাহলে চাবিটা ভুবনকে দিয়ে দেন।’ মামি সেটাই করলেন। এ যাত্রায় চাবির একটা মীমাংসা করা গেল।
তারপর আবার শুরু হলো মামির রিকশায় চড়ার কসরত—সোজা বসবেন নাকি উল্টো ঘুরে। এসব দেখে রিকশাওয়ালা মামাও তাঁর লাউয়ের বিচির মতো দাঁতগুলো বের করে বেশ আনন্দ পাচ্ছিলেন। শেষে আমার মনে হলো, আমি তো অন্য রিকশাতেও যেতে পারি! হাঙ্গামার মধ্যে এই কথাটা খুব দেরি করে মাথায় এল। হোসাইনকে বললাম, ‘চলো, আমরা দুইজন অন্য একটা রিকশা নিয়ে যাই।’ সঙ্গে সঙ্গে হোসাইন এক লাফে রিকশা থেকে নেমে গেল। আমরা আলাদা রিকশা নিয়ে রওনা হলাম। ভাগ্যিস মা তাঁর দুই সহকারীকে আগেই অন্য একটা রিকশায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। নয়তো আরও কুস্তাকুস্তি চলত ওই ব্যাটারির রিকশায় ওঠার জন্য।
আমাদের দুটো রিকশা খালার বাসায় পৌঁছে গেল প্রায় একই সময়ে। ‘এই রাতে যত ভাড়া লাগে আমি দিব’ সংলাপ দেওয়া মা ভাড়া দিতে গিয়ে খেয়াল করলেন তিনি তাঁর প্রিয় হাতব্যাগটা সঙ্গে আনেননি, যেটায় শত শত টাকা আছে। ভীষণ লজ্জা পেয়ে মামির কাছ থেকে ধার করলেন। আমি দিতে চাইলাম ভাড়া, কিন্তু মামির কাছ থেকেই ধার নেবেন মা! আমি শুধু একটা রিকশার ভাড়া দিলাম।
উঠানে দুই বাড়ির দুটো গরু দেখে সবার চোখ আরাম পেল। এবার ঠান্ডা মাথায় সবাই বসে আড্ডা দেওয়ার পালা। এর মধ্যে ভুবন আর জাওয়াদও খালার বাসায় চলে এসেছে। ওদের পুরো ঘটনা বিস্তারিত বলার সময় মায়ের হঠাৎ মনে পড়ল, মামির ওজন যে পরিমাণ তাতে মায়ের কোলে মামি বসলে তিনি হয়তো তিন দিন বিছানা ছেড়ে উঠতে পারতেন না! ঈদটাই মাটি হয়ে যেত।
আবার ভুবনও শোনাল তাঁর হাটের অভিজ্ঞতা। আমাদের যে গরুটা কেনা হয়েছে সে নাকি খুব সুচারুভাবে পেছনের দুই পা তুলে লাথি দিতে পারে। সেই লাথি খেয়েই ভুবন গরুটা কিনেছে!
এই নিয়ে বিস্তর হাসাহাসির পর জারা হঠাৎ আমাকে বলে উঠল, ‘সবাই একসঙ্গে থাকলে কত মজা হয়, তাই না ভাবি?’
আমি বললাম, ‘হ্যাঁ, একদম ঠিক।’
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

আমাদের দেশে যেমন বিয়ের কনে দেখার একটা রীতি আছে, তেমনি কোরবানির গরু দেখারও চল আছে। কম-বেশি সবার শৈশব-কৈশোর কাটে এর-ওর বাড়ি গিয়ে কোরবানির গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি পশু দেখে। অনেকে আবার শৈশব-কৈশোরের এই দুরন্তপনা বুড়ো বয়সেও বজায় রাখেন। যেমন, আমাদের পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবছর কোরবানির গরু কেনা এবং গরু দেখার একটা হাঙ্গামা লাগে। এবারের হাঙ্গামাটা একটু ব্যতিক্রম। কারণ, এবার গরু সরাসরি বাসায় আসেনি। আচ্ছা, তাহলে ঘটনাটা খুলেই বলি।
ভুবন তাঁর খালাতো ভাইকে নিয়ে গেছে হাটে। হাতে আরও দু-তিন দিন সময় আছে ঈদের। তাই সেদিনই যে গরু কেনা হয়ে যাবে, এ রকম কোনো ভাবনা ছিল না কারও। তাঁরা গেছেন রহমতগঞ্জের হাটে। একই সঙ্গে ছোট মামাও তাঁর ছেলে জাওয়াদকে নিয়ে গেছেন ওই হাটেই। অর্থাৎ, বাসায় দুইটা গরু আসবে—একটা মামা আনবেন, আরেকটা আনবে তাঁর ভাগনে ভুবন।
এদিকে আমি, শাশুড়ি মা আর জাওয়াদের ৯ বছরের ছোট্ট বোন জারা বসে নানা বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা আর হাহা-হিহি করছি। হঠাৎ রাত ১০টার দিকে মাকে তাঁর ছেলে ফোন করে বলল, গরু কেনা হয়ে গেছে। তবে গরু বাসায় আসছে না!
