সম্পাদকীয়
তখন রশীদ করীম পড়েন কলেজের ফার্স্ট কিংবা সেকেন্ড ইয়ারে। নবযুগের ঈদসংখ্যায় ‘একটি মেয়ের আত্মকাহিনী’ নামে তাঁর একটি গল্প ছাপা হয়েছিল। সেই সংখ্যায় আরও ছাপা হয়েছিল সঞ্জয় ভট্টাচার্য, শওকত ওসমান আর প্রতিভা বসুর গল্প। রশীদ করীমের গল্পটির খুব প্রশংসা করেছিলেন আবু সয়ীদ আইয়ুব। সেই প্রশংসায় উৎসাহিত হয়ে ‘অভিভাবক’ নামে আরও একটি গল্প লিখলেন সতেরো-আঠারো বছর বয়সী রশীদ করীম। সেটা ছাপা হলো পূর্বাশায়। সেই গল্পও আইয়ুবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এরপর একটির পর একটি গল্প লিখতে থাকেন রশীদ করীম। কিন্তু আইয়ুব আর প্রশংসা করেননি। এমনকি বহু পরে পুরস্কার পাওয়া একটা বইয়েরও প্রশংসা করেননি আইয়ুব।
কিন্তু আইয়ুবের মতামতের খুব মূল্য দিতেন রশীদ করীম। রশীদ করীম তখন শরৎচন্দ্রের অতি ভক্ত হিসেবে নিজেকে দাঁড় করিয়েছেন। শরৎচন্দ্রের লেখা সব উপন্যাসই তাঁর চোখে শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। কিন্তু আইয়ুব বললেন, রবীন্দ্রনাথের ‘গোরা’ সেরা উপন্যাস। মত পাল্টে ফেললেন রশীদ করীম। তিনিও বলতে লাগলেন, গোরাই শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।
সে সময় শরৎচন্দ্রের লেখা নিয়ে আবু সয়ীদ আইয়ুব বলেছিলেন, ‘শরৎচন্দ্রের নায়িকাদের মধ্যে যারা অসতী তারাই যেন সতী, আর সতীরাই যেন মন্দ।’ কথাটা শুনে খারাপ লাগত রশীদ করীমের। কিন্তু কথাটা তো বলেছেন আইয়ুব, রশীদ করীম তা অস্বীকার করেন কী করে?
‘একটি মেয়ের আত্মকাহিনী’ পড়েছিলেন বুদ্ধদেব বসুও। তাঁর সম্পর্কে কৌতূহলও প্রকাশ করেছিলেন। সেই সূত্রে রশীদ করীম গেলেন বুদ্ধদেব বসুর কাছে। বুদ্ধদেব বসুর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য রশীদ করীম কী বলবেন না বলবেন, তা নিয়ে ভাবতে লাগলেন। শরৎ সাহিত্যের প্রসঙ্গ উঠলে রশীদ করীম বলে ফেললেন, ‘শরৎচন্দ্রের সব অসতীকেই সৎ মনে হয়।’
বুদ্ধদেব বসু একটু হেসে উত্তর দিলেন, ‘তোমাদের বয়সে সতীত্বের ওপর রাগ থাকাটা স্বাভাবিক।’
সূত্র: রশীদ করীম, স্মরণগ্রন্থ আইয়ুব, পৃষ্ঠা ৭৮-৭৯
তখন রশীদ করীম পড়েন কলেজের ফার্স্ট কিংবা সেকেন্ড ইয়ারে। নবযুগের ঈদসংখ্যায় ‘একটি মেয়ের আত্মকাহিনী’ নামে তাঁর একটি গল্প ছাপা হয়েছিল। সেই সংখ্যায় আরও ছাপা হয়েছিল সঞ্জয় ভট্টাচার্য, শওকত ওসমান আর প্রতিভা বসুর গল্প। রশীদ করীমের গল্পটির খুব প্রশংসা করেছিলেন আবু সয়ীদ আইয়ুব। সেই প্রশংসায় উৎসাহিত হয়ে ‘অভিভাবক’ নামে আরও একটি গল্প লিখলেন সতেরো-আঠারো বছর বয়সী রশীদ করীম। সেটা ছাপা হলো পূর্বাশায়। সেই গল্পও আইয়ুবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এরপর একটির পর একটি গল্প লিখতে থাকেন রশীদ করীম। কিন্তু আইয়ুব আর প্রশংসা করেননি। এমনকি বহু পরে পুরস্কার পাওয়া একটা বইয়েরও প্রশংসা করেননি আইয়ুব।
