সম্পাদকীয়
লোরকা ছিলেন একজন প্রতিভাবান স্প্যানিশ সংগীতজ্ঞ, বিপ্লবী কবি, নাট্যকার ও মঞ্চনির্দেশক। তাঁর পুরো নাম ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকা।
লোরকার জন্ম ১৮৯৮ সালের ৫ জুন স্পেনের গ্রানাডা শহরের অদূরে একটি ছোট গ্রাম ফুয়েন্তে ভাকুইয়েরোসে। দর্শন ও আইন পড়ার জন্য তরুণ বয়সে গ্রানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও আইন বাদ দিয়ে সাহিত্য ও মঞ্চ নিয়ে পড়তে শুরু করেন। এরপর তিনি ১৯১৯ সালে চলে যান মাদ্রিদে। মাদ্রিদ তখন স্পেনের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কেন্দ্র। এখানে তিনি মঞ্চ নিয়ে মেতে ওঠেন। জনসমক্ষে কবিতাও আবৃত্তি করতেন।
সে সময় গড়ে উঠেছিল স্প্যানিশ কবি-শিল্পী-সাহিত্যিকদের দল ‘দ্য জেনারেশন অব টোয়েন্টি সেভেন’। সেই দলে লোরকার মতো কবিরা ছাড়াও যুক্ত হয়েছিলেন চিত্রশিল্পী সালভাদর দালি, চলচ্চিত্র নির্মাতা বুনুয়েলের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। তাঁদের মধ্যে তাঁর সঙ্গে গভীর বন্ধুত্ব হয় সালভাদর দালির।
১৯২০ সালে লোরকা প্রথম মঞ্চায়ন করেন তাঁর লেখা নাটক ‘দ্য বাটারফ্লাইস ইভিল স্পেল’। নাটকটি বহুল প্রশংসিত হয়। ১৯২১ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ বের হয়। এর আগে বিভিন্ন লিটল ম্যাগে লেখা প্রকাশিত হয়। ১৯২৮ সালে বের হয় তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘দ্য জিপসি ব্যালাড’। এটিই স্পেনজুড়ে তাঁকে কবি খ্যাতি এনে দেয়। তিনি স্পেনের মানুষের কাছে পরিচিতি পান ‘জিপসি কবি’ হিসেবে। তাঁর কয়েকটি কালজয়ী নাটক হলো ‘ব্লাড ওয়েডিং’, ‘ইয়েরমা’, ‘দ্য হাউস অব বারনারদা আলবা’।
১৯৩৬ সালের জুলাইয়ে স্পেনের গৃহযুদ্ধ শুরুর সময় তিনি মাদ্রিদ থেকে গ্রানাডায় পারিবারিক বাড়িতে ফিরে আসেন। স্পেনের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি তখন চরমে। লোরকা জানতেন, তাঁর উদারবাদী বামপন্থী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে উদীয়মান উগ্র দক্ষিণপন্থীরা তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখে। ১৯৩৬ সালের ১৯ আগস্ট ফ্যাসিবাদীরা তাঁকে ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে এবং লাশ গুম করে ফেলে। আজও তাঁর মৃতদেহের হদিস পাওয়া যায়নি। তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৮ বছর।
লোরকা ছিলেন একজন প্রতিভাবান স্প্যানিশ সংগীতজ্ঞ, বিপ্লবী কবি, নাট্যকার ও মঞ্চনির্দেশক। তাঁর পুরো নাম ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকা।
লোরকার জন্ম ১৮৯৮ সালের ৫ জুন স্পেনের গ্রানাডা শহরের অদূরে একটি ছোট গ্রাম ফুয়েন্তে ভাকুইয়েরোসে। দর্শন ও আইন পড়ার জন্য তরুণ বয়সে গ্রানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও আইন বাদ দিয়ে সাহিত্য ও মঞ্চ নিয়ে পড়তে শুরু করেন। এরপর তিনি ১৯১৯ সালে চলে যান মাদ্রিদে। মাদ্রিদ তখন স্পেনের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কেন্দ্র। এখানে তিনি মঞ্চ নিয়ে মেতে ওঠেন। জনসমক্ষে কবিতাও আবৃত্তি করতেন।
সে সময় গড়ে উঠেছিল স্প্যানিশ কবি-শিল্পী-সাহিত্যিকদের দল ‘দ্য জেনারেশন অব টোয়েন্টি সেভেন’। সেই দলে লোরকার মতো কবিরা ছাড়াও যুক্ত হয়েছিলেন চিত্রশিল্পী সালভাদর দালি, চলচ্চিত্র নির্মাতা বুনুয়েলের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। তাঁদের মধ্যে তাঁর সঙ্গে গভীর বন্ধুত্ব হয় সালভাদর দালির।
১৯২০ সালে লোরকা প্রথম মঞ্চায়ন করেন তাঁর লেখা নাটক ‘দ্য বাটারফ্লাইস ইভিল স্পেল’। নাটকটি বহুল প্রশংসিত হয়। ১৯২১ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ বের হয়। এর আগে বিভিন্ন লিটল ম্যাগে লেখা প্রকাশিত হয়। ১৯২৮ সালে বের হয় তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘দ্য জিপসি ব্যালাড’। এটিই স্পেনজুড়ে তাঁকে কবি খ্যাতি এনে দেয়। তিনি স্পেনের মানুষের কাছে পরিচিতি পান ‘জিপসি কবি’ হিসেবে। তাঁর কয়েকটি কালজয়ী নাটক হলো ‘ব্লাড ওয়েডিং’, ‘ইয়েরমা’, ‘দ্য হাউস অব বারনারদা আলবা’।
১৯৩৬ সালের জুলাইয়ে স্পেনের গৃহযুদ্ধ শুরুর সময় তিনি মাদ্রিদ থেকে গ্রানাডায় পারিবারিক বাড়িতে ফিরে আসেন। স্পেনের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি তখন চরমে। লোরকা জানতেন, তাঁর উদারবাদী বামপন্থী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে উদীয়মান উগ্র দক্ষিণপন্থীরা তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখে। ১৯৩৬ সালের ১৯ আগস্ট ফ্যাসিবাদীরা তাঁকে ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে এবং লাশ গুম করে ফেলে। আজও তাঁর মৃতদেহের হদিস পাওয়া যায়নি। তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৮ বছর।
১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
২ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
৯ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
১৯ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
২৩ দিন আগে