সম্পাদকীয়
মুস্তাফা নূরউল ইসলাম ছিলেন বহুগুণে গুণান্বিত মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক, লেখক, সাহিত্য সম্পাদক, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান কান্ডারি এবং টিভি উপস্থাপক—সবই তিনি। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হলো, তিনি ছিলেন একজন মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়িক এবং উদার হৃদয়ের গণতান্ত্রিক চেতনাধারী প্রাণোচ্ছল মানুষ।
তাঁর জন্ম বগুড়ার মহাস্থানগড়সংলগ্ন চিঙ্গাশপুর গ্রামে, ১৯২৭ সালের ১ মে। বাবা সাদত আলী আখন্দ এবং ছোট ভাই এম আর আখতার মুকুল স্বনামখ্যাত লেখক ছিলেন। পাঁচ বছর বয়সে কলকাতায় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কাছে তাঁর লেখাপড়ার হাতেখড়ি।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৭১ সালে লন্ডনে পিএইচডি করার সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ছাত্রজীবনে বামধারার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
মুস্তাফা নূরউল ইসলাম ১৯৫১ সালে সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। দৈনিক সংবাদের প্রথম সংখ্যা থেকে যুক্ত ছিলেন সহকারী সম্পাদক হিসেবে। কাজ করেছেন দৈনিক মিল্লাতে। শিক্ষকতা করেছেন সেন্ট গ্রেগরিজ কলেজ, পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের যাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁর হাত দিয়ে। শিল্পকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, জাতীয় জাদুঘরের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
‘সুন্দরম’ নামের একটি বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। ‘পূর্বমেঘ’ ও ‘অগত্যা’ পত্রিকার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তিনি টেলিভিশনের অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় বিশেষ মাত্রা যোগ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ‘মুক্তধারা’, ‘কথামালা’, ‘বাঙালির বাংলা’ নামে টেলিভিশন অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেছেন। বিটিভিতে ‘মুক্তধারা’ অনুষ্ঠানটি একাধারে ১৫ বছর উপস্থাপনা করেছেন। বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০১১ সালে ‘জাতীয় অধ্যাপক’ হিসেবে নিয়োগ দেয়। দেশের এই নিষ্ঠাবান গবেষক মানুষটি ২০১৮ সালের ৯ মে মৃত্যুবরণ করেন।
মুস্তাফা নূরউল ইসলাম ছিলেন বহুগুণে গুণান্বিত মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক, লেখক, সাহিত্য সম্পাদক, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান কান্ডারি এবং টিভি উপস্থাপক—সবই তিনি। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হলো, তিনি ছিলেন একজন মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়িক এবং উদার হৃদয়ের গণতান্ত্রিক চেতনাধারী প্রাণোচ্ছল মানুষ।
তাঁর জন্ম বগুড়ার মহাস্থানগড়সংলগ্ন চিঙ্গাশপুর গ্রামে, ১৯২৭ সালের ১ মে। বাবা সাদত আলী আখন্দ এবং ছোট ভাই এম আর আখতার মুকুল স্বনামখ্যাত লেখক ছিলেন। পাঁচ বছর বয়সে কলকাতায় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কাছে তাঁর লেখাপড়ার হাতেখড়ি।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৭১ সালে লন্ডনে পিএইচডি করার সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ছাত্রজীবনে বামধারার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
মুস্তাফা নূরউল ইসলাম ১৯৫১ সালে সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। দৈনিক সংবাদের প্রথম সংখ্যা থেকে যুক্ত ছিলেন সহকারী সম্পাদক হিসেবে। কাজ করেছেন দৈনিক মিল্লাতে। শিক্ষকতা করেছেন সেন্ট গ্রেগরিজ কলেজ, পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের যাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁর হাত দিয়ে। শিল্পকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, জাতীয় জাদুঘরের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
‘সুন্দরম’ নামের একটি বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। ‘পূর্বমেঘ’ ও ‘অগত্যা’ পত্রিকার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তিনি টেলিভিশনের অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় বিশেষ মাত্রা যোগ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ‘মুক্তধারা’, ‘কথামালা’, ‘বাঙালির বাংলা’ নামে টেলিভিশন অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেছেন। বিটিভিতে ‘মুক্তধারা’ অনুষ্ঠানটি একাধারে ১৫ বছর উপস্থাপনা করেছেন। বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০১১ সালে ‘জাতীয় অধ্যাপক’ হিসেবে নিয়োগ দেয়। দেশের এই নিষ্ঠাবান গবেষক মানুষটি ২০১৮ সালের ৯ মে মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশের অ্যাংলিংকান সম্প্রদায় উপাসনার জন্য নির্মাণ করেছিল সেন্ট থমাস ক্যাথেড্রাল চার্চ। ১৮১৯ সালে শেষ হয় এর নির্মাণকাজ। ঢাকা কারাগারের কয়েদিরা নাকি এটির নির্মাণে শ্রম দিয়েছিল। কলকাতার বিশপ রেজিনাল্ড হেবার ১৮২৪ সালের ১০ জুলাই ঢাকায় এসে উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত এই গির্জাটির।
১ দিন আগেআজ বিশ্ব নৃত্য দিবস। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর সহযোগী সংস্থা আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট-আইটিআই ১৯৮২ সালে ২৯ এপ্রিলকে বিশ্ব নৃত্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। মূলত নৃত্যশিল্পের বিকাশ ও বিশ্বব্যাপী নৃত্যপ্রেমীদের একত্রিত করাই এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য। ২৯ এপ্রিল আধুনিক
২ দিন আগেদুপুরের খাবারের বিরতির পর তাঁরা আবার কাজ শুরু করেন। সন্ধ্যা ৭টায় কাজ শেষ হলে সিপির চীনা ও আইরিশ শ্রমিকেরা এক দিনে ১০ মাইল ৫৬ ফুট (১৬.১১১ কিলোমিটার) রেলপথ বসানোর অনন্য রেকর্ড গড়েন।
৩ দিন আগেআলীর এই সিদ্ধান্তে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ আলীর অবস্থানের প্রশংসা করেন, আবার কেউ কেউ তাঁকে আখ্যায়িত করেন বিশ্বাসঘাতক। তাঁকে বক্সিং রিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় অর্জিত শিরোপা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে ফেডারেল সরকারের বিচার বিভাগ।
৩ দিন আগে