‘বাসায় আসছে না মানে?’ অবাক হলাম।
মা বললেন, রহমতগঞ্জ থেকে লালবাগ কাছে। তাই আপাতত লালবাগে খালার বাসায় রাখা হবে গরু। পরে আমাদের কায়েৎটুলীর বাসায় আনা হবে ঈদের আগের দিন। সেখানে খালাদের গরুর সঙ্গে দোস্তি পাতানো হবে আমাদের গরুর। তারা একজন আরেকজনের দেখাদেখি খাবে—এই হচ্ছে বাড়ির বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
যাই হোক, গরু কেনা হয়েছে শুনে মায়ের খুশির অন্ত নেই। তিনি আমাকে বললেন, ‘কোরবানি, কোরবানি গানটা লাগাও।’ আমি ইউটিউব থেকে মায়ের পছন্দের গানটা বাজিয়ে দিলাম—কোরবানি, কোরবানি, কোরবানি/আল্লাহ কো প্যায়ারি হ্যায় কোরবানি। তারপর বললেন, ‘এবার দেশিটা লাগাও। শাকিব খানের নতুন সিনেমা প্রিয়তমার একটা গান আছে কোরবানি নিয়ে, ওইটা ছাড়ো।’ সেটার কথা তো আমার জানা ছিল না! তবুও সেটা খুঁজে বাজিয়ে দিলাম। এই বয়সেও এভাবেই মা সব উৎসবে আমাদের সবাইকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করেন।
এবার মা ইচ্ছা প্রকাশ করলেন, যত রাতই হোক, খালার বাসায় যাবেন গরু দেখতে। কিন্তু কীভাবে যাবেন? মা রিকশায় উঠতে পারেন না, আমাদের গাড়ি নেই। সিএনজিচালিত অটোরিকশা আনতে হলে কাউকে মেইন রোডে যেতে হবে, সে রকম কেউ বাসায় নেই। মা ফোন দিলেন খালাকে। ঠিক হলো খালার ছোট ছেলে হোসাইন আসবে ব্যাটারিচালিত একটা বড় রিকশা নিয়ে, যেটায় সবাই মিলে যেতে পারব। কিন্তু সময় লাগবে, রাস্তায় প্রচুর জ্যাম।
রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হোসাইন রিকশা নিয়ে এল। কিন্তু হায়, বড় রিকশা কোথায়? হোসাইন বলল, ‘বড় রিকশা পাই নাই। যেটা আছে, সেটাতেই ওঠেন।’ মা উঠলেন, আমি উঠলাম, আমার কোলে জারা, আর হোসাইন রিকশাওয়ালা মামার সঙ্গে সামনে। এর মধ্যে ঝড়ের গতিতে ছোট মামি এসে হাজির, উনিও যাবেন, এই রিকশাতেই যাবেন। মা-ও নাছোড়বান্দা, মামিকে নিয়েই যাবেন। ওই মুহূর্তে জাওয়াদ ফোন দিল, ‘ভাবি একটু দাঁড়ান, আমাদের গরু আনতেসি বাসায়, দশ-পনেরো মিনিট লাগবে। আমাকে আপনাদের সঙ্গে লালবাগে নিয়ে যান।’ এ কি মুশকিল! এই ব্যাটারির রিকশাটায় চালক ছাড়া তিনজনের বেশি বসা যায় না।
একদিকে আমি জাওয়াদকে ফোনে বোঝাচ্ছিলাম— রিকশায় জায়গা হচ্ছে না, আরেক দিকে মামি রিকশায় উঠে বসার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মা বলছেন মামিকে, ‘তুমি আমার কোলে বস।’ মামিও সে অনুযায়ী খুব চেষ্টা করছেন। কিন্তু রিকশায় এক পায়ের বেশি ওঠাতে পারছেন না। আমি ফোন রেখে মামিকে বললাম, ‘মামি আপনি জাওয়াদের সঙ্গে আসেন। ও যাবে।’ কিন্তু মামি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড়, তিনি এই রিকশাতেই যাবেন। তারপর মনে হলো, মামি যে বাড়ি-ঘর তালা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন, তাহলে মামা এসে বাসায় ঢুকবেন কী করে? মামিকে সে কথাও মনে করিয়ে দিলাম। মামি তাও বললেন, ‘আমি কিছু জানি না, আমি যাব।’ বললাম, ‘চাবিটা অন্তত দোকানে দিয়ে আসেন।’ কিন্তু ততক্ষণে বাসার নিচের দোকানের শাটার নেমে গেছে। ঠিক ওই সময় ভুবনও বাসায় এসেছে ওর মোটরসাইকেল উঠান থেকে সরাবে বলে, মামার নির্দেশ—সেখানে গরু রাখা হবে। তখন মামিকে বললাম, ‘তাহলে চাবিটা ভুবনকে দিয়ে দেন।’ মামি সেটাই করলেন। এ যাত্রায় চাবির একটা মীমাংসা করা গেল।
তারপর আবার শুরু হলো মামির রিকশায় চড়ার কসরত—সোজা বসবেন নাকি উল্টো ঘুরে। এসব দেখে রিকশাওয়ালা মামাও তাঁর লাউয়ের বিচির মতো দাঁতগুলো বের করে বেশ আনন্দ পাচ্ছিলেন। শেষে আমার মনে হলো, আমি তো অন্য রিকশাতেও যেতে পারি! হাঙ্গামার মধ্যে এই কথাটা খুব দেরি করে মাথায় এল। হোসাইনকে বললাম, ‘চলো, আমরা দুইজন অন্য একটা রিকশা নিয়ে যাই।’ সঙ্গে সঙ্গে হোসাইন এক লাফে রিকশা থেকে নেমে গেল। আমরা আলাদা রিকশা নিয়ে রওনা হলাম। ভাগ্যিস মা তাঁর দুই সহকারীকে আগেই অন্য একটা রিকশায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। নয়তো আরও কুস্তাকুস্তি চলত ওই ব্যাটারির রিকশায় ওঠার জন্য।
আমাদের দুটো রিকশা খালার বাসায় পৌঁছে গেল প্রায় একই সময়ে। ‘এই রাতে যত ভাড়া লাগে আমি দিব’ সংলাপ দেওয়া মা ভাড়া দিতে গিয়ে খেয়াল করলেন তিনি তাঁর প্রিয় হাতব্যাগটা সঙ্গে আনেননি, যেটায় শত শত টাকা আছে। ভীষণ লজ্জা পেয়ে মামির কাছ থেকে ধার করলেন। আমি দিতে চাইলাম ভাড়া, কিন্তু মামির কাছ থেকেই ধার নেবেন মা! আমি শুধু একটা রিকশার ভাড়া দিলাম।
উঠানে দুই বাড়ির দুটো গরু দেখে সবার চোখ আরাম পেল। এবার ঠান্ডা মাথায় সবাই বসে আড্ডা দেওয়ার পালা। এর মধ্যে ভুবন আর জাওয়াদও খালার বাসায় চলে এসেছে। ওদের পুরো ঘটনা বিস্তারিত বলার সময় মায়ের হঠাৎ মনে পড়ল, মামির ওজন যে পরিমাণ তাতে মায়ের কোলে মামি বসলে তিনি হয়তো তিন দিন বিছানা ছেড়ে উঠতে পারতেন না! ঈদটাই মাটি হয়ে যেত।
আবার ভুবনও শোনাল তাঁর হাটের অভিজ্ঞতা। আমাদের যে গরুটা কেনা হয়েছে সে নাকি খুব সুচারুভাবে পেছনের দুই পা তুলে লাথি দিতে পারে। সেই লাথি খেয়েই ভুবন গরুটা কিনেছে!
