সম্পাদকীয়
সভ্যতার আদি থেকেই মানুষ যা বারবার বলে এসেছে, সে কথাই আজ শুরুতে বলি। ধন্যবাদ আপনাদের! প্রতিটি ভাষাতেই কৃতজ্ঞতার প্রকাশ রয়েছে, নিজের মতো করে। প্রকাশভঙ্গি পৃথক, অর্থের পরিধিও তার বিভিন্ন। রোমান ভাষায় কৃতজ্ঞতাসূচক বাক্য শরীর এবং আত্মাকে ছুঁয়ে থাকে। কখনো তা স্বর্গীয় সৌরভে ভরপুর, আবার কখনো-বা তা মানুষকে মৃত্যু বা ভুল থেকে সরিয়ে আনতে সক্ষম। ঠিক এই মুহূর্তে আমি কৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করছি, নির্ভার কিছু শব্দের মাধ্যমে। আশা করি শব্দের এই পলকা স্রোতকে উজ্জ্বল করে তুলবে আমার উচ্ছ্বাস। আমার বলা প্রতিটি শব্দ যদি জলবিন্দুর মতো হতো, তাহলে তাতে স্পষ্ট ফুটে উঠত এবং আপনারা টের পেতেন যে শুধু কৃতজ্ঞতা বা স্বীকৃতিই নয়, ত্রাস-শ্রদ্ধা-বিহ্বলতার এক অপার মিশ্রণে ঠিক কেমন লাগছে এখন আমার! কেমন লাগছে, নিজেকে এমন জায়গায় দেখে, যা একই সঙ্গে সুইডিশ অধ্যয়ন এবং বিশ্বসাহিত্যের পীঠস্থান।
ভাষা এক সুদূরপ্রসারিত বাস্তবতা, যা নেশন নামধারী সব রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক ধারণাকে ছাড়িয়ে এগিয়ে যায়। ইউরোপের অনেক ভাষাতেই তো আমরা আমেরিকায় কথা বলি। ভাষার জন্ম হয় এক জায়গায়, সে তার মাতৃভূমি, সেখানকার ইতিহাসে লালিত হয়। আবার আমরা দেখি সেই মাতৃভূমি, ইতিহাসের লালন এবং নিজস্ব ঐতিহ্য থেকে ছিঁড়ে নিয়ে সেই সব ভাষাকে রোপণ করা হয়েছে অজ্ঞাত ভূখণ্ডে। অতঃপর নতুন দেশের মাটিতে চারিয়ে গিয়েছে তাদের শিকড়, আমেরিকার সমাজে ঘটেছে তাদের বৃদ্ধি। একই গাছ হয়েও তারা যেন ভিন্ন ভিন্ন। এই অন্য দেশে রোপিত হওয়া ভাষাভাষীদের ভাগ্যের বাঁকবদল ঘটেছে। আমাদের সাহিত্যও সেই বদলে সাড়া দিয়েছে। একে অন্যের বদলে অংশ নিয়েছে, প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে।
এই সব দোলাচলের মধ্যেও একটি মৌলিক যোগসূত্র কিন্তু ছিঁড়ে যায়নি। আমার বড় লেখাগুলো নিজের ভাষাতেই লেখা, অন্যান্য যেকোনো স্প্যানিশ লেখকের মতোই নিজেকে লোপে ও কুইভেদোর উত্তরসূরি বলে মনে করি। যদিও নিজে আমি স্প্যানিয়ার্ড নই।
মেক্সিকান সাহিত্যিক অক্টাভিও পাজ ১৯৯০ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
সভ্যতার আদি থেকেই মানুষ যা বারবার বলে এসেছে, সে কথাই আজ শুরুতে বলি। ধন্যবাদ আপনাদের! প্রতিটি ভাষাতেই কৃতজ্ঞতার প্রকাশ রয়েছে, নিজের মতো করে। প্রকাশভঙ্গি পৃথক, অর্থের পরিধিও তার বিভিন্ন। রোমান ভাষায় কৃতজ্ঞতাসূচক বাক্য শরীর এবং আত্মাকে ছুঁয়ে থাকে। কখনো তা স্বর্গীয় সৌরভে ভরপুর, আবার কখনো-বা তা মানুষকে মৃত্যু বা ভুল থেকে সরিয়ে আনতে সক্ষম। ঠিক এই মুহূর্তে আমি কৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করছি, নির্ভার কিছু শব্দের মাধ্যমে। আশা করি শব্দের এই পলকা স্রোতকে উজ্জ্বল করে তুলবে আমার উচ্ছ্বাস। আমার বলা প্রতিটি শব্দ যদি জলবিন্দুর মতো হতো, তাহলে তাতে স্পষ্ট ফুটে উঠত এবং আপনারা টের পেতেন যে শুধু কৃতজ্ঞতা বা স্বীকৃতিই নয়, ত্রাস-শ্রদ্ধা-বিহ্বলতার এক অপার মিশ্রণে ঠিক কেমন লাগছে এখন আমার! কেমন লাগছে, নিজেকে এমন জায়গায় দেখে, যা একই সঙ্গে সুইডিশ অধ্যয়ন এবং বিশ্বসাহিত্যের পীঠস্থান।
