সম্পাদকীয়
চীনে সব সময়ই শিল্প আর উপন্যাস দুটি আলাদা বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সেখানে শিল্প হিসেবে সাহিত্যচর্চার ব্যাপারটি ছিল ক্ষমতাবান বিদ্বানদের একচ্ছত্র দখলে। তাঁরা একে অপরের জন্য শিল্প সৃষ্টি করতেন নিজস্ব নিয়মে এবং উপন্যাসের কোনো জায়গা সেখানে ছিল না। কিছু সনাতন স্বেচ্ছাচারী আইন দিয়ে তাঁরা দখল করে রেখেছিলেন দর্শন, ধর্ম আর সাহিত্যের সবকিছু। শিক্ষার সব উপকরণই ছিল তাঁদের একচ্ছত্র দখলে। ফলে লেখাপড়াও জানতেন শুধু তাঁরাই। এই ক্ষমতাবান বিদ্বানদের কোনো কোনো ক্ষেত্রে সম্রাট পর্যন্ত ভয় পেতেন। আর এ কারণেই তাঁদের নিজেদের কাজে নিজেদের আবদ্ধ রাখার একটি পথও তিনি বের করে ফেলেন। রাজনৈতিক কর্তৃত্ব অর্জনের একমাত্র পথ হিসেবে কিছু ভয়াবহ কঠিন পরীক্ষার প্রবর্তন করেন।
এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির কাজটি একজন মানুষের সমস্ত জীবন আর চিন্তা নিঃশেষ করার জন্য যথেষ্ট ছিল। ফলে সে সময় চীনের এই পণ্ডিতদের দেখা গেল বর্তমান সময় আর তার গতিপ্রকৃতি বোঝার জন্য দিন-রাত নাক ডুবিয়ে মুখস্থ করছেন সনাতন আর মৃত অতীত। আর সেই অতীত ঘেঁটেই তাঁরা তৈরি করছেন তাঁদের শিল্পের নিয়মগুলো, যেখানে উপন্যাসের কোনো জায়গা নেই। ফলে চোখের সামনে প্রাকৃতজনদের মাঝে উপন্যাসের জন্মটি এই বিদ্বানরা দেখতে পেলেন না, সাহিত্যকে এক বায়বীয় শিল্প জ্ঞান করে তাঁরা সব বসে রইলেন নির্জীব অতীতেই। মানুষের প্রতি পণ্ডিতদের এই অবজ্ঞার প্রত্যুত্তরে মানুষের মাঝ থেকে এসেছে এই পণ্ডিতদের নিয়ে অসংখ্য রঙ্গ-কৌতুক। তার একটির উদাহরণ দেওয়া যাক: একদিন জঙ্গলের পশুদের একটি দল শিকারে যাওয়ার আগে একটি পাহাড়ের পাদদেশে মিলিত হলো। সেখানে সিদ্ধান্ত হলো, দিন শেষে যে যা শিকার পাবে, তা নিয়ে এই স্থানে এসে মিলিত হবে এবং শিকার সবাই মিলে ভাগ করে নেবে। দিন শেষে দেখা গেল একমাত্র বাঘই কোনো শিকার ছাড়া ফিরে এসেছে। সবাই অবাক হয়ে তার কাছে কারণ জানতে চাইলে সে বিমর্ষভাবে জানাল, ‘ভোরবেলায় আমি এক স্কুলবালকের দেখা পেয়েছিলাম, কিন্তু মনে হলো তার কচি মাংস তোমাদের মুখে ঠিক রুচবে না। দুপুর নাগাদ ঘোরাঘুরি করে দেখা পেলাম এক যাজকের, কিন্তু তাকেও আমি ছেড়ে দিলাম, কারণ তোমরা তো জানো বাতাস ছাড়া আর তাদের মধ্যে সারবস্তু কিছু থাকে না। কিন্তু তাকে ছেড়ে দেওয়ার পর সারা দিন আর কারও দেখা মেলেনি। যখন সন্ধ্যা নেমে আসছে, তখন দেখলাম এক বিদ্বান এগিয়ে আসছে পায়ে পায়ে। তাকে দেখে আমি পুরোপুরি হতাশ হয়ে পড়লাম। কারণ এই বিদ্বানদের শুকনো জিরজিরে হাড় চিবোতে গিয়ে নিজের দাঁতগুলো ভাঙার কোনো মানে হয় না।’
বিদ্বানরা শ্রেণি হিসেবে চীনের মানুষের কাছে এ রকমই হাস্যরসের পাত্র ছিলেন।
পার্ল এস বাক ১৯৩৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।