এই নিয়ে বিস্তর হাসাহাসির পর জারা হঠাৎ আমাকে বলে উঠল, ‘সবাই একসঙ্গে থাকলে কত মজা হয়, তাই না ভাবি?’
আমি বললাম, ‘হ্যাঁ, একদম ঠিক।’
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

অভিভাবকদের জন্য দুঃসংবাদ! জনপ্রিয় অভিধান ওয়েবসাইট Dictionary. com ২০২৫ সালের জন্য বর্ষসেরা শব্দ হিসেবে এমন একটি শব্দকে বেছে নিয়েছে, যা মূলত এক ধরনের প্রলাপ!
৩ দিন আগে
পুরান ঢাকার বাসিন্দা হাজি মোহাম্মদ হানিফ ১৯৭৫ সালে শুরু করেন বিরিয়ানির ব্যবসা। নাজিরাবাজারে যে দোকানটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সেটির নাম দেন হানিফ বিরিয়ানি। অর্ধশত বছর ধরে দোকানটির খাসির বিরিয়ানি ও তার সুঘ্রাণ মন-পেট দুই-ই ভরাচ্ছে ভোজনরসিকদের।
৩ দিন আগে
আমাদের পরিবার থাকত গ্রামে, গরিবদের মধ্যে। আমার আশপাশে ছিল নগ্নপায়ের ছেল-মেয়েরা, ওদের সঙ্গেই আমার বন্ধুত্ব ছিল। আমি দেখেছি ওদের দুর্দশাগ্রস্ত জীবন, দেখেছি কীভাবে একটা সাধারণ রোগের প্রকোপ ধ্বংস করে দিচ্ছে গোটা পরিবার। এসব নিয়ে ওই বয়সে নিশ্চয়ই এত চিন্তাভাবনা করিনি, তবে এ জীবনটার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ...
৪ দিন আগে
মামুন বিরিয়ানি হাউসের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সালে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুরান ঢাকার এই রেস্তোরাঁটি গরুর তেহারি বিক্রি করে সুনাম কুড়িয়ে নেয়। শুরুর দিকে এক প্লেট তেহারির দাম ছিল মাত্র ১২ টাকা! তাদের তেহারিভর্তি হাঁড়ি খালি হতে বেশি সময় লাগে না। তাই তো মামুন বিরিয়ানির চারটি শাখা পরিচালনা করতে হচ্ছে।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অভিভাবকদের জন্য দুঃসংবাদ! জনপ্রিয় অভিধান ওয়েবসাইট Dictionary. com ২০২৫ সালের জন্য বর্ষসেরা শব্দ হিসেবে এমন একটি শব্দকে বেছে নিয়েছে, যা মূলত এক ধরনের প্রলাপ! শব্দটি হলো ‘67’ (উচ্চারণ: ‘সিক্স সেভেন’), যার কোনো সুনির্দিষ্ট অর্থ নেই। সামাজিক মাধ্যম এবং স্কুলে জেন-আলফা এই শব্দটিকে অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, জেন-জি-এর পরবর্তী প্রজন্মকে জেন-আলফা বলা হচ্ছে। মূলত ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণ করা প্রজন্মই জেনারেশন আলফা বা জেন-আলফা।
ডিকশনারি ডটকম এই শব্দটি বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে এর ব্যাপকতা এবং সাংস্কৃতিক প্রভাবকে চিহ্নিত করেছে। ডিকশনারি মিডিয়া গ্রুপের শব্দকোষ পরিচালক স্টিভ জনসন সিবিএস নিউজকে জানান, যে শব্দটিকে আপনি ভেবেছিলেন সহজে বিলীন হয়ে যাবে, সেটিই একটি সাংস্কৃতিক ঘটনা হিসেবে আরও বিস্তৃত হতে শুরু করেছে।
এই শব্দে কী বোঝায়?
‘সিক্স-সেভেন’ শব্দটি অতীতের বর্ষসেরা শব্দগুলোর থেকে আলাদা। কারণ এটি কোনো জটিল ধারণা বা বড় ঘটনার প্রতিনিধিত্ব করে না। স্টিভ জনসন এটিকে একটি ‘ইন্টারজেকশন’ বা বিস্ময়সূচক শব্দ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এ শব্দ মূলত উদ্দেশ্যহীনভাবে চিৎকার করে বলা হয়।
ডিকশনারি ডটকম-এর মতে, এই শব্দের ব্যবহার অস্পষ্ট এবং পরিবর্তনশীল। কিছু ক্ষেত্রে এটিকে ‘মোটামুটি’ বা ‘হতে পারে এটা, হতে পারে ওটা’-এমন বোঝাতে ব্যবহার করা হলেও, শব্দটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অর্থহীন।
একই সঙ্গে ডিকশনারি ডটকম এটিকে ‘ব্রেনরট স্ল্যাং’-এর উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছে, যা ইচ্ছাকৃতভাবে অর্থহীন এবং উদ্ভট। স্টিভ জনসনের মতে, এটি আসলে জেন-আলফা-এর একটি দলগত পরিচয়ের প্রতীক। এই প্রজন্মের কাছে এটি একটি ‘ইন-গ্রুপ জোক’-এর মতো। সমবয়সীদের নিজস্ব কোড ভাষায় কৌতুক করে যেভাবে বোঝানো হয় যে, ‘আমি এই প্রজন্মের অংশ, এটাই আমি।’
কীভাবে হলো এর উৎপত্তি?
