সম্পাদকীয়
মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের নিপীড়িত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মুক্তির আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা। তিনি এম এন লারমা নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। ডাকনাম ছিল মঞ্জু। তাঁর নেতৃত্বেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
এম এন লারমার জন্ম ১৯৩৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাঙামাটির নানিয়ারচরের বুড়িঘাট ইউনিয়নের মহাপুরম (মাউরুম) গ্রামে। কাপ্তাই বাঁধের কারণে গ্রামটি তলিয়ে গেলে তাঁর পরিবার খাগড়াছড়ির পানছড়িতে গিয়ে স্থায়ী হয়।
এম এন লারমা রাঙামাটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং বিএ ও বিএড ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি আইনে এলএলবি পরীক্ষায় পাস করেন।
তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে। তিনি চট্টগ্রাম রেলওয়ে কলোনি উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি চট্টগ্রাম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন।
এম এন লারমা ছাত্রজীবনে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদে যোগ দেন। এরপর পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেন। ১৯৬১ সালে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে পাকিস্তান সরকারের হাতে গ্রেপ্তার হন।
এম এন লারমা ১৯৭০ সালে পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন।
১৯৭৩ সালে তাঁর নেতৃত্বে ১১টি পাহাড়ি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষকে সংগঠিত করে প্রতিষ্ঠা করেন জনসংহতি সমিতি। একই সঙ্গে তিনি গড়ে তোলেন মহিলা সমিতি, জুমিয়া সমিতি, যুব সমিতি ও গিরিসুর শিল্পীগোষ্ঠী। এসব সংগঠনের মাধ্যমে আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন।
একসময় তিনি সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেন শান্তিবাহিনী গঠন করে। মার্ক্সীয় আদর্শ তিনি ধারণ করেছিলেন পাহাড়িদের আন্দোলন সংগঠিত করার জন্য।
তিনি প্রতিপক্ষ গ্রুপের হাতে ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর নিহত হন।
মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের নিপীড়িত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মুক্তির আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা। তিনি এম এন লারমা নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। ডাকনাম ছিল মঞ্জু। তাঁর নেতৃত্বেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
এম এন লারমার জন্ম ১৯৩৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাঙামাটির নানিয়ারচরের বুড়িঘাট ইউনিয়নের মহাপুরম (মাউরুম) গ্রামে। কাপ্তাই বাঁধের কারণে গ্রামটি তলিয়ে গেলে তাঁর পরিবার খাগড়াছড়ির পানছড়িতে গিয়ে স্থায়ী হয়।
এম এন লারমা রাঙামাটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং বিএ ও বিএড ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি আইনে এলএলবি পরীক্ষায় পাস করেন।
তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে। তিনি চট্টগ্রাম রেলওয়ে কলোনি উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি চট্টগ্রাম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন।
এম এন লারমা ছাত্রজীবনে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদে যোগ দেন। এরপর পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেন। ১৯৬১ সালে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে পাকিস্তান সরকারের হাতে গ্রেপ্তার হন।
এম এন লারমা ১৯৭০ সালে পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন।
১৯৭৩ সালে তাঁর নেতৃত্বে ১১টি পাহাড়ি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষকে সংগঠিত করে প্রতিষ্ঠা করেন জনসংহতি সমিতি। একই সঙ্গে তিনি গড়ে তোলেন মহিলা সমিতি, জুমিয়া সমিতি, যুব সমিতি ও গিরিসুর শিল্পীগোষ্ঠী। এসব সংগঠনের মাধ্যমে আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন।
একসময় তিনি সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেন শান্তিবাহিনী গঠন করে। মার্ক্সীয় আদর্শ তিনি ধারণ করেছিলেন পাহাড়িদের আন্দোলন সংগঠিত করার জন্য।
তিনি প্রতিপক্ষ গ্রুপের হাতে ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর নিহত হন।
১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
১ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
৮ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
১৮ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
২২ দিন আগে