১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের সেই ঘটনাটা কখনোই ভোলেননি অজিত রায়। এর আগে অবশ্য বলে নিতে হবে ২৫ মার্চের কথা। ধানমন্ডির ওয়েস্ট এন্ড স্ট্রিটে ছোট এক বাড়িতে তখন থাকতেন তিনি। সেদিনও শহীদ মিনারে ছিল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান শেষে আশরাফুল আলমসহ ফিরলেন বাড়ি। কিছুক্ষণ পরই শুরু হয়ে গেল গোলাগুলি—অপারেশন সার্চলাইট। দেশে থাকা নিরাপদ নয়। এখানে-সেখানে লুকিয়ে থাকতেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ হলে তাঁদের সঙ্গেই পাড়ি জমালেন আগরতলা। এরপর বিমানে কলকাতা। স্বাধীন বাংলা বেতারে যোগদান। মুক্তিযোদ্ধারা লড়ছেন রণাঙ্গনে, তাঁদের মনে প্রেরণা জাগানো, সাহস সঞ্চার করার কাজ করে চলেছেন তাঁরা।
একাত্তরে যুদ্ধের সময় ঈদ এসেছিল একটাই। ঈদের দিন শহীদুল ইসলামের লেখা একটি গানে সুর করেছিলেন অজিত রায়। গানটি গেয়েছিলেন রূপা ফরহাদ। গানটির প্রথম পঙ্ক্তিগুলো ছিল এমন:
চাঁদ তুমি ফিরে যাও
দেখ মানুষের খুনে খুনে রক্তিম বাংলা
রূপালী আঁচল কোথায় রাখবে বলো।
গানে গানেই মুক্তির আহ্বানে কেটে গেল অনেকগুলো দিন। এল ১৬ ডিসেম্বর। কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে পারে। বেতারকেন্দ্রের সামনে দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন অজিত রায়। তখনই শুনলেন, ঢাকার পতন হয়েছে। বাংলাদেশ মুক্ত!
শহীদুল ইসলামই লিখেছিলেন ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’ গানটি। সুর করেছিলেন সুজেয় শ্যাম। গান গাইতে বলতেই আনন্দে লাইনে দাঁড়িয়ে গেলেন গোটা ৫০ জন। কিন্তু গান তো গাইতে হবে। তখন তাঁদের মধ্য থেকে জনা পনেরোকে নিয়ে শুরু হলো গান। কিন্তু একজনকে তো শুরুটা করতে হবে। সুজেয় শ্যাম বললেন, ‘দাদা, আপনি লিডটা ধরুন।’
অজিত রায় ধরলেন। গানটি বাজতে থাকল স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে। এরপর একের পর এক মিছিল আসতে লাগল বেতার ভবনে। সমবেত হাসি-কান্নায় সে এক নতুন অভিজ্ঞতা!
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, জীবন থেকে নেয়া, পৃষ্ঠা ৩১-৩২
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের সেই ঘটনাটা কখনোই ভোলেননি অজিত রায়। এর আগে অবশ্য বলে নিতে হবে ২৫ মার্চের কথা। ধানমন্ডির ওয়েস্ট এন্ড স্ট্রিটে ছোট এক বাড়িতে তখন থাকতেন তিনি। সেদিনও শহীদ মিনারে ছিল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান শেষে আশরাফুল আলমসহ ফিরলেন বাড়ি। কিছুক্ষণ পরই শুরু হয়ে গেল গোলাগুলি—অপারেশন সার্চলাইট। দেশে থাকা নিরাপদ নয়। এখানে-সেখানে লুকিয়ে থাকতেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ হলে তাঁদের সঙ্গেই পাড়ি জমালেন আগরতলা। এরপর বিমানে কলকাতা। স্বাধীন বাংলা বেতারে যোগদান। মুক্তিযোদ্ধারা লড়ছেন রণাঙ্গনে, তাঁদের মনে প্রেরণা জাগানো, সাহস সঞ্চার করার কাজ করে চলেছেন তাঁরা।
একাত্তরে যুদ্ধের সময় ঈদ এসেছিল একটাই। ঈদের দিন শহীদুল ইসলামের লেখা একটি গানে সুর করেছিলেন অজিত রায়। গানটি গেয়েছিলেন রূপা ফরহাদ। গানটির প্রথম পঙ্ক্তিগুলো ছিল এমন:
চাঁদ তুমি ফিরে যাও
দেখ মানুষের খুনে খুনে রক্তিম বাংলা
রূপালী আঁচল কোথায় রাখবে বলো।
গানে গানেই মুক্তির আহ্বানে কেটে গেল অনেকগুলো দিন। এল ১৬ ডিসেম্বর। কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে পারে। বেতারকেন্দ্রের সামনে দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন অজিত রায়। তখনই শুনলেন, ঢাকার পতন হয়েছে। বাংলাদেশ মুক্ত!
শহীদুল ইসলামই লিখেছিলেন ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’ গানটি। সুর করেছিলেন সুজেয় শ্যাম। গান গাইতে বলতেই আনন্দে লাইনে দাঁড়িয়ে গেলেন গোটা ৫০ জন। কিন্তু গান তো গাইতে হবে। তখন তাঁদের মধ্য থেকে জনা পনেরোকে নিয়ে শুরু হলো গান। কিন্তু একজনকে তো শুরুটা করতে হবে। সুজেয় শ্যাম বললেন, ‘দাদা, আপনি লিডটা ধরুন।’
অজিত রায় ধরলেন। গানটি বাজতে থাকল স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে। এরপর একের পর এক মিছিল আসতে লাগল বেতার ভবনে। সমবেত হাসি-কান্নায় সে এক নতুন অভিজ্ঞতা!
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, জীবন থেকে নেয়া, পৃষ্ঠা ৩১-৩২
বিশ্বখ্যাত ইংরেজি ভাষার অভিধান কেমব্রিজ ডিকশনারিতে এ বছর যুক্ত হয়েছে ৬ হাজারের বেশি নতুন শব্দ। যার বেশির ভাগই জেন-জি’দের। এসব শব্দের মধ্যে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত স্ল্যাং বা অমার্জিত শব্দ যেমন ‘স্কিবিডি’, ‘ট্র্যাডওয়াইফ’, ‘ব্রোলিগার্কি’ এবং ‘ডেলুলু’ রয়েছে।
১ দিন আগেগত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টানটান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
৫ দিন আগেযতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
৬ দিন আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৮ দিন আগে