এই অপ্রচলিত শব্দটির (স্ল্যাং) উৎপত্তি হয়েছে র্যাপার স্করিলার-এর গান ‘Doot Doot (6 7) ’ থেকে। পরবর্তীতে এটি বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের ভিডিও ক্লিপে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার বাস্কেটবল খেলোয়াড় লামেলো বল-এর ভিডিও ক্লিপ। ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে টিকটক এবং ইনস্টাগ্রামে এই গান বাস্কেটবল দৃশ্যের সঙ্গে ভাইরাল হতে শুরু করে এবং দ্রুত তরুণ দর্শকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় টিভি শো ‘সাউথ পার্ক’-এর একটি পর্বেও এটি স্থান পায়।
শিক্ষক ও অভিভাবকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
এই শব্দের নির্বাচন নিয়ে প্রজন্ম ভেদে প্রতিক্রিয়া বিভক্ত। স্টিভ জনসন জানান, একজন মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক তাঁকে ভোরবেলা মেসেজ করে অনুরোধ করেন, যেন তাঁরা এই শব্দটিকে বর্ষসেরা নির্বাচন না করেন। জনসন মজা করে বলেন, ‘শিক্ষকেরাও এটি ধরে ফেলেছেন!’
জনসন এই প্রবণতাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘একটি নতুন প্রজন্ম তাদের ভাষাগত শক্তিমত্তা ও প্রভাব প্রদর্শন করছে। ইংরেজি ভাষার ওপর এটি অসাধারণ প্রভাব ফেলছে। এটা উদ্যাপন করার মতো বিষয়।’ তবে অভিভাবক ও শিক্ষকদের জন্য, যারা দৈনিক সময় অসময়ে ‘সিক্স সেভেন’ চিৎকার শুনতে বাধ্য হচ্ছেন, তাঁদের প্রতিক্রিয়া অনেকাংশেই বিরক্তি এবং হতাশার মিশ্রণ!
সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা অন্যান্য শব্দ
ডিকশনারি ডট কম ২০২৫ সালের বর্ষসেরা শব্দের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), রাজনীতি এবং সমাজ সম্পর্কিত আরও কয়েকটি শব্দ বিবেচনা করেছিল। সেই সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিল:
Agentic: (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত) লক্ষ্য পূরণে স্বাধীনভাবে কাজ করতে সক্ষম।
Aura farming: ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের আকর্ষণ, স্টাইল বা ভাবমূর্তি তৈরি করা, যা অনলাইন মনোযোগ বা সামাজিক প্রভাব অর্জনের জন্য করা হয়।
Gen Z stare: জেন-জি-এর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি অভিব্যক্তি, যা উদাসীন বা নির্লিপ্ত বোঝাতে ব্যবহার করা হয়।
Overtourism: কোনো জনপ্রিয় গন্তব্যে অতিরিক্ত পর্যটকের ভিড়, যার ফলে পরিবেশগত, অর্থনৈতিক ও সমাজ-সাংস্কৃতিক নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়।
Tradwife: একজন বিবাহিত নারী যিনি ঐতিহ্যবাহী নারীসুলভ লিঙ্গ ভূমিকা মেনে নিয়ে গৃহিণী হিসেবে জীবনযাপন করেন। এটি প্রায়শই রক্ষণশীল রাজনৈতিক মূল্যবোধের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি শব্দ।

অভিভাবকদের জন্য দুঃসংবাদ! জনপ্রিয় অভিধান ওয়েবসাইট Dictionary. com ২০২৫ সালের জন্য বর্ষসেরা শব্দ হিসেবে এমন একটি শব্দকে বেছে নিয়েছে, যা মূলত এক ধরনের প্রলাপ! শব্দটি হলো ‘67’ (উচ্চারণ: ‘সিক্স সেভেন’), যার কোনো সুনির্দিষ্ট অর্থ নেই। সামাজিক মাধ্যম এবং স্কুলে জেন-আলফা এই শব্দটিকে অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, জেন-জি-এর পরবর্তী প্রজন্মকে জেন-আলফা বলা হচ্ছে। মূলত ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণ করা প্রজন্মই জেনারেশন আলফা বা জেন-আলফা।
ডিকশনারি ডটকম এই শব্দটি বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে এর ব্যাপকতা এবং সাংস্কৃতিক প্রভাবকে চিহ্নিত করেছে। ডিকশনারি মিডিয়া গ্রুপের শব্দকোষ পরিচালক স্টিভ জনসন সিবিএস নিউজকে জানান, যে শব্দটিকে আপনি ভেবেছিলেন সহজে বিলীন হয়ে যাবে, সেটিই একটি সাংস্কৃতিক ঘটনা হিসেবে আরও বিস্তৃত হতে শুরু করেছে।
এই শব্দে কী বোঝায়?
‘সিক্স-সেভেন’ শব্দটি অতীতের বর্ষসেরা শব্দগুলোর থেকে আলাদা। কারণ এটি কোনো জটিল ধারণা বা বড় ঘটনার প্রতিনিধিত্ব করে না। স্টিভ জনসন এটিকে একটি ‘ইন্টারজেকশন’ বা বিস্ময়সূচক শব্দ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এ শব্দ মূলত উদ্দেশ্যহীনভাবে চিৎকার করে বলা হয়।
ডিকশনারি ডটকম-এর মতে, এই শব্দের ব্যবহার অস্পষ্ট এবং পরিবর্তনশীল। কিছু ক্ষেত্রে এটিকে ‘মোটামুটি’ বা ‘হতে পারে এটা, হতে পারে ওটা’-এমন বোঝাতে ব্যবহার করা হলেও, শব্দটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অর্থহীন।
একই সঙ্গে ডিকশনারি ডটকম এটিকে ‘ব্রেনরট স্ল্যাং’-এর উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছে, যা ইচ্ছাকৃতভাবে অর্থহীন এবং উদ্ভট। স্টিভ জনসনের মতে, এটি আসলে জেন-আলফা-এর একটি দলগত পরিচয়ের প্রতীক। এই প্রজন্মের কাছে এটি একটি ‘ইন-গ্রুপ জোক’-এর মতো। সমবয়সীদের নিজস্ব কোড ভাষায় কৌতুক করে যেভাবে বোঝানো হয় যে, ‘আমি এই প্রজন্মের অংশ, এটাই আমি।’
কীভাবে হলো এর উৎপত্তি?
