সম্পাদকীয়
তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
অজিতকুমার গুহর জন্ম ১৯১৪ সালের ১৫ এপ্রিল কুমিল্লা শহরের সুপারিবাগানে। তিনি কুমিল্লার ঈশ্বর পাঠশালা থেকে ম্যাট্রিক, ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আইএ ও বিএ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাস করেন। পরে তিনি বিটি পরীক্ষায়ও কৃতিত্বের পরিচয় দেন। দুই বছর শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকার প্রিয়নাথ হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের বাংলা বিভাগে যোগ দিয়ে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। এক বছর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের খণ্ডকালীন অধ্যাপক ছিলেন। একসময় তিনি জগন্নাথ কলেজ ছেড়ে ঢাকার টিচার্স ট্রেনিং কলেজের উপাধ্যক্ষ হন।
কোনো দলীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না থেকেও শুধু সংস্কৃতিচর্চা করার অপরাধে তাঁকে পাকিস্তান সরকার জেলে বন্দী করে। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের দায়ে তাঁকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়। প্রায় দেড় বছর পর তিনি মুক্তি পান।
অজিতকুমার খুব বেশি না লিখলেও যা লিখেছেন তাতেই তাঁর পাণ্ডিত্য ও মননশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি রবীন্দ্রনাথের সঞ্চয়িতা, সোনার তরী, গীতাঞ্জলি, গীতবিতান, কালিদাসের মেঘদূত ও বঙ্কিমের কৃষ্ণকান্তের উইলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের মূল্যবান ভূমিকা লিখেছেন।
তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার অন্যতম উপদেষ্টা। শিশু-কিশোরদের উপযোগী বেশ কিছু মূল্যবান বই লিখেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য শিশুতোষ রচনাগুলো হলো উৎসবের আলো, একটি ঘোড়ার অপমৃত্যু, একুশে ফেব্রুয়ারি হবে, একুশের চিন্তা, কালো ব্যাজ, ডাক, পদ্মার কবি রবীন্দ্রনাথ, বুলু, বাঘিনী, কবিয়াল রমেশ শীল, বোকার হাতী, ওরাও কাঁদে, যা দেখেছি যা পেয়েছি তুলনা তার নাই, যে ফুল শুকাবে না, রবীন্দ্রকথা, সাতাশে এপ্রিল, সেদিন আর এদিন ও হোসেনের মা।
১৯৬৯ সালের ১২ নভেম্বর তিনি কুমিল্লায় মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
অজিতকুমার গুহর জন্ম ১৯১৪ সালের ১৫ এপ্রিল কুমিল্লা শহরের সুপারিবাগানে। তিনি কুমিল্লার ঈশ্বর পাঠশালা থেকে ম্যাট্রিক, ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আইএ ও বিএ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাস করেন। পরে তিনি বিটি পরীক্ষায়ও কৃতিত্বের পরিচয় দেন। দুই বছর শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকার প্রিয়নাথ হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের বাংলা বিভাগে যোগ দিয়ে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। এক বছর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের খণ্ডকালীন অধ্যাপক ছিলেন। একসময় তিনি জগন্নাথ কলেজ ছেড়ে ঢাকার টিচার্স ট্রেনিং কলেজের উপাধ্যক্ষ হন।
কোনো দলীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না থেকেও শুধু সংস্কৃতিচর্চা করার অপরাধে তাঁকে পাকিস্তান সরকার জেলে বন্দী করে। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের দায়ে তাঁকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়। প্রায় দেড় বছর পর তিনি মুক্তি পান।
অজিতকুমার খুব বেশি না লিখলেও যা লিখেছেন তাতেই তাঁর পাণ্ডিত্য ও মননশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি রবীন্দ্রনাথের সঞ্চয়িতা, সোনার তরী, গীতাঞ্জলি, গীতবিতান, কালিদাসের মেঘদূত ও বঙ্কিমের কৃষ্ণকান্তের উইলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের মূল্যবান ভূমিকা লিখেছেন।
তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার অন্যতম উপদেষ্টা। শিশু-কিশোরদের উপযোগী বেশ কিছু মূল্যবান বই লিখেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য শিশুতোষ রচনাগুলো হলো উৎসবের আলো, একটি ঘোড়ার অপমৃত্যু, একুশে ফেব্রুয়ারি হবে, একুশের চিন্তা, কালো ব্যাজ, ডাক, পদ্মার কবি রবীন্দ্রনাথ, বুলু, বাঘিনী, কবিয়াল রমেশ শীল, বোকার হাতী, ওরাও কাঁদে, যা দেখেছি যা পেয়েছি তুলনা তার নাই, যে ফুল শুকাবে না, রবীন্দ্রকথা, সাতাশে এপ্রিল, সেদিন আর এদিন ও হোসেনের মা।
১৯৬৯ সালের ১২ নভেম্বর তিনি কুমিল্লায় মৃত্যুবরণ করেন।
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
৬ দিন আগেবাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
৭ দিন আগেযুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
৭ দিন আগে