চীনে সব সময়ই শিল্প আর উপন্যাস দুটি আলাদা বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সেখানে শিল্প হিসেবে সাহিত্যচর্চার ব্যাপারটি ছিল ক্ষমতাবান বিদ্বানদের একচ্ছত্র দখলে। তাঁরা একে অপরের জন্য শিল্প সৃষ্টি করতেন নিজস্ব নিয়মে এবং উপন্যাসের কোনো জায়গা সেখানে ছিল না। কিছু সনাতন স্বেচ্ছাচারী আইন দিয়ে তাঁরা দখল করে রেখেছিলেন দর্শন, ধর্ম আর সাহিত্যের সবকিছু। শিক্ষার সব উপকরণই ছিল তাঁদের একচ্ছত্র দখলে। ফলে লেখাপড়াও জানতেন শুধু তাঁরাই। এই ক্ষমতাবান বিদ্বানদের কোনো কোনো ক্ষেত্রে সম্রাট পর্যন্ত ভয় পেতেন। আর এ কারণেই তাঁদের নিজেদের কাজে নিজেদের আবদ্ধ রাখার একটি পথও তিনি বের করে ফেলেন। রাজনৈতিক কর্তৃত্ব অর্জনের একমাত্র পথ হিসেবে কিছু ভয়াবহ কঠিন পরীক্ষার প্রবর্তন করেন।
এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির কাজটি একজন মানুষের সমস্ত জীবন আর চিন্তা নিঃশেষ করার জন্য যথেষ্ট ছিল। ফলে সে সময় চীনের এই পণ্ডিতদের দেখা গেল বর্তমান সময় আর তার গতিপ্রকৃতি বোঝার জন্য দিন-রাত নাক ডুবিয়ে মুখস্থ করছেন সনাতন আর মৃত অতীত। আর সেই অতীত ঘেঁটেই তাঁরা তৈরি করছেন তাঁদের শিল্পের নিয়মগুলো, যেখানে উপন্যাসের কোনো জায়গা নেই। ফলে চোখের সামনে প্রাকৃতজনদের মাঝে উপন্যাসের জন্মটি এই বিদ্বানরা দেখতে পেলেন না, সাহিত্যকে এক বায়বীয় শিল্প জ্ঞান করে তাঁরা সব বসে রইলেন নির্জীব অতীতেই। মানুষের প্রতি পণ্ডিতদের এই অবজ্ঞার প্রত্যুত্তরে মানুষের মাঝ থেকে এসেছে এই পণ্ডিতদের নিয়ে অসংখ্য রঙ্গ-কৌতুক। তার একটির উদাহরণ দেওয়া যাক: একদিন জঙ্গলের পশুদের একটি দল শিকারে যাওয়ার আগে একটি পাহাড়ের পাদদেশে মিলিত হলো। সেখানে সিদ্ধান্ত হলো, দিন শেষে যে যা শিকার পাবে, তা নিয়ে এই স্থানে এসে মিলিত হবে এবং শিকার সবাই মিলে ভাগ করে নেবে। দিন শেষে দেখা গেল একমাত্র বাঘই কোনো শিকার ছাড়া ফিরে এসেছে। সবাই অবাক হয়ে তার কাছে কারণ জানতে চাইলে সে বিমর্ষভাবে জানাল, ‘ভোরবেলায় আমি এক স্কুলবালকের দেখা পেয়েছিলাম, কিন্তু মনে হলো তার কচি মাংস তোমাদের মুখে ঠিক রুচবে না। দুপুর নাগাদ ঘোরাঘুরি করে দেখা পেলাম এক যাজকের, কিন্তু তাকেও আমি ছেড়ে দিলাম, কারণ তোমরা তো জানো বাতাস ছাড়া আর তাদের মধ্যে সারবস্তু কিছু থাকে না। কিন্তু তাকে ছেড়ে দেওয়ার পর সারা দিন আর কারও দেখা মেলেনি। যখন সন্ধ্যা নেমে আসছে, তখন দেখলাম এক বিদ্বান এগিয়ে আসছে পায়ে পায়ে। তাকে দেখে আমি পুরোপুরি হতাশ হয়ে পড়লাম। কারণ এই বিদ্বানদের শুকনো জিরজিরে হাড় চিবোতে গিয়ে নিজের দাঁতগুলো ভাঙার কোনো মানে হয় না।’
বিদ্বানরা শ্রেণি হিসেবে চীনের মানুষের কাছে এ রকমই হাস্যরসের পাত্র ছিলেন।
পার্ল এস বাক ১৯৩৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।
১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
২ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
৯ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
১৯ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
২৩ দিন আগে