এই অপ্রচলিত শব্দটির (স্ল্যাং) উৎপত্তি হয়েছে র্যাপার স্করিলার-এর গান ‘Doot Doot (6 7) ’ থেকে। পরবর্তীতে এটি বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের ভিডিও ক্লিপে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার বাস্কেটবল খেলোয়াড় লামেলো বল-এর ভিডিও ক্লিপ। ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে টিকটক এবং ইনস্টাগ্রামে এই গান বাস্কেটবল দৃশ্যের সঙ্গে ভাইরাল হতে শুরু করে এবং দ্রুত তরুণ দর্শকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় টিভি শো ‘সাউথ পার্ক’-এর একটি পর্বেও এটি স্থান পায়।
শিক্ষক ও অভিভাবকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
এই শব্দের নির্বাচন নিয়ে প্রজন্ম ভেদে প্রতিক্রিয়া বিভক্ত। স্টিভ জনসন জানান, একজন মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক তাঁকে ভোরবেলা মেসেজ করে অনুরোধ করেন, যেন তাঁরা এই শব্দটিকে বর্ষসেরা নির্বাচন না করেন। জনসন মজা করে বলেন, ‘শিক্ষকেরাও এটি ধরে ফেলেছেন!’
জনসন এই প্রবণতাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘একটি নতুন প্রজন্ম তাদের ভাষাগত শক্তিমত্তা ও প্রভাব প্রদর্শন করছে। ইংরেজি ভাষার ওপর এটি অসাধারণ প্রভাব ফেলছে। এটা উদ্যাপন করার মতো বিষয়।’ তবে অভিভাবক ও শিক্ষকদের জন্য, যারা দৈনিক সময় অসময়ে ‘সিক্স সেভেন’ চিৎকার শুনতে বাধ্য হচ্ছেন, তাঁদের প্রতিক্রিয়া অনেকাংশেই বিরক্তি এবং হতাশার মিশ্রণ!
সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা অন্যান্য শব্দ
ডিকশনারি ডট কম ২০২৫ সালের বর্ষসেরা শব্দের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), রাজনীতি এবং সমাজ সম্পর্কিত আরও কয়েকটি শব্দ বিবেচনা করেছিল। সেই সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিল:
Agentic: (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত) লক্ষ্য পূরণে স্বাধীনভাবে কাজ করতে সক্ষম।
Aura farming: ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের আকর্ষণ, স্টাইল বা ভাবমূর্তি তৈরি করা, যা অনলাইন মনোযোগ বা সামাজিক প্রভাব অর্জনের জন্য করা হয়।
Gen Z stare: জেন-জি-এর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি অভিব্যক্তি, যা উদাসীন বা নির্লিপ্ত বোঝাতে ব্যবহার করা হয়।
Overtourism: কোনো জনপ্রিয় গন্তব্যে অতিরিক্ত পর্যটকের ভিড়, যার ফলে পরিবেশগত, অর্থনৈতিক ও সমাজ-সাংস্কৃতিক নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়।
Tradwife: একজন বিবাহিত নারী যিনি ঐতিহ্যবাহী নারীসুলভ লিঙ্গ ভূমিকা মেনে নিয়ে গৃহিণী হিসেবে জীবনযাপন করেন। এটি প্রায়শই রক্ষণশীল রাজনৈতিক মূল্যবোধের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি শব্দ।

আমাদের দেশে যেমন বিয়ের কনে দেখার একটা রীতি আছে, তেমনি কোরবানির গরু দেখারও চল আছে। কম-বেশি সবার শৈশব-কৈশোর কাটে এর-ওর বাড়ি গিয়ে কোরবানির গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি পশু দেখে। অনেকে আবার শৈশব-কৈশোরের এই দুরন্তপনা বুড়ো বয়সেও বজায় রাখেন।
২৭ জুন ২০২৩
পুরান ঢাকার বাসিন্দা হাজি মোহাম্মদ হানিফ ১৯৭৫ সালে শুরু করেন বিরিয়ানির ব্যবসা। নাজিরাবাজারে যে দোকানটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সেটির নাম দেন হানিফ বিরিয়ানি। অর্ধশত বছর ধরে দোকানটির খাসির বিরিয়ানি ও তার সুঘ্রাণ মন-পেট দুই-ই ভরাচ্ছে ভোজনরসিকদের।
৩ দিন আগে
আমাদের পরিবার থাকত গ্রামে, গরিবদের মধ্যে। আমার আশপাশে ছিল নগ্নপায়ের ছেল-মেয়েরা, ওদের সঙ্গেই আমার বন্ধুত্ব ছিল। আমি দেখেছি ওদের দুর্দশাগ্রস্ত জীবন, দেখেছি কীভাবে একটা সাধারণ রোগের প্রকোপ ধ্বংস করে দিচ্ছে গোটা পরিবার। এসব নিয়ে ওই বয়সে নিশ্চয়ই এত চিন্তাভাবনা করিনি, তবে এ জীবনটার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ...
