আজকের পত্রিকা ডেস্ক
উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ খুব রাগী—নানাজনের কাছে শুনে বালক রবিশঙ্করের এ রকমই একটা ধারণা ছিল। ১৯৩৪ সালে উস্তাদকে রবি প্রথম দেখেন সেনেট হলে। এরপর ১৯৩৫ সালে আলাউদ্দিন খাঁ যখন রবিশঙ্করের বড় ভাই উদয় শঙ্করের ট্রুপে যোগ দেন, তখন থেকেই রবিশঙ্কর আলাউদ্দিন খাঁর সংস্পর্শে আসতে শুরু করেন। এই দুই মনীষীর বিশাল সাংস্কৃতিক জগৎ নিয়ে আমরা এখানে আজ কথা বলব না। আমরা বলব এমন এক গল্প, যা বরিশঙ্করের স্মৃতিতে অমলিন হয়ে ছিল।
আলাউদ্দিন খাঁ ছিলেন খুব বিনয়ী। নরম একটা মন ছিল তাঁর বুকের ভেতরে। কিন্তু খেপে গেলে তাঁর শরীর দিয়ে রাগ ঠিকরে বের হতো। চুল-দাঁড়ি সব খাড়া হয়ে যেত বাঘ বা বিড়ালের মতো! সেই গল্প এখানে নয়।
রবিশঙ্করের মা হেমাঙ্গিনী শঙ্করকে খুব শ্রদ্ধা করতেন আলাউদ্দিন খাঁ। উদয় শঙ্করের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে হেমাঙ্গিনীকে তিনি বলতেন, ‘মা, আপনি তো রত্নগর্ভা! উদয় শঙ্করের মতো সোনার ছেলে আপনার!’
যখন বিলেতের পথে রওনা হবে উদয় শঙ্করের নাচের ট্রুপ, তখন কাশী থেকে হেমাঙ্গিনী এসেছিলেন কটা দিন ছেলেদের সঙ্গে সময় কাটাতে। রবিশঙ্করের জীবনে সেটাই ছিল মায়ের শেষ সঙ্গ পাওয়া।
ডকে যখন রবিশঙ্কর মাকে প্রণাম করলেন, তখন ছেলেকে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেঁদে উঠলেন হেমাঙ্গিনী। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আলাউদ্দিন খাঁর হাতে রবিশঙ্করের হাতটি দিয়ে হেমাঙ্গিনী বললেন, ‘আমার এই ছেলেটাকে দেখবেন। ওর বাবা কিছুদিন আগে মারা গেছেন। এখন থেকে আপনিই ওর বাবা। ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করে দেবেন।
আলাউদ্দিন খাঁ বললেন, ‘মা, আপনি তো রত্নগর্ভা, আমি তো ম্লেচ্ছ। আর আপনার ছেলে আজ থেকে আমার ছেলে। আমার তো এক ছেলে আছে। ও এখন থেকে আমার বড় ছেলে হবে।’
এ কথা বলে হেমাঙ্গিনীর পাশে আলাউদ্দিন খাঁ কাঁদতে লাগলেন। আর এই ভারাক্রান্ত পরিবেশকে আরও বিষাদগ্রস্ত করে তুললেন স্বয়ং বালক রবিশঙ্কর। দুজনের সঙ্গে যোগ হলো তাঁর চোখের জলও।
সূত্র: রবিশঙ্কর, রাগ অনুরাগ
পৃষ্ঠা ১৪১-১৪২
উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ খুব রাগী—নানাজনের কাছে শুনে বালক রবিশঙ্করের এ রকমই একটা ধারণা ছিল। ১৯৩৪ সালে উস্তাদকে রবি প্রথম দেখেন সেনেট হলে। এরপর ১৯৩৫ সালে আলাউদ্দিন খাঁ যখন রবিশঙ্করের বড় ভাই উদয় শঙ্করের ট্রুপে যোগ দেন, তখন থেকেই রবিশঙ্কর আলাউদ্দিন খাঁর সংস্পর্শে আসতে শুরু করেন। এই দুই মনীষীর বিশাল সাংস্কৃতিক জগৎ নিয়ে আমরা এখানে আজ কথা বলব না। আমরা বলব এমন এক গল্প, যা বরিশঙ্করের স্মৃতিতে অমলিন হয়ে ছিল।
আলাউদ্দিন খাঁ ছিলেন খুব বিনয়ী। নরম একটা মন ছিল তাঁর বুকের ভেতরে। কিন্তু খেপে গেলে তাঁর শরীর দিয়ে রাগ ঠিকরে বের হতো। চুল-দাঁড়ি সব খাড়া হয়ে যেত বাঘ বা বিড়ালের মতো! সেই গল্প এখানে নয়।
রবিশঙ্করের মা হেমাঙ্গিনী শঙ্করকে খুব শ্রদ্ধা করতেন আলাউদ্দিন খাঁ। উদয় শঙ্করের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে হেমাঙ্গিনীকে তিনি বলতেন, ‘মা, আপনি তো রত্নগর্ভা! উদয় শঙ্করের মতো সোনার ছেলে আপনার!’
যখন বিলেতের পথে রওনা হবে উদয় শঙ্করের নাচের ট্রুপ, তখন কাশী থেকে হেমাঙ্গিনী এসেছিলেন কটা দিন ছেলেদের সঙ্গে সময় কাটাতে। রবিশঙ্করের জীবনে সেটাই ছিল মায়ের শেষ সঙ্গ পাওয়া।
ডকে যখন রবিশঙ্কর মাকে প্রণাম করলেন, তখন ছেলেকে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেঁদে উঠলেন হেমাঙ্গিনী। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আলাউদ্দিন খাঁর হাতে রবিশঙ্করের হাতটি দিয়ে হেমাঙ্গিনী বললেন, ‘আমার এই ছেলেটাকে দেখবেন। ওর বাবা কিছুদিন আগে মারা গেছেন। এখন থেকে আপনিই ওর বাবা। ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করে দেবেন।
আলাউদ্দিন খাঁ বললেন, ‘মা, আপনি তো রত্নগর্ভা, আমি তো ম্লেচ্ছ। আর আপনার ছেলে আজ থেকে আমার ছেলে। আমার তো এক ছেলে আছে। ও এখন থেকে আমার বড় ছেলে হবে।’
এ কথা বলে হেমাঙ্গিনীর পাশে আলাউদ্দিন খাঁ কাঁদতে লাগলেন। আর এই ভারাক্রান্ত পরিবেশকে আরও বিষাদগ্রস্ত করে তুললেন স্বয়ং বালক রবিশঙ্কর। দুজনের সঙ্গে যোগ হলো তাঁর চোখের জলও।
সূত্র: রবিশঙ্কর, রাগ অনুরাগ
পৃষ্ঠা ১৪১-১৪২
১৬৫৫ সালে গৌড়ীয় রীতিতে রাজবাড়ির বালিয়াকান্দী উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামে জোড় বাংলা মন্দির ও বিগ্রহ নির্মাণ করেন রাজা সীতারাম রায়। দুটো মন্দির পাশাপাশি নির্মাণ করা হয় বলে এর এমন নাম। স্থানীয়দের মতে, রাজা সীতারাম বেলগাছিতে সোনায় গড়া মূর্তি দিয়ে দুর্গাপূজা করতে...
৩ দিন আগে১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৭ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১৩ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২৪ দিন আগে