সম্পাদকীয়
স্বদেশচেতনা ও মানবসেবার আদর্শ ধারণ করে সারা জীবন ছুটে চলেছেন ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা। তিনি একজন বিশ্বনন্দিত বিজ্ঞানী। এই বিজ্ঞানী জন্মেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের মাড়গ্রামে। গ্রামের অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল এমই স্কুলে তাঁর লেখাপড়া শুরু। ১৯১৮ সালে কলকাতা মাদ্রাসা থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯২৫ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে রসায়নে এমএসসিতে প্রথম হন। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রিয় ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করার সুযোগ পাননি। ব্রিটেনে গিয়ে অধ্যাপক জে এফ থর্পের কাছে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৩১ সালে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক হন। ১৯৪২-৪৪ সাল পর্যন্ত ইসলামিয়া কলেজের এবং ১৯৪৬ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।
দেশভাগের পর তিনি চলে আসেন পূর্ব পাকিস্তানে। পূর্ব পাকিস্তানের জনশিক্ষা দপ্তরের পরিচালক ছিলেন। বাংলা ভাষা নিয়ে চক্রান্তের বিরুদ্ধে তিনি পাকিস্তান সরকারের পক্ষে অবস্থান নেননি। ফলে চাকরি হারান। কিন্তু তাঁর বিকল্প কোনো ব্যক্তি না থাকায় পাকিস্তান সরকার তাঁকে বিজ্ঞানবিষয়ক উপদেষ্টা করতে বাধ্য হন। এ দায়িত্বে তিনি ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত ছিলেন। এই সময়ে বহু বিজ্ঞান সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেন। এরপর ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তিনি পূর্ব পাকিস্তানের মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন।
বাংলাদেশের জন্ম হলে নতুন দেশে তিনি ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত শিক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান হন, যা ‘কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন’ নামে পরিচিত।
তাঁর নিরলস বিজ্ঞান গবেষণার মৌলিক বৈশিষ্ট্য ছিল দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ—কৃষি, শিল্প বা খনিজ, জলসম্পদ কাজে লাগিয়ে কীভাবে দেশকে সমৃদ্ধ করা যায়। বাংলাদেশের খাদ্যশস্যের ওপর তাঁর অনেকগুলো প্যাটেন্ট আছে।
তিনি যুদ্ধোত্তর বাংলার ‘কৃষি-শিল্প’ নামে অসামান্য একটি বই লেখেন, যা বিশ্বভারতী প্রকাশনার ‘বিশ্ববিদ্যা সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকাশনায় স্থান পায়।
মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার অন্যতম প্রবক্তা। ১৯৭৭ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকায় এই মানবপ্রেমিক বিজ্ঞানসাধক প্রয়াত হন।
স্বদেশচেতনা ও মানবসেবার আদর্শ ধারণ করে সারা জীবন ছুটে চলেছেন ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা। তিনি একজন বিশ্বনন্দিত বিজ্ঞানী। এই বিজ্ঞানী জন্মেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের মাড়গ্রামে। গ্রামের অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল এমই স্কুলে তাঁর লেখাপড়া শুরু। ১৯১৮ সালে কলকাতা মাদ্রাসা থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯২৫ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে রসায়নে এমএসসিতে প্রথম হন। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রিয় ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করার সুযোগ পাননি। ব্রিটেনে গিয়ে অধ্যাপক জে এফ থর্পের কাছে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৩১ সালে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক হন। ১৯৪২-৪৪ সাল পর্যন্ত ইসলামিয়া কলেজের এবং ১৯৪৬ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।
দেশভাগের পর তিনি চলে আসেন পূর্ব পাকিস্তানে। পূর্ব পাকিস্তানের জনশিক্ষা দপ্তরের পরিচালক ছিলেন। বাংলা ভাষা নিয়ে চক্রান্তের বিরুদ্ধে তিনি পাকিস্তান সরকারের পক্ষে অবস্থান নেননি। ফলে চাকরি হারান। কিন্তু তাঁর বিকল্প কোনো ব্যক্তি না থাকায় পাকিস্তান সরকার তাঁকে বিজ্ঞানবিষয়ক উপদেষ্টা করতে বাধ্য হন। এ দায়িত্বে তিনি ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত ছিলেন। এই সময়ে বহু বিজ্ঞান সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেন। এরপর ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তিনি পূর্ব পাকিস্তানের মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন।
বাংলাদেশের জন্ম হলে নতুন দেশে তিনি ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত শিক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান হন, যা ‘কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন’ নামে পরিচিত।
তাঁর নিরলস বিজ্ঞান গবেষণার মৌলিক বৈশিষ্ট্য ছিল দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ—কৃষি, শিল্প বা খনিজ, জলসম্পদ কাজে লাগিয়ে কীভাবে দেশকে সমৃদ্ধ করা যায়। বাংলাদেশের খাদ্যশস্যের ওপর তাঁর অনেকগুলো প্যাটেন্ট আছে।
তিনি যুদ্ধোত্তর বাংলার ‘কৃষি-শিল্প’ নামে অসামান্য একটি বই লেখেন, যা বিশ্বভারতী প্রকাশনার ‘বিশ্ববিদ্যা সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকাশনায় স্থান পায়।
মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার অন্যতম প্রবক্তা। ১৯৭৭ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকায় এই মানবপ্রেমিক বিজ্ঞানসাধক প্রয়াত হন।
বাংলাদেশের অ্যাংলিংকান সম্প্রদায় উপাসনার জন্য নির্মাণ করেছিল সেন্ট থমাস ক্যাথেড্রাল চার্চ। ১৮১৯ সালে শেষ হয় এর নির্মাণকাজ। ঢাকা কারাগারের কয়েদিরা নাকি এটির নির্মাণে শ্রম দিয়েছিল। কলকাতার বিশপ রেজিনাল্ড হেবার ১৮২৪ সালের ১০ জুলাই ঢাকায় এসে উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত এই গির্জাটির।
২ দিন আগেআজ বিশ্ব নৃত্য দিবস। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর সহযোগী সংস্থা আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট-আইটিআই ১৯৮২ সালে ২৯ এপ্রিলকে বিশ্ব নৃত্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। মূলত নৃত্যশিল্পের বিকাশ ও বিশ্বব্যাপী নৃত্যপ্রেমীদের একত্রিত করাই এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য। ২৯ এপ্রিল আধুনিক
৩ দিন আগেদুপুরের খাবারের বিরতির পর তাঁরা আবার কাজ শুরু করেন। সন্ধ্যা ৭টায় কাজ শেষ হলে সিপির চীনা ও আইরিশ শ্রমিকেরা এক দিনে ১০ মাইল ৫৬ ফুট (১৬.১১১ কিলোমিটার) রেলপথ বসানোর অনন্য রেকর্ড গড়েন।
৪ দিন আগেআলীর এই সিদ্ধান্তে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ আলীর অবস্থানের প্রশংসা করেন, আবার কেউ কেউ তাঁকে আখ্যায়িত করেন বিশ্বাসঘাতক। তাঁকে বক্সিং রিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়, কেড়ে নেওয়া হয় অর্জিত শিরোপা। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে ফেডারেল সরকারের বিচার বিভাগ।
৪ দিন আগে