৪ দিন আগে
মামুন বিরিয়ানি হাউসের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সালে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুরান ঢাকার এই রেস্তোরাঁটি গরুর তেহারি বিক্রি করে সুনাম কুড়িয়ে নেয়। শুরুর দিকে এক প্লেট তেহারির দাম ছিল মাত্র ১২ টাকা! তাদের তেহারিভর্তি হাঁড়ি খালি হতে বেশি সময় লাগে না। তাই তো মামুন বিরিয়ানির চারটি শাখা পরিচালনা করতে হচ্ছে।
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

পুরান ঢাকার বাসিন্দা হাজি মোহাম্মদ হানিফ ১৯৭৫ সালে শুরু করেন বিরিয়ানির ব্যবসা। নাজিরাবাজারে যে দোকানটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সেটির নাম দেন হানিফ বিরিয়ানি। অর্ধশত বছর ধরে দোকানটির খাসির বিরিয়ানি ও তার সুঘ্রাণ মন-পেট দুই-ই ভরাচ্ছে ভোজনরসিকদের।
২০০৫ সালে হানিফ বিরিয়ানির প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুর পর ব্যবসার হাল ধরেন তাঁর ছেলে হাজি মোহাম্মদ ইব্রাহিম রনি। অনেকে বলেন, কয়েক বছর হানিফের স্বাদে নাকি ভাটা পড়েছিল। এই কথা এখন ডাহা মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হয় দোকানের ভিড়ভাট্টা দেখলেই। পুরান ঢাকার খ্যাতনামা সব বিরিয়ানির মধ্যে এখন হানিফ যে তাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে, তা আর বলতে হয় না।
ছবি: জাহিদুল ইসলাম

পুরান ঢাকার বাসিন্দা হাজি মোহাম্মদ হানিফ ১৯৭৫ সালে শুরু করেন বিরিয়ানির ব্যবসা। নাজিরাবাজারে যে দোকানটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সেটির নাম দেন হানিফ বিরিয়ানি। অর্ধশত বছর ধরে দোকানটির খাসির বিরিয়ানি ও তার সুঘ্রাণ মন-পেট দুই-ই ভরাচ্ছে ভোজনরসিকদের।
২০০৫ সালে হানিফ বিরিয়ানির প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুর পর ব্যবসার হাল ধরেন তাঁর ছেলে হাজি মোহাম্মদ ইব্রাহিম রনি। অনেকে বলেন, কয়েক বছর হানিফের স্বাদে নাকি ভাটা পড়েছিল। এই কথা এখন ডাহা মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হয় দোকানের ভিড়ভাট্টা দেখলেই। পুরান ঢাকার খ্যাতনামা সব বিরিয়ানির মধ্যে এখন হানিফ যে তাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে, তা আর বলতে হয় না।
ছবি: জাহিদুল ইসলাম

আমাদের দেশে যেমন বিয়ের কনে দেখার একটা রীতি আছে, তেমনি কোরবানির গরু দেখারও চল আছে। কম-বেশি সবার শৈশব-কৈশোর কাটে এর-ওর বাড়ি গিয়ে কোরবানির গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি পশু দেখে। অনেকে আবার শৈশব-কৈশোরের এই দুরন্তপনা বুড়ো বয়সেও বজায় রাখেন।
২৭ জুন ২০২৩
অভিভাবকদের জন্য দুঃসংবাদ! জনপ্রিয় অভিধান ওয়েবসাইট Dictionary. com ২০২৫ সালের জন্য বর্ষসেরা শব্দ হিসেবে এমন একটি শব্দকে বেছে নিয়েছে, যা মূলত এক ধরনের প্রলাপ!
৩ দিন আগে
আমাদের পরিবার থাকত গ্রামে, গরিবদের মধ্যে। আমার আশপাশে ছিল নগ্নপায়ের ছেল-মেয়েরা, ওদের সঙ্গেই আমার বন্ধুত্ব ছিল। আমি দেখেছি ওদের দুর্দশাগ্রস্ত জীবন, দেখেছি কীভাবে একটা সাধারণ রোগের প্রকোপ ধ্বংস করে দিচ্ছে গোটা পরিবার। এসব নিয়ে ওই বয়সে নিশ্চয়ই এত চিন্তাভাবনা করিনি, তবে এ জীবনটার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ...
৪ দিন আগে
মামুন বিরিয়ানি হাউসের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সালে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুরান ঢাকার এই রেস্তোরাঁটি গরুর তেহারি বিক্রি করে সুনাম কুড়িয়ে নেয়। শুরুর দিকে এক প্লেট তেহারির দাম ছিল মাত্র ১২ টাকা! তাদের তেহারিভর্তি হাঁড়ি খালি হতে বেশি সময় লাগে না। তাই তো মামুন বিরিয়ানির চারটি শাখা পরিচালনা করতে হচ্ছে।
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

আমাদের পরিবার থাকত গ্রামে, গরিবদের মধ্যে। আমার আশপাশে ছিল নগ্নপায়ের ছেল-মেয়েরা, ওদের সঙ্গেই আমার বন্ধুত্ব ছিল। আমি দেখেছি ওদের দুর্দশাগ্রস্ত জীবন, দেখেছি কীভাবে একটা সাধারণ রোগের প্রকোপ ধ্বংস করে দিচ্ছে গোটা পরিবার। এসব নিয়ে ওই বয়সে নিশ্চয়ই এত চিন্তাভাবনা করিনি, তবে এ জীবনটার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ পরিচয় ছিল। আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা ছিল সব গরিব ঘরেরই ছেলে। আমাদের গ্রামে আলাদা কোনো বুর্জোয়া বা সামন্তসমাজ ছিল না। সেখানে বিশ থেকে ত্রিশ জন ভূস্বামী ছিল, যারা অবশ্য সব সময় একসঙ্গে থাকত। কিন্তু আমার বাবা ওদের থেকে পৃথক থাকতেন।