কিন্তু আইয়ুবের মতামতের খুব মূল্য দিতেন রশীদ করীম। রশীদ করীম তখন শরৎচন্দ্রের অতি ভক্ত হিসেবে নিজেকে দাঁড় করিয়েছেন। শরৎচন্দ্রের লেখা সব উপন্যাসই তাঁর চোখে শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। কিন্তু আইয়ুব বললেন, রবীন্দ্রনাথের ‘গোরা’ সেরা উপন্যাস। মত পাল্টে ফেললেন রশীদ করীম। তিনিও বলতে লাগলেন, গোরাই শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।
সে সময় শরৎচন্দ্রের লেখা নিয়ে আবু সয়ীদ আইয়ুব বলেছিলেন, ‘শরৎচন্দ্রের নায়িকাদের মধ্যে যারা অসতী তারাই যেন সতী, আর সতীরাই যেন মন্দ।’ কথাটা শুনে খারাপ লাগত রশীদ করীমের। কিন্তু কথাটা তো বলেছেন আইয়ুব, রশীদ করীম তা অস্বীকার করেন কী করে?
‘একটি মেয়ের আত্মকাহিনী’ পড়েছিলেন বুদ্ধদেব বসুও। তাঁর সম্পর্কে কৌতূহলও প্রকাশ করেছিলেন। সেই সূত্রে রশীদ করীম গেলেন বুদ্ধদেব বসুর কাছে। বুদ্ধদেব বসুর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য রশীদ করীম কী বলবেন না বলবেন, তা নিয়ে ভাবতে লাগলেন। শরৎ সাহিত্যের প্রসঙ্গ উঠলে রশীদ করীম বলে ফেললেন, ‘শরৎচন্দ্রের সব অসতীকেই সৎ মনে হয়।’
বুদ্ধদেব বসু একটু হেসে উত্তর দিলেন, ‘তোমাদের বয়সে সতীত্বের ওপর রাগ থাকাটা স্বাভাবিক।’
সূত্র: রশীদ করীম, স্মরণগ্রন্থ আইয়ুব, পৃষ্ঠা ৭৮-৭৯
আর্মেনীয় জমিদার আরাতুন ১৮২৫ সালের দিকে ঢাকার ফরাশগঞ্জের শ্যামপুরে একটি দ্বিতল বাড়ি নির্মাণ করে নাম দিয়েছিলেন ‘আরাতুন হাউস’। এর ১০ বছর পর ১৮৩৫ সালের দিকে তিনি বাড়িটি বিক্রি করে দেন ঢাকার বিখ্যাত ব্যবসায়ী রূপলাল দাসের কাছে। নতুন মালিক বাড়িটির নতুন নাম দেন ‘রূপলাল হাউস’।
২ ঘণ্টা আগেবোঝাই যাচ্ছে ছবিটি একটি নাপিতের দোকানের। এ-ও বুঝতে অসুবিধা হয় না যে এটি ব্রিটিশ আমলে তোলা একটি ছবি। কেননা, দোকানের নামটি স্পষ্ট করে ইংরেজিতে লেখা—‘হানিফ বারবার নম্বর ফিফটি নাইন, হেয়ারকাটার অল হেয়ারি থিংস হিয়ার গট’। আর দোকানটির তালাবদ্ধ প্রবেশদ্বারের পাশের দেয়ালে ঝুলছে কতক পরচুলা, যেগুলোর কোনোটির...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকার পাঠক ফোরাম পাঠকবন্ধুর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার (২ মে) বনশ্রীতে পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয়ে উদ্যাপিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন শাখার বন্ধুরা অংশ নেন।
১ দিন আগেকোকা-কোলার সঙ্গে ইসরায়েরের নানাভাবে সংযোগ থাকতে পারে। তবে এটি মূলত মার্কিন কোম্পানি, যার প্রধান কার্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টা শহরে। ১৮৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত কোকা-কোলা এযাবৎ বহুবার বর্জনের মধ্য দিয়ে গেলেও এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সফট ড্রিংকস কোম্পানি।
২ দিন আগে