ভাষা এক সুদূরপ্রসারিত বাস্তবতা, যা নেশন নামধারী সব রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক ধারণাকে ছাড়িয়ে এগিয়ে যায়। ইউরোপের অনেক ভাষাতেই তো আমরা আমেরিকায় কথা বলি। ভাষার জন্ম হয় এক জায়গায়, সে তার মাতৃভূমি, সেখানকার ইতিহাসে লালিত হয়। আবার আমরা দেখি সেই মাতৃভূমি, ইতিহাসের লালন এবং নিজস্ব ঐতিহ্য থেকে ছিঁড়ে নিয়ে সেই সব ভাষাকে রোপণ করা হয়েছে অজ্ঞাত ভূখণ্ডে। অতঃপর নতুন দেশের মাটিতে চারিয়ে গিয়েছে তাদের শিকড়, আমেরিকার সমাজে ঘটেছে তাদের বৃদ্ধি। একই গাছ হয়েও তারা যেন ভিন্ন ভিন্ন। এই অন্য দেশে রোপিত হওয়া ভাষাভাষীদের ভাগ্যের বাঁকবদল ঘটেছে। আমাদের সাহিত্যও সেই বদলে সাড়া দিয়েছে। একে অন্যের বদলে অংশ নিয়েছে, প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে।
এই সব দোলাচলের মধ্যেও একটি মৌলিক যোগসূত্র কিন্তু ছিঁড়ে যায়নি। আমার বড় লেখাগুলো নিজের ভাষাতেই লেখা, অন্যান্য যেকোনো স্প্যানিশ লেখকের মতোই নিজেকে লোপে ও কুইভেদোর উত্তরসূরি বলে মনে করি। যদিও নিজে আমি স্প্যানিয়ার্ড নই।
মেক্সিকান সাহিত্যিক অক্টাভিও পাজ ১৯৯০ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
বাংলাদেশের অ্যাংলিংকান সম্প্রদায় উপাসনার জন্য নির্মাণ করেছিল সেন্ট থমাস ক্যাথেড্রাল চার্চ। ১৮১৯ সালে শেষ হয় এর নির্মাণকাজ। ঢাকা কারাগারের কয়েদিরা নাকি এটির নির্মাণে শ্রম দিয়েছিল। কলকাতার বিশপ রেজিনাল্ড হেবার ১৮২৪ সালের ১০ জুলাই ঢাকায় এসে উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত এই গির্জাটির।
২ দিন আগেআজ বিশ্ব নৃত্য দিবস। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর সহযোগী সংস্থা আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট-আইটিআই ১৯৮২ সালে ২৯ এপ্রিলকে বিশ্ব নৃত্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। মূলত নৃত্যশিল্পের বিকাশ ও বিশ্বব্যাপী নৃত্যপ্রেমীদের একত্রিত করাই এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য। ২৯ এপ্রিল আধুনিক
৩ দিন আগেদুপুরের খাবারের বিরতির পর তাঁরা আবার কাজ শুরু করেন। সন্ধ্যা ৭টায় কাজ শেষ হলে সিপির চীনা ও আইরিশ শ্রমিকেরা এক দিনে ১০ মাইল ৫৬ ফুট (১৬.১১১ কিলোমিটার) রেলপথ বসানোর অনন্য রেকর্ড গড়েন।
৪ দিন আগেআলীর এই সিদ্ধান্তে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ আলীর অবস্থানের প্রশংসা করেন, আবার কেউ কেউ তাঁকে আখ্যায়িত করেন বিশ্বাসঘাতক। তাঁকে বক্সিং রিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় অর্জিত শিরোপা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে ফেডারেল সরকারের বিচার বিভাগ।
৪ দিন আগে