... আমি বাইরের মানুষ বলতে বাবার খামারে কাজ করা ওই গরিব মানুষদেরই দেখতাম। আমি হাইতিয়ানদের কুঁড়েঘরে যেতাম। হাইতিয়ানদের বাড়িতে ওদের সঙ্গে বসে একবার খাওয়ার জন্য আমি বেশ বকা খেয়েছিলাম। আমাকে ঠিক সামাজিকতার প্রশ্নে বকা দেওয়া হয়নি, বকা খেয়েছিলাম স্বাস্থ্যগত প্রশ্নে। আমার বাবা-মার শ্রেণির কোনো অহমবোধ ছিল না। তাদের ঠিক ভূস্বামী মানসিকতাও ছিল না।
আমার ভেতর নৈতিকতার ধারণা এসেছে আমার স্কুল এবং শিক্ষকদের কাছ থেকে, আমার পরিবার থেকেও। খুব ছোটবেলা থেকেই আমাকে বলা হয়েছে কোনোভাবেই মিথ্যা কথা বলা যাবে না। আমার স্কুলের শিক্ষকেরাও তা-ই বলেছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই মার্ক্সীয় দর্শন বা নৈতিক আদর্শ থেকে বলেননি, বলেছেন ধর্মীয় নৈতিকতার দিক থেকে। তারা আমাকে শিখিয়েছেন কোনটা সঠিক কোনটা ভুল। আমাদের সমাজে এইভাবে ধর্মীয় আবহ থেকে ঐতিহ্যগতভাবে সবাই নৈতিকতার শিক্ষা পায়। যদিও তাতে অনেক অবৈজ্ঞানিক শিক্ষাও থাকে। ধীরে ধীরে আমার ভেতরে ভুল-শুদ্ধ সম্পর্কে ধারণা জন্ম নিতে থাকে এবং বেশ কিছু তথাকথিত নৈতিকতাকে আমি ভঙ্গ করতে থাকি। ছোটবেলা থেকেই আমার যেমন নৈতিকতার শিক্ষার অভিজ্ঞতা হয়েছে, তেমনি নৈতিকতা ভঙ্গের অভিজ্ঞতাও হয়েছে। তথাকথিত নৈতিকতার নামে মানুষের অনেক অনৈতিক কাজ আমি দেখেছি।
সূত্র: শাহাদুজ্জামান কর্তৃক ফিদেল কাস্ত্রোর অনূদিত সাক্ষাৎকার। ‘কথা পরম্পরা’, পৃষ্ঠা-২২৩।

আমাদের পরিবার থাকত গ্রামে, গরিবদের মধ্যে। আমার আশপাশে ছিল নগ্নপায়ের ছেল-মেয়েরা, ওদের সঙ্গেই আমার বন্ধুত্ব ছিল। আমি দেখেছি ওদের দুর্দশাগ্রস্ত জীবন, দেখেছি কীভাবে একটা সাধারণ রোগের প্রকোপ ধ্বংস করে দিচ্ছে গোটা পরিবার। এসব নিয়ে ওই বয়সে নিশ্চয়ই এত চিন্তাভাবনা করিনি, তবে এ জীবনটার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ পরিচয় ছিল। আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা ছিল সব গরিব ঘরেরই ছেলে। আমাদের গ্রামে আলাদা কোনো বুর্জোয়া বা সামন্তসমাজ ছিল না। সেখানে বিশ থেকে ত্রিশ জন ভূস্বামী ছিল, যারা অবশ্য সব সময় একসঙ্গে থাকত। কিন্তু আমার বাবা ওদের থেকে পৃথক থাকতেন।
... আমি বাইরের মানুষ বলতে বাবার খামারে কাজ করা ওই গরিব মানুষদেরই দেখতাম। আমি হাইতিয়ানদের কুঁড়েঘরে যেতাম। হাইতিয়ানদের বাড়িতে ওদের সঙ্গে বসে একবার খাওয়ার জন্য আমি বেশ বকা খেয়েছিলাম। আমাকে ঠিক সামাজিকতার প্রশ্নে বকা দেওয়া হয়নি, বকা খেয়েছিলাম স্বাস্থ্যগত প্রশ্নে। আমার বাবা-মার শ্রেণির কোনো অহমবোধ ছিল না। তাদের ঠিক ভূস্বামী মানসিকতাও ছিল না।
আমার ভেতর নৈতিকতার ধারণা এসেছে আমার স্কুল এবং শিক্ষকদের কাছ থেকে, আমার পরিবার থেকেও। খুব ছোটবেলা থেকেই আমাকে বলা হয়েছে কোনোভাবেই মিথ্যা কথা বলা যাবে না। আমার স্কুলের শিক্ষকেরাও তা-ই বলেছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই মার্ক্সীয় দর্শন বা নৈতিক আদর্শ থেকে বলেননি, বলেছেন ধর্মীয় নৈতিকতার দিক থেকে। তারা আমাকে শিখিয়েছেন কোনটা সঠিক কোনটা ভুল। আমাদের সমাজে এইভাবে ধর্মীয় আবহ থেকে ঐতিহ্যগতভাবে সবাই নৈতিকতার শিক্ষা পায়। যদিও তাতে অনেক অবৈজ্ঞানিক শিক্ষাও থাকে। ধীরে ধীরে আমার ভেতরে ভুল-শুদ্ধ সম্পর্কে ধারণা জন্ম নিতে থাকে এবং বেশ কিছু তথাকথিত নৈতিকতাকে আমি ভঙ্গ করতে থাকি। ছোটবেলা থেকেই আমার যেমন নৈতিকতার শিক্ষার অভিজ্ঞতা হয়েছে, তেমনি নৈতিকতা ভঙ্গের অভিজ্ঞতাও হয়েছে। তথাকথিত নৈতিকতার নামে মানুষের অনেক অনৈতিক কাজ আমি দেখেছি।
সূত্র: শাহাদুজ্জামান কর্তৃক ফিদেল কাস্ত্রোর অনূদিত সাক্ষাৎকার। ‘কথা পরম্পরা’, পৃষ্ঠা-২২৩।

আমাদের দেশে যেমন বিয়ের কনে দেখার একটা রীতি আছে, তেমনি কোরবানির গরু দেখারও চল আছে। কম-বেশি সবার শৈশব-কৈশোর কাটে এর-ওর বাড়ি গিয়ে কোরবানির গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি পশু দেখে। অনেকে আবার শৈশব-কৈশোরের এই দুরন্তপনা বুড়ো বয়সেও বজায় রাখেন।
২৭ জুন ২০২৩
অভিভাবকদের জন্য দুঃসংবাদ! জনপ্রিয় অভিধান ওয়েবসাইট Dictionary. com ২০২৫ সালের জন্য বর্ষসেরা শব্দ হিসেবে এমন একটি শব্দকে বেছে নিয়েছে, যা মূলত এক ধরনের প্রলাপ!
৩ দিন আগে
পুরান ঢাকার বাসিন্দা হাজি মোহাম্মদ হানিফ ১৯৭৫ সালে শুরু করেন বিরিয়ানির ব্যবসা। নাজিরাবাজারে যে দোকানটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সেটির নাম দেন হানিফ বিরিয়ানি। অর্ধশত বছর ধরে দোকানটির খাসির বিরিয়ানি ও তার সুঘ্রাণ মন-পেট দুই-ই ভরাচ্ছে ভোজনরসিকদের।
৩ দিন আগে
মামুন বিরিয়ানি হাউসের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সালে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুরান ঢাকার এই রেস্তোরাঁটি গরুর তেহারি বিক্রি করে সুনাম কুড়িয়ে নেয়। শুরুর দিকে এক প্লেট তেহারির দাম ছিল মাত্র ১২ টাকা! তাদের তেহারিভর্তি হাঁড়ি খালি হতে বেশি সময় লাগে না। তাই তো মামুন বিরিয়ানির চারটি শাখা পরিচালনা করতে হচ্ছে।
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

মামুন বিরিয়ানি হাউসের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সালে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুরান ঢাকার এই রেস্তোরাঁটি গরুর তেহারি বিক্রি করে সুনাম কুড়িয়ে নেয়। শুরুর দিকে এক প্লেট তেহারির দাম ছিল মাত্র ১২ টাকা! তাদের তেহারিভর্তি হাঁড়ি খালি হতে বেশি সময় লাগে না। তাই তো মামুন বিরিয়ানির চারটি শাখা পরিচালনা করতে হচ্ছে।
একই নামে ঢাকায় আরও বিরিয়ানির দোকান থাকলেও শর্ষের তেলে তৈরি মামুনের তেহারির স্বাদ পাওয়া যায় কেবল নাজিমুদ্দীন রোডের দুটি, নাজিরাবাজার ও এলিফ্যান্ট রোডের একটি করে শাখায়। মামুন বিরিয়ানি হাউসের নব্য সংযোজন গরু ও খাসির কাচ্চি কিংবা মোরগ পোলাও হলেও তেহারির সুঘ্রাণেই সেখানে ছুটে যান ভোজনরসিকেরা। পুরান ঢাকাবাসীর জন্য হোম ডেলিভারির বিশেষ সুবিধা দেয় এই রেস্তোরাঁটি। বিয়েশাদিতে তেহারির ‘ডেগ’ ভাড়া নেবেন? তা-ও সম্ভব।
ছবি: জাহিদুল ইসলাম

মামুন বিরিয়ানি হাউসের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সালে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুরান ঢাকার এই রেস্তোরাঁটি গরুর তেহারি বিক্রি করে সুনাম কুড়িয়ে নেয়। শুরুর দিকে এক প্লেট তেহারির দাম ছিল মাত্র ১২ টাকা! তাদের তেহারিভর্তি হাঁড়ি খালি হতে বেশি সময় লাগে না। তাই তো মামুন বিরিয়ানির চারটি শাখা পরিচালনা করতে হচ্ছে।
একই নামে ঢাকায় আরও বিরিয়ানির দোকান থাকলেও শর্ষের তেলে তৈরি মামুনের তেহারির স্বাদ পাওয়া যায় কেবল নাজিমুদ্দীন রোডের দুটি, নাজিরাবাজার ও এলিফ্যান্ট রোডের একটি করে শাখায়। মামুন বিরিয়ানি হাউসের নব্য সংযোজন গরু ও খাসির কাচ্চি কিংবা মোরগ পোলাও হলেও তেহারির সুঘ্রাণেই সেখানে ছুটে যান ভোজনরসিকেরা। পুরান ঢাকাবাসীর জন্য হোম ডেলিভারির বিশেষ সুবিধা দেয় এই রেস্তোরাঁটি। বিয়েশাদিতে তেহারির ‘ডেগ’ ভাড়া নেবেন? তা-ও সম্ভব।
ছবি: জাহিদুল ইসলাম

আমাদের দেশে যেমন বিয়ের কনে দেখার একটা রীতি আছে, তেমনি কোরবানির গরু দেখারও চল আছে। কম-বেশি সবার শৈশব-কৈশোর কাটে এর-ওর বাড়ি গিয়ে কোরবানির গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি পশু দেখে। অনেকে আবার শৈশব-কৈশোরের এই দুরন্তপনা বুড়ো বয়সেও বজায় রাখেন।
২৭ জুন ২০২৩
অভিভাবকদের জন্য দুঃসংবাদ! জনপ্রিয় অভিধান ওয়েবসাইট Dictionary. com ২০২৫ সালের জন্য বর্ষসেরা শব্দ হিসেবে এমন একটি শব্দকে বেছে নিয়েছে, যা মূলত এক ধরনের প্রলাপ!
৩ দিন আগে
পুরান ঢাকার বাসিন্দা হাজি মোহাম্মদ হানিফ ১৯৭৫ সালে শুরু করেন বিরিয়ানির ব্যবসা। নাজিরাবাজারে যে দোকানটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সেটির নাম দেন হানিফ বিরিয়ানি। অর্ধশত বছর ধরে দোকানটির খাসির বিরিয়ানি ও তার সুঘ্রাণ মন-পেট দুই-ই ভরাচ্ছে ভোজনরসিকদের।
৩ দিন আগে
আমাদের পরিবার থাকত গ্রামে, গরিবদের মধ্যে। আমার আশপাশে ছিল নগ্নপায়ের ছেল-মেয়েরা, ওদের সঙ্গেই আমার বন্ধুত্ব ছিল। আমি দেখেছি ওদের দুর্দশাগ্রস্ত জীবন, দেখেছি কীভাবে একটা সাধারণ রোগের প্রকোপ ধ্বংস করে দিচ্ছে গোটা পরিবার। এসব নিয়ে ওই বয়সে নিশ্চয়ই এত চিন্তাভাবনা করিনি, তবে এ জীবনটার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ...
৪